অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতা শুরু হলে পরিষেবা স্থগিত করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এর এক সপ্তাহ পরে আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে অতি সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির।
আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সীমিত পরিসরে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন। সংঘাত পরবর্তী সময়ে স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী কমিউটার ট্রেন দিয়ে চালু হচ্ছে রেলপথ। কারফিউ শিথিল থাকা সময়ে এসব ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঁচ ঘণ্টা শিথিল সময়ের মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। ফলে আপাতত কমিউটার ট্রেন চলবে। আগামী শুক্রবার থেকে কিছু আন্তঃনগর ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল পথের কমিউটার ট্রেনগুলো চলাচল করবে। তবে সময় পাঁচ ঘণ্টা। এ সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিনবার যাতায়াত (ট্রিপ) করতে পারবে। দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। কাল সকাল সোয়া ১০টায় যাবে। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে। প্রসঙ্গত, রেলে সাধারণত একটা ট্রেন কোনো গন্তব্যে গেলে সেটি ফিরে আসার পর এক ট্রিপ ধরা হয়।
রেলের পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) দুটি পথে ট্রেন চলাচল করতে পারে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র। এর মধ্যে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট-বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করবে কমিউটার ট্রেন। এর বাইরে মালবাহী ট্রেন আজও কিছু চলাচল করেছে। আর তেলবাহী ট্রেন গতকাল ২৩ জুলাই মঙ্গলবার থেকেই চলাচল করছে। ভারত থেকে পাথরবাহী দুটি মালবাহী ট্রেন আজ চলাচল করেছে। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যে চলছে তেলবাহী ট্রেন।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সরকার দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে ও শিক্ষক সংকট মেটাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আজ ২ মার্চ শনিবার সকালে ঢাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি সম্মেলন ও বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষক সংকট নিরসনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাজে লাগাতে এবং বর্তমান কারিকুলামে যে শিক্ষা দর্শন, ‘অ্যাক্টিভিটি বেইসড লার্নিং’-এর উদ্যোগ নিয়েছে, সেখানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। যেহেতু আমাদের চাহিদা আছে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা শিক্ষক হিসেবে গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে আসতে পারেন। আমাদের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত ও বিজ্ঞানের অনেক শিক্ষক প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মনে করছি ৬০ হাজারের মতো গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সেখানে আমাদের ডিপ্লোমা পাস করা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োজিত করতে পারলে শিক্ষক সংকট সমাধান করা সম্ভব হবে। সেটা আমাদের বিবেচনায় আছে।’
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্নাতক সমমানের মর্যাদা দেওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একজন এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর বিএসসি (পাস কোর্স) পাস করতে সময় লাগে পাঁচ বছর। অন্যদিকে ডিপ্লোমা পাস করতে সময় লাগে চার বছর। সে ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা পাস করা একজন শিক্ষার্থী এক বছর কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তাকে বিএসসি (পাস) সমমানের মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে। সে বিষয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আইডিইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। স্বাগত বক্তব্য দেন আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শামসুর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
পবিত্র কুরআন মাত্র সাত মাসেই মুখস্থ করেছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাইতুন নূর তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জুবায়ের আল জামি।
জুবায়ের আল জামি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ওভারামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। ব্যবসায়ের সুবাদে তিনি হাজীগঞ্জ মডেল কলেজসংলগ্ন নিজস্ব ভবন তালুকদার নিকেতনে বসবাস করেন।
জাহাঙ্গীর আলমের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ছেলেকে পড়ান হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে। এরই মাঝে সন্তানকে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে বাইতুন নূর তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করান।
যার সুফল মিলে মাত্র সাত মাসের মাথায়। হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এই শিক্ষার্থী মাত্র সাত মাসেই কুরআনে হাফেজ হন।
মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ কারি মাওলানা মোহাম্মদ নাজির আহমদ যুগান্তরকে জানান, শিক্ষক, অভিভাবক ও নিজেদের মেহনতে শিক্ষার্থীরা হেফজ্ শেষ করে। শিক্ষির্থীর মেধা ভালো হলে আর অভিভাবকরা মেহনত করলে আশা করি এভাবেই আগামী দিনগুলোও শেষ করতে পারব।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনায় পড়া না পারায় আব্দুল কাইয়ুম (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের শরীরে গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার চান্দের চর ইউনিয়নের নয়াকান্দি মমতাজিয়া আছমতিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার কাইয়ুমের মা বিষয়টি জানার পর রাতে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ও তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা করেন। পরে রাতেই মাদ্রাসাটির শিক্ষক আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে অধ্যক্ষসহ বাকি শিক্ষকরা মাদ্রাসায় তালা লাগিয়ে পালিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার কাইয়ুম চান্দের চর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কাদিরের ছেলে। সে মাদ্রাসাটির হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পড়া না পারার ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক আতিকুল ইসলাম ও তিন ছাত্র মিলে কাইয়ুমকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে তার শরীরে ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে সোমবার দুপুরে কাইয়ুমের জন্য মাদ্রাসায় খাবার নিয়ে যান মা হাফেজা বেগম। সেখানে তার অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলে কাইয়ুম ঘটনা মাকে জানায়। পরে তিনি কাইয়ুমকে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং এলাকার গণ্যমান্যদের জানান। বিকেলে কাইয়ুমকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাফেজা বেগম বলেন, মাদ্রাসায় যারা আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমার মতো যেন কোনো মাকে এভাবে সন্তানের অবস্থা দেখে চোখের পানি ফেলতে না হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম সিকদার জানান, ছেলেটির ক্ষত বেশ বড়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির চিঠির প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তো এখন দিকদ্বিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তারা ভেবেছিল দেশে নির্বাচন হবে না এবং নির্বাচন হলেও জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে না। এখন তারা বুঝতে পেরেছে, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে যেখানে বিএনপির সমর্থকরাও যোগ দিয়েছে।
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ’র (পিআইবি) গবেষক পপি দেবী থাপা গ্রন্থিত ‘শরণার্থীর জবানবন্দি ১৯৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই পেট্রোলবোমা, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করে, মা ও শিশুকে এক সাথে হত্যা করে, ট্রেন লাইন কেটে, ট্রেনের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, গাড়িতে, বাসে মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে নির্বাচন ভণ্ডল করতে চেয়েছে, পারেনি। না পেরে তারা এখন তাদের সেই পুরনো কায়দা বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখা শুরু করেছে।’
যারা পেট্রোলবোমা সন্ত্রাস চালিয়েছে তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে, ট্রেন লাইন যারা কেটে ফেলেছিল তারা ধরা পড়েছে, স্বীকার করেছে কে টাকা দিয়েছে, কার নির্দেশে এগুলো করেছে, এগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এই কাজগুলো ২০১৩-১৪-১৫ সালে করেছে, এখন আবার করছে। এখন আত্মরক্ষার্থে চিঠিপত্র লিখছে।
যাদের কাছে চিঠি লিখছে, তারাও এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে, পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে এবং তারা বলছে যে, নির্বাচন যেন সহিংসতামুক্ত হয়। দেশের বিরুদ্ধে বহু চিঠি বিএনপি লিখেছে, এই চিঠিতে কোনো লাভ হবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী মারা গেলে সেই আসনে নির্বাচনটা বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে তারা এই পরিকল্পনা করেছে।
তবে সন্ত্রাসী দলের মতো এ সব ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।’
‘শরণার্থীর জবানবন্দি ১৯৭১’ গ্রন্থ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যে কত বেদনার, কত সংগ্রামের, সেটি যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তাদের পক্ষে অনুধাবন করা কঠিন। আমরা ১ কোটি শরণার্থীর কথা বলি, কিন্তু দেশের অভ্যন্তরেও ১ কোটি মানুষ শরণার্থী হয়েছিলো, যাদের ঘরবাড়ি হানাদারেরা জ্বালিয়ে দিয়েছিল, অপরের ঘর-বাড়িতে থাকত।’
বাল্যস্মৃতিচারণ করে হাছান বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রান্তে রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের গ্রামটা ছিল শরণার্থী যাওয়া আসার রোড। সেই পথ ধরে মিজোরাম যেতে হলে উঁচু পাহাড় পাড়ি দিতে হতো।
অনেক বাচ্চা ও বয়স্ক যারা পাহাড়ে উঠতে পারত না, তাদের ফেলে অন্যরা চলে যেত -এ রকম বহু ঘটনা ঘটেছে।’
গ্রন্থকার, পিআইবির সহ-সম্পাদক আকিল উজ-জামান, গবেষক মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন বইমোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।