চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে সানিয়া আক্তার (২৮) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। নিহত ওই তরুণী উপজেলার মোগড়া ইউপির ধাতুরপহেলা গ্রামের শাহআলমের মেয়ে ও একই গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী। পারিবারিক কলহের জেরে গত ১৪ জুলাই রোববার রাতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
এ ঘটনার পর ১৫ জুলাই সোমবার সবার অজান্তে বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে ধাতুরপহেলা গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে জুয়েল মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। দুই পরিবারের লোকজন বেশ কয়েকটি সালিশ করে সমস্যা মিটিয়ে দেন। একপর্যায়ে কোনো উপায় না পেয়ে উভয় পরিবারের লোকজন বৈঠক করে রোববার তাদের বিচ্ছেদ করেন। বিচ্ছেদের পর তিনি তার বাপের বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু এর পরও তারা দুজন নানা বিষয় নিয়ে এলোপাতাড়ি কথা বলেন। সোমবার সকালে সবার অজান্তে বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে ঘরের মধ্যে ছটপট করতে থাকেন সানিয়া আক্তার। পরে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা আছে। তবে এ ঘটনার খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ছেলের কবরের বেড়া দিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাদেকুর রহমান ভূইয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তি।
আজ ৩ মে শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাদেকুর রহমান ওই এলাকার মলাই উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে।
সাদেকুর রহমান ভূঁইয়ার চাচাতো ভাই আবু সাঈদ ভূইয়া জানান, সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা ছিলেন। বড় ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট ছেলে শাহাদাৎ হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের পড়াশোনা করতেন। শাহাদাৎ তার মাকে নিয়ে জেলা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
সম্প্রতি শাহাদাতকে মোটরসাইকেল কিনে দেন সাদেকুর রহমান।
গত ২৯ এপ্রিল সোমবার দুই বন্ধুসহ তেল আনতে গিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ভাদুঘরে ট্রাকচাপায় নিহত হন শাহাদাৎ হোসেন। পরে তাকে গ্রামের বাড়ি আখাউড়ার আনোয়ারপুর গ্রামে দাফন করা হয়। শুক্রবার ছেলের কবরে বেড়া দিতে বাগানে বাঁশ কাটতে যান সাদেকুর রহমান।
এসময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি জামাত হত্যাযজ্ঞে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি।
আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালের দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনীয় বিশাল জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন।
এ সময় আইন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে। মন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাছে নিষ্পাপ শিশুও সেইভ না, বিএনপি জামায়াত আবারো বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, যারা নির্বাচন বানচাল ও হরতাল অবরোধ ডেকেছেন আপনারা সাবধান হয়ে যান। এই দেশে আইন আছে, আইনের শাসন আছে, আপনারা যা করছেন এটা রাষ্ট্রদ্রোহী।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের দলীয় প্রতীক নৌকার জন্য ভোটারদের কাছে ভোট চান। তিনি এলাকার উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ গুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সভায় মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: কামাল ভূইয়ার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো: তাকজিল খলিফা কাজল, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুব আলম চৌধুরী দ্বীপক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
নতুন বছরের প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হতে চলেছে। এখনও আখাউড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণীর অধিকাংশ বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছেনি। এছাড়া মাদ্রাসা শাখার ৭ম শ্রেণীর কোন বই পায়নি ছাত্রছাত্রীরা। এসব বই কবে পাওয়া যাবে তারও কোন সঠিক তথ্য নেই শিক্ষা অফিসে। বই না থাকায় ঠিকমত শ্রেণী কার্যক্রম হচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীরাও পড়ায় আগ্রহ পাচ্ছে না। ফলে মাধ্যমিক স্তরে অনেকটা ঢিলেঢালা ভাবে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। তবে পুরনো বই দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে জানান কয়েকজন শিক্ষক। তবে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে অবশিষ্ট বইগুলো দ্রুত দেওয়া দরকার বলেও মনে করেন তারা।
শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম, ৮ম এবং ৯ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদেরকে ৪/৫টি বিষয়ের বই দেওয়া হয়েছে। এসব ক্লাশের অধিকাংশ বই এখনও দেওয়া হয়নি। তাছাড়া ৬টি দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা কোন বই পায়নি। সব মিলিয়ে আখাউড়া উপজেলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৭৬ হাজার। তবে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর সকল বিষয়ের বই দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ৭ম শ্রেণীর ৭টি বিষয়ের বই এখনও দেওয়া হয়নি। এগুলো হলো ইংরেজি, গণিত, চারুপাঠ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা এবং হিন্দু ধর্ম শিক্ষা। ৮ম শ্রেণীর ১০টি বিষয়ের বই বিতরণের বাকী রয়েছে। এগুলো হলো বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা দ্রুতপঠন, ইংরেজি গ্রামার, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, সাধারণ বিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, চারু ও কারুকলা, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা ২ হাজার ৫৫০টি, গার্হস্থ্য ও অর্থনীতি।
৯ম শ্রেণীর ১০টি বিষয়ের বই এখনও ছাত্রছাত্রীরা পায়নি। এগুলো হলো ইংরেজি ও মাধ্যমিক গণিত, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিসাব বিজ্ঞান, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও ব্যবসায় উদ্যোগ, বাংলাদেশ ইতিহাস ও বিশ^ সভ্যতা, ভুগোল ও পরিবেশ এবং পৌরনীতি ও নাগরিকতা । এছাড়া মাদ্রাসায় শাখায় ৭ম শ্রেণীর ১৫টি বিষয়ের বই এখনও এসে পৌঁছেনি।
অভিভাবক কাজী মাইনুদ্দিন বলেন, আমার ছেলে সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ পড়েই উঠে যায়। কিছু বললেই বলে বই নাই। দেড় মাস হয়ে গেছে। বাকী বইগুলো দেওয়া দ্রুত দিলে উপকার হবে।
জানতে চাইলে আমোদাবাদ আলহাজ¦ শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক বলেন, পর্যায়ক্রমে বই আসতেছে। আরও আসবে। শিক্ষকরা পুরনো বই অনুসরন করে পাঠদান করাচ্ছেন।
তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাত হোসেন বলেন, বই না থাকলেও শিক্ষকদের পাঠদানে কোন সমস্যা হচ্ছে না। শিক্ষকরা ওয়েব সাইট থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করে পাঠদান করাচ্ছেন। তবে দ্রুত বইগুলো পেলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপকার হবে।
উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ৮ম এবং ৯ম শ্রেণীতে আগের বই-ই রয়েছে। এজন্য পুরাতন বই দিয়ে পাঠদান হচ্ছে। শিক্ষকরা ওয়েব সাইট থেকে চ্যাপ্টার ভিত্তিক ডাউন লোড করেও পড়াচ্ছেন। ফলে পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শওকত আকবর খান বলেন, পর্যায়ক্রমে বই আসছে। আশা করছি এ মাসে আরও বই আসবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি মন্তব্য করে জনগণকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, যে কোন ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে দেশে এক অসন্তোষ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। আপনারা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন এবং এই চেষ্টা যদি কেউ করে সেই চেষ্টাকে আপনারা জানতে পারলে আইনের আওতায় আনার জন্য পদক্ষেপ নিবেন। আশা করি, আমরা যদি সজাগ থাকি, সচেতন থাকি বাংলাদেশ কাংক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।
আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রদত্ত গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। টানা তিন বার কসবা-আখাউড়া আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় এবং তৃতীয় মেয়াদে আইনমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিএনপি-জামাতের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেকবার যখন আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচন দেই তখন বিএনপি-জামাত ষড়যন্ত্র শুরু করে। যাতে তারা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে। নির্বাচন যাতে বাংলাদেশে না হয়। গণতন্ত্র যেন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা না পায়। জনগণের সমর্থনে প্রত্যেকবার শেখ হাসিনা তাদের ষড়যন্ত্র ধ্বংস করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ প্রমান করেছে তারা শেখ হাসিনার সরকার চায়। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটা উন্নত দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে বসবে। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করে রাখলেই আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো।
বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় আনিসুল হক কসবা-আখাউড়াবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আপনার আমার জন্য দোয়া করবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি।
মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি জনগণের পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন আনিসুল হক।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আশুগঞ্জ-সরাইল আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ড. অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। এসময় আওয়ামলীগের পক্ষে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল।
এর আগে বিকালে সংবর্ধনাস্থলে এসে পৌঁছলে মন্ত্রীকে ফুল বরণ নেয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ৫২ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) এর মধ্যে যৌথ রিট্রিট সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৬ মার্চ রবিবার বিকাল ৫ টার সময় আখাউড়া চেকপোস্টের শূন্য রেখায় দু দেশের সুসজ্জিত চৌকস দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই যৌথ রিট্রিট সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় যৌথ সিরিমনিতে দু-প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ আবুল কালাম শামসুদ্দিন রানা,সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ।
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফের) গোকুলনগর সেক্টর হেডকোয়াটার ডি আই জি রাজ নারায়ণ মিশ্রা,৪২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট শের শিংহসহ বিজিবি- বিএসএফের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
এ সময় কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ আবুল কালাম শামসুদ্দিন রানা বলেন,১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ-ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুপ্রতীম ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিলো সেই ভাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বাড়বে আরো।
তিনি আরো বলেন, বিজিবি বিএসএফ উভয়ই আমরা স্ব স্ব সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছি। দুদেশের নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য পারস্পরিক আন্তরিক সোহার্দ সম্পর্কের মাধ্যমে, সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। অত্যন্ত বন্ধুভাবাপূর্ণ মনোভাব আমাদের মধ্যে বিরাজ করছে ও সবসময় একইরকমভাবে বজায় থাকবে।
বিএসএফের গোকুলনগর সেক্টরে হেডকোয়াটার ডি আই জি রাজ নারায়ণ মিশ্রা বলেন,সীমান্তের সমস্যাগুলো আমরা বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে সমাধান করি। আমরা আগামীতেও এভাবে বন্ধুত্বের মাধ্যমে সীমান্ত রক্ষা করবো।
পরে বিএসএফ এর পক্ষ থেকে বিজিবিকে ফুল,ফল,মিষ্টি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়। এ সময় বিজিবির পক্ষ থেকেও বিএসএফের সদস্যদের শুভেচ্ছা ও উপহার বিনিময় করে।