অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হতে দেখা যায়। হাতাহাতি, কখনো আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য ভিডিও বানানোর মতো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। শুধু তাই-ই নয়, ভরা মেট্রোর মধ্যেই কখনো আবার ‘দুষ্কর্মের’ ছবিও ধরা পড়েছে। এবার এসব ঘটনা কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে শুক্রবার এ তথ্য জানা গেছে।
দিল্লি মেট্রো রেল করপোরেশন (ডিএমআরসি) সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনার জন্য এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে এক হাজার ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, যা গত বছরে একই সময়ের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি। মেট্রো রেলের তথ্য বলছে, এই তিন মাসে এক হাজার ৬৪৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএমআরসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, মেট্রো ও মেট্রো চত্বরে ঝামেলা, অশান্তির জন্য এই জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে কর্মীর অভাবে সব ঘটনায় নজরদারি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সিসিটিভি ফুটেজে যদি এই ধরনের ঘটনা ধরা পড়ে, তা হলে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।’
এ ছাড়া বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে এই ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ গতিতে এগিয়ে আসছে আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এ নিয়ে নিয়মিত আপডেট দিচ্ছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। আজ ১০ জুন শনিবার ভারতের সরকারি সংস্থাটি জানিয়েছে, আরও শক্তিশালী হবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। বাড়বে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ।ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলতে পারে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
সংস্থাটি জানিয়েছে, শেষ ছয় ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার বেগে উত্তরদিকে অগ্রসর হয়েছে অতি প্রবল ঘূ্র্ণিঝড় বিপর্যয়। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে সেটি পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপরে অবস্থান করছে। এটি গোয়া থেকে ৬৯০ কিমি পশ্চিম, মুম্বাই থেকে ৬৪০ কিমি পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পোরবন্দরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৬৪০ কিলোমিটার দূরে।
আগাম বার্তায় ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হবে এবং উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। পরবর্তী তিন দিনে আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বিপর্যয়।’
আগাম বার্তায় বলা হয়েছে, শনিবার সকাল থেকে পূর্ব-মধ্য আরব সাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। সন্ধ্যায় ঝড়ের দাপট আরও বাড়বে। সেইসময় ঝড়ের বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলবে। অধিকাংশ সময় ঘণ্টায় ১৪০-১৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় চলবে। দমকা হাওয়ার বেগ ৮০ কিলোমিটার হতে পারে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, তবে সন্ধ্যা থেকে কিছুটা বেগ কমবে। সেই সময় ঘণ্টায় ১৩৫-১৪৫ কিমিতে হাওয়া বইবে (সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ১৬০ কিমি)। রবিবার থেকে ক্রমশ কমতে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। সেজন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত পূর্ব-মধ্য আরব সাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
গত এক দশকে রাশিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিরোধী নেতা আলেক্সাই নাভালনি আর্কটিক সার্কেলের ভেতরে কারাগারে মারা গেছেন। জেল পরিষেবার বরাত দিয়ে বিবিসি আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নাভালনিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচক হিসেবে দেখা হতো। রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবেচিত অভিযোগে তিনি ১৯ বছরের জেলের সাজা খাটছিলেন।
তাঁকে গত বছরের শেষের দিকে আর্কটিক পেনাল কলোনিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, যাকে বলা হয় রাশিয়ার সবচেয়ে কঠিন জেলগুলোর মধ্যে একটি।
ইয়ামালো-নেনেটস জেলার জেল পরিষেবা এক বিবৃতিতে বলেছে, শুক্রবার হাঁটার পরে নাভালনি ‘অসুস্থ বোধ করেছিলেন’। তিনি ‘প্রায় অবিলম্বে জ্ঞান হারিয়েছিলেন’। জরুরি মেডিক্যাল টিমকে অবিলম্বে ডাকা হয়েছিল। তবে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘জরুরি চিকিৎসকরা বন্দিকে মৃত ঘোষণা করেছেন। মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা হচ্ছে।’
নাভালনির আইনজীবী লিওনিড সলোভিভ রুশ গণমাধ্যমকে বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি এখন কোনো মন্তব্য করবেন না।
তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী লিওনিড ভলকভ এক্সে লিখেছেন, ‘রুশ কর্তৃপক্ষ একটি স্বীকারোক্তি প্রকাশ করেছে তারা আলেক্সাই নাভালনিকে কারাগারে হত্যা করেছে। আমাদের কাছে এটি নিশ্চিত করার বা প্রমাণ করার কোনো উপায় নেই যে এটা সত্য নয়।’
এদিকে জেল পরিষেবা নাভালনির মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া প্রতিপক্ষের সাহসকে স্বাগত জানায়। এ ছাড়া ফ্রান্স বলেছে, তিনি রুশ ‘নিপীড়ন’ প্রতিরোধে তাঁর জীবন দিয়েছেন। নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রুশ কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর জন্য একটি বড় দায় বহন করেছে।
চেলিয়াবিনস্ক শহরে সফরে থাকা পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুধু বলেছেন, নাভালনির মৃত্যুর কথা ‘প্রেসিডেন্টকে জানানো হয়েছে’।
ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, তিনি রাশিয়া থেকে আসা খবরে দুঃখিত ও বিরক্ত। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, নাভালনির মৃত্যু একটি ভয়ংকর সংবাদ। তাঁর মতে, রাশিয়ার এ বিরোধী নেতা আজীবন অবিশ্বাস্য সাহস দেখিয়েছেন।
লাটভিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিজানিস কারিনস এই খবরে ‘গভীরভাবে বিচলিত’ জানিয়ে বলেছেন, নাভালনির ‘মৃত্যু সম্পূর্ণরূপে পুতিনের অপরাধমূলক সরকারের বিবেকের ওপর নির্ভর করছে’।
বিবিসির তথ্য অনুসারে, রুশ প্রেসিডেন্টের অধিকাংশ সমালোচক রাশিয়া থেকে পালিয়ে গেছেন। তবে কয়েক মাস চিকিৎসার পর আলেক্সাই নাভালনি ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ফিরে যান। ২০২০ সালের আগস্টে সাইবেরিয়া ভ্রমণের শেষে তাঁকে নোভিচক নার্ভ এজেন্ট দিয়ে বিষ দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁর দল তাঁকে বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে নিয়ে যেতে সফল হয়। পরে তিনি মস্কোতে ফিরলে তাঁকে অবিলম্বে হেফাজতে নেওয়া হয়। পরবর্তী ৩৭ মাসে তিনি আর কখনো জেল ত্যাগ করেননি।
নাভালনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যালট বাক্সে ভ্লাদিমির পুতিনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া যুদ্ধবিরোধী প্রার্থী বরিস নাদেজদিনকে তাঁর প্রার্থিতার সমর্থনে জমা দেওয়া হাজার হাজার স্বাক্ষরের মধ্যে অনুমিত অনিয়মের কারণে নির্বাচনে দাঁড়াতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তার দেশ ছাড়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার এসব কথা বলেন তিনি। খবর-আল জাজিরার
তিনি জানান, নিজের বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই তার। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে কাজ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি আরও বলেন, এই দেশটি একটি স্বাভাবিক দেশ হতে পারে যেটি তার প্রতিবেশী এবং বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে। তবে এটি সিরিয়ার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে। আমরা এটিকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত এবং সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত। এসময় জনগণকে সরকারি সম্পত্তি রক্ষার আহ্বানও জানান তিনি।
এদিকে বিদ্রোহী দলের প্রধান জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকবে।
সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলো সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে বলছে, ‘আমাদের বাহিনী রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। আমরা সেদনায়া কারাগারে অত্যাচারের যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করছি। এই কারাগারের সব বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছি।’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোকে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গণভবনে বাংলাদেশে কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী মাহদি সাইদ আল-কাহতানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ইহসানুল করিম বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং কাতারের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে গাজা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে কাতারের রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনার কাছে আগামী ৪ থেকে ৬ মার্চ কাতারে অনুষ্ঠেয় অষ্টম দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সে (ডিআইএমডিইএক্স) যোগদানের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন। প্রদর্শনীটি প্রতি দুই বছর অন্তর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হয়।
গাজা ইস্যু সম্পর্কে সেরায়া আলী মাহদি সাঈদ জানান, এই বছর কাতার ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস উদযাপন করেনি এবং জাতীয় দিবসের উৎসব অনুষ্ঠানের বাজেট ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গাজার জনগণের জন্য পাঠিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য শুকনো খাবার ও কাপড়সহ ত্রাণসামগ্রীও পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস পাশ করা ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা এখন ফিলিস্তিনের হাসপাতালে কাজ করছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রী গাজা ইস্যুতে উদ্যোগ নেয়ার জন্য কাতার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
চীনে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় শোক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সোমবারের এই ভূমিকম্পনে এক শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ও আরও কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল সেনাবাহিনীর গাজা ডিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্রিগেডের কমান্ডার হাইম কোহেনের পদত্যাগ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন কোহেন। ২৬ মার্চ বুধবার গাজা ডিভিশনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্রিগেডের কমান্ডার ইন চিফ মেজর জেনারেল ইয়ানিভ আসরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
পদত্যাগ পত্রে ব্রিগেডিয়ার কোহেন বলেছেন, “আমার ব্রিগেডের মূল দায়িত্ব ইসরায়েল-গাজা সীমান্ত এলাকাকে সুরক্ষিত রাখা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যে ভয়াবহ হামলা আমাদের ব্যর্থতার পরিচায়ক। আমরা নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতার দায় নিয়েই আমি পদত্যাগ করছি।”
ইসরায়েলের গাজা ডিভিশন তিনটি ব্রিগেডে বিভক্ত— উত্তর, কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ। ডিভিশনের দক্ষিণ ব্রিগেডের কমান্ডার ইয়ারোন ফিল্কেনমান এবং মধ্যাঞ্চলের কমান্ডার অ্যাভি রোসেনফোল্ড একই কারণ দেখিয়ে মার্চের শুরুতেই পদত্যাগ করেছিলেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে গাজা উপত্যকা শাসক গোষ্ঠী হামাসের প্রায় এক হাজার যোদ্ধা। সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় তারা। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আনাদোলু এজেন্সি