বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা শ্রীলঙ্কার মত তাণ্ডব সৃষ্টি করতে চেয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 31 July 2024, 585 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্র্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা দেশে শ্রীলঙ্কা টাইপ তাণ্ডব সৃষ্টির চেষ্টা করতে চেয়েছিল এবং তারা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল।

banner

তিনি বলেন, ‘তারা (বিশৃঙ্খলাকারীরা) তো আসলে শ্রীলঙ্কার মতো সহিংসতা এবং সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছে।”

আজ ৩১ জুলাই বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক আন্দোলন মোটেও স্বাভাবিক আন্দোলন নয়, বরং এক পর্যায়ে তা প্রায় সন্ত্রাসী হামলায় পরিণত হয়।

তিনি বলেন, ‘এটা কোন সাধারণ আন্দোলন ছিল না। এটা এক পর্যায়ে প্রায় সন্ত্রাসী আক্রমণের মতো হয়ে যায়।’

এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবন ও সম্পদহানির কথা দুঃখের সঙ্গে উল্লেখ করেন জানিয়ে তার প্রেস সচিব বলেন, এ সময় ভারতের হাই কমিশনার বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবন ও সম্পদহানির ঘটনায় শোক জানান।

ধারাবাহিকভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাকে স্বাগত জানান প্রণয় ভার্মা।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত সব সময় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের ভিশন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে সমর্থন করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর প্রসঙ্গে প্রণয় ভার্মা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফল সফর অর্থবহ ফলাফল অর্জন করেছে এবং যা অতীতের অর্জনকে সুসংসহত করেছে এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার একটা ব্লু-প্রিন্ট সৃষ্টি করেছে।

হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের যে জাতীয় ডেভেলপমেন্ট ভিশন- ‘বাংলাদেশের ২০৪১ এবং ভারতের ২০৪৭’ ভিশনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সহযোগিতার একটা নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ডিজিটাল ও গ্রিন অংশীদারিত্ব, স্যাটেলাইটের যৌথ উন্নয়ন, ব্লু ইকোনোমি, ওশানোগ্রাফি, ফিনটেকসহ নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা হবে।

আঞ্চলিক কানেকটিভিটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চার দেশের (বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, নেপাল ও ভুটান) মধ্যে কানেকটিভিটি জোরালো করার জন্য আমার সব দরজা খোলা।
সূত্র : বাসস

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

সীমান্তে সশস্ত্র বাহিনীকে ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 5 February 2024, 837 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে সীমান্তে সশস্ত্রবাহিনীকে ধৈর্য ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

banner

সার্বিক বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল হক এ সব কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে আইনমন্ত্রী প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশ্নে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনীর অনেকটা যুদ্ধের মতো চলছে। সেখান থেকে সাধারণ মানুষ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে এবং গোলাগুলি হচ্ছে সেটা এসে বাংলাদেশের মধ্যে পড়ছে। মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তার প্রশ্নে, মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকার কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে?

উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে আনিসুল হক বলেন, এ ব্যাপারে সরকার ওয়াকিবহাল আছে। আজ ৭৮ জন মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশ বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু আহতও আছে, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একটি স্কুলে আপাতত তাদের রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোচনা করার জন্য এবং তাদেরকে ফেরত পাঠানোর জন্য, অথবা ফেরত পাঠানো যদি না যায় তাহলে অন্যান্য ব্যবস্থা কি করা যায় সেটা দেখা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী বর্ডার ফোর্স তাদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে। বর্ডারে স্কুলগুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোববার মর্টার শেলিংয়ে আমাদের একজন মারা গেছে, ওদের একজন মারা গেছে। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুবই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সার্বিক বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৌদিতে নিহত রাজশাহীর ৪ জনের বাড়িতে শোকের মাতম

জাতীয়, 15 July 2023, 1109 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বড় মাধাইমুরি গ্রামের ফিরোজ আলী সরদার তিন বছর আগে সৌদি আরবে যান। এখানে তার মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখানেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছালে নেমে আসে শোকের ছায়া।

banner

সৌদি আরবের মদিনার আল খলিল এলাকার একটি সোফা কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে চারজনই রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে তিনজনই উপজেলার বরাইপাড়া গ্রামের।

নিহতরা হলেন, বারইপাড়া গ্রামের জফির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসাইন (পাসপোর্ট নম্বর : বিসি ০২৩৭০৫৫), জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম (পাসপোর্ট নম্বর : এই ৬৩২৬৮৪১), শাহাদাত হোসাইনের ছেলে আরিফ (ইকামা নম্বর : ২৫৩৫১৭৬৩৩৯) ও বড় মাধাইমুরি এলাকার আনিসুর রহমানের ছেলে ফিরোজ আলী সরদার (পাসপোর্ট নম্বর : ইই ০৫৮১২৭৪)। তারা কেউ ৬ মাস আগে, কেউ আট বছর আগে সৌদিতে গেছিলেন। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাদের বাড়িতে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
শনিবার সরেজমিনে নিহত ফিরোজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে চলছে স্বজন ও প্রতিবেশীদের শোকের মাতম। সবাই বাকরুদ্ধ। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তারা ঘটনার শোনার পর থেকে কাঁদছেন।

আরিফের বাবা শাহাদাত হোসাইন বলেন, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার তার ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভালো আছে বলে জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, ৬ মাস আগে তার ছেলে সৌদিতে গিয়েছিল। তিনি ছেলের লাশ ফেরৎ চান। তিনি তার ছেলের লাশ নিজ এলাকায় দাফন করতে চান।

নিহত রুবেল হোসাইনের বাবা জফির উদ্দিন ছেলেকে হারিয়ে অস্বাভাবিক হয়ে গেছেন। এ দুর্ঘটনা মানতেই পারছেন না। তিনি বলেন, শুক্রবার ঘটনার পরপরই তারা মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন। তবে নিশ্চিত হতে পারেননি। শনিবার সকালে সেখানে থেকে ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সাজেদুল ইসলাম আট বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন। তিনিও মারা গেছেন। তারা এক সঙ্গে থাকতেন। এদের হাত ধরে একই কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন একই গ্রামের শাহাদত হোসাইনের ছেলে আরিফ। ৬ মাস আগে তিনি সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এর মধ্যে লাশ হলেন তিনি।

উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়নের বড় মাধাইমুড়ি গ্রামের ফিরোজ আলী সরদার (৩৯) তিন বছর আগে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। বাবা আনিছার রহমান বলেন, ছেলে কিছু টাকা জমিয়ে এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন।

এদিকে ঘটনার পর জেলা প্রশাসন থেকে তাদের খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরী শনিবার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তারা বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন।

সহকারী কমিশনার সুমন চৌধুরী জানান, সরকারিভাবে তাদের পরিবারের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে তাদের কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্রথম সচিব সভায় একগুচ্ছ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়, 5 February 2024, 792 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
নতুন সরকার গঠনের পের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রথম সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সভায় তিনি দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনাসহ একগুচ্ছ বার্তা দিয়েছেন।

banner

আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে শেখ হাসিনা মানুষের জীবনমান স্বাচ্ছন্দ্য ও সুন্দর করতে দ্রব্যমূল্য কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন। প্রথমে নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সচিবদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, দায়িত্ব পালনে আত্মপ্রত্যয়, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান সমুন্নত রেখে যেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করি।

মাহবুব হোসেন আরও বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আসন্ন রমজানের প্রস্তুতি নিয়ে অবহিত করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন ও সার ব্যবস্থাপনা; কর্মমুখী শিক্ষা, নতুন পাঠ্যক্রম ও কর্মসংস্থান; বিদ্যুৎ সরবরাহ ও জ্বালানি নিরাপত্তা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বইমেলা জেলার বাইরে উপজেলা পর্যায়ে নিতে বলেছেন। পর্যটন শিল্পের জন্য যা যা করা প্রয়োজন সে নির্দেশনা দিয়েছেন।

সংসদ কার্যক্রমে সহযোগিতা
সংসদ কার্যক্রমে আমরা যেন সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করি। বিশেষ করে প্রশ্নেত্তর পর্বে। প্রশ্নেত্তর লেখা বা সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর যেন যথাযথভাবে উপস্থাপন করি। যেদিন যে মন্ত্রণালয়ের প্রশ্নোত্তর থাকবে সেদিন যেন ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সংসদে উপস্থিত থাকেন। কর্মকর্তাদের সংসদ কার্যাবিধি সম্পর্কে অবহিত হতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

ইশতেহার বাস্তবায়নের নির্দেশনা
১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটার ধারাবাহিকতায় এবার ইশতেহার দিয়েছেন। ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ করতে যাচ্ছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের। তারই ধারাবাহিকতা রয়েছে। জনগণ রায় দিয়েছে, দল নির্বাচিত হয়েছে, সরকার গঠন করেছেন, তাই নির্বাচনী ইশতেহারটাই হবে ৫ বছরে সরকার পরিচালনার মূল নীতির দলিল। এই দলিল বাস্তবায়নের জন্য উনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

ইশতেহার বাস্তবায়ন সমন্বয়ের দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ করবে। নির্বাচনী ইশতেহারে ১১টি অগ্রাধিকার কার্যক্রম আছে, ৩০০টির বেশি অঙ্গীকার আছে, সেগুলো ম্যাপিং করা হবে। এরপর কোন মন্ত্রণালয়ের কি কাজ সেটি চিহ্নিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সেই কাজগুলো করবে। কাজগুলো যাতে ঠিকমত মনিটর করা হয় সেজন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, সিটিজেন চার্টার, রাইট টু ইনফরমেশন এবং সুশাসনের যেসব টুলস আছে সেখানে নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকারগুলো ইন্ডিগেট করতে বলা হয়েছে, যাতে করে বাৎসরিকভিত্তিতে মনিটরিং করতে সুবিধা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ‘শক্ত ব্যবস্থা’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উনি (প্রধানমন্ত্রী) নজরদারি করতে বলেছেন। নজরদারির ক্ষেত্রে উনি একটা সুনির্দিষ্ট এরিয়ার কথা বলেছেন যে, অনেক সময় আমাদের দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে, নিউজ আসে। এটির ক্ষেত্রে উনি সংশ্লিষ্ট সকলেকে খুবই শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন যেন এটি কোথাও না হয়।

আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে বলেছেন। বিশেষ করে ছিনতাই, কিশোরগ্যাং বা এ রকম যে সব অপরাধ হচ্ছে সেক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নজর দিতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করবেন- প্রকল্পে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে কি না?
প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা ও বাছাইয়ের কথা বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে প্রকল্পগুলো জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে, জনগণ উপকার পাবে সেদিকে উনি মনোযোগ দিতে বলেছেন। উনি বলেছেন যে উনার মূল লক্ষ্য হলো জনমানুষের অবস্থার উন্নতি। এরকম নয় যে মানুষকে দেখানো। জনমানুষের কল্যাণ হচ্ছে কি না, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে কি না- এটি উনি জিজ্ঞাসা করবেন প্রকল্প উপস্থাপনের সময়, জানতে চাইবেন যে কীভাবে এটি জনগণকে বেনিফিট দেবে। সেভাবে যেন প্রকল্পগুলো বাছাই করি। চলমান যে প্রকল্পগুলো আছে সেগুলো তিনি দ্রুত শেষ করার নির্দেশা দিয়েছেন।

মূদ্রাস্ফীতি নিয়ে নির্দেশনা
উনি মূদ্রাস্ফীতির কথা বলেছেন। মূদ্রাস্ফীতি আমাদের জিডিবি গ্রথের নিচে থাকতে হবে। সেটি করার জন্য উনি কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

আয়করের আওতা বাড়ানোর নির্দেশ
একটা বড় নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উনি বলেছেন যে এখনও বিরাট সংখ্যক ব্যক্তি যাদের আয়কর দেওয়ার কথা তারা আয়করের আওতায় আসেনি। তাদের যেন আয়করের আওতায় আনা হয় সেজন্য জোরালো নির্দেশ দিয়েছেন।

বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হলে ‘ভালোভাবে নেবেন না’
বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অহেতুক যেন তারা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন। বিনিয়োগ আসতে কোনো জটিলতা হলে তার নজরে যেন নেওয়া হয়। উনি ভালো চোখে দেখবেন না কোনো কারণে যদি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়, উনি ভালোভাবে নেবেন না।

পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি হলে শক্ত ব্যবস্থা
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উনি (প্রধানমন্ত্রী) নজরদারি করতে বলেছেন। নজরদারির ক্ষেত্রে উনি একটা সুনির্দিষ্ট এরিয়ার কথা বলেছেন যে, অনেক সময় আমাদের দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে, নিউজ আসে। এটির ক্ষেত্রে উনি সংশ্লিষ্ট সকলেকে খুবই শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন যে এটি যেন কোথাও না হয়।

সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশ
সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অহেতুক যেন আমরা ব্যয় না করি। প্রত্যেক অর্থের পিছনে যেন ভেলু পাই।

কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি সুবিধা
আমরা গার্মেন্টেসের ক্ষেত্রে যে সুযোগ-সুবিধা পাই কৃষিজাত পণ্য, চামড়া এবং পাটজাত পণ্যে একই রকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্দেশনরা দিয়েছেন এবং কাজ করতে বলেছেন। গার্মেন্টেসের ক্ষেত্রে একটা বড় অংশ আমদানি করতে হয়। একটা বড় অংশ চলে যায় আমদানির ক্ষেত্রে। এই তিন পণ্যে আমাদের স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল আছে। সুতরাং এখানে ভেলু অ্যাড অনেক বেশি হবে।

নতুন বাজার
রপ্তানি বাজারের ক্ষেত্রে নতুন বাজার খুঁজতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপ, পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকায় যেন বাজার খুঁজি, বিশেষ করে ওষুধ, পোশাক, খাদ্য, কৃষিজাত পণ্য, পাটজাতপণ্যের। এক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে যেন সহায়তা দেওয়া হয়। খাদ্য উৎপাদনে নজর দিতে বলেছেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ব্যবহারের সাশ্রয়ী হতে হবে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বলেছেন। বিশেষ করে সেচ মৌসুমে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে বলেছেন। কোনোভাবে যেন সেচ মৌসুম বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন। সেচের ক্ষেত্রে সোলার এনার্জি ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন। ব্লু-ইকোনমির জন্য সামুদ্রিক যে ব্লক আছে সেখানে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বলেছেন।

কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব
কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছেন। এখন যে প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলোর যেন সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়, কোয়ালিটি প্রশিক্ষণ হয়। সার্ভিস সেক্টরে প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। আমাদের যে পর্যটন আছে শুধু বাংলাদেশে না, সারা বিশ্বেই প্রশিক্ষিত জনবল দরকার। সেজন্য উনি বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলেছেন।

উন্নয়নের যেন ধারাবাহিকতা থাকে
ইতোমধ্যে উনি যে উন্নয়ন করেছেন সেটির যেন ধারাবাহিকতা থাকে। সাসটেইন থাকে। এটির দিকে খেয়াল রেখে নতুন প্রকল্প বা কার্যক্রম নিতে বলেছেন। ইতোমধ্যে যেগুলো করেছেন সেগুলো যেন হারিয়ে না যায়।

শূন্য পদ পূরণ ও পদোন্নতি
শূন্য পদ পূরণের জন্য উদ্যোগ নিতে বলেছেন এবং সময়মতো পদোন্নতির জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আশ্রয়ণ প্রকল্পে যারা আছেন প্রয়োজনে তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলেছেন।

তিন ফসলি জমি যেন নষ্ট না হয়
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত রাখার জন্য বলেছেন। এখন যে ক্যাপাসিটি আছে তা বৃদ্ধির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। খাদ্য সংরক্ষণ ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের ক্ষেত্রেও সুবিধা দেওয়ার জন্য বলেছেন। তিন ফসলি জমি যেন কোনো অবস্থাতেই নষ্ট না হয়। সেখানে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা যাবে না।

জলাধার ভরাট নয়
জলাধার ভরাট করা যাবে না। জলাধার অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো অস্থাতেই নদীর ধারাবাহিকতা বা প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। সেচের ক্ষেত্রে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন শুধু দুদকের দায়িত্ব নয়
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্সের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এও বলেছেন যে দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব শুধু দুদকের নয়। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও সচিবদেরও দায়িত্ব আছে দুর্নীতি নিরসন, লাঘব করার জন্য যে সার্ভিস পয়েন্ট আছে সেখানে নজরদারির জন্য। যে প্রক্রিয়া নেওয়া যায় সে প্রক্রিয়া নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

নতুন শিক্ষাক্রমে ভুলভ্রান্তি থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা
নতুন পাঠ্যক্রমের বিষয়ে কিছু বলা হয়েছে কি না- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন যে শিক্ষাক্রম নেওয়া হয়েছে তা প্রচলিত শিক্ষাক্রম নয়। তা থেকে ভিন্ন একটা। এই বাস্তবতা আমাদেরকে মানতে হবে। আমরা যারা বিশেষজ্ঞ তারা প্রচলিত পাঠ্যক্রমে শিক্ষা পেয়েছি। নতুন যে পাঠ্যক্রম রচনা করতে হবে সে ব্যাপারে প্রশিক্ষত লোক খুব বেশি আছে তা কিন্তু নয়। যারা আছেন, তাদের কাজ হচ্ছে- উনি বলেছেন, যদি কোনো ভুল ভ্রান্তি, যদি কোনো তথ্যগত বা কোনো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাহলে দ্রুত যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উনি বলেছেন, কোনো বিলম্ব হবে না। কোনো গ্যাপ তৈরি হলে যেন যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছেন।

১৬টি আইন অগ্রাধিকার
উনি নির্দেশনা দিয়েছেন, গত সংসদে যে আইন পাস হয়নি সেগুলো দ্রুত মন্ত্রিসভায় এনে যেন সংসদে পাঠাই। সামরিক আমলে ১৬৬টি আইনের বিকল্প আইন করার জন্য উচ্চ আদালত থেকে বলা হয়েছিল, সেখানে ১৬টি আইন বাকি আছে। এ ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিয়ে যেন কাজ করি সে নির্দেশনা দিয়েছেন।

৭০ দিন নামাজ পড়ে পুরস্কৃত হলো ৫শিশু

জাতীয়, 18 January 2023, 1396 Views,

কুমিল্লা প্রতিনিধি :
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে টানা ৭০ দিন মসজিদে নামাজ পড়ে পুরুস্কৃত হয়েছেন ৫ জন শিশু। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফেলনা পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে আয়োজিত তাফসির মাহফিল শেষে পুরস্কার বিজয়ী শিশুদের হাতে ক্রেষ্ট, পাঞ্জাবীর কাপড় এবং পবিত্র কোরআন শরিফ তুলে দেন প্রধান বক্তা মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমেদ। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলো; মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ মাহফুজ, মোঃ শিহাব আল ফারেছ, মারুফ হোসেন শ্রাবন, মোহাম্মদ সামির। তারা সবাই ফেলনা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার অধিবাসী।

banner

মসজিদ এবং আয়োজক কমিটির সদস্য ইতালী প্রবাসী আলী আক্কাছ জানান, এলাকার শিশুদের নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। ভবিষ্যতে টানা ৪৫দিন জামায়াতে নামাজ আদায়ের কর্মসূচীও নেয়া হবে। জামায়াতে নামাজ আদায়কারী শিশুদের আরও ভালোভাবে পুরস্কৃত করা হবে।

তাফসির মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কুরআন গবেষনা পরিষদের সহ-সভাপতি ক্বারী শাহজাহান সাঈদী, বয়োজৈষ্ঠ্য আলেম মৌলভী আবদুল ওয়াদুদ, লাকসাম ধানবাজার জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মীর মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, ফেলনা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মহিউদ্দিন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাফেজ বদিউল আলম, মৌলভী আহসান উল্লাহ, আলী আক্কাছ, ইমাম হোসাইন, মোঃ আজিম, হাফেজ মর্তুজা মজুমদার প্রমুখ।

আজ বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 15 October 2023, 1841 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আজ বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস। সাদাছড়ি বহনকারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিরাপদে পথ চলতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।

banner

এবারের সাদাছড়ি দিবসের স্লোগান হিসেবে ঠিক করা হয়েছে- ‘দৃষ্টিজয়ে ব্যবহার করি, প্রযুক্তিনির্ভর সাদাছড়ি’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ও সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাদাছড়ি বিতরণ, আলোচনা সভা ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের হিসাবমতে, বিশ্বে ২৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষ পুরোপুরি ও আংশিকভাবে চোখে দেখে না। এসব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ চলাচলের জন্য হাতে সাদাছড়ি ব্যবহার করে। যাতে যারা চোখে দেখে তারা তাদের চলাচলে সহযোগিতা করে। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য এই দিবসটি পালন শুরু হয়।