চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোর নিহত হয়েছে। গতকাল ২৯ জুলাই সোমবার বিকেলে উপজেলার নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক সড়কের কালিকচ্ছ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মুহিত (১১) উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের মীর হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ওসি সোহাগ রানা জানান, বিকেলে উপজেলার কালিকচ্ছ এলাকায় বাড়ির সামনে রাস্তার উপর থেকে ফুটবল আনতে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মানসিক প্রতিবন্ধী মুহিত আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও অটোরিকশাটি আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতি ঠেকাতে সাত কিলোমিটার ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে।
আজ ১ এপ্রিল সোমবার সরাইল থানা ও কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় ধরন্তি এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কের দুই পাশে ছোট গাছপালা গজিয়ে ঝোপঝাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়ই এ সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতের দল এসব ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে। এ কারণে যাত্রী ও পরিবহন চালকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। এ অবস্থায় সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ থেকে ধরন্তি কুইট্টা ব্রিজ পর্যন্ত এবং কুইট্টা থেকে নাসিরনগর পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ করতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, সড়কে নিরাপত্তার জন্য সরাইলের অংশ আমরা পরিষ্কার করছি। নাসিরনগর থানা পুলিশ বাকি অংশ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট ;
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরাইলে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ফয়সাল (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আজ ১৪ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সাল উপজেলার কুট্টাপাড়ার রাকিব মিয়ার ছেলে।
পরিবারের দাবি, ফয়সাল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, দুইপক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ হলে স্প্রিন্টারের আঘাতে ফয়সাল নিহত হন।
স্থানীয়রা জানান, ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের ইকবালের চৌকিদারের ছেলে অটোরিকশা চালক আকাশ রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় ধরন্তী মূলবর্গ গ্রামের হুমায়ন মেম্বারের ছেলে তোফাজ্জলের মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে তোফাজ্জলের লোকজনেরা কালিকচ্ছ বাজারে আকাশের ওপর হামলা চালান। এতে গুরুতর আহত হন আকাশ। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় ইফতারের পর কালিকচ্ছ বাজারে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় বাজারের কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে সরাইল থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। তাদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ফয়সালকে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ফয়সালের মা হালিমা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে পুলিশের ছোড়া গুলিতে মারা গেছে।’
ফয়সালের মামা ওসমান বলেন, ‘ফয়সালের বাড়ি কুট্টাপাড়ায় হলেও আমাদের দোকানে থাকতো। আজ ঝগড়া শুরুর পর দোকানের তালা লাগাচ্ছিলাম। এসময় পুলিশ এসে আমার ভাগনের ওপর গুলি করে। তাকে কেন গুলি করা হলো? আমরা তো ঝগড়ার সঙ্গে জড়িতও না? আমরা এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সংঘর্ষে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ককটেলের স্প্রিন্টারের আঘাতে যুবক নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান, সরাইল উপজেলার নীচ সরাইলের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছিরের স্মরণে সরাইলে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এলাকাবাসীর উদ্যোগে ২৮ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও আশরাফুল ইসলাম শাব্বিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন-সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদ, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, জাপা নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, শিক্ষক নেতা মোঃ শামছুল আলম, উদীচী সরাইল শাখার সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল পাঠান, শিক্ষক ও সংস্কৃতি কর্মী দেওয়ান রওশন আরা লাকী, প্রভাষক জাকির আহমেদ আকছির, ন্যাপ নেতা আবদুল জব্বার, সমাজকর্মী আবদুস সুবহান মাখন, সমাজ সেবক শাহ সিরাজ, মোঃ বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, হোসাইন আহমেদ ছিলেন সৎ নিষ্ঠাবান, নিঃস্বার্থ ও পরোপকারী চিত্তের মানুষ। স্বল্প সময়ের জীবনে তিনি শুধু মানুষ ও সমাজের জন্যই কাজ করেছেন। নীতিতে আপোষহীন তফছির বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সামাজ গড়তে নির্ভয়ে রাজনীতি করে গেছেন। অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি কখনো তফছিরকে স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি একজন নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ ছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবার, সমাজ ও সরাইলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে তফছিরের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার অরুয়াইল বাজার এলাকায় তিতাস নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন সেট, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নৌকার যাত্রী ও ভুক্তভোগী মোকাদ্দেস এবং হাবিব মিয়া জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের কাশেম মিয়ার যাত্রীবাহী ট্রলারটি ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার অরুয়াইল বাজার নৌ-ঘাট থেকে বারপাইকা গ্রামে যাচ্ছিল। ট্রলারটি তিতাস নদী দিয়ে উপজেলার পাকশিমুল ও বারপাইকা এলাকায় আসার পর আরেকটি ট্রলারে করে ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালায়। যাত্রীবাহী ট্রলারের কয়েকজনকে মারধরও করে ডাকাতেরা। আহতদের মধ্যে কয়েকজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ট্রলারের মালিক মো. কাশেম মিয়া বলেন, ট্রলারটি অরুয়াইল স্পিডবোট ঘাট থেকে ছেড়ে পাকশিমুল ও বারপাইকা গ্রামের মাঝামাঝি যাওয়ার পর নৌকায় করে একদল ডাকাত আমাদের নৌকাটি আক্রমণ করে যাত্রীদের মারধর করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল নিয়ে যায়। যারা চিৎকার দিতে চাইছে তাদেরকে বেশী করে মারধর করে করেছে।
সরাইল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ও অরুয়াইল বিটের বিট কর্মকর্তা নুরুল করিম বলেন, আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের সাথে কথা বলেছেন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ডাকাতরা ডাকাতি করে সব নিয়ে যায় তাহলে আমরা যাবো কোথায়? অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সরাইলে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার প্রধান অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
সরাইল উপজেলা সদরের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামের মেলা উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অরূয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইকবাল হোসেন মৃধা, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, সরাইল মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী, প্রভাষক মো. শফিকুল ইসলাম ও শিক্ষক অপু নাগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি বলেন, বিজ্ঞান ছাড়া কোন দেশ ও জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়। বিজ্ঞান মনস্ক প্রজন্ম গড়তে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদ খালিদ জামিল খান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি মেলার বিভিন্ন ষ্টল ঘুরে দেখেন। দু’দিন ব্যাপী মেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭টি ষ্টল বসে।