চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নাসিরনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় প্লে-কার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান নেয় তারা।
১৭ জুলাই বুধবার সকালে নাসিরনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে এই বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা প্রধান সড়কে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় পুলিশ বাধাঁ দিলে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে পুলিশ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদেরকে কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে অনুরোধ করলে নাসিরনগর-সরাইল সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে চলে যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাসহ হত্যার বিচার করতে হবে আমরা বিচার চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার্স ইনর্চাজ (ওসি) মো: সোহাগ রানা, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জামিল ফোরকান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: ইকবাল মিয়া, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া হাকিম রাজা, গুনিয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান মো: জিতু মিয়া, সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক, কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, ধরমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, চাপরতলা ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্ত্তিক চন্দ্র দাস, প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেব, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়াসহ আইনশৃংখলা কমিটির সসদ্যগণ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি মাদক-জুয়া, চুরি-ডাকাতি বন্ধসহ আইনশৃংখলা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের পীরে কামেল মোকাম্মেল হযরত শাহসূফী আলহাজ্ব সৈয়দ আবদুস ছাত্তার নকশে বন্দী (রঃ) ও পীরে কামেলে মোকাম্মেল হযরত শাহসূফী সৈয়দ নাছিরুল হক (মাসুম) নকশে বন্দী মোজাদ্দেদী ফান্দাউকী (রঃ) দ্বয়ের বার্ষিক ইছালে ছওয়াব উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ফান্দাউকের সভা আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বাদ ফজর নামাজের পর আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন ফান্দাউক দরবার শরীফের গদ্দীনিশীন মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আহ্মাদ (মামুন)।
ফান্দাউক দরবার শরীফের সভায় লাখো মুসল্লির অংশগ্রহনে মুখরিত প্রায় ৩৫ মিনিট মোনাজাতে মুসলিম উম্মার ঐক্য কামনাসহ দেশ ও জাতির স্বার্থে ঐক্যের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে দেশ প্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে পরম করণাময় আল্লাহর দরবারে শান্তি কামনা করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মাহফিলে দরবার শরীফের আওতায় পরিচালিত প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার ৫জন ছাত্রকে পাগড়ি প্রদান করা হয়। এছাড়াও মাহফিলস্থলে ফান্দাউক দরবার শরীফের ছোট সাহেবজাদা সৈয়দ বাকের আহমদকে (আকদ) বিবাহ পড়ানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদে দুই ইউপি সদস্যের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নারী ও অপর পুরুষ ইউপি সদস্য আহত হওয়ার খবর মিলেছে। ঘটনার পর একজন আরেকজনকে দোষ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে আহত নারী ইউপি সদস্য মোছা. জাকিয়া আক্তার প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে থানায় এজহার দিয়েছেন। ২৩ মে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদে মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই ইউপি সদস্য হলেন ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মো. ইরন মোল্লা ও ৭, ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোছা. জাকিয়া আক্তার।
কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাছির মিয়া ও নারী সদস্য জাকিয়াকে ঘটনার পর থেকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন ইরন। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য অনাস্থার প্রস্তাব এনে লিখিত দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়ার কাছে।
জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (সদ্য বহিস্কৃত) ওমরাও খানের (আনারস প্রতীক) পক্ষে নির্বাচন করেন সাধারণ ইউপি সদস্য ইরন মোল্লা। এদিকে আ.লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার (ঘোড়া প্রতীক) পক্ষে নির্বাচন করেন সংরক্ষিত নারী সদস্য জাকিয়া আক্তার। নির্বাচনের পর প্রথম মাসিক সভার আহবান করেন চেয়ারম্যান।
২৩ মে পরিষদের কক্ষে সভা চলাকালীন সময় বিএনপির সহ-সভাপতি ওমরাও খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার বিষয়টি তুলেন ইরন মোল্লা। সে সময় চেয়ারম্যান ও জাকিয়াকে দোষারোপ করেন ইরন। সভা কক্ষে অন্য আলোচনা পরিহার করে ইউনিয়ন পরিষদের আলোচনা শুরু করতে বলায় গালমন্দ করতে থাকেন ইরন। এক পর্যায়ে নারী ইউপি সদস্য প্রতিবাদ করায় তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন ইরন। এ সময় ইরন ও জাকিয়া উভই আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জাকিয়াকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
আহত জাকিয়া আক্তার বলেন, ইরন একজন খুনি। সে ডাকাত দলের সদস্য। সে শুধু আমার উপরই হামলা করেনি, চেয়ারম্যান ও অপর একজন সদস্যকেও মারধর করতে চেয়েছে। কিন্তু অন্যরা লজ্জায় বলতে পারছে না। ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান ও আমাকে খুন করার প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইরন মোল্লা বলেন, আমি আগে খারাপ কাজ করতাম কিন্তু বর্তমানে সব কিছু ছেড়ে আমি ভালো হয়ে গেছি। নির্বাচনে আমি বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ওমরাও খানের পক্ষে কাজ করছি এটা সত্য। পরিষদে এসব বিষয় নিয়ে সুন্দরভাবে আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু জাকিয়া আমায় খারাপ ভাষায় গালমন্দ করলে আমি তাকে আঘাত করি।
কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ইরন নাসিরনগরের জন্য একটি আতংকের নাম। ঘটনার পর থেকে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। ইউএনওর কাছে লিখিত দিয়েছি। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা সঠিক বিচার চাই।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহাগ রানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেওয়া হবে।
ইউএনও মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন, সভা চলাকালীন একজন ইউপি সদস্য আরেকজন নারী ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেছে। এর পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও নারী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গতকাল সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রার্থীরা রির্টানিং কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মো: শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার,বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়,উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: ওমরাও খান ও শ্রী প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধর। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নেতা আবু আহাম্মদ কামরুল হুদা, হুমায়ুন কবীর, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ভানু চন্দ্র দেব, সৈয়দ সাজ্জাদ মোর্শেদ ,গুনিয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ছামদানী, মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়া পাঠান ও শাহজাহান চকদার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার,সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা হামিদা লতিফ পান্না, সাবেক মহিলা মেম্বার রিটা আক্তার ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাহিদা আক্তার।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মো: শহীদুল ইসলাম জানান,এবার প্রথমবারের মত অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।সব প্রার্থী নিবার্চনী নিয়মনীতি মেনে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল শেষে হার্ড কপি জমা দিয়েছেন। সকল প্রার্থীকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষার অনুরোধ জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল, বাছাই আপিল ১৮ এপ্রিল,আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল,প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২২ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। নাসিরনগর উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ভোটার ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৪৭জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ১‘শ ৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪‘শ ৩৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ২ জন।