অনলাইন ডেস্ক :
মোবাইল ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আবারও চালু হয়েছে। আজ ২ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পর ফেসবুক ও মেসেঞ্জার সচল হতে শুরু করেছে। তবে তা সবার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে। এর আগে দুপুর থেকে মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পাচ্ছিলেন না গ্রাহকরা।
তবে বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানায়নি সংশ্লিষ্টরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-সংঘাতে নিহত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে আজ শুক্রবার গণমিছিল কর্মসূচি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচি সামনে রেখে গুজব এড়াতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে আজ বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ঠেকাতে ব্যর্থ এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহতের বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার সব দায়ভার আমার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। দীর্ঘদিন পর ২৮ জুলাই রবিবার বিকেল ৩টার দিকে ফোরজি সেবা চালু হয়।
এর আগে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবার রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়।
৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী। ই-মেইলে ব্যাখ্যা দেয় ইউটিউব। ব্যাখ্যা দিয়েছিল টিকটকও। এরপর খুলে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।
অনলাইন ডেস্ক :
সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের নির্বাচনী দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
২২ নভেম্বর বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত দুটি চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর বিধান অনুসরণ’ এবং ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান’ সংক্রান্ত চিঠি দুটি পাঠানো হয়।
প্রথম চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি (২০২৪) অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও সম্পাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে এবং ওই দায়িত্ব পালনে কোনোরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর বিধানাবলির প্রতি সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। ওই আইনের ৪ ধারায় নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি এবং ৫ ধারায় শৃঙ্খলামূলক বিধানাবলি বিধৃত রয়েছে।
‘নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক বা যে কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ২(ঘ) ধারায় বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে গণ্য হবেন এবং তিনি ওই দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দায়ী থাকবেন। এরূপ দায়িত্ব ও কর্তব্যে নিযুক্তির জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কোনো আনুষ্ঠানিক নিয়োগপত্র নাও থাকতে পারে। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনে অনীহা, অসহযোগিতা, শৈথিল্য, ভুল তথ্য প্রদান ইত্যাদির জন্য অসদাচরণের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা যাবে এবং শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’
চিঠিতে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান সম্পর্কে সজাগ থেকে অর্পিত নির্বাচনী দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে যথাযথভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়।
দ্বিতীয় চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করা সবার জাতীয় দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।
নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হতে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগ করার প্রয়োজন হবে। সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য হতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে এবং প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা প্রয়োজন হবে।
‘নির্বাচন কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। অতীতেও তারা নির্বাচনের কাজে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা সহযোগিতা প্রদান করেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩ নং আইন) রয়েছে। এতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তার ওই নিয়োগের তারিখ থেকে নির্বাচনী দায়িত্ব অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন। প্রেষণে চাকরিরত থাকাকালে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এবং ক্ষেত্রমতে রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং তিনি তার যাবতীয় আইনানুগ আদেশ বা নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকবেন। প্রেষণে চাকরিরত থাকাকালে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব প্রাধান্য পাবে।
এমতাবস্থায় সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রিটার্নিং অফিসারের যে কোনো নির্দেশ জরুরি ভিত্তিতে পালন করার নিশ্চয়তা বিধান করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ও অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান সরকারের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সবার একটি আবশ্যিক পালনীয় দায়িত্ব। এ ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৪৪ক অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচনী সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া ওই অনুচ্ছেদে বর্ণিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না।
চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো-
১. আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজে অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে পালন করে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদান করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থা হতে তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবিলম্বে নির্দেশ প্রদান।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিও অনুরূপ নির্দেশ জারি করা।
৩. নির্বাচন পরিচালনার কাজ অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থাসমূহকে তাদের যে সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচনের কাজে জড়িত আছেন, নির্বাচনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ছুটি প্রদান বা অন্যত্র বদলি করা অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো দায়িত্ব প্রদান হতে বিরত থাকা।
চিঠিতে উল্লিখিত নির্দেশনা জারিসহ আনুষঙ্গিক কার্যাদি সম্পন্ন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীর রায়েরবাজারের বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে গিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হন দু’জন জাপানি পর্যটক। তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় জাপানি ইয়েন, টাকা, আইফোন, ক্রেডিট কার্ড। এরপর লুণ্ঠিত অর্থ নিয়ে দুই ছিনতাইকারী ‘ফুর্তি করতে’ যায় কক্সবাজার। পরে জলপ্রপাত দেখতে তারা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পৌঁছায়। সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো– জিহাদুল ইসলাম মামুন ও আবু রাসেল প্রত্যয়। এর আগে তাদের সহযোগী খায়রুল ইসলাম স্বপনকে মোহাম্মদপুর বোটঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক তাঁর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি জানান, গত ২৪ এপ্রিল দু’জন জাপানি নাগরিক শুক্রাবাদ এলাকার নন্দিনী হোটেলে ওঠেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে তারা রায়েরবাজারে বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে যান। আনুমানিক রাত ৯টার দিকে তারা কবরস্থান থেকে বের হতে চাইলে অজ্ঞাতপরিচয় তিন যুবক তাদের ভুল পথ দেখিয়ে ভেতরের দিকে নিয়ে যায়। এরপর অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ জাপানি মুদ্রা, বাংলাদেশি ২৮ হাজার টাকা, দু’টি আইফোন, দুটি ক্রেডিট কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলথ কার্ড, একটি পোর্টেবল হটস্পট ও একটি ব্লুটুথ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে কাউকে কিছু না জানিয়ে হোটেলে চলে যান ভুক্তভোগীরা। পরদিন তারা বিষয়টি হোটেলের ব্যবস্থাপককে জানালে তিনি মোহাম্মদপুর থানা অবহিত করেন।
উপকমিশনার জানান, ২৫ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হওয়ার পর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এ সময় আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত চক্রটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। প্রথমে ২৭ এপ্রিল মোহাম্মদপুর বোটঘাট এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত খাইরুল ইসলাম স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে রায়েরবাজার শুটকি আড়তের পেছনের কবরস্থানের দেয়াল সংলগ্ন মাঠ থেকে জাপানি নাগরিকের পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলথ কার্ড, দুটি ক্রেডিট কার্ড ও একটি পাসপোর্ট ছেঁড়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, অপর দুই ছিনতাইকারী কক্সবাজারে বেড়াতে গেছে। তখন পুলিশের একটি দল যায় কক্সবাজার। ততক্ষণে ছিনতাইকারীরা চলে যায় সীতাকুণ্ড। সেখান থেকে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া একটি আইফোন, ৩০ হাজার জাপানি ইয়েন, একটি পোর্টেবল হটস্পট ও একটি ব্লুটুথ উদ্ধার করা হয়।
উপকমিশনার বলেন, লুণ্ঠিত একটি আইফোন এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আর লুণ্ঠিত জাপানি ইয়েনের মধ্যে ৩০ হাজার উদ্ধার হলেও বাকিটা তারা টাকায় বদলে খরচ করে ফেলেছে। গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে আবু রাসেল প্রত্যয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনের একটিসহ মোট তিনটি মামলা আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল, সহকারী কমিশনার আজিজুল হক, মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান, তদন্তসংশ্লিষ্ট এসআই প্রদীপ কুমার সরকার, মো. নাজমুল ও মো. মাজেদুল।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে তাঁতের নলি তোলার মেশিনের মোটরের সঙ্গে শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে আলেয়া বেগম (২৫) নামের এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৯ মে সোমবার দুপুরে বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর নতুন পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলেয়া মবুপুর গ্রামের ভ্যানচালক গোলাম হোসেনের স্ত্রী।
ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য বরকতুল্লাহ জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে আলেয়া বেগম কল্যাণপুর গ্রামের হাজী আলীমের বাড়িতে সুতার ফ্যাক্টরিতে নলি তুলতে যান। কাজ করার এক পর্যায়ে আলেয়ার শাড়ির আঁচল মেশিনের মোটরের সঙ্গে পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্য হয়।
বেলকুচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, কল্যাণপুর গ্রামে নলি তোলার মেশিনের মোটরের সঙ্গে শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা দূরে সরিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট যথোপপযুক্ত হয়েছে বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘(বাজেট সম্পর্কে) কে কি বলছে তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার জন্য আমরা একটি উপযুক্ত বাজেট ঘোষণা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আজ ৩ জুন শনিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন (ঢাকা জেলা ও ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়) উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগরের হাজার হাজার উৎসাহী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী তাদের দলীয় প্রধানকে দেখতে সমবেত হওয়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি একটি মহাসমাবেশে পরিণত হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ আমাদের পক্ষে আছে। তাই, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
প্রায় ৭.৬২ লাখ কোটি টাকার এত বিশাল বাজেটের বাস্তবায়নে যারা শঙ্কিত, তাদের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বাজেট পাশের আগে কেউ কেউ বলেন, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব না। কিন্তু, আমরা প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান, এমপি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সূত্র : বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে হেরোইনের চালান নৌপথে ভারত থেকে আসে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ফাঁকি দিতে এসব মাদক বহনের জন্য ব্যবহার করা হয় নারীদের। এই চক্রে ১০-১২ নারী আছেন। তাঁরা প্রতি মাসে চার-পাঁচ কেজি হেরোইন নিয়ে আসেন। পরে তাঁরা বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম করে এই মাদক পাঠিয়ে দেন। প্রতিটি চালানের জন্য তাঁরা পান ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
হেরোইনের কারবারে জড়িত একটি চক্রের প্রধান শাকিবুর রহমানসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এসব তথ্য জানায় র্যাব। গ্রেফতার অপর দু’জন হলেন- তাঁর স্ত্রী সেলিনা খাতুন ওরফে শিরিনা ও সহযোগী রাজিয়া খাতুন। বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১২ যৌথভাবে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এবং নওগাঁয় এ অভিযান চালায়। এ সময় আনুমানিক সাড়ে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৫ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাধারণত চক্রের নারী সদস্যরাই হেরোইন বহন করে। তবে চালানের পরিমাণ বেশি হলে শাকিবুর নিজেও থাকতেন। এই চালানে তিন কেজির বেশি হেরোইন থাকায় তিনি বহনকারীদের সঙ্গে ছিলেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে শাকিবুর জানান, তাঁর নওগাঁর বাসায় আরও দুই কেজি হেরোইন আছে। এর পর সেখানে অভিযান চালিয়ে তার স্ত্রীর হেফাজতে থাকা দুই কেজি হেরোইন জব্দ করা হয়।
র্যাবের কমান্ডার জানান, গ্রেফতার শাকিব এর আগে চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে। দুই বছর ধরে তিনি মাদক কারবারে জড়িত। তিনি সীমান্ত থেকে সহযোগীদের মাধ্যমে হেরোইন সংগ্রহ করে প্রথমে নিজের বাড়িতে রাখতেন। পরে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময় যাত্রীবাহী বাস, লঞ্চ এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন। অর্থের লেনদেন হতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।
র্যাবের এ মুখপাত্র জানান, সেলিনা খাতুন তাঁর স্বামীর মাদক কারবারের সহযোগী। হেরোইনের একটি অংশ তিনি বাড়িতে নিজের হেফাজতে রাখতেন। আস্থাভাজন মাদক কারবারিদের বাড়ি থেকেই হেরোইন সরবরাহ করা হতো। আর রাজিয়া শাকিবুরের অন্যতম সহযোগী। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় হেরোইন সরবরাহ করতেন। তিনি অনেকবার শাকিবুরের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে হেরোইন সরবরাহ করেছেন। বৃহস্পতিবারও তাঁরা গাজীপুর ও সাভারের বিভিন্ন স্থানে হেরোইন সরবরাহের উদ্দেশ্যে নওগাঁ থেকে রওনা হন। পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তাঁদের গ্রেফতার করে র্যাব।