চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাচ্যুত বা পড়ে যাওয়ার কোন শঙ্কা নেই। আমরা বেশ মজবুতভাবেই আছি। তবে দেশি বিদেশি চক্রান্ত আছে। তিনি বলেন, আমরা আগে দেখতাম বিএনপি তিন বেলা সরকার পতন করতো। এখন এক বেলা সরকার পতনের কথা বলে।
আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের (সরকারের) ট্যাকনিক্যাল ভুল থাকতে পারে। তবে জ্ঞানত কোনো অন্যায় করিনি। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। আন্দোলনটা কোটায় নেই। সেটা কোন দিকে গেছে সবাই দেখেছে। ইংরেজিতে আন্দোলনের ভাষা কেন? টোটাল সাটডাউন, কমপ্লিট সাটডাউন নামে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। তার মানে বুঝতে হবে বিদেশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এটা করা হচ্ছে। এতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে।
তিনি বলেন, এক ভদ্রলোক ভারতে বসে বলেছেন আপনারা হস্তক্ষেপ করেন এবং নির্বাচন দেয়ার ব্যবস্থা করেন। তখন সেখানে ভারতীয় সাংবাদিকরা বলেছেন, আপনার এ কথাটা ভারতে বসে বলা ঠিক হয়নি। নিজের দেশের সমস্যা বাইরের দুনিয়াকে বলি না আমরা।
তিনি বিদেশী শক্তির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ইসরাইল আমাদের বলেছিল, যে আমরা যদি শুধু অনুরোধ করি তাহলে শেখ মুজিবের হত্যাকারীরা কে কোথায় আছে তাদেরকে একদিনে সাবার করে দিবো। তখন আমরা বলেছি যে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে কোথাও যাব না।
বিএনপির সরকার উৎখাত প্রসঙ্গ টেনে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, তারা তো সরকার প্রতিদিনই উৎখাত করেন। গত ২০১৪ সালের পর থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ তার বন্ধুরা প্রতিদিন একবার করে সরকার উৎখাত করেন। মাঝে মাঝে তিন বেলা সরকার উৎখাত করেন তারা। একবার ফখরুল ইসলাম আলমগীর, একবার আমির খসরু আরেকবার রিজভি সাহেব। তারা প্রতিদিনই সরকার পতন করছেন। এটা চলতেই থাকবে।
এবার আন্দোলনের সময় বলা হয়েছে, হাসিনাকে নিয়ে হেলিকপ্টার চলে গেছে। এখন আপনারাই দেখেন হাসিনা কোথায় আছে। এত দরদী মানুষ বাংলাদেশে আছে তারা তো কেউ হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের দেখেনি। শেখ হাসিনা হাসপাতালে যাচ্ছেন রোগীদের দেখছেন। এখানে পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হলে তো মির্জা ফখরুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে দেখার তার দায়িত্ব ছিল। যারা বিবৃতি দিয়েছিলো তাদেরও দায়িত্ব ছিল।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কিছুই হবেনা, সরকার থাকবে। আমরা যথেষ্ট মজবুত ভাবেই আছি। আমরা আমাদের স্বাভাবিক কাজ করে যাচ্ছি, শেখ হাসিনাও স্বাভাবিক কাজ করে যাচ্ছেন। কোটা আন্দোলন নিয়ে তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোন ধরনের সহিংসতা না হওয়ায় তিনি জেলাবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সোনালী কাবিনের কবি খ্যাত আল মাহমুদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী স্মরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার মৌড়াইল কবরস্থানে কবি আল মাহমুদের কবর জিয়ারত ও দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু হয়। এ দোয়া অনুষ্ঠানে কবি পরিবারের সদস্য, ভক্ত কবি-সাহিত্যিক ও কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতিপরিষদের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন অংশ নেয়। তিন দিনব্যাপী চলবে স্মৃতি পরিষদের স্মরণোৎসব।
শনিবার বিকেলে স্মরণ উৎসবের প্রথমদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মরণ উৎসব উদ্বোধন করেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ. জেড. এম. আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও গবেষক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খাদেম, কবি মনসুর আজিজ, কবি তাজ ইসলাম, কবি রহমান মজিদ, কবি সাদমান শাহিদ। বিশেষ আলোচক ছিলেন কবি ও গবেষক ইমরান মাহফুজ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খান সাদত। কবির এ স্মরণ উৎসবে অংশ নেন কবির ছেলে মীর মোহাম্মদ মনির, মীর মোহাম্মদ আনিস ও বড় মেয়ে আতিয়া আমির, ছোট মেয়ে ফাতেমা মীরজিমি এবং তাদের ছেলে-মেয়েরাও অংশ নিয়েছেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সোনালি কাবিন আল মাহমুদের অমর সৃষ্টি। আর এটি বাংলা সাহিত্যে অনন্য সংযোজন। তারা বলেন, আল মাহমুদ শেকড় সন্ধানী কবি। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি একাধারে ভাষা সৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা। অথচ বিগত সময়ে তার উপর অনেক অবহেলা করা হয়েছে। তার মৃত লাশের সাথে রাজনীতি করা হয়েছে। তারা বলেন, একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আল মাহমুদকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আল মাহমুদকে পাঠ করতে হবে। তাকে ধারণ করতে হবে। বর্তমান প্রজন্মের উচিৎ আল মাহমুদকে বেশি বেশি করে চর্চা করা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইডি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান। আজ ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, ৮৩ জনের মধ্যে ৭৯জনের চাকরি হয়েছে মেধার ভিত্তিতে এবং ৪ জনের চাকরি হয়েছে কৌটার ভিত্তিতে। কৌটার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া ৪জন হলেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, আপনাদেও মাধ্যমে আমি জনগনকে এই ম্যাসেজ দিতে চাই, কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কাউকে টাকা দিতে হয়েছে এমন কোন অভিযোগ নেই। তবু নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কারো বিরুদ্ধে যদি কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজনৈতিক মামলায় হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে আমি অবগত আছি। কেউ যদি মনে করেন তাকে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে, কাউকে অযথা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বা অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে তাহলে তথ্য প্রমাণসহ পুলিশের কাছে দারস্থ হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রয়োজনে ওই ব্যক্তি আমার কাছে আসতে পারেন। পুলিশ অযথা কাউকে হয়রানি করবেনা। ইতিমধ্যে ৫/৬ জনের আবেদন পেয়েছি এবং সে ব্যাপারে যথাযথ সমাধান দিয়েছি। তিনি বলেন, কারো বিষয়ে কোন অভিযোগ থাকলে বা সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে আমাকে স্পেসেপিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) মোঃ জয়নাল আবেদিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের নব-নির্বাচিত সভাপতি আল-আমীন শাহীন। প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রেনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাতনামা (৮৫) এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাসপাতাল ও পুলিশের তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি নজরুল নামের একব্যক্তি অজ্ঞাত বৃদ্ধকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। প্রায়ই ১০ দিন চিকিৎসার পর ওই অজ্ঞাত বৃদ্ধ বুধবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত বৃদ্ধ মারা গেছে। বৃদ্ধের পরিবারের কোনো খোঁজখবর মেলেনি।
তিনি আরো জানান, ওই বৃদ্ধের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে। অজ্ঞাত বৃদ্ধের পরিচয় শনাক্ত না হলে লাশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর দাফন করবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা এতে বাসুদেব ইউনিয়ন শাখার ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠন ও অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি’র সদর উপজেলা শাখা কমিটির আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন ও সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর হোসেনের দলীয় তিনটি প্যাডে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি অনুমোদনে স্বাক্ষর দেওয়া হয়।
বাসুদেব ইউনিয়ন কমিটিতে কাজী আবুল খায়েরকে সভাপতি, মোঃ মুহিত উল্লাহ মোল্লা মানিক কে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মোঃ জয়নাল আবেদিন ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক, মোঃ মুহিউদ্দিন ভূঁইয়া মুক্তাকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোঃ সুমন ভূঁইয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক (১) ও মোঃ কামাল খাঁনকে সাংগঠনিক সম্পাদক (২) মনোনীত করা হয়।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন। তিনি আশা করেন সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এই বাসুদেব ইউনিয়ন কমিটি কেন্দ্র এবং জেলা সদর কমিটির সাথে সমন্বয় রেখে বিএনপি’র সকল কর্মসূচিকে বেগবান করে তুলবেন।
বাসুদেব ইউনিয়ন বিএনপিকে একটি যোগ্য নেতৃত্ব এবং শক্তিশালী গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দেওয়ায় নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল, আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন ভাই ও সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন কে ধন্যবাদ জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
উগ্রবাদ প্রতিরোধে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে ও জেলা পুলিশের সহায়তায় উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম ও উগ্রবাদ দমনে স্পষ্ট ধারনা বিষয়ক তিনদিনব্যাপী সেমিনার শুরু হয়েছে।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনদিন ব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “উগ্রবাদ প্রতিরোধে আইন-শৃংখলা বাহিনীর করনীয় শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শহীদুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএমপির সোয়াট কমান্ডার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, সাধারণ মানুষ কখনো উগ্রবাদে জড়ায়না। যারা উচ্চ পর্যায়ের লোকজন এবং অতি মেধাবী তারাই এই সকল কাজে যোগ দেন। আমরা সবাই একে অপরের প্রতি এবং আমাদের সমাজের প্রতি খেয়াল রাখবো। আমরা যদি সবাই এক থাকি তাহলে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কখনোই জঙ্গীবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। আমরা আগামী ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা অর্জন করব।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জঙ্গীবাদের প্রতি বর্তমান সরকারের যে জিরো ট্রলারেন্স আমরা আইন-শৃংখলা বাহিনী তা বাস্তবায়ন করবো। জিরো ট্রলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করে এখন আমরা অনেকটা সফল। বাংলাদেশ এখন অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত। আমরা জঙ্গীবাদ দেখতে চাই না। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চাই। সে জন্য জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐকবদ্ধ হয়ে সচেতন থাকতে হবে।
দিনব্যাপী সেমিনারে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জগণ, আনসার ও জেলা কারাগারের কর্মকর্তা ও কারারক্ষীগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনদিন ব্যাপী সেমিনারের দ্বিতীয় দিন বুধবার প্রথম পর্বে সকাল সাড়ে ৯টায় উগ্রবাদ প্রতিরোধে আলেম সমাজের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, খতিব, মোয়াজ্জেম ও মাদ্রাসার শিক্ষকগণ উপস্থিত থাকবেন। দ্বিতীয় পর্বে দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠিতব্য উগ্রবাদ প্রতিরোধে শিক্ষক/ শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে জেলার গণমাধ্যম কর্মী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের নাগরিকগণ উপস্থিত থাকবেন।
সেমিনারের শেষ দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিতব্য “উগ্রবাদ প্রতিরোধে আইন-শৃংখলা বাহিনীর করনীয় শীর্ষক সেমিনারে জেলায় কর্মরত চৌকিদার ও দফাদার এবং দ্বিতীয় পর্বে বেলা ১২টায় অনুষ্ঠিতব্য “উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে জেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ উপস্থিত থাকবেন।