অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ ও রোহিত শর্মা পৌঁছাবেন ৪০ বছর বয়সে। যদিও ফিট থাকলে তাদের বিশ্বকাপে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। তার মতে, কোহলি-রোহিতের এখনো অনেক কিছু দেওয়ার বাকি। ভারতের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আজই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।
গম্ভীর বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি হোক বা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, আমি মনে করি তারা দেখিয়েছে বড় মঞ্চে কী করতে পারে। একটা বিষয়ে আমি খুবই পরিষ্কার দুই জনের ভেতরই অনেক কিছু দেওয়ার বাকি রয়েছে। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরকে সামনে রেখে অবশ্যই যথেষ্ট অনুপ্রাণিত থাকবে তারা।’
‘এরপর আশা করি, ফিটনেস যদি ধরে রাখতে পারে, তাহলে ২০২৭ বিশ্বকাপেও খেলতে পারে। তবে এটা একদমই তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি বলতে পারব না তাদের মধ্যে কতখানি ক্রিকেট বাকি আছে। দিনশেষে এটা খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে, দলের সফলতায় তারা কতটা অবদান রাখতে পারবে।’
ছুটি কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরছেন কোহলি-রোহিত। তাদের যতদিন সম্ভব রাখতে চান গম্ভীর। তিনি বলেন, ‘দিনশেষে দলই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি মনে করি কোহলি-রোহিতের এখনো অনেক কিছু দেওয়ার বাকি। তারা বিশ্বমানের খেলোয়াড় এবং যেকোনো দলই তাদের যতদিন সম্ভব ধরে রাখতে চাইবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
২০১৬ সালের এশিয়া কাপে জেতার পর দেশে কিংবা দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে বাংলাদেশ হারাতে পারেনি। অর্থাৎ সবশেষ ৯ বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয় নেই টাইগারদের। সর্বশেষ পাকিস্তান সফরেও স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে, এবার মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে পাত্তাই দিল না লিটন দাসের দল। মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সকলটি উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ৩ বলে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। চার বল খেলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি। তিনে নেমে ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন দাস (১)। এতে করে মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তবে, তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেই বিপদ সামাল দেন পারভেজ ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। এই দুইজনের ৭৩ রানের জুটিতে জয়ের দিকে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ইনিংসে ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন হৃদয়।
এ দিন ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন ইমন। মাত্র ৩৪ বলে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। এছাড়া, ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকের।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিন-মুস্তাফিজদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। এতে কোনো রকমে একশ রান তুলে অলআউট হয় সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ফখর জামান। বাংলাদেশের হয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। এ ম্যাচে ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার রেকর্ড গড়েন মুস্তাফিজুর রহমান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই কীর্তি আর কারো নেই। মিরপুরে ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই সায়িম আইয়ুবকে ফেরান তাসকিন। ৪ বলে ৬ রান করেন সায়িম। পরের ওভারেই উইকেট নেন শেখ মেহেদি। তিনে নামা মোহাম্মদ হারিস এই স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাউ কর্ণারে শামীম হোসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩ বলে ৪ রান করেন তিনি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসেই ব্রেকথ্রু এনে দেন তানজিম সাকিব। সালমান আলি আগাকে রীতিমতো বোকা বানান সাকিব। এই পেসারকে র্যাম্প স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন সালমান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে এসে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এই বাঁহাতি পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে থার্ড ম্যানে ধরা রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন হাসান নাওয়াজ। ডাক খেয়ে এই ব্যাটার ফেরায় ৪১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মিডল অর্ডারে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ নাওয়াজও। রান আউটের শিকার হন এই ব্যাটার। বাকিদের ব্যর্থতার দিনে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেন ফখর। ব্যক্তিগত ফিফটির পথেই ছিলেন তিনি। তবে রান আউটের শিকার হয়ে ৪৬ রানে থামতে হয় তাকে।
৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে ৩৩ রান যোগ করেন। এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১০৩ রানে সপ্তম উইকেট হারানো পাকিস্তান অলআউট হয় ১১০ রানে। ৭ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট হারায় তারা।
মিরপুরের আজকের উইকেটে যেন ফিরে এসেছিলেন পুরোনো মুস্তাফিজ। তার স্লোয়ার আর কাটার পড়তে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পাকিস্তানিদের। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। এ ছাড়া তাসকিন পান ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট পান তানজিম সাকিব ও মেহেদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ১৯.৩ ওভারে ১১০/১০
বাংলাদেশ : ১৫.৩ ওভারে ১১২/৩
বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
অনলাইন ডেস্ক :
টানা দুই ম্যাচ হারের পর টানা দুটি জিতে ফাইনালের টিকিট কেটেছিল রংপুর রাইডার্স। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য সৌম্য-রিশাদদের জাতীয় দলে ডাক পড়ায় বিপাকে পড়েছিল রংপুর। ফাইনালে অংশগ্রহণ করা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে উঠে ফাইনালেও বাজিমাত করেছে বিপিএলের এই ফ্রাঞ্চাইজি। আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার দল ভিক্টোরিয়াকে ৫৬ রানে হারিয়ে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হল রংপুর রাইডার্স।
রংপুরের জয়ের নায়ক সৌম্য সরকার। তার বিধ্বংসী এক ইনিংসে ভর করেই ৩ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় রংপুর। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১২২ রানে অলআউট হয় ভিক্টোরিয়া। ২০১৭ সালে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আবার শিরোপার স্বাদ পেল বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ম্যাচসেরার পাশাপাশি মোট ১৮৮ রান করে টুর্নামেন্টসেরাও হয়েছেন সৌম্য।
প্রথম গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম শিরোপা জয়ের গৌরবের পাশাপাশি রংপুরের অর্থযোগও কম নয়। চ্যাম্পিয়ন হয়ে ৫ লাখ ডলার প্রাইজমানি পেয়েছে তারা। প্রাথমিক পর্বের দুটি জয়ের জন্য আরও ৫০ হাজার ডলার তো আছেই।
গায়ানা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের আয়োজনে প্রথমবারের মতো আয়োজিত গ্লোবাল সুপার লিগে অংশই নেয়ার কথা ছিল না রংপুরের। বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ফরচুন বরিশালকে টুর্নামেন্টের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল গায়ানা। তবে বরিশাল সদিচ্ছা না দেখানোয় রংপুর রাইডার্স সুযোগ পায় টুর্নামেন্টটিতে। আর সেই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে রংপুর। বিশ্বের পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পাঁচ দলকে নিয়ে আয়োজিত টুর্নামেন্টের প্রথম শিরোপা জিতে নিয়েছে দলটি।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক সোহান। সৌম্য ৫৪ বলে ৭ চার আর ৫ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৮৬ রানের ইনিংস। আরেক ওপেনার স্টিভেন টেইলর ৪৯ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় করেন ৬৮ রান। সাইফ হাসান আউট হন ৪ বলে ৬ করে, ২ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান। ভিক্টোরিরার তিন বোলার নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে শেখ মেহেদি-রিশাদ হোসেনদের তোপে দাঁড়াতেই পারেনি ভিক্টোরিয়া। ওপেনার জো ক্লার্কের ২২ বলে ৪০ ছাড়া বলার মতো স্কোর করতে পারেননি আর কেউ। বাকি ব্যাটাররা কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি। রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন হারমীত সিং। শেখ মেহেদী এবং সাইফ হাসান শিকার করেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়াও কামরুল হাসান এবং রিশাদ হোসেন নেন এক উইকেট।
দিন শেষে হেসেছেন সৌম্যই। তাঁর ইনিংসই গড়ে দিয়েছে রংপুরের জয়ের ভিত্তি। যে জয় রংপুরকে এনে দিয়েছে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের ট্রফি আর রংপুরের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ট্রফি। এর আগে ২০১৭ সালে বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর।
৫ দলের গ্লোবাল সুপার লিগে লিগ পর্বে চার ম্যাচের প্রথম দুটিতেই হেরেছিল রংপুর রাইডার্স। নুরুল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটিকে ভিক্টোরিয়াও হারিয়ে দিয়েছিল ১০ রানে। তবে শেষ দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স ও পাকিস্তানের লাহোর কালান্দার্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে শেষ পর্যন্ত ট্রফিতেই হাত রেখেছে রংপুর। ম্যাচসেরার পাশাপাশি মোট ১৮৮ রান করে সৌম্য হয়েছেন টুর্ণামেন্টসেরাও।
অনলাইন ডেস্ক :
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অজিদের ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল ভারত। দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন স্টিভেন স্মিথ। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। জবাবে খেলতে নেমে ৪৮ ওভার ১ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ভারত।
২৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই শুবমান গিলকে হারায় ভারত। ৮ রান করে গিল ফিরলে ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৯ বলে ২৮ রান করেন অধিনায়ক। ৪৩ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার। আইয়ার ৬২ বলে ৪৫ রান করেন। এরপর অক্ষর প্যাটেল ও হার্দিক পান্ডিয়াও থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন কোহলি। ৯৮ বলে ৮৪ রান করেন তিনি। শেষদিকে লোকেশ রাহুলের ৩৪ বলে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংসে ভর করে ১১ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে ভারত।
স্মিথের লড়াই, তবু ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। কুপার কনোলিকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে বাজি ধরেছিল অজিরা, কিন্তু সেটাই কাল হলো। মাত্র দুই ওয়ানডে খেলা এই তরুণ ব্যাটার ৯ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
অন্যদিকে, ওপেনার ট্রাভিস হেড দলের ভিত গড়ে দেন। ৩৩ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। মিডল অর্ডারে মার্নাস ল্যাবুশেন ও জস ইংলিশ ব্যর্থ হন। ল্যাবুশেন ৩৬ বলে ২৯ ও ইংলিশ ১১ রান করেন।
এক প্রান্ত আগলে রেখে স্মিথ ৯৬ বলে ৭৩ রান করেন, তবে বেশ ধীরগতির ব্যাটিং করেন তিনি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বড় ম্যাচে ব্যর্থ হন, ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। ২০৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর অ্যালেক্স ক্যারি একপ্রান্ত ধরে রাখেন। তবে অপর প্রান্তে কেউ তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। রান আউট হওয়ার আগে ৫৭ বলে ৬১ রান করেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১১ বছর পর দেশে এসে নিজ গ্রামে হাজারো ভক্তের উঞ্চ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১৭ মার্চ সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে এ উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা জানায় গ্রামবাসী। এ সময় লাল সবুজের হয়ে জার্সি গায়ে দেয়ার অপেক্ষায় থাকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরীসহ তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
এর আগে সিলেট থেকে সড়ক পথে পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জ আসেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। হামজার গাড়ি বহরটি স্নানঘাট বাজারে পৌঁছলে সেখান থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে বাড়ি নিয়ে যায় ভক্তরা। পরে নিজ বাড়িতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চে যান হামজা। এ সময় ভক্ত ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শকদের মধ্যে হামজা হামজা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
মাত্র বিশ সেকেন্ডের দেয়া বক্তব্যে হামজা দেওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘আমার খুভ ভালা লাগছে আপনারা যে আইছেন আমারে দেখার লাগি।’
পরে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ-বলে শ্লোগান দেন লেস্টার সিটির হয়ে মাঠ মাতানো এই তারকা ফুটবলার।
হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে দেখতে আসা হবিগঞ্জ অনুর্ধ্ব ১৫ দলের কয়েকজন খেলোয়াড় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে এখানে এসেছি। আমরা তার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে একদিন দেশের হয়ে খেলব এবং হামজা চৌধুরী দেশের হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন এই প্রত্যাশা করি।
হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, হামজা শুধু আমাদের জেলার নয়, আমাদের দেশের গর্ব। আমরা চাই তার হাত ধরে আমাদের জেলাসহ দেশের ফুটবলের প্রসার হোক।
স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আজিজ সিদ্দিকী বলেন, ‘হামজা দেশের প্রতি টান থেকেই এবং দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা থেকেই দেশের জার্সি গায়ে দিতে চলছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি সে যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে।’
এদিকে হামজার আগমনকে ঘিরে পুরো এলাকায় নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কে সড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২০২৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত ১২ জুন বুধবার সকাল ১১টায় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে অনুর্ধ্ব-১৪ বালক ও বালিকাদের মাস ব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ এর সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে ও অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুর সাকির ছোটনের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন মেড্ডা আলী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমান পলাশসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা প্রশিক্ষণের সমাপনী সনদ গ্রহণ করেন।