চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন।
১৭ জুলাই বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংখ্যক রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপজেলা শহীদ মিনারে জড়ো হয়। সংখ্যা বেড়ে গেলে তারা অন্নদা স্কুল মোড় যায়। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। অপরদিকে উচালিয়াপাড়া মোড়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পির নেতৃত্বে অবস্থান করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ উভয় পক্ষের মাঝে অবস্থান করছিল। এরই এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। দুইপক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘন্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারগ্যাস এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম সহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়াও উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, আমিসহ পুলিশের ১০জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইল উপজেলায় পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে মাছ ব্যবসায়ী মানিক মিয়াকে (৩৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ (বিলেরপাড়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মানিক মিয়া ওই এলাকার মৃত এলেম মিয়ার ছেলে।
নিহত মানিকের স্ত্রী সামিনা বেগম জানান, ৬ বছর আগে একই বাড়ির বাদলের স্ত্রী শামসুন্নাহারকে এক লাখ টাকা ধার দেন মানিক মিয়া। সেই টাকা ফেরত চাইলে তাদের দুজনের মধ্যে প্রায়ই বাগবিতন্ডা হতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাজলের স্ত্রী শিরিনা বেগম টাকা দেওয়ার কথা বলে মানিককে ফোন করে নিয়ে যায় তাদের বাড়িতে। মানিক বাদলদের বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে আবারো বাগবিতন্ডা হয়।
তিনি বলেন, এ সময় আসমত আলী, শিরিন ও শামসুন্নাহার নামে আরও এক নারী মানিকের ওপর হামলা করেন। মানিককে তারা মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে দেওয়ালের সঙ্গে চেপে ধরলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পরিবারসহ পলাতক আছেন। তাদের কারোর বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে নিহত মানিকের স্ত্রী সামিনা বেগম বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে রাত ১টায় সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসাইন বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে মানিক মিয়াকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে তার পরিবার। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর সবকিছু প্রকাশ হবে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে হাফিজ উদ্দিন (৪৭) হত্যা মামলার আসামি তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় র্যাব ওই তিন আসামিকে সরাইল থানায় হস্তান্তর করেন।
আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকালে গ্রেফতারকৃত তিন ভাইকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাবুল হোসেন।
গ্রেফতারকৃত হলেন, মৃত আমিন মিয়ার ছেলে রায়হান (২৫), সাইফুল (২৭) এবং তফসির (৩০)। ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা ও নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে উপজেলার হরিপুর গ্রামের হরিপুর গ্রামে মুদি দোকানে চুরি নিয়ে সালিশের জেরে ৪ আগস্ট বিকেলে হাফিজকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী শাহানা আক্তার পরদিন ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগতসার (বরগিলা মোড়) মোড় এলাকা থেকে পিকআপভ্যানসহ তাকে আটক করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটক নীরব মিয়া (২২) ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ওডাকোনা গ্রামের খোকন আকন্দের ছেলে।
ডিবি পুলিশের ওসি আফজাল হোসাইন জানান, সকালে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগতসার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জগতসার (বরগিলা মোড়) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন পুলিশ বক্সের সামনে থেকে পিকআপভ্যানসহ নীরব মিয়াকে আটক করা হয়। পরে পিকআপভ্যান তল্লাশি করে ভ্যানের ভিতরে সুকৌশলে বডির নিচে রাখা ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে অটোরিকশাচালক হত্যার অভিযোগে সাবেক চার মন্ত্রী-এমপিসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সুলতান উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে এই মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল হাসান।
মামলার আসামিরা হলেন, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম-২ আসনের সাবেক এমপি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা, সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পি, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগমসহ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ হয়। ২৮ মার্চ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হোটেল লাল শালুকের পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন লিটন মিয়া নামের অটোরিকশাচালক।
নিহত লিটন সরাইল উপজেলার কাটানিসার গ্রামের মোজাম মিয়ার ছেলে। এই হত্যা মামলাটি তৎকালীন সময়ে থানায় নিয়ে গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গত একমাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪টি হত্যা ও একটি গুমেরসহ ৬টি মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ইজারাকৃত বিলে রিং জাল দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকারের দায়ে তিন জনকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোশারফ হোসাইন উপজেলার শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের শাপলা বিলে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ক্ষমতাপুর গ্রামের টুনু মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়াকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একই উপজেলার আঁখিতারা গ্রামের হাফিজ মিয়ার ছেলে রায়হান মিয়া ও তার ভাই ফতু মিয়াকে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের শাপলা বিলে অবৈধ রিং জাল ও ফিক্সড ইঞ্জিন ব্যবহার করে ইজারাকৃত বিল থেকে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে আসছিলো কিছু ব্যক্তি। এতে করে মাছের স্বাভাবিক বংশ বিস্তারে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে, পাশাপাশি বিলের ইজারাদারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে শাপলা বিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে তিন জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের দখলে থাকা দুই হাজার মিটার রিং জাল ও দুটি নৌকা জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটানোর দায়ে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় হাবিব মিয়াকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। বাকী দু’জনকে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ এর ৩ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৫ ধারায় ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে জব্দকৃত রিং জাল আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় ও দুইটি নৌকা সরাইল থানার জিম্মায় দেওয়া হয়।