চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্বরোড় মোড়সহ আশপাশ এলাকা প্রদিক্ষণ করে। মহাসড়কের অবস্থান নেওয়ার কারনে উভয় পাশে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আন্দোলন চলাকালে যেকোন সহিংসতা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিজিবি।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেন। তবে আন্দোলন চলাকালে কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খল পরিবেশ এড়াতে পুলিশ তৎপর ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় ১৬ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানার পুলিশ। এসময় মাদকের কাজে ব্যবহৃত একটি ডিআই পিকআপ জব্দ করে পুলিশ।
আজ ১৬ নভেম্বর শনিবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের বাড়িউড়া বাজারের পূর্ব উত্তর পাখি মাজারের দক্ষিণ পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কুট্টাপাড়া গ্রামের মৃত জাফর ঠাকুর এর ছেলে ইমন ঠাকুর (২৪) ও বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (২৩)।
জানা যায়, ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে সরাইল উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের বাড়িউড়া বাজারের পূর্ব উত্তর পাখি মাজারের দক্ষিণ পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে একটি ডিআই পিকাআপ ১৬ কেজি গাঁজা বহন করে যাচ্ছিল। এমন গোপন সংবাদ ভিত্তিতে সরাইল থানা পুলিশ গাড়িটি আটক করে। এসময় গাড়িতে থাকা দুই মাদক কারবারি গাড়ি রেখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে গ্রেফতার করে। বিশেষ কায়দায় গাড়ির সিটের নিচে প্লাস্টিক বস্তায় কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল হাসান বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তুচ্ছ ঘটনায় সরাইলে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা আঞ্চলিক সড়কের ১০/১২টি দোকান ভাংচুর চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর সড়কের উচালিয়াপাড়া গ্রামের বাদশা আলমগীরের ছেলে আমান এর মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে বড্ডাপাড়া গ্রামের মৃত তাহাজ্জত আলীর ছেলে ভ্যান চালক এরশাদের গাড়ির।
এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়।
এসময় আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের শুরুতে খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী এসে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানে হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আন্তঃজেলা অটোরিকসা চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আঁখিতারা বাজার থেকে একটি অটোরিক্সা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজন ও পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার রাতে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া (২৩), একই এলাকার মোঃ পায়েল মিয়া (২৩) ও জসিম উদ্দিন (১৮), বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা গ্রামের মোঃ মিলন মিয়া (২৫), একই ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের মোঃ সোহেল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের জোৎস্না বেগম (৩০)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, শনিবার বিকেলে উপজেলার আঁখিতারা বাজারের রাজীব অটোরিক্সা গ্যারেজের সামনে থেকে একটি অটোরিকসা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা চোর চক্রের তিন সদস্য রুবেল, পায়েল ও জসিমকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে বিজয়নগরের চান্দুরা থেকে অপর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা জেলা সদর,বিজয়নগর, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলায় থেকে পরস্পর যোগসাজসে অটোরিক্সা, ব্যাটারি, সিএনজি ইত্যাদি চুরি করে অন্যত্র নিয়ে ক্রয়-বিক্রয় করে।
এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার সকালে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ২৫ মার্চ, ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে । এ উপলক্ষে আজ ২৫ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাহীকর্মকর্তা মোঃ মেজবা উল আলম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বআলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর, বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার নাসরিন সুলতানা, সরাইল থানা তদন্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলী, পানিরশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য মোঃ আমজাদ হোসেন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, আমরা জয়লাভ করি। বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস চর্চায় উৎসাহিত করতে হবে।
১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার নৃশংসতা ছিলো ভয়াবহ। অচিরেই আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এ দিবস স্বীকৃতি লাভ করবে এবং গণহত্যার বিচার করা সম্ভব হবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।
পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর বধ্যভূমি প্রাঙ্গনে গণহত্যার স্মৃতিস্তম্বে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনা আয়োজন করা হবে। সন্ধায় ৭ টায় মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে। ও রাত দশটায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এক মিনিটের জন্যে প্রতিকী ব্ল্যাক আউট করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, শেখ হাসিনা মনে করেছিল কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু তাকে বিদায় নিতে হয়েছে এক কাপড়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা বিএনপি নেতা কর্মীদের গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়ে হিসাব রাখত। মূলত বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সমুচিত জবাব দিয়েছে জনগণ।
৩১ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেশে বন্যায় দুর্গতদের জন্য আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাহজাদাপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৭৬ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়া করে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করেছিলেন। তাই বাংলাদেশের মাটিতে শেখ হাসিনার আর কোন জায়গা হবে না। এদেশের মাটিতে ফিরতে পারবে না তার সমুচিত জবাব দিবে বিএনপি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি গত ১৫ বছর যাবত ধৈর্য ধরেছে এবং আগামীতে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে। তারেক রহমান রাজার বেশে দেশে আসবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ গঠনে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের পথ অনুসরণ না করে হিংসা, গুম, খুন, চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্ব মুক্ত দেশ গঠনে নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু মিয়া খাদেমের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আক্তার হোসেন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান জুমনসহ ইউনিয়ন বিএনপি যুবদল, ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।