অনলাইন ডেস্ক :
হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় ১৮ জুলাই সন্ধ্যায়। যদিও এর আগে গত ১৬ জুলাই থেকে গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ আছে মোবাইল ইন্টারনেট। এতে বিপাকে পড়েছেন মাসব্যাপী মেয়াদে কেনা মোবাইল ডাটা গ্রাহকরা। তাদের দাবি, ক্রয় করা ডাটার মেয়াদ বৃদ্ধির।
দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সচল হলে অব্যবহৃত এই ডাটা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন কি না, তা জানতে উদগ্রীব গ্রাহকরা।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক ১৩ কোটি। এসব গ্রাহকদের বেশির ভাগেরই ডাটা প্যাকেজ কেনা ছিল। কারো বেশি, কারো কম। ফলে সবাই কমবেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এ বিষয়ে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গ্রাহকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা কতটা; কীভাবে পূরণ করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে বিটিআরসির সঙ্গে কথা চলছে আমাদের। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এদিকে, অব্যবহৃত ডাটা নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থের বিষয়টি সবার আগে গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। অপারেটরগুলোকে একসঙ্গে ডেকে বৈঠকও করা হবে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আগামী রবিবার ও সোমবার (২৮ বা ২৯ জুলাই) মোবাইল ইন্টারনেট চালু হতে পারে। সে বিষয়ে এখনো পরীক্ষা চলছে। তবে বিটিআরসির নির্দেশনা পেলেই তারা গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে টেলিকম কোম্পানিগুলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ে বগুড়ায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর হলরুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ) বগুড়ার মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ খুরশীদ ইকবাল রেজভী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা দরকার। এ জন্য খাদ্য উৎপাদনকারী ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাদেরকে অবহিত করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য সকলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী। এ খাদ্যকে স্বাভাবিক এবং ভেজাল ও অন্যান্য দূষণ থেকে নিরাপদ অবস্থায় বিতরণ এখন সময়ের ব্যাপার। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়াও নানা কারণে খাদ্য দূষিত হতে পারে। খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহণ, খাদ্যগ্রহণ প্রক্রিয়ার যে কোন পর্যায়ে শিল্পায়িত খাদ্য খাদ্যের অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার দ্বার পর্যন্ত খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিত রাখা সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন ও খাদ্য অধিদপ্তরসহ সবাইকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে আরো জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং অভিযান চলমান রাখতে হবে।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. রাসেল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এনএসআই বগুড়ার উপপরিচালক ফয়সাল আহম্মেদ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের সিনিয়র কনসালটেন্ট মো. আইয়ুব হোসেন, কনসালটেন্ট (প্রকিউরমেন্ট ও বাস্তবায়ন) শেখ নূরুল আলম। কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিপণনের বিভিন্ন পদ্ধতি ও নিরাপদ খাদ্য আইন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনীতে ইন্টারনেট লাইনে কাজ করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে রাহাত হোসেন (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের রাহাত এর বাবা ইমরান হোসেন জানান, তার ছেলে ফেনীতে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। বিকেলে শহরের মেডিস্ক্যান হাসপাতাল সংলগ্ন গলিতে কাজ করার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে শর্ট সার্কিটে মই থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় তার মাথা ফেটে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাহাত হোসেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের করিম মেম্বার বাড়ির ইমরান হোসেনের ছেলে।
ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ম্যানেজার ইউসুফ রুমন বলেন, কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত রাহাত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতের লাশ ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো পলিথিন শপিং ব্যাগ ও পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না এবং ক্রেতাদেরকে দেওয়া যাবে না। বিকল্প হিসেবে সব সুপারশপে বা এর সম্মুখে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ক্রেতাদের ক্রয়ের জন্য রাখা হবে। এখানে তরুণ বা শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ১ অক্টোবর থেকে শপিং ব্যাগ পরিহারের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার হবে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় তার বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এক সপ্তাহের মধ্যে সকল সুপারশপের সঙ্গে সভা করে পাটের শপিং ব্যাগের সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পরিবেশ অধিদপ্তর ইএসডিও’র সঙ্গে মিলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকল্প পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি পাট বা বস্ত্রের ব্যাগের উৎপাদনকারীদের নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করবে। মেলায় সুপার শপের কর্তৃপক্ষ এবং উৎপাদনকারীরা নিজেদের চাহিদা এবং সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা করতে পারবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমাদের তরুণ ছাত্র যুবকের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। তাদের সেই সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগ জাতি হিসেবে আমাদেরকে পৃথিবীর ইতিহাসে অবিস্মরণীয় করেছে।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে সারা বিশ্বে। আমাদের দেশে এটি শহীদ দিবস হিসেবে পরিচিত।
বাঙালি জাতির জন্য এ দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অন্যদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যে কোন জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার-মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।
১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুব-সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।
মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
্রওই দিন দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, প্রতিটি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রতিটি শহীদ মিনার ভরে উঠে ফুলে ফুলে। মানুষের ঢল নামে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ঢাকার সব অলিগলি রাজপথ থেকে খালি পায়ে ফুল হাতে মানুষের মিছিল ছুটে আসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ভাষা শহীদদের স্মরণে লেখা গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি’।
এই দিবসটি পালন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক বাণী দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কমলাপুর থেকে জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনকক্ষে আগুন ধরেছে। তবে রেলওয়ে পুলিশ বলছে, এটি কোনো নাশকতা নয়।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে এ আগুন ধরে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের এসপি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ট্রেনটি থামিয়ে আগুন নির্বাপন করা হয়।’
এসপি আনোয়ার বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সাইলেন্সার পাইপের ওপরে একটা চটের বস্তা ছিল। ফলে সাইলেন্সার পাইপের ধোঁয়া বেরোতে বাধাগ্রস্ত হয়। এতে ধীরে ধীরে ওই বস্তায় আগুন লেগে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক টের পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে আগুন নির্বাপন করে। পরে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।’
নাশকতা কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাছে নাশকতা মনে হয়নি। নাশকতার কোনো ঘটনার নয়। সাইলেন্সারের পাইপ থেকে নির্গত ধোঁয়া বস্তায় বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আগুন লেগেছিল। পরে তাৎক্ষণিক নেভানো হয়েছে। কোনো হতাহত নেই।’