চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা বাজার এলাকায় আজ ১৫ জুলাই সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের উদ্যোগে অভিযানকালে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি ও খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল নবীনগর থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশের জায়গাগুলো দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেছিল। উচ্ছেদের সময় ২০০ শতাধিক টিনের দোকান ও শতাধিক একতলা, দুইতলা বিশিষ্ট মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু মুছা। এ সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সম্পর্কে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল নবীনগর থেকে কোম্পানীগঞ্জ চলাচলের রাস্তার উভয়পাশের জায়গাগুলো দখলে রেখেছিলো। তাদেরকে বারবার বলার পরও তারা তাদের স্থাপনা গুলো সেচ্ছায় অপসারণ করেন নি। যার কারণে পূর্বে থেকে অবগত করে সোমবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযান কালে দুই শতাধিক টিনের দোকান ও শতাধিক পাকা আধাপাকা স্থাপনা, দুতলা মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার তিতাস নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১২ মার্চ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ঋষিপাড়া এলাকায় তিতাস নদী নদী থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার জানান, দুপুরে উপজেলার নাটঘর ঋষিপাড়া এলাকায় স্থানীয় জেলেরা তিতাস নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তিতাস নদী থেকে ওই ব্যক্তির লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। তার বয়স আনুমানিক ৫০ হবে।
তিনি আরো জানান, লাশ ৮ থেকে ১০ দিন আগের হবে। লাশের শরীরে পঁচন ধরেছে। নদীর স্রোতে লাশটি কোথাও থেকে ভেসে আসতে পারে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বাস ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে রুবেল সরকার (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুজন। আজ ১০ মার্চ সোমবার সকালে উপজেলার রাধিকা সড়কের কনিকাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত রুবেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন গৌরনগর গ্রামের বাসিন্দা রতন সরকারের ছেলে। আহত ২ যুবক হলেন- মো. অলি মিয়া ও এমদাদুল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই সড়কের প্রতিনিয়তই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে।
সোমবার ভোর ৬টায় নবীনগর-রাধিকা সড়কে বাস ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নবীনগর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নবীনগর রাধিকা সড়কে বাস ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জুমার নামাজে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কিলঘুষিতে সিজল মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ৫ মে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় পৌর এলাকার আলমনগরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিজল মিয়া ওই এলাকার মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে। নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, একই এলাকার শাহ আলম ও সিজল মিয়ার মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও কিলঘুষি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সিজল মিয়া নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: পারভেজ আহমেদকে হাত-পা বেঁধে ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের মালিক মো: হাবিবুর রহমান খন্দকার ও পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারের এর বিরুদ্ধে। ১৩ অক্টোবর রবিবার দুপুরে হাসাপতালের একটি রুম থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নবীনগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালের মালিক মো: হাবিবুর রহমান খন্দকার ও পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারসহ আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন চিকিৎসক পারভেজ আহমেদ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ডাক্তার পারভেজ আহমেদ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নির্ধারিত ডিউটি শেষ করে তার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ওই সময় মুক্তি হাসপাতালের মালিক হাবিবুর রহমান খন্দকার ডাক্তার পারভেজ আহমেদকে ডাকাডাকি করলে তিনি অনীহা প্রকাশ করেন। এসময় বিবাদী জসিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ রুমে জোরপূর্বক ঢুকে ডাক্তার পারভেজ আহমেদকে এলোপাথারি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে হাত-পা বেধেঁ রাখে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারকে গ্রেফতার করে আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত জসিম উদ্দিন সরকার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের রফিক উদ্দিন সরকারের ছেলে।
হাসপাতালের ম্যানেজার ঝরনা ঘোষ জানান, একজন রোগী এলে আমি রিসিট কেটে ডাক্তার সাহেবকে গিয়ে বলি, স্যার একজন রোগী এসেছে, তখন ডাক্তার সাহেব উত্তেজিত হয়ে আমাকে জানান, আমার এখন কোন ডিউটি নেই, আমি যেতে পারবো না, তোমার মালিককে জানিয়ে দাও, পরে হাসপাতালের মালিক হাবিব স্যার এসেও ডাক্তার সাহেবকে অনুরোধ করেন রোগী দেখার জন্য। কিন্তু ডাক্তার সাহেব কারও কোন কথাই মানতে নারাজ। এনিয়ে ডাক্তার সাহেব ও হাবিব স্যার তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় হাবিব স্যারও আহত হয়েছেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, আমাকে একজন ফোন করে জানান মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালে মারামারি হয়েছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতালে যায়। হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিচালক জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করলেও হাসপাতালের মালিক হাবিবুর রহমান পালিয়ে যাই। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।