অনলাইন ডেস্ক :
অলিম্পিক ফুটবলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অনেক নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। শেষ পর্যন্ত মরক্কো অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরেই বসে তারা।
তবে সেই হারের ধাক্কা ভুলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচে। ইরাককে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে হাভিয়ের মাচেরানোর দল।
গ্রুপামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৪ মিনিটে থিয়াগো আলমাদার গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। হুলিয়ান আলভারেসের পাসে বক্সের মাঝখান থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান আলমাদা।
তবে, সেই গোল বিরতির আগেই শোধ করে ইরাক। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে আহমেদ মাকঞ্জির ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে দলকে সমতায় ফেরান আয়মেন হুসেইন।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কেবল আর্জেন্টিনারই দাপট। ৬২ মিনিটে কেভিন সেনোনের ক্রস থেকে হেডে দলকে এগিয়ে দেন লুসিয়ানো গোন্দু। ৮৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এসেকিয়েল ফার্নান্দেস। এবারও বলের জোগানদাতা সেনোন। তার পাসে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শট নেন ফার্নান্দেস। বাঁ প্রান্তের উঁচু কোনা দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে। এরপর ব্যবধান ধরে রেখে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আগামী ৩০ জুলাই ইউক্রেনের মুখোমুখি হবে তারা।
এদিকে আর্জেন্টিনার মতো ডমিনিকান রিপাবলিকের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে স্পেনও। টানা দুই ম্যাচে দুই জয় তুলে শেষ আটে এক পা দিয়ে রেখেছে তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে পারলো না উগান্ডা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে ব্রায়ান মাসাবার দল। তুলনামূলক শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেনি দলটি।
আজ ৪ জুন মঙ্গলবার গায়ানায় গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখােমুখি হয় আফগানিস্তান ও উগান্ডা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই দেড়শো পার করে দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরান। ১৫৪ রানের মাথায় জাদরানকে বোল্ড করে উগান্ডাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ব্রায়ান মাসাবা। ৪৬ বলে ৯ চার এবং ১ ছক্কায় ৭০ রান করেন ইবরাহিম জাদরান। এরপর দ্রুত ফিরে যান গুরবাজও। ৪৫ বলে ৪টি করে সমান চার-ছক্কায় ৭০ রান করেন গুরবাজ। ডানহাতি এই ওপেনারকে থামান আলপেশ রমজানি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর শেষ দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে উগান্ডা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
১৮৪ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় উগান্ডা। ফজলহক ফারুকীর করা ইনিংসের প্রথম বলে কাভার ড্রাইভে দুর্দান্ত শট খেলেন রোনাক প্যাটেল। কিন্তু এই ওপেনার পরের বলেই পরাস্ত হন। তিনে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি রোগার মুকাসা। প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে উগান্ডা। সেখান থেকে দলকে টেনে নিতে পারেনি কোনো ব্যাটার। ধুঁকতে থাকা উগান্ডা মাত্র ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় ৪ ওভার বাকি থাকতেই। তাদের হয়ে ২৫ বলে সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন রবিনসন উবোয়া। দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছেন রিয়াজাত আলী শাহ। তার ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ রান।
৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন ফজলহক ফারুকী। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এটা ফারুকীর ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাভিন উল হক ও রশিদ খান। একই ভেন্যুতে আফগানদের পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ৭ জুন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর গেইম ডেভলপমেন্ট কমিটির আয়োজনে আগামী ১২ অক্টোবর শনিবার সকাল ৮ টা হতে নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুর্ধ্ব -১৪, ১৬ ও ১৮ বছর বয়সী ক্রিকেট খেলোয়াড়দের উন্মুক্ত প্রাক- বাছাই ও মেডিকেল অনুষ্ঠিত হবে।
আগ্রহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার খেলোয়াড়দের সদ্য তোলা ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ২ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি, ক্রিকেট পোশাক, ব্যাটসম্যান হলে ক্রিকেট সামগ্রী, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন, পি,এস,সি/ জে,এস,সি/ এস,এস,সি / সমমান পরীক্ষা / রেজিষ্ট্রেশন কার্ড সব গুলোর মুল কপি ও ফটোকপি। অটো পাশ হলে স্কুলের প্রত্যয়নপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
অনুর্ধ্ব -১৪ যাদের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ২০১০ বা এরপরে। অনুর্ধ্ব ১৬- যাদের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ বা এরপরে। অনুর্ধ্ব -১৮ যাদের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ বা এরপরে।
উল্লেখ্য উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র ছাড়া কোন খেলোয়াড় বাছাইয়ে অংশ গ্রহণ করতে পারবেনা এবং গত বছর যারা মেডিকেলে উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদেরকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে এবং প্রয়োজন হলে ট্রায়ালে অংশ গ্রহণ করতে হবে।
বিশেষ প্রয়োজনে যোগাযোগ – মাহমুদা আক্তার, ক্রীড়া অফিসার ও সদস্য সচিব, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ০১৭৮৫-০০৬৬৬৬।
পল্লব কুমার চক্রবর্তী, অফিস সচিব, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ০১৭১৫-৮৭০৩১১।
মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, সহ: জেলা ক্রিকেট কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, ০১৭১২-৭৩২৬১৩।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার কুমিল্লা জেলা স্টেডিয়াম (ভাষা সৈনিক শহীদ নীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম) ইয়ং টাইগার্স অনুর্ধ্ব-১৬ বিভাগীয় ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট এর সি গ্রুপের খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১১৭ রানে বড় ব্যবধানে কক্সবাজারকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে। এর আগে ১৫ জানুয়ারি ১ম খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০৮ রানের ব্যবধানে বান্দরবানকে পরাজিত করে।
১৭ জানুয়ারি ২য় খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪৬ রানে চাঁদপুর এর কাছে হেরে যায়। সি গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নীট রান রেটে ৪র্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়।
আগামী ২৪ জানুয়ারি ২য় সেমিফাইনাল অংশ গ্রহণ করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বনাম চাঁদপুর।
২৩ জানুয়ারি ১ম সেমিফাইনালে অংশ গ্রহণ করবে নোয়াখালী বনাম লক্ষীপুর, ২৬ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো খেলা চট্টগ্রামের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গেইম ডেভলপমেন্ট এর আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লীগ ভিত্তিক খেলায় অংশগ্রহণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দলের সদস্যগণ হলেন : তপু দত্ত (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান শ্রাবণ (সহ: অধিনায়ক), ইশান বনিক (উইকেট কিপার), সাকিব আল জামান, নুর আলম রাফি, আনাছ, আলিফ, সাদমান, শিমুল, ইয়াছিন আরাফাত, সজিবুর, মাহিন, সাবাব, নওশাদ, সিফাত ও নুর হোসেন কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, ম্যানেজার নাজমুল হক ভূঁইয়া সেলিম।
স্পোর্টস ডেস্ক
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা।
এর আগে ২০১৮ সালে দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। গত বছর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ এ ড্র করে দুই দল।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। জয়ের জন্য বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ১৭ ওভারে ১১৯ রান।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা গড়েন ৬৭ রানের জুটি। এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ফেরেন লিটন, আফিফ ও শান্ত।
লিটন আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৩৫ রান। ২০ বলে দুই ছক্কায় ২৪ রানে ফেরেন আফিফ হোসেন।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বোল্ড হওয়ার আগে ৬ বলে ৪ রানে ফেরেন।
বিনা উইকেটে ৬৭ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট। এরপর সাকিবের সঙ্গে ২১ বলে ৩১ রানের জুটি গড়ে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। তার আগে ১৭ বলে করেন ১৯ রান।
হৃদয় আউট হওয়ার পর শামিম পাটোয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে ৫ বল আগেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন সাকিব। ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ৭ বলে ৭ রান করেন শামিম।
রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমেই তাসকিন আহমেদের গতির মুখে পড়ে ১৬ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় সফরকারীরা। ২.৪ ওভারে ১৬ রানেই রহমানউল্লাহ গুরবাজের পর সাজঘরে ফেরেন হজরতউল্লাহ জাজাই।
এরপর দলের হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। ৭.২ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৩৯/২ রান। ২০ বলে ১১ এবং ১৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় দুই ঘণ্টা।
রাত সোয়া ৮টায় বৃষ্টি থেমে গেলে ফের খেলা শুরু হয়। দীর্ঘ সময় খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায় ৩ ওভার। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আফগান ব্যাটসম্যানরা। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে ২৮ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফগান সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
নবি দুই দফা নাসুম আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে বেঁচে যান। প্রথমবার নবির ক্যাচ ফেলে দেন সাকিব। দ্বিতীয়বার ফেলেন উইকেটকিপার লিটন দাস। সাজঘরে ফেরার আগে নবি ২২ বলে করেন ১৬ রান।
নবি আউট হওয়ার পর ইব্রাহিম জাদরান দ্রুত কিছু রান স্কোর বোর্ডে জমা করতে চেয়েছিলেন। ১০ম ওভারে মোস্তাফিজ উইকেট নিলেও তাকে এক চার আর সমান ছক্কায় ১৫ রান আদায় করে নেন ইব্রাহিম।
১১তম ওভারে সাকিব বোলিংয়ে এসেই তুলে নেন ইব্রাহিম জাদরান ও নজিবুল্লাহ জাদরানের উইকেট। ইব্রাহিম জাদরান আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ২২ রান করেন। ৫ রানে ফেরেন নজিবুল্লাহ। তার বিদায়ে ১১ ওভারে ৬৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আফগানরা।
ষষ্ঠ উইকেটে করিম জানাত ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২৯ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন। ২১ বলে ২৫ রান করা আজমতউল্লাহকে ফেরান মোস্তাফিজ। আর ১৫ বলে ২০ রান করা করিম জানাতকে আউট করেন তাসকিন। আফগানিস্তান ১৭ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১১৬ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নেন সাকিব-মোস্তাফিজ।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে সিরিজ জিতে নেয় তারা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেন ভিন্নরূপে দেখা যাচ্ছে তাদের। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমেই ধ্বস নামে। দ্রুত সবগুলো উইকেট হারিয়ে স্রেফ ৪৬ রানেই থামে তারা। যেটি টেস্টে তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। আর ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন।
টস জিতে ভারত ব্যাট করতে নেমে উইকেটের মিছিল শুরু হয়। ৩১ ওভার ২ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পুরো ইনিংসে কেবল দুজন ব্যাটার স্পর্শ করতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। ওপেনার জায়সাওয়াল ১৩ ও পাঁচে ব্যাট করতে নামা ঋশভ পন্থ করেন ২০ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে আলো ছড়ান ম্যাট হেনরি। ১৩ ওভার ২ বলে ১৫ রান খরচায় তিনি নেন ৫টি উইকেট। একইসঙ্গে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেট। ১২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন উইলিয়াম ও’রউরকে। বাকি উইকেট নেন টিম সাউদি।
কিউই পেসারদের তোপে ভারতের শুরুটা হয় বিবর্ণ। টিম সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। তার ব্যাট থেকে আসে ২ রান। ভিরাট কোহলি মাঠে নেমে টিকতেও পারেননি। ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। একই পথে হাঁটেন সরফরাজ খানও। কিছুক্ষণ থিতু হওয়া ইয়াশাসবি জায়সাওয়ালকে উইলিয়াম। ১৩ রানে ফেরেন তিনি।
বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে কেবল থিতু হন ঋশভ পন্থ। এদিকে লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনও শূন্য রানে ফিরে ভারতকে নিয়ে যান লজ্জার রেকর্ডের কাছে। অবশ্য নিজেদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন তারা। এর মধ্যে ৪৯ বলে ২০ রানে ফেরেন পন্থ। আর বুমরাহ ফেরেন ১ রানে।
শেষদিকে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চালান মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদ্বীপ যাদব। কিন্তু তাদের জুটিটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তারা ৩০ বলে যোগ করতে পারেন ৬ রান। পঞ্চাশের আগেই সবগুলো উইকেট বিলিয়ে দেয় ভারত।