চলারপথে রিপোর্ট :
মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফারুক (৩৪) এর বিরুদ্ধে। আজ ২৬ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টায় পৌর এলাকার পুনিয়াউট (হাসিনাবাগ) এলাকার ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই স্বামী ফারুক পালিয়ে যায়। নিহত তানিয়া বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঠালকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম ছোটন মিয়ার মেয়ে ও ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের শাহআলম মিয়ার ছেলে।
গত ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি ফারুকের সাথে তানিয়ার বিয়ে হয়। এটা তানিয়া ও ফারুকের দ্বিতীয় বিয়ে। তানিয়ার আগের সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।পুলিশ জানায়, বিয়ের পর থেকে ফারুক ও তানিয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট (হাসিনাবাগ) এলাকার একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করে। ফারুক মাদকসেবি।
তানিয়া বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। মাদকের টাকার জন্য ফারুক প্রায়ই স্ত্রীকে মারধোরসহ ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করত।বৃহস্পতিবার রাতে মাদকের টাকার জন্য ফারুক তানিয়াকে মারধোর করে। পরে ভোরে তানিয়ার গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঘরের বাথরুমে ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ফারুক। খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, আমরা ফারুককে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তানিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আজ ২৯ মে সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জেলা শহরের জেল রোডে দি ল্যাব এইড স্পেশাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জিল্লুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এছাড়া তিনি হেপাটাইটিস-বি’তে আক্রান্ত ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যার আগে জেলা শহরের ফুলবাড়িয়ায় নিজ বাড়িতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে জিল্লুর রহমান স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা শেষে জানাযার সময় জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে চলতি অর্থ বছরে ক্যান্সার-কিডনীসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সাতশত রোগীর মধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২৫ জুন রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ৫৬জন রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ’র সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া কঠিন দূরারোগ্য ব্যাধি। এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে এসব রোগীদেরকে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ৫৬জন রোগীর হাতে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম অনুদানের চেক তুলে দিয়েছেন। বাকী রোগীদেরকে স্ব-স্ব উপজেলায় অনুদানের চেক দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৭ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা হলেন, সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির খন্দকার, সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সোহাগ নিয়ামুল, শাহবাজপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য আজহার উদ্দিন, কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহরাফ ইসলাম, একই উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক দিপু মিয়া, কুটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির আহমেদ, উপজেলার কুটি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হাসিব, বিনাউটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য সৈকত আলী, খাড়েরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য আসিফুল আলম, নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী মোঃ মমিন সরকার, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী আমিন সুমন, আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক বাইজিদ খান, আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ সোহান, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ফুরকান আহম্মেদ, আখাউড়া পৌর ছাত্রলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি রবিন খান, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য নাজমুল সরকার ও সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী রিয়াজ উদ্দিন খান। গত বুধবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদেরকে বহিস্কার করা হয়।
সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের নেতা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর দিন রাতে তাদের নিজ নিজ ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসগুলো দেন। কিছুক্ষণ পরই তারা এসব পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে ফেলেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের ওই নেতারা আদর্শ বিরোধী কাজ করেছেন। তাই সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। স্থায়ী বহিস্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তার মৃত্যুর পর অভিযুক্ত নেতাকর্মীরা ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কাজ করেছেন। তিনি ওই ১৭ নেতা-কর্মীর ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাস আমরা স্ক্রীন শট রেখেছি। অবশ্য পরে তারা এসব পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে ফেলেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
বিশ্বের সর্ববৃহৎ আত্মনির্ভরশীল ক্ষুদ্র ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান আশার নিজস্ব অর্থায়নে দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মাঝে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও সারাদেশব্যাপী আশার পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার আশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের নিকট ৩৫০ পিস কম্বল হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রণয় চাকমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু। এছাড়াও আশার এসডিএম মোঃ নজরুল ইসলাম, আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দীন আলী, মোঃ মিজানুর রশীদ চৌধুরী, মোঃ আবুবকর সিদ্দিক আরএম (এগ্রি), এএসই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোজাম্মেল হক ও মোঃ সামসুল হক, আশার অরুয়াইল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ শাহ কামালসহ আশার অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কালোব্যাজ ধারণ, কবর জিয়ারত, পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে জীবন ফাউন্ডেশন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে ৪২তম ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন ও শহীদ পলু দিবস উদযাপিত হয়েছে। জীবন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ২৭ নভেম্বর দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পশ্চিম পাইকপাড়াস্থ অসুস্থ সাংবাদিক মোঃ মোখলেছুর রহমান জীবন এর উপস্থিতিতে জীবন ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মোঃ আসিফুর রহমান রোজেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, মাসিক ম্যাগাজিন তিতাস বার্তা সম্পাদক এম এ মতিন সানু, সাংস্কৃতিক সংগঠক মো. আনিছুল হক রিপন।
জেলা আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এড. শেখ মো. জাহাঙ্গীর, অবঃ সৈনিক কল্যাণ সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ শামসুল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জি এস) মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জিয়া কারদার নিয়ন। জেলা আন্দোলনে শহীদ ওবায়দুর রউফ পলু’র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ জায়েদুল করিম। আলোচকগণ তাদের বক্তব্যে ১৯৮৩ সালে সংগঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আন্দোলনের ইতিহাস জানার জন্য বর্তমান প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলনের স্মৃতির ধারক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের ধারাবাহিক কর্মসূচির আওতায় ভোরে ফজর নামাজের পর জেলা সদরের বিভিন্ন মসজিদে জেলা আন্দোলনে শাহাদাৎ বরণকারী ওবায়দুর রউফ পলু’র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত, সকালে জেলা উন্নয়ন পরিষদ নেতাকর্মীদের কালোব্যাজ ধারণ, শহরতলীর শেরপুরস্থ পলু’র কবর জিয়ারত, তাঁর পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুছ মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কবর জিয়ারত, দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ সারোয়ার কাইছার টিপু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুর রহমান, এড. তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ ভূঁইয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, দৈনিক ফ্রন্টিয়ার সম্পাদক আব্দুল মালেক, লায়ন মোঃ আসিফুর রহমান রোজেন, মানবাধিকার কর্মী মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল, এড. কফিল উদ্দিন আহমেদ।
সাংস্কৃতিক সংগঠক আনিছুল হক রিপনের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, শামছুল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী মাউন পিয়াস, কার্যকরী সদস্য এড. শেখ জাহাঙ্গীর, মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, সদর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি প্রফেসর মোঃ মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়ন, ইউনেস্কো ক্লাব সভাপতি আমির হোসেন ফারুক, জেলা মুজাহিদ কমিটির সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার আহমেদ লিটন, জেলা উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন মালদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান প্রমুখ। কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাবেক প্রচার সম্পাদক হাফেজ শাহ মোহাম্মদ উল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন শহীদ ওবায়দুর রউফ পলু’র নামে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, শহীদ পলু সড়ক নামকরণ কার্যকর বাস্তবায়ন, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও পাবলিক মেডিকেল কলেজ, জেলা পর্যায়ের যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান এখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালু হয়নি তা দ্রুত এখানে চালু করার দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি আনুকূল্য পেলে শহীদ পলু ছাত্রাবাসটি সংস্কার বা পুণঃনির্মাণ করে নতুন ভাবে চালু করা হবে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখনো অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড হতে বঞ্চিত রয়েছে। জেলা উন্নয়ন পরিষদের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অসমাপ্ত উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হবে বলে আমি আশাবাদি। দোয়া শেষে তাবারুক বিতরণ করা হয়।