চলারপথে রিপোর্ট :
দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে দলীয় আনুগত্য মেনে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাস্টার। এর আগে তিনি জনতার চাপে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন বলে জানান।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার দুপুরে সরাইল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফছির এর সঞ্চালনায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাস্টার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন -২০২৪ এ সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আমি মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করি। তাই বিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৮মে তারিখে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি এবং আমার জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও দলের বৃহত্তর স্বার্থে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করছি।
সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল হক এর নিকট লিখিত আবেদন জমাদানের মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ৭ সন্তানের জনক বৃদ্ধ সমাজ আলী (৬০) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত রোববার গভীর রাতে উপজেলার অরূয়াইল ইউনিয়নের শোলাকান্দি গ্রামে নিজের বসতঘরের তীরে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছেন। ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রয়াত শমসের আলীর ছেলে সমাজ আলীর মূল বাড়ি ধামাউড়া গ্রামে। ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক সমাজ আলী ৫-৭ বছর আগে জায়গা ক্রয় করে শোলাকান্দি (উত্তর পাড়া) গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করছেন। ৩ ছেলেই প্রবাসী। মেয়েদেরকেও বিয়ে দিয়েছেন। বাড়িতে নতুন ঘর করায় এখন ২টি ঘর রয়েছে। সমাজ আলী ও তার স্ত্রী জোৎস্না বেগম (৫৫) পুরাতন ঘরটিতেই থাকতেন। অন্যান্য দিনের মত গত সোমবার খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রাত ৯টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার রাত ১২টা ৩০ মিনিটে প্রকৃতির ডাকে সাড়া বের হন সমাজ আলী।
দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আর ঘরে ফিরছেন না। চিন্তিত হয়ে পড়েন স্ত্রী জোস্না। ঘর থেকে বেরিয়ে স্বামীকে খুঁজতে থাকেন। কোথাও সন্ধান পাননি। সবশেষে রাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে নতুন ঘরে প্রবেশ করেন। ওই ঘরে দেখতে পান রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তীরের সাথে ঝুলছে সমাজ আলীর লাশ।
পরে তিনি মুঠোফোনে সকল স্বজনকে জানান। সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা সমাজ আলীর লাশটি উদ্ধার করেন। থানাকে বিষয়টি লিখিত জানিয়েছেন সমাজ আলীর চাচাত ভাই আক্তার মিয়া।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, ছেলেরা বিদেশ। ৪ মেয়ের সবাই স্বামীর বাড়িতে। তারপরও কেন বৃদ্ধ সমাজ আলী আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিল?
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে সমাজ আলীর লাশটি ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সরাইলে ‘আশুতোষ চক্রবর্তী স্মারক শিক্ষাবৃত্তি’ পেলো ১০০ শিক্ষার্থী
সরাইল,
13 July 2024,
567 Views,
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে স্বর্গীয় ‘আশুতোষ চক্রবর্তী স্মারক শিক্ষাবৃত্তি-২০২৪’ পেল ১০০ মেধাবী শিক্ষার্থী।
আজ ১৩ জুলাই শনিবার ইউনিভার্সেল কলেজ হাসপাতাল ঢাকা এর শিক্ষা সামাজিক উদ্যোগে সরাইল উপজেলা কমপ্লেক্সের স্বাধীনতা হলে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরাইল ও আশুগঞ্জের ১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে এ শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়েছে। তাদের দশম আয়োজনে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জনকারীদের পাশাপাশি অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীরাও স্থান পেয়েছে। উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় স্থানীয় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাও দেয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আশুতোষ চক্রবর্তীর স্ত্রী পুষ্ফ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা।
জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, প্রভাষক ও বাচিক শিল্পী মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন-বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-২ মো. শহীদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাথাওয়াত হোসেন বিপিএম (সেবা), প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. নজরুল ইসলাম, সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. রাকিবুল হাসান, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ও সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি এমন একটি মহৎ আয়োজনের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান করে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষা ছাড়া পৃথিবীতে কোন জাতিই উন্নতি করতে পারে না। তাই আমাদেরকে অবশ্যই শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আরো গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে পাঠ গ্রহন ও পড়ালেখায় অধিক মনোযোগি হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাদক ও বাল্যবিয়েকে না বলতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৩ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে এক মা তাঁর মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ছেলেকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। ওই নারীর ছেলের নাম আজমল শাহ (৩৭)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে কয়েক বছর আগে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। বছরখানেক ধরে তিনি উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করে আসছেন। নেশার টাকার জন্য আজমল নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি নেশার টাকার জন্য আজমল আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আজমলের মা-বাবা সব চেষ্টাই করেছেন। কয়েক মাস ধরে আজমলের অত্যাচারে মা-বাবা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তিন বছর আগে স্ত্রীও আজমলকে ফেলে চলে যান।
বাধ্য হয়ে মা এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কয়েক দিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আজমল। এর জের ধরে গতকাল সকালেও আজমল ঘরের আসবাব ভাঙচুর করতে থাকেন। ছেলের অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় অসহায় মা মনেজা বেগম দুপুর ১২টার দিকে আজমলকে আটক করেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সোমবার বেলা দুইটার দিকে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেসবা উল আলম ভূঁইয়া ছুটে যান বুড্ডা গ্রামে। সেখানে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আজমল শাহকে ১২ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। মনেজা বেগম ইউএনওর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তার অপকর্মে আমরা অতিষ্ঠ হইয়া পড়ছি, আমরার জীবন শেষ কইরা ফালাইছে। তার কাছ থেকে আমারে বাঁচান।’
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও মেসবা উল অলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাদকাসক্ত ওই যুবকের অত্যাচারে মা-বাবা ও স্ত্রী অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন। তিনি নিয়মিত মা-বাবাকে মারধরও করতেন। তাঁকে আমরা হাতেনাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় পেয়েছি। তিনি দোষ স্বীকার করেছে। তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে সোমবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিএনপি থেকে পদত্যাগ-পরবর্তী বহিস্কার হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার পেয়েছেন ডাব প্রতীক। তার সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকা জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন সিংহ প্রতীক। দু’জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া দলীয় প্রতীক হিসেবে জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন লাঙ্গল ও জাকের জহিরুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন গোলাপ ফুল প্রতীক। এছাড়া আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ পেয়েছেন মটর গাড়ি (কার) প্রতীক।
উপনির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন। আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে আসনটি খালি হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। উপরন্তু আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে প্রত্যাহার করেন।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের পর ফের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মনোনয়ন ফরম কিনে বহিস্কৃত বিএনপি’র পাঁচবারের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে ‘মীরজাফর’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। পদত্যাগ-পরবর্তী বহিস্কৃত ওই নেতা এখন আওয়ামী লীগের ‘দাবার গুটি’।
রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে ঘায়েল করতে আবদুস সাত্তারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে সরকার ‘পাস করিয়ে নিবে’ এমন আলোচনা সর্বত্র। বিএনপি’র পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, দলের প্রার্থীদেরকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানোর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের এমন কৌশলও এখন স্পষ্ট।
১৯৭৩ সালের পর এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেনি। এ অবস্থায় শুরুতে আসন পুনরুদ্ধারে এবার সবচেয়ে বড় সুযোগ বলে ধরে নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে কৌশলগত আঘাত করতে এ আসনের উপ-নির্বাচনকে বেছে নেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য যিনি এখন দলটির কাছে মিরজাফর হিসেবে পরিচিতে সেই আব্দুস সাত্তার এখন ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের দাবার গুটি।
এ অবস্থায় সাত্তারের পক্ষে কাজ করলে দল থেকে বহিস্কারের কথা জানিয়েছেন বিএনপি’র সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি অনেক বড় দল, যে দলে দু’একটা মীরজাফর থাকলে কিছু আসে যায় না। যদি কেউ আব্দুস সাত্তারের পক্ষে কাজ করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তারেক (বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) স্যারের সঙ্গে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, ‘এখানে যেহেতু দল কোনো প্রার্থী দেয়নি সেক্ষেত্রে দলের কথা বলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। তারা স্বেচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মূলত নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে অনেকটা অসময়ে। দলের প্রার্থীরা সময় নিয়ে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
উপনির্বাচনে অংশ নিতে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছায়ের পর পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। বৈধ ঘোষিত আট প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান আলম।
এখনো সাত্তারের দেখা মেলেনি ॥ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমা দেওয়া, যাচাই–বাছাই প্রক্রিয়া এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় বহুল আলোচিত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া অংশ নেননি। তাঁর ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। মাঈনুল হাসান বলেন, ‘আব্বু ঢাকায় আছেন, সুস্থ আছেন। প্রতীক পেয়েছি। আগামী বুধবার থেকে প্রচারণায় নামবেন।’ এর আগে তিনি একাধিকবার বলেছিলেন, ‘৫ জানুয়ারির পর, ৮ জানুয়ারির পর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া মাঠে নামবেন।’ তবে এখন পর্যন্ত তাঁকে মাঠে দেখা যায়নি। তিনি অসুস্থ বলেই প্রচার রয়েছে।
আবদুস সাত্তারের সঙ্গে নেই বিএনপির সাবেক নেতারা ॥ ৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সরাইল উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সাবেক কমিটির (বর্তমানে পদবঞ্চিত) অনেক নেতা-কর্মী মাঈনুল হাসানের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সাত্তারের সঙ্গে থাকার প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন। দল ত্যাগের পর তাঁদের অনেকেই ঢাকার বাসায় গিয়ে সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এখন তাঁরা কেউ সাত্তারের সঙ্গে নেই।
তবে মাঈনুল হাসান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সাবেক কমিটির সব নেতা-কর্মী সাত্তার সাহেবের সঙ্গে আছেন। কারণ, তাঁদের পদ হারানোর ভয় নেই। এমনকি পদে আছে এমন অনেক নেতা-কর্মীও আমাদের সঙ্গে আছেন। তাঁরা গোপনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা কাজও করবেন।’
উপজেলা বিএনপির ৩০ বছরের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইনজীবী আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি (সাত্তার) এখন দলের কেউ না। তাঁর নির্বাচন করার প্রশ্নই আসে না। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারি না।’