অনলাইন ডেস্ক :
আজকাল যৌবন ধরে রাখতে, সুন্দর দেখাতে নারী-পুরুষ সবাই দারুণ আগ্রহী। কাজেই পোশাক, চুল, ত্বক ও দাড়ির স্টাইল সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে চলতে এবং নিজেকে তরুণ দেখাতে অনেক কিছুই করতে হয়। তবে কি এসবই শেষ সমাধান? মোটেও এমনটা নয়। রূপ বোদ্ধাদের মতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং নিজেকে চিরতরুণ রাখার জন্য ছোট ছোট কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। স্কিন কেয়ার রুটিন ও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলই উজ্জ্বল-তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের ইচ্ছা পূরণ করবে।
প্রাথমিক স্কিন কেয়ার : ভিটেন-হ্যার্ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ উলরিকে হাইনরিশ বলেন, ‘বয়স বাড়া মানেই কোনো কিছু পরিত্যাগ করা নয়। বয়সের সঙ্গে সৌন্দর্য হারাতে হবে- এমন কোনো কথা নেই। বয়সের সঙ্গে ত্বক পাতলা এবং শুষ্ক হয়। তাই এমন ক্রিম বা কসমেটিক ব্যবহার করতে হবে যাতে ভিটামিন এ, সি এবং ই-থাকে। আর হ্যাঁ, ত্বক ভালো রাখতে প্রাথমিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা প্রয়োজন। না হলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে। এমনকি বয়সের ছাপ পড়ে ত্বকে।
প্রাত্যহিক ত্বকের পরিচর্যা
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রথমে মুখ ভালোভাবে ক্লিনজিং করুন। তারপর প্রাকৃতিক টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
সানস্ক্রিন কখনো ভুলবেন না। রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। ফটোএজিং ঘটায়। ফলে সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যায়। তাই মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
বয়স ৩০ পেরোলেই অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করা উচিত। রেটিনল, AHA সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। সৌন্দর্যচর্চায় আগের ট্রেন্ড ফিরে এসেছে। অর্থাৎ গাছগাছালির পাতা, রস, শেকড় ইত্যাদির তৈরি ভেষজ ক্রিম, পাউডার, তেল ব্যবহার করতে পারেন।
অসময়ে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শারীরিক সমস্যা বা পুষ্টির অভাবেও এমন হতে পারে। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে জীবনশৈলীর দিকেও নজর দিতে হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। নিয়মিত ব্যায়াম করতে ভুলবেন না। এই ছোট ছোট নিয়মগুলো মেনে চললেই আপনিও পাবেন চিরতরুণ ত্বক।
লেখা : উম্মে হানি
ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। সেই জয় যে অঘটন ছিল না, বাংলাদেশের মেয়েরা সেটি দেখিয়ে দিলো পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে।
বেনোনিতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার শ্রীলঙ্কাকে ৯ রানে হারিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মেয়েরা। টানা দুই জয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
ম্যাচে টসভাগ্য সহায় ছিল না বাংলাদেশের মেয়েদের। প্রথমে তাদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। তবে টস হারলেও ব্যাটিংটা দারুণ করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২ উইকেটেই গড়ে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
মিষ্টি সাহাকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রান তোলেন আফিয়া প্রত্যাশা। ৪৩ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় তিনি দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরি তুলে ১২তম ওভারে আউট হন ৫৩ করে।
মিস্টি অবশ্য তার মতো খেলতে পারেননি। ২৪ বলে ১৪ রানের ধীরগতির এক ইনিংস খেলে ওই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। কিছুটা চাপে পড়ে দল।
সেখানে দাঁড়িয়ে দিলারা আক্তার আর স্বর্ণা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিং। উইকেটরক্ষক দিলারা আক্তার ২৭ বলে করেন অপরাজিত ৩৬ রান। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন স্বর্ণা। ২৮ বলে তার ৫০ রানের মারকুটে ইনিংসে ছিল ৩ চার আর ২ ছক্কার মার।
রান তাড়ায় নামা শ্রীলঙ্কার ২৪ রানেই ২ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ সামাল দেন অধিনায়ক বিশ্বি গুনারত্নে আর দেওমি ভিহাঙ্গা। একটা সময় মনে হচ্ছিল, তারা হয়তো বাংলাদেশকে হারিয়েই দেবেন।
১৭তম ওভারে দেওমিকে (৪৪ বলে ৫৫) এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন অধিনায়ক বিশ্বি। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। ৫৪ বলে ৮ চার আর ১ ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক। ৪ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।
মারুফা আক্তার ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ২টি উইকেট। দিশা বিশ্বাস এক উইকেটে ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৪ রান।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ১৫ মে সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর আট মাস।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে রওশন হোসেন পাঠান শরৎ। তিনি জানান, ফারুকের মরদেহ মঙ্গলবার ভোরের ফ্লাইটে দেশে আনা হবে।
দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে অভিনয় করেন বহু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রে। ‘মিয়াভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবে খ্যাতি পান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন এই নন্দিত চিত্রনায়ক। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতেও হারলো বাংলাদেশ। এতে টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো ভারত। আজ ৯ অক্টোবর বুধবার দিল্লিতে ২২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তোলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এর আগে টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতে মেহেদী হাসান মিরাজকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক শান্ত। তিনি ১৫ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। তার বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে ক্যাচ দেন সাঞ্জু স্যামসন। ৭ বলে ১০ রান করেছিলেন তিনি।
পরের ওভারের শেষ বলেও উইকেট পায় বাংলাদেশ। এবার শেষ বলে অভিষেক শর্মাকে বোল্ড করেন তানজিম হাসান সাকিব। ১১ বলে ১৫ রান করেছিলেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়েও উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। এবার মুস্তাফিজুর রহমানের বলে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তকে ক্যাচ দেন ১০ বলে ৮ রান করা সূর্যকুমার যাদব।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪৫ রান তোলে ভারত। কিন্তু এরপরও ভারতকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। রিংকু সিং ও নিতিশ কুমার রেড্ডির ঝড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বোলাররা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ঝড় তোলা নিতিশকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।
পরে ২৯ বলে ৫৩ রান করা রিংকু সিংকে আউট করেন তাসকিন। এ ছাড়া ১৯ বলে ৩২ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৬ বলে ১৫ রান করেন রিয়ান পারাগ। সবশেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন রিশাদ, সমান ওভারে ৫০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। এ ছাড়া তাসিকন ও মুস্তাফিজ পেয়েছেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। দলের হয়ে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন ইমন। মিরাজও করেছেন ১৬ রান। এ ছাড়া বলার মতো তেমন কেউ রান করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ভারত : ২০ ওভার ২২১/৯
বাংলাদেশ : ২০ ওভার ১৩৫/৯
ফল : ভারত ৮৬ রানে জয়ী
অনলাইন ডেস্ক :
ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তিন ম্যাচ জিতে ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু ফাইনালে প্রতিপক্ষ কে সেটা অজানা ছিল। সেটিও পেয়ে গেছে স্বাগতিকরা। আজ পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
তাতে কোনো ম্যাচ না জেতায় টুর্ণামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে পাকিস্তান। আর একটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে এ দুই দল।
আজ ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ৯৬ রানে।
ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন সামিয়া আফসার ও আরিশা আনসারি। দুজনে যোগ করেন ৭৪ রান। ৫৮ বলে ৪৮ করেন সামিয়া।
দলীয় ৮৯ রানের মাথায় রান আউট হন এই ব্যাটার। ৪১ বল খেলা আরিশা ২৬ রানে ফেরেন রাবেয়া খাতুনের বলে জান্নাতুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন রাবেয়া। পাকিস্তানের বাকি তিন ব্যাটারই হয়েছেন রান আউট। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশেরও।
এর পরও অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তারের ৩৮ এবং আফিয়া আসিমার ১৬ রানে ভর করে ১৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি পথে সড়কের ধারে হঠাৎ দৃষ্টি আটকে যায় পথিকের। থমকে দাঁড়িয়ে দেখেন জাতীয় পতাকার আদলে সাজানো হয়েছে ধানক্ষেত। আগ্রহ নিয়ে তারা এ সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রুপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের সৌখিন কৃষক রনজিৎ সাহার ধান ক্ষেতে এমন চিত্রের দেখা মেলে।
চলতি বোরো মৌসুমে নিজের প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে সবুজ ও বেগুনি রঙের ধানের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। পার্থক্য শুধু লালের জায়গায় বেগুনি বৃত্ত। নতুন জাতের এ ধানের নাম ‘পার্পল লিফ রাইস’।
কৃষক রনজিৎ সাহা বলেন, প্রথমে সুতা দিয়ে মেপে জমিতে জাতীয় পতাকার গঠন তৈরি করি। এরপর সে অনুযায়ী রোপণ করি দুই জাতের ধানের চারা। দেশ ও পতাকার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেই আমার এই আয়োজন।
পথচারী আলমগীর হোসেন বলেন সবুজ-বেগুনিতে এতো সুন্দর ধানের জমি আর দেখিনি। লোক মুখে শুনে জমি দেখতে এখানে আসা। যিনি এই জাতীয় ধান আবাদ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
পথচারী সিরাজুল ইসলাম রুবেল বলেন, ফসলের মাঠে সবুজ-বেগুনিতে জাতীয় পতাকা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। কাকলী আক্তার বলেন, ধানক্ষেতের চারপাশে সবুজ রঙের ধান আর মাঝখানে বেগুনি রঙের ধান রোপণ করায় দেশের জাতীয় পতাকার আদল হয়েছে। দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে তার জমিতে জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি ধান ক্ষেতে ফুটিয়ে তুলেছেন। কাজটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার জানিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় বেগুনি রঙের ধানের আবাদ শুরু হয়। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ধানের নাম পার্পল লিফ রাইস। এ ধানের গাছের পাতা ও কাণ্ডের রঙ বেগুনি। তাই এটি রঙিন ধান হিসাবে পরিচিত।