অনলাইন ডেস্ক :
মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট মানেই ভারতের আধিপত্য। টুর্ণামেন্টের ৮ আসরের ৭টিতেই চ্যাম্পিয়ন তারা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে এশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারতীয় নারী দলের ধারেকাছে কেউ ছিল না।
আজ ২৮ জুলাই রোববার ডাম্বুলায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালেও ফেবারিট ছিল ভারতই। কিন্তু এবার হলো উল্টোটা। গ্যালারি ভর্তি লঙ্কান দর্শকদের উৎসবে মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা।
স্মৃতি মান্ধানার ৬০ রানের সৌজন্যে ভারতের ৬ উইকেটে করা ১৬৫ রান ১৮.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় শ্রীলঙ্কা নারী দল। চামিরা আতাপাত্তুর ৬১ রানের পর হারশিতা সামারাবিক্রমার অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটের স্মরণীয় জয়ে লঙ্কানদের মেয়েদের হাতে উঠেছে প্রথম এশিয়া কাপের শিরোপা।
মেয়েদের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং মানেই চামিরা আতাপাত্তু। এবারের এশিয়া কাপে তিনি একাই টানছিলেন লঙ্কান ব্যাটিং। মহাগুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচের রান তাড়ায়ও জ্বলে উঠেছে তাঁর ব্যাট।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভিশমি গুনারত্নে রান আউট, দলের রান তখন মাত্র ৭। এরপর তিনে নামা হারশিতা সামারাবিক্রমার সঙ্গে ৬৩ বলে ৮৭ রান যোগ করেন আতাপাত্তু। ১২তম ওভারে দিপ্তি শর্মার নিচু হয়ে আসা বলে লেগের দিকে খেলতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৬১ রান। ১৪১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
এবারের এশিয়া কাপে এটি আতাপাত্তুর দ্বিতীয় ফিফটি। একটি শতকও আছে এই বাঁহাতির। বিস্ফোরক ইনিংসের সৌজন্যে এশিয়া কাপে আতাপাত্তুর রান তিন শ (৩০৪) ছাড়িয়ে গেছে।
বাকি কাজটা করেছেন সামারাবিক্রমা। মাঝের ওভারে ধরে খেলেছেন, সুযোগ বুঝে খুঁজে নেন বাউন্ডারিও। কাভিশা দিলহারির সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন সামারাবিক্রমা। নিজে করেছেন ৫১ বলে অপরাজিত ৬৯ রান। ১৩৫ স্ট্রাইক রেটের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি।
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে কাভিশা অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ৩০ রানে, ১টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তাঁর ১৮৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। দুজনের ব্যাটে চড়ে ৮ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে ভারতকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মা। দুজন মিলে পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান যোগ করেন। মান্ধানা ছিলেন আক্রমণাত্মক, শেফালি খেলেছেন ধরে। কাভিশা দিলহারির করা পাওয়ার প্লের পরের ওভারে থামে শেফালির ১৯ বলে ১৬ রানের ইনিংস।
উদ্বোধনী জুটির করে দেওয়া সুবিধাটা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি ভারতের পরের দুই ব্যাটার উমা ছেত্রি (৯) ও হারমানপ্রিত কৌর (১১)। তবে মান্ধানার সঙ্গে ২৬ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। ইনিংসের ১৭তম ওভারে জেমিমাহ ১৬ বলে ২৯ করে রান আউট হলে ভাঙে সেই জুটি।
কাভিশার করা পরের ওভারে থেমে যায় মান্ধানার ইনিংসও। ৪৭ বলে ১০ চারে ৬০ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ভারতের রান তখন ৫ উইকেটে ১৩৩। সেখান থেকে দলের রান দেড় শর ওপারে নিতে সাহায্য করেন রিচা ঘোষ। তাঁর ১৪ বলে ৩০ রান আসে ৪টি চার ও ১ ছক্কায়। ৪ ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট নেওয়া কাভিশা ছিল শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত নারী দল: ২০ ওভারে ১৬৫/৬
(মান্ধানা ৬০, রিচা ৩০, জেমিমা ২৯; কাভিশা ২/৩৬, সাচিনি ১/২০ প্রাবোধানি ১/২৭, আতাপাত্তু ১/২৮)।
শ্রীলঙ্কা নারী দল: ১৮.৪ ওভারে ১৬৭/২ (হার্শিতা ৬৯*, আতাপাত্তু ৬১, কাভিশা ৩০*; রেদিপ্তি ১/৩০)
ফল: শ্রীলঙ্কা নারী দল ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: হার্শিতা সামারাবিক্রমা।
টুর্নামেন্টসেরা: চামারি আতাপাত্তু।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ওই রান তাড়া করতে নেমে ৫৮ বল হাতে রেখেই জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার ম্যাচের শুরুতে লঙ্কানদের আড়াইশর আগে আটকে রেখে জয়ের পথটা সহজ করে দিয়েছিলেন বোলাররা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ তামিমের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেননি। তাওহিদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা ব্যর্থ হলে ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা। শঙ্কা জেগেছিল জয় নিয়েও। সেই শঙ্কা উড়ে গেছে রিশাদ হোসেনের ঝড়ে। তার ক্যামিওতে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০১ রান করেন লিয়ানাগে। বাংলাদেশের হয়ে ৪২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ।
জবাবে খেলতে নেমে ৪০ ওভার ২ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন তানজিদ তামিম। তাছাড়া ১৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রান করেছেন রিশাদ।
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারিয়েছে চিটাগং কিংস। এর মধ্য দিয়ে টুর্ণামেন্টে জয়ের খাতা খুললো চিটাগং কিংস।
৩ জানুয়ারি শুক্রবার মিরপুরে চিটাগা কিংসের দেয়া ২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতেই ১১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী।
২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রান তোলায় গতি থাকলেও নিয়মিত উইকেটও হারায় রাজশাহী। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করে তারা। বেশির ভাগ রানই আসে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ৩২ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন তিনি।
রাজশাহীর হয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৯ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ হারিস, সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। এর বাইরে ইয়াসির আলী ও আকবর আলী ২০ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন। ইয়াসির ১৫ বলে ১৬ ও আকবর ১২ বলে ১৮ রান করেন।
বাকি ব্যাটাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। চিটাগংয়ের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম। তিন উইকেট নেন ৪ ওভারে ২৩ রান দেওয়া আরাফাত সানিও।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল চিটাগং কিংস। তাসকিন আহমেদের বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। এরপরের দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার উসমান।
উসমান খানকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন। যদিও ২৫ বলে ৪০ রানে সোহাগ গাজীর বলে ফিরতে হয়েছে ক্লার্ককে।
তবে রানের গতি বাড়ানোর সঙ্গে ইনিংসও বড় করেছেন উসমান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২১ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রান তোলার গতি কমেনি তার। যদিও সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই ফিরতে পারতেন উসমান।
সোহাগ গাজীর শর্ট ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি সাব্বির হোসেন কিংবা শফিউল ইসলামের কেউ। জীবন পেয়ে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কার মারে ১২৩ রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন উসমান।
বিপিএলের ইতিহাসে এটি ৩৩তম সেঞ্চুরি। এছাড়া ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২১৯ রানের পাহাড় গড়েছে চিটাগং। এর আগে ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও উসমান সেঞ্চুরি করেছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৫ রানে জয় পেল বাংলাদেশ। টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহামের দায়িত্বশীল বোলিংয়ে ১৪৩ রান করেও জয় পেল বাংলাদেশ।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে।
আজ ১০ মে শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হের আগে ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০১ রান করা বাংলাদেশ, এরপর মাত্র ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয়। ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। অথচ এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠেই নাস্তানাবুদ অবস্থা টাইগারদের।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-িটোয়েন্টিতে টস জিতে স্বাগতিকদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে।
আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তারা ১১.২ ওভারে ১০১ রানের উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ।
১১.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১০১ রান। খেলার যখন এমন অবস্থা তখন ধারণা করা হয়েছিল স্কোর হয়তো ২০০ ছাড়িয়ে যাবে।
কিন্ত এরপর চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে মাত্র ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
ইনিংসের শুরুতে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিং দেখে যারা মুগ্ধ হয়েছিলেন তাদের হতাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তারকা ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়রা।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের আগে ৩৭ বলে ৭টি চার আর এক ছক্কায় ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ। ইনজুরি থেকে ফিরে ৩৪ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৪১ রান করে ফেরেন সৌম্য সরকার।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন তাওহিদ হৃদয় (১২), সাকিব আল হাসান (১০), অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (২), জাকির আলি অনিক (৬), তাসকিন আহমেদ (০), রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানরা।
আজ তানজিদ হাসান তামিম ক্যারিয়ারের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেকে ৪৭ বলে ৮টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৬৭ রান করেন। টি-টোয়েন্টিতে সেটাই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
এরপর দুই ম্যাচে ১৮ ও ২১ রানে আউট হন। আজ চতুর্থ ম্যাচে ৩৭ বলে ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম।
প্রথম তিন ম্যাচ জয়ে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচে জিতে আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে চায় টাইগাররা।
১২০ বলে ১৪৪ রানের মাঝারি স্কোর তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়। শূন্য রানেই ওপেনার ব্রান ব্যানেটকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ৩.৫ ওভারে দলীয় ২৮ রানে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন তাসকিন।
এরপর দলীয় ৩২ ও ৫৭ রানে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান ও রিশাদ হোসেন। ৫৭ রানে ৪ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেছেন রায়ান বুল। তাকে সঙ্গ দেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। এই জুটিতে তারা ৩০ বলে ৩৫ রান করেন। তাদের ব্যাটেই জয় দেখেছিল জিম্বাবুয়ে।
১৫তম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক ২ উইকেট তুলে নিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব মার্ক চ্যাপম্যানের উইকেট তুলে নিলে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
জয়ের জন্য ১৮ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। তানজিদ হাসান সাকিব ১৮তম ওভারে খরচ করেন মাত্র ৬ রান। এরপর ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। মোস্তাফিজ ১৯তম ওভারে মাত্র ৭ রানে এক উইকেট শিকার করেন।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট আর জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল আর দ্বিতীয় বলে ডট দেন সাকিব। তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান ব্লেসিং মুজারাবানি।
জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। চতুর্থ বলে সাকিব ওয়াইড দিলে স্ট্যাম্পিং হন মুজারাবানি। পঞ্চম বলে রিচার্ড নাগরাভাকে বোল্ড করেন সাকিব। তখন জয়ের উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মনোমুগ্ধকর লাঠি খেলা। লাঠি খেলার আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়েনের তেরোকান্দা গ্রামের একটি বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্রাচীন খেলা।
খেলায় ঢাক, ঢোল আর কাঁসার ঘন্টার শব্দে চারপাশে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে তরুণ ও বর্ষিয়ান লাঠিয়ালরা। তারপরই চলে লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও তাকে আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা।
এসব দৃশ্য দেখে আগত দর্শকরাও করতালির মাধ্যমে উৎসাহ যোগায় খেলোয়াড়দের। কালক্রমে হারিয়ে যাওয়া লাঠি খেলা দেখতে ভিড় করে নানা বয়সের নারী-পুরুষ। গ্রামীন এ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাকে টিকিয়ে রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা এমনটাই মনে করেন দর্শনার্থীরা। বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলা লাঠিখেলায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েকটি লাঠিয়াল বাহিনী অংশগ্রহণ করে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১১ বছর পর দেশে এসে নিজ গ্রামে হাজারো ভক্তের উঞ্চ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১৭ মার্চ সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে এ উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা জানায় গ্রামবাসী। এ সময় লাল সবুজের হয়ে জার্সি গায়ে দেয়ার অপেক্ষায় থাকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরীসহ তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
এর আগে সিলেট থেকে সড়ক পথে পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জ আসেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। হামজার গাড়ি বহরটি স্নানঘাট বাজারে পৌঁছলে সেখান থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে বাড়ি নিয়ে যায় ভক্তরা। পরে নিজ বাড়িতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চে যান হামজা। এ সময় ভক্ত ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শকদের মধ্যে হামজা হামজা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
মাত্র বিশ সেকেন্ডের দেয়া বক্তব্যে হামজা দেওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘আমার খুভ ভালা লাগছে আপনারা যে আইছেন আমারে দেখার লাগি।’
পরে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ-বলে শ্লোগান দেন লেস্টার সিটির হয়ে মাঠ মাতানো এই তারকা ফুটবলার।
হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে দেখতে আসা হবিগঞ্জ অনুর্ধ্ব ১৫ দলের কয়েকজন খেলোয়াড় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে এখানে এসেছি। আমরা তার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে একদিন দেশের হয়ে খেলব এবং হামজা চৌধুরী দেশের হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন এই প্রত্যাশা করি।
হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, হামজা শুধু আমাদের জেলার নয়, আমাদের দেশের গর্ব। আমরা চাই তার হাত ধরে আমাদের জেলাসহ দেশের ফুটবলের প্রসার হোক।
স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আজিজ সিদ্দিকী বলেন, ‘হামজা দেশের প্রতি টান থেকেই এবং দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা থেকেই দেশের জার্সি গায়ে দিতে চলছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি সে যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে।’
এদিকে হামজার আগমনকে ঘিরে পুরো এলাকায় নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কে সড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।