চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্বরোড় মোড়সহ আশপাশ এলাকা প্রদিক্ষণ করে। মহাসড়কের অবস্থান নেওয়ার কারনে উভয় পাশে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আন্দোলন চলাকালে যেকোন সহিংসতা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিজিবি।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেন। তবে আন্দোলন চলাকালে কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খল পরিবেশ এড়াতে পুলিশ তৎপর ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে যাওয়া মাত্রই সারাদেশে পাল্টে যায় দৃশ্য। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার সব দায়িত্ব ছেড়ে নিজেদের জীবন নিয়েই সংকটে পড়ে পুলিশ। এমন অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা পুলিশের পাশে থাকায় সরাইলবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পুলিশ।
গতকাল ৭ আগস্ট বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল আখন। সেখানে তিনি লেখেন, প্রিয় সরাইলবাসি, ধন্যবাদ তোমাদেরকে। সরাইল থানার প্রতিটা পুলিশ সারা জীবন মনে রাখবে তোমাদেরকে। আমরা চির কৃতজ্ঞ তোমাদের কাছে। ভালোবাসা অবিরাম সরাইলের প্রতিটা মানুষের প্রতি।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, সরাইল থানা আমাদের, পুলিশ এখানকার অতিথি, থানায় যাতে হামলা না হয় সে বিষয়ে আমরা ব্যাপক তৎপর ছিলাম। সরাইল থানায় কোনো হামলা হয়নি।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে ছাত্র-জনতাসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ। ওই আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন কয়েকশ মানুষ। পরে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব থানায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার সব দায়িত্ব ছেড়ে নিজেদের জীবন নিয়েই সংকটে পড়ে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হতে চান ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষনা করেন। সংবাদ সম্মেলন আশীষ কুমার চক্রবর্তী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
লিখিত বক্তব্যে ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ২০০২ সালে মিশন হাসপাতালে কাজ করার সময় থেকেই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিকসহ জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ি। বর্তমানে আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, ঢাকাস্থ ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনিভার্সেল মেডিকেল সার্ভিসেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ঢাকাস্থ সরাইল সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ আমার নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- (সরাইল-আশুগঞ্জ)সহ বিভিন্ন স্থানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করে আসছি।
মৌলবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তিতে বিজয়ানন্দ এবং বৈশাখী সংগীত উৎসব সহ সর্বশেষ ঢাকার বাইরে প্রথমবারের মতো ৭ মার্চের জয় বাংলা কনসার্ট ছিল দেশের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আরেক বিপ্লব। সেগুলোর প্রত্যেকটিতেই নেতৃত্ব দিয়েছি আমি।
তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমার বাড়ি সরাইলে উদযাপিত হয়ে আসছে আমার প্রয়াত বাবার নামে “আশুতোষ চক্রবর্তী স্মারক শিক্ষা বৃত্তি”। বৃত্তিটি এই অঞ্চলের – ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার প্রতি গভীর মনোযোগী হতে উৎসাহিত করেছে। এই বৃত্তিতে প্রতিবছরই সরাইল ও আশুগঞ্জের সেরা স্কুলগুলোর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন ক্রেস্ট, মেডেল, সার্টিফিকেট ও আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়।
ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাকে যোগ্য মনে করে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দিলে অবহেলিত এলাকার আমূল পরিবর্তন আসবে বলে বিশ্বাস করি। সকল শ্রেণির মানুষের মানোনয়ন হবে বলে আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার।
তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন।
এ সময় সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি, সরাইলের ত্রিতাল সংগঠনের সঞ্জিব দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২৫) অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় মো. মামুন-অর-রশিদ (২৪) নামে একজন বাংলাদেশিকে আটক করেছে।
আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে হবিগঞ্জের মাধবপুরে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) এর ধর্মঘর বিওপির টহলদল সীমান্ত পিলার ১৯৯৬/২৫-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সন্তোষপুর হতে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটার সাউ গান ঘুটনটি গ্রামের মো. মোয়াজ্জেম এর ছেলে।
আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভারতের অভ্যন্তরে চেন্নাই রাজমিস্ত্রী কাজের জন্য আনুমানিক ২ বছর পূর্বে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গমন করে।
পরবর্তীতে ৩০ নভেম্বর শনিবার ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ধর্মঘর বিওপির টহলদলের নিকট আটক হন। এসময় এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর নিকট হতে বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী-৪৪ পিছ পাওয়া যায়। এরপর মালামালসহ তার নামে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং আসামি হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে লে. কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বিজিওএম পিএসসি সিগন্যালস বিজিবি-২৫ বলেন, সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে কোনো প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) এর অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জবাইকৃত চোরাই গরুসহ দুই চোরকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, উপজেলার বিশুতারা গ্রামের মৃত মোমিন মিয়ার শিশু পুত্র মহন মিয়া (১০) কে একটি বকনা বাছুর লালন পালন করছিল। ১৮ অক্টোবর শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে সংঘবদ্ধ একদল চোর বকনা গরুটি চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার সকালে সরাইল বিকাল বাজার মুলিহাটা নামক স্থানে একটি সিএনজি অটোরিকশায় জবাইকৃত একটি বকনা গরু দেখতে পায় স্থানীয়রা।
এসময় স্থানীয়রা ২ চোর ও জবাইকৃত গরুসহ সিএনজিটি আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাদের আটক করে তাদের থানায় নিয়ে যায়। এরা হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিকাল বাজার এলাকার হুমায়ূন মিয়ার ছেলে সোলাস মিয়া (২৯) ও কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী ছেলে সাজু মিয়া (২৬)।
সিএনজি চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, সোলাস নামে এক লোক সিএনজি স্টেশনে এসে রোগী নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমাকে বিশুতারা গ্রামে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জোরপূর্বক আমার সিএনজিতে একটি জবাইকৃত গরু উঠিয়ে সরাইল বিকাল বাজার মলিহাটা নিয়ে আসে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৬ জানুয়ারি সোমবার এ নির্বাচনে অংশ নেওয়া পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক পরিবর্তন করা হয়েছে।
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর প্রতীক পরিবর্তন করে তাদের মধ্যে নতুন প্রতীক বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ‘ডাব’ প্রতীক পরিবর্তন করে ‘কলার ছড়ি’ প্রতীক ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার ‘সিংহ’ প্রতীক পরির্বতন করে ‘আপেল’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর মধ্যে বরাদ্দ করা ‘ডাব’ ও ‘সিংহ’ প্রতীক দেশের দুটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক। ‘ডাব’ প্রতীক হচ্ছে বাংলাদেশ কংগ্রেস নামে একটি রাজনৈতিক দলের। যার নিবন্ধন হয়েছে ২০১৯ সালের ৫ মে। এই দলের বর্তমান চেয়ারম্যান হচ্ছেন অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন এবং মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
আর ‘সিংহ’ প্রতীক হচ্ছে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) নামে একটি দলের। যার নিবন্ধন হয়েছে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। এই দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুমায়ূন পারভেজ খান। এর আগে সোমবার উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া ৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে ‘ডাব’ প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধাকে ‘সিংহ’ প্রতীক, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদকে ‘মটর গাড়ি (কার)’ প্রতীক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী ‘লাঙ্গল’ প্রতীক ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ‘গোলাপ’ ফুল প্রতীক পান।
এ ব্যাপারে উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, ডাব ও সিংহ প্রতীক হচ্ছে দেশের দুটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের দৃষ্টিগোচর না হওয়ায় ডাব ও সিংহ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে, মঙ্গলবার বরাদ্দকৃত প্রতীক দুটি সংশোধন করে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে ‘কলার ছড়ি’ প্রতীক ও জিয়াউল হক মৃধাকে ‘আপেল’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা উভয়ই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
উপনির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় কোনো প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।