অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হামলা, সংঘাত ও সংঘর্ষের প্রতিটি ঘটনার তদন্তে আবারও জাতিসংঘ (ইউএন) ও অন্যান্য দেশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাদের দক্ষতার মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই প্রত্যেকটি জিনিসের তদন্ত হোক। কারণ, এর পেছনে কী কীভাবে, কী কী ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্তে বেরিয়ে আসুক। আমি জাতিসংঘের কাছেও আবেদন করেছি, তারা যেন তাদের বিশেষজ্ঞ পাঠায়, অন্য কোনো দেশ যদি চায়, তারাও যেন বিশেষজ্ঞ পাঠায়। কারণ, আমি চাই এই ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে–ই দায়ী থাক, আমাদের তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথাগুলো বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষক লীগ (বিকেএল) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সাম্প্রতিক সহিংসতায় বহু মানুষের প্রাণহানি ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের আড়ালে জঙ্গিরা তাদের হিংসার দাঁত দেখিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর সহ্য করা হবে না। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য দেশব্যাপী তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গড়ব আর তারা সব ধ্বংস করে, লন্ডভন্ড করে দেবে, আমার দেশের মানুষকে কষ্ট দেবে, মানুষ ভুক্তভোগী হবে, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা, এটাই তো আমি দেখি তাদের সব থেকে বড় জিনিস।’
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই বলে নিজের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান হবে না।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন, জামায়াত ও শিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে এবং নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘সবাইকে এ লক্ষ্যে সতর্ক থাকতে হবে এবং আমি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন ধ্বংসস্তূপে রূপ নেওয়ার আগে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদের সঙ্গে সহনশীল আচরণ করেছে। তারা মিছিল করে যেখানে যেতে চেয়েছে, তাদের সেখানে যেতে দিয়েছে। তিনি নিজেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদরত শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ওপর সরকারি সংস্থার হামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকায় যেভাবে মেরেধরে শিক্ষকদের রাস্তার ওপর ফেলে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে হার্ডলাইনে গিয়ে আন্দোলন দমন করেছিল, তাঁর সরকার সে পথে যায়নি এবং শক্তিও প্রয়োগ করেনি; বরং তাদের দাবি মেনে নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশব্যাপী মিথ্যা অপপ্রচার সমানে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি ক্ষমতায় থেকে মানুষের জীবন নেব, সেটা তো কখনো হতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারপরও আজ বাংলাদেশে এতগুলো প্রাণ যে ঝরে গেল, এর দায়দায়িত্ব কার? একটা জিনিস গেলে আবার গড়ে তোলা যায়, কিন্তু জীবন গেলে তো আর ফিরে পাওয়া যায় না।’
এ জন্যই আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানের পাশাপাশি ঘটনাগুলোর তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট বিচার বিভাগীয় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুর নাহার লাইলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদ ও সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় অস্ত্র-গুলিসহ সোহাগ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৬০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আজ ৫ মে শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার মো. সোহাগ (৩৯) সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আহাম্মদ কোতোয়ালী মোরশেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে দৌলতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় সাদা রঙের একটি শপিং ব্যাগ থেকে দেশীয় রিভলভার, ২ রাউন্ড গুলি ও ৬০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে থানায় মামলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
শিরায় রক্ত জমাট বাড়াচ্ছে মৃত্যু ঝুঁকি। এক্ষেত্রে একটানা দীর্ঘ সময় শুয়ে বসে থাকা, অস্ত্রোপচার, শিরায় আঘাত, ক্যানসার, স্থূলতা, ধূমপান ও বেশকিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (ডিভিটি) হয়ে এই ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর কল্যাণপুরে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত ‘শিরা ব্লক’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান।
সেমিনারে ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাকাল্টি ছিলেন- আমেরিকান ভাসকুলার সার্জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম. আবিদুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন ইবনে সিনা ট্রাস্টের মেম্বার এডমিন অধ্যাপক ড. একেএম সদরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম বীর প্রতীক, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম।
সেমিনারে শিরা ব্লকজনিত পা ফোলা রোগের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলেজের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জিএম মকবুল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এম মহিবুল আজিজ। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. একেএম জিয়াউল হক ও সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. নাজমুল হাসান।
এ সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, নানা কারণে শরীরে এক বা একাধিক গভীর শিরায় রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। যেমন- দীর্ঘ ফ্লাইট বা বিছানায় বিশ্রামের সময় এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। জেনেটিক এবং পারিবারিক ইতিহাস থাকলে রোগটিতে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা না করলে ওই জমাট বাঁধা রক্ত ফুসফুসে জমা হয়ে প্রাণঘাতী পালমোনারি এমবোলিজম হতে পারে। পালমোনারি এমবোলিজম হল ফুসফুসে রক্তের জমাট বাঁধা, যা শরীরের অন্য অংশে যেমন- বাহু বা পায়ে জমাট বেঁধে রক্তপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যায় এবং ফুসফুসের রক্তনালীতে জমা হয়। যা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, ডিভিটি অথবা শিরা ব্লক প্রতিরোধে প্রাথমিক পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চলা, নিয়মিত কিছু সময় হাটাহাটি করা বা সক্রিয় থাকা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা দাঁড়ানো এড়ানো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে এই রোগের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।
চলারপথে ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলেই উন্নয়ন হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষকে উপহার দেয় উন্নয়ন। আমরা আজ শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। আমরা নতুন নতুন স্কুল করেছি। ২৬ হাজার নতুন প্রাইমারি স্কুল সরকারীকরণ করেছি। আজ আমাদের সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ।
আজ ১১ মার্চ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ময়মনসিংহে চারটি সিনেমা হলে বোমা হামলা হয়। তখন অনেক মানুষ মারা যায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওদের ক্ষমতায় থাকা মানেই দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই ময়মনসিংহকে বিভাগ করে দিয়েছি। প্রতিটি বিভাগের মতো এ বিভাগে ময়মনসিংহে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে, একটি পৃথক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবো। আমরা অনেক কিছু করতে পারতাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে অনেক কিছু সম্ভব হয়নি।’
দেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত আছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০০১ সালে আমরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করি, তখনো ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রেখে গেছি। ২০০১ সালে আসলো লুটেরা, সন্ত্রাসীর দল বিএনপি। তারা আবার বাংলাদেশকে খাদ্যে ঘাটতির দেশে পরিণত করে। ২০০৯ সালে আবার যখন সরকার গঠন করি, তখন দেখি সেই ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। আল্লাহর রহমতে দেশে এখন আর খাদ্য ঘাটতি নেই। ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য এখন মজুত আছে।’
আমিষের উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আবাদি জমির পাশাপাশি আমাদের জলাভূমিকেও ব্যবহার করতে হবে। মাছ চাষের মাধ্যমে জলাভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
যুবসমাজকে উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দেশের যুবসমাজকে উন্নয়নের অংশীদার হতে হবে। আমরা যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও ঋণের ব্যবস্থা করেছি। যুবকরা এসব সুযোগ নেওয়ার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরও মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটাই লক্ষ্য—আমার বাবা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য তা বাস্তবায়ন করা।’
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার মাসে ময়মনসিংহে আমি আপনাদের জন্য কিছু উপহার নিয়ে এসেছি। এসময় উদ্বোধন করা ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প পড়ে শুনিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাসে ৭৩টি প্রকল্প উদ্বোধন করে দিয়ে গেলাম, সেগুলো স্বযত্নে রাখবেন। এরপর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা ৩০টি প্রকল্প পড়ে শুনিয়ে বলেন, এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
এর আগে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে জনসভাস্থল সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে একযোগে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৩০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্যে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং প্রায় দুই হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সরকারপ্রধান। দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে জনসভা মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৩টায় প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহেতাশেমুল আলমের সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মির্জা আজম এমপি, শফিউল আজম চৌধুরী নাদেল প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ দলে দলে আসতে থাকেন। দুপুর ১২টার দিকে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠ। প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় জনসভাস্থল। সকাল থেকে সড়কজুড়ে নাচ-গান আর বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে জনসভায় যোগ দেন নেতাকর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকার কেরানীগঞ্জে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টিকুমড়া দিয়ে ভেজাল হারবাল ঔষধ তৈরির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। এ অপরাধে তৃপ্তি আয়ুর্বেদিক দাওয়াখানা নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে উপজেলার কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মনিজা খাতুন। অভিযানে সহায়তা করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে তৃপ্তি হারবাল কারখানায় পোড়া তেল, নষ্ট শিরা ও পচা-বাসি মিষ্টিকুমড়া পাওয়া যায়। অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশে কারখানাটিতে তৈরি হচ্ছিল আয়ুর্বেদিক ঔষধ।
নির্বাহী হাকিম মনিজা খাতুন বলেন, কেরানীগঞ্জে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হারবাল ওষুধ তৈরীর অপরাধে ও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায়, কারখানা মালিক শামীম হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভেজালবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল ৮৩ কেজি গাঁজা ও একটি পিকআপসহ রকিব (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
৩০ আগস্ট শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া এলাকার ইটাখোলা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব সূত্র জানায়, একজন মাদক ব্যবসায়ী পিকআপে করে গাঁজা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল থেকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে র্যাবের দলটি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া ইটাখোলা মোড়ের কাছে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের ওপর তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে একটি পিকআপ বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। র্যাবের দলটি সংকেত দিয়ে পিকআপটি থামায়। এ সময় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি পিকআপ থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব তাকে আটক করে। পরে পিকআপ তল্লাশি করে গাড়ির পিছনের বডির উপরে একটি বক্সের ভিতর থেকে ৮৩ কেজি গাঁজা এবং আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে দুটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার নাম রকিব বলে জানান।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রকিব পিকআপে করে গাঁজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর এলাকা থেকে পাইকারি বিক্রির জন্য ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।