ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: রেলের ডিজি

জাতীয়, 25 July 2024, 189 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। রেল সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

banner

২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ট্রেন চালানো কোনো বিষয় না, বিষয়টি হচ্ছে এর নিরাপত্তা। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মন্ত্রী, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে শুধু কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় আজ থেকে স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো চলাচল করার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু

চলারপথে রিপোর্ট : ২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন ধান ও চাল সংগ্রহ Read more

সরাইলে ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে বাজেয়াপ্ত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ Read more

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ভারতে বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা, Read more

সরাইলে জাল টাকার নোটসহ গ্রেফতার ২

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইলে জাল টাকার নোটসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে Read more

নবীনগরে টিকটক বানাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে টিকটক করতে গিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ Read more

উঠান বৈঠক

চলারপথে রিপোর্ট : জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার Read more

আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় ২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন Read more

৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হলো

অনলাইন ডেস্ক : দেশের কল্যাণ, নিরাপত্তা, মুক্তি ও শান্তি কামনা Read more

নাটক থেকে বিদায় নিলেন ফারিয়া শাহরিন

অনলাইন ডেস্ক : ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Read more

যাকে বিয়ে করতে চান জানালেন ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক : দেশের মডেল ও অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা Read more
ছবি সংগৃহীত

লাখ টাকা আয় চিতই পিঠা বিক্রি…

চলারপথে রিপোর্ট : আব্দুল কাদের চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্যাবের মানববন্ধন

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অতিরিক্ত Read more

দু’দেশের অর্থনীতিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ মহাসড়ক : প্রণয় কুমার ভার্মা

আখাউড়া, আশুগঞ্জ, জাতীয়, 24 July 2023, 1978 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৪ জুলাই সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জ নৌবন্দর উন্নয়ন ও সরাইল-ধরখার-আখাউড়া বন্দর পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী নেতৃত্তে ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

banner

এসময় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামনের দিন গুলোতে আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিবেচনায় আমরা চেষ্টা করছি প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে। যাতে করে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারি। তিনি বলেন, আমি খুবই খুশি যে এখানকার সাধারণ মানুষজন খুবই আন্তরিকতার সহিত আমাদের সহযোগিতা করেছেন যেন আমরা প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারি।

তিনি আরো বলেন, আমি আজ এখানে এসেছি ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক যে প্রকল্পের কাজ হচ্ছে সে কাজের গতিবিধি কেমন চলছে এবং প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে আমাদের আরও কি করনীয় আছে তাই দেখলাম। কানেক্টিভিটির এই প্রকল্পটি আমাদের দু’দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করবে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এর আগে দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনার আশুগঞ্জ নৌবন্দর হয়ে সড়ক পথে আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌছালে তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার অংগ্যজাই মারমা ও স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের পরিচালক শোয়েব আহমেদ, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক খালেদ সাহিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চার লেনের জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন পায়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পের কাজ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় তিন দফায় বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ, যা শেষ হবে ২০২৫ সালের জুন মাসে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ভারতের ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

ভরা বর্ষায় নদনদী মরা নৌকার হাটে খরা

জাতীয়, 5 August 2023, 690 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আষাঢ় আগেই বিদায় নিয়েছে, বিদায়ের পথে শ্রাবণ মাসও। এখনও প্রকৃতিতে ধরা দিচ্ছে না বর্ষা। এ কারণে গোমতী, তিতাস, কাঁঠালিয়া, হাবাতিয়া ও মাটিয়া নদী ঘেরা কুমিল্লার তিতাসে নৌকার হাটে চলছে খরা। লোকসানে পড়ছেন নৌকার ব্যবসায়ীরা; হতাশ হয়ে পড়ছেন নৌকা তৈরির কারিগররা।

banner

বাতাকান্দি নৌকার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রির জন্য ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের সারি সারি নৌকা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। কারও মুখে হাসি নেই। রোদ্রের খরতাপে ছাতা কিংবা মাথায় গামছা দিয়ে ক্রেতার আশায় বসে আছেন বিক্রেতারা। নৌকার হাটের ইজারাদার জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার নৌকা বিক্রি খুবই কম। এখন সারাদিন দুই থেকে তিনটি নৌকা বিক্রি করা কষ্টকর।

নৌকা বিক্রি করতে হাটে আসা গোপাল চন্দ্র দাসের বাড়ি হোমনা উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে। তাঁর ভাষ্য, প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে নৌকার হাট জমে ওঠে। এবার তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সাড়ে ১০ হাত নৌকা তৈরিতে তাঁর সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ ক্রেতা বলছেন তিন হাজার, সাড়ে তিন হাজার টাকা। নৌকা বিক্রি করে সংসার চালানো ও কিস্তি দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘৭০ হাজার টাকার কাঠ কিনছি এখন পর্যন্ত। মাত্র ১২টি নৌকা বিক্রি করেছি।’

নৌকা ব্যবসায়ী রতন সাহা জানান, প্রতি বছর আষাঢ় মাস থেকে নৌকার বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এবার পানি না হওয়ায় নৌকা বিক্রি নেই বললেই চলে। ক্রেতার অভাবে তৈরি করা নৌকা এখন রোদ্রে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হাটে কথা হয় হোমনার খন্দকার চরের জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি সাড়ে ১০ হাজার টাকার একটি নৌকা ৫ হাজার টাকায় কিনেছি। তবে আমার ওপর জুলুম করা হইছে। এক হাজার টাকা খাজনা দিতে হয়েছে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাস্টারের ভাষ্য, বর্ষার রূপ এখন প্রকৃতি থেকে হারিয়ে গেছে। বিশেষ করে তিতাসে বিভিন্ন অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ করায় শত শত বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। জলাবদ্ধতার মধ্যে আবার কচুরিপানার আগ্রাসন। ফলে জমিতে ফসল হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমে মানুষ মাছ ধরে খেত, সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই দিন দিন তিতাস নৌকার চাহিদা কমতে শুরু করেছে।

ফেনী জেলায় ৯২ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল

জাতীয়, 23 August 2024, 141 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলা। ভারত থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে ভেসে গেছে পুরো এলাকা। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে ফেনী জেলা। এই জেলার মোবাইল যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

banner

জেলায় ৯২ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্য ১০ জেলার প্রায় ১১ শতাংশ টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে।

আজ ২৩ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে বন্যাকবলিত অঞ্চলের মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্যে বিটিআরসি জানায়, বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকা এবং টাওয়ার এলাকা ডুবে যাওয়ায় নেটওয়ার্ক সচল করা যাচ্ছে না।

বিটিআরসি জানিয়েছে, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার ১৩ হাজার ২৪০টি টাওয়ারের মধ্যে আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৬১টি টাওয়ার অচল ছিল। এর মধ্যে ফেনী জেলার ৯১ দশমিক ৯ শতাংশ টাওয়ারই অচল হয়ে গেছে। এরপর নোয়াখালী জেলার ২১ শতাংশের বেশি, খাগড়াছড়ির ১৫ শতাংশের বেশি ও কুমিল্লার প্রায় ১৪ শতাংশ টাওয়ার অচল।

ফেনী জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার সচল করা কাজ চ্যালেঞ্জিং ও সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়েছে বলে জানায় বিটিআরসি। সংস্থাটি জানায়, সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টাওয়ার সচল করতে সমন্বয়ের কাজ চলছে। তবে যেসব টাওয়ার এলাকা ডুবে গেছে, পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত সচল করার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে ১১টি জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এই জেলাগুলোয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে আট লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার।

ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা

জাতীয়, 10 January 2024, 499 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় নারী-পুরুষসহ সকল বয়সী মানুষের ঢল নেমেছে। গ্রামের একটি ফসলের মাঠে অতিথিদের বসার স্টেজ। তার সামনে মাঠের চারপাশে দড়ি দিয়ে গোল চত্বর চিহ্নিত করে, তার চারপাশ দিয়ে ঘুরছে ঘোড়ার দল। শীতকে উপেক্ষা করে কেউ দাঁড়িয়ে, আবার কেউবা মাটিতে বসে উৎসবমুখর পরিবেশে উপভোগ করছেন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। আবার মাঠের এক পাশে নানা রকম খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। যেন সেখানে মেলা বসেছে।

banner

হারিয়ে যাওয়া গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা পুনরুদ্ধারে মঙ্গলবার পড়ন্ত বিকালে এমন চিত্র দেখা যায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে। সেখানে এলাকাবাসীর উদ্যোগে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় ফুলবাড়ী উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে তিনটি গ্রুপে ২০ জন খেলোয়াড় তাদের নিজ নিজ ঘোড়া নিয়ে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।

দুপুরের পর থেকে দূর-দূরান্ত থেকে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাকে ঘিরে ওই এলাকায় তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। খেলা দেখতে পেরেও খুশি দর্শকরা।

খেলা দেখতে আসা শফিকুল ইসলামসহ দর্শকরা বলেন, ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা। আগে বিভিন্নস্থানে খেলাগুলো দেখা যেতো, কিন্তু এখন আর তেমন দেখা যায় না। দীর্ঘদিন পরে আবারও এমন খেলার আয়োজনে খুশি আমরা। স্থানীয়রাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই খেলা দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা।

খেলার শুরুতে আগে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি। খেলা শেষে এ প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মাঝে পুরস্কার দেওয়া হয়।

ফুলবাড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নীরু সামসুন্নাহার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল, ব্যবসায়ী রাজু কুমার গুপ্ত ও ব্যবসায়ী রাজু কুমার রহুল আমিন প্রমুখ।

জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আমরা সংসদে যাবো: জিএম কাদের

জাতীয়, রাজনীতি, 9 January 2024, 764 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে শপথ নিয়ে আমরা সংসদে যাবো।

banner

আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর সেনপাড়ার বাসায় রংপুর বিভাগের এমপি প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, তাই এ মুহূর্তে শপথ না নিয়ে পিছু হবো না। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আমরা সংসদে যাবো।’

তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘এ নির্বাচন সরকার যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে, সেখানে সুষ্ঠু করেছে। আর যেখানে চেয়েছে তাদের লোকজনকে জেতাতে, সেখানে জোর করে সিল মেরে আমাদের লোকজনকে হারিয়ে দিয়েছে।’

‘রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির হেরে যাওয়া প্রার্থীদের অনেকেই হতাশায় ভুগছিলেন’ জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এজন্য সবার সঙ্গে বসে সমস্যা শুনলাম এবং লিখিত স্টেটমেন্ট নিলাম। এ তথ্যগুলো পরবর্তী ফলোআপে কাজে লাগবে আমাদের।

এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।