অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নেতারা এমন অনেক কিছু সামাজিক মাধ্যমে লিখছেন, যা লেখা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ ৫ আগস্ট সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কয়েক মিনিটের আলাপে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনায় সবাই উদ্বিগ্ন। কিন্তু সেটা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এমন কিছু বলবেন না বা লিখবেন না, যা বাংলাদেশ বা ভারতের জন্য সমস্যা হতে পারে। কারণ, বিজেপির লোকেরা এমন কিছু কথা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, যা করা উচিত নয় বলে মনে করি।’
একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের নেতা-কর্মীদেরও বাংলাদেশ নিয়ে কিছু লেখার বিষয়ে সাবধান করে দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাদেরও বলব, কেউ কিছু লিখতে যাবেন না। আপনাদেরও (সাংবাদিকদের) বলব। সমাজের প্রত্যেক মানুষকে বলব। প্রতিবেশীর কিছু হলে পাশের রাজ্যে তার প্রভাব পড়ে। সে ক্ষেত্রে শান্ত থেকে পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে এবং তাঁদেরও এমন কিছু লেখা উচিত নয়, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য সমস্যার হয়ে উঠতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টা দেশের ওপর ছেড়ে দিন। দেশে সরকার আছে। কোনো রকম প্ররোচনামূলক বা হিংসাত্মক মন্তব্য করবেন না।
সাধারণ মানুষের কাছে মমতার আবেদন, তাঁরা যেন কোনো অবস্থাতেই সাম্প্রদায়িক কোনো আচরণ না করেন এবং আইন নিজের হাতে না নেন।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেকে ওখানে রয়েছেন। ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকার অবশ্যই তাঁদের দেখে রাখবে। আমাদের (রাজ্য সরকারকে) ভারত সরকার যা বলবে, আমরা সেইভাবে কাজ করব।’
তাৎপর্যপূর্ণভাবে সপ্তাহ দু-এক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলাদেশে বড় কোনো সমস্যা হলে এবং সেখানকার মানুষ পশ্চিমবঙ্গে এলে তাঁদের এখানে অবশ্যই আশ্রয় দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবের উল্লেখ তিনি করেছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই আপত্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক আচরণ কী হবে, এ প্রসঙ্গে কথাবার্তা বলার অধিকার একমাত্র ভারত সরকারের রয়েছে, রাজ্যের নেই।
রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা আধিকারিকদের কয়েকজন ৫ আগস্ট সোমবার বলেন, ‘সোমবারের ঘটনা দেখে আমাদের মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। তিনি হয়তো আগেই বুঝতে পেরেছিলেন, সোমবার যে ঘটনা বাংলাদেশে ঘটল, তা ঘটতে চলেছে। অনেক সময় মুখ্যমন্ত্রী সব কথা চেপে রাখতে পারেন না এবং প্রকাশ্যে বলে ফেলেন। সেটাই হয়তো তিনি জুলাইয়ের সভায় বলে ফেলেছিলেন।’
রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা সূত্র এই দিন জানায়, বাংলাদেশের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রথমে আগরতলা নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে তিনি দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করেন। তবে আগরতলায় সরকারি স্তরে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। পশ্চিমবঙ্গও সরকারি স্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি।
ভবিষ্যতে দিল্লিতে শেখ হাসিনার স্থান হবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে ভারতের এক সাবেক রাজ্যপাল বলেন, তিনি মনে করেন, ভারতে হাসিনার স্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর আশা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সব দিক বিবেচনা করেই তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চলারপথে ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল হিসাবে জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান। আজ ৬ মে শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের কাছে একটি চাওয়া, বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়। তারা যেন মামলার দীর্ঘসূত্রতার অবস্থান থেকে পরিত্রাণ পায়।
ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ১৪৮তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বক্তব্য দেন।
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জুডিশিয়াল ডিসিশন (সর্বোচ্চ আদালতের রায়, সিদ্ধান্ত) মেনে মামলাজট নিরসনে ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের জুডিশিয়াল ডিসিপ্লিন মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সুপ্রতিষ্ঠিত জুডিশিয়াল ডিসিশনগুলো মেনে না চললে জুডিশিয়াল অ্যানার্কি (বিশৃঙ্খলা) তৈরি হতে পারে। নিশ্চয়ই আমরা কেউই এটা চাই না।
বিচারকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন বিচারকদের দায়িত্ব মানুষ যেন দ্রুত বিচার পায়, সেটা নিশ্চিত করা। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত মামলাজট কমানোর দায়িত্ব আমাদের কাঁধে নিতে হবে এবং জনগণ যাতে ত্বরিত সুষ্ঠু বিচার পায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের জন্য অন্য যে কোনো সরকারের চেয়ে এখন বাজেট বাড়ানো হয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, অন্য সব সরকারের আমলে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের কী অবস্থা ছিল, তার ইতিহাস অনেকেরই জানা। এক কথায় বলা যায়, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক কোনো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সরকার গঠন করার পর বিচারকদের জন্য প্রথম প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তার সরকারের সদিচ্ছার কারণেই দেশে আরেকটি বিশ্বমানের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে। যেখানে বিচারকরা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন।
বিচারকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, তাদের প্রশিক্ষণের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। শুধু তাই নয়, দেশিও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি বিদেশি প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রমও চলমান থাকবে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। জামায়াতের বিচারে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করেছে। তাই জামায়াতের বিচারে সরকারের আন্তরিকতা নেই, এমন প্রশ্ন করা আমাদের জন্য দুঃখের। জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না।
অনলাইন ডেস্ক :
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যারা আবেদন করবেন তাদেরটা আগে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর।
নির্দেশনায় তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তাদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাইপূর্বক বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্টকার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপসের নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দুটি স্থাপনের বিষয়ে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এতে সর্বসম্মতিক্রমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পত্রের মাধ্যমে তাদের সম্মতি দেয়। তবে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দুটি স্থাপনের জন্য আবেদন করলে তা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভেটিং করিয়ে সন্নিবেশের সিদ্ধান্ত হয়।
জাতির সেরা সন্তানদের সম্মানার্থে কে এম নূরুল হুদার বিগত কমিশন ২০২২ সালে এই কার্যক্রম শুরু করেছিল। ওই বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেওয়াও হয়।
বিগত কমিশন বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী ১ লাখ ৮৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ এ স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো কোনো একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণীর জন্য স্মার্টকার্ডের নকশায় পরিবর্তন আনেন তারা। তবে কোনো আলোচনা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই বলে মন্ত্রণালয় আপত্তি জানালে সেই উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমানে সে উদ্যোগটিই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চালু করছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। এক্ষেত্রে কোনো মুক্তিযোদ্ধা বিশেষ এ কার্ড নেওয়ার জন্য কেবল আবেদন করলেই নির্বাচন কমিশনার যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তা নিষ্পত্তি করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে ২৮ আগস্ট বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাস-সহিংসতার সাথে সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। সরকার বিশ্বাস করে, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নয়।
তাই সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ১৮ (১) ধারার ক্ষমতাবলে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণাসংক্রান্ত ১ আগস্টের প্রজ্ঞাপন বাতিল করল।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত।
অনলাইন ডেস্ক :
ইহকালের শান্তি, পরকালের মাগফেরাত এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
সকাল ৯টা ১ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ৯টা ২৩ মিনিটে শেষ হয়। ২২ মিনিট পর্যন্ত চলেছে এবারের আখেরি মোনাজাত। এতে অংশ নেন লাখ লাখ মুসল্লি। এ সময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর।
মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
আখেরি মোনাজাতে নিজের আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লি প্রার্থনা করেন।
মোনাজাতের সময় পুরো টঙ্গী এলাকা ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। তারা সবাই ইহলোকের মঙ্গল ও পরলোকের ক্ষমা প্রার্থনা করে সুখ ও সমৃদ্ধি চেয়েছেন।
রাজধানীর অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এই আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন কয়েক লাখ মুসল্লি। বাংলাদেশের তাবলিগের প্রধান মারকাজ কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মো. জোবায়ের হাসান এ মোনাজাত পরিচালনা করেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গী ময়দান ও আশপাশের এলাকায় স্থান না পেয়ে যে যেখানে পেরেছেন বসে পড়েন রাস্তায়, খোলা মাঠে বা বাসার ছাদে কিংবা যানবাহনেই। তবুও তাদের কোনো আক্ষেপ নেই। আখেরি মোনাজাতে যেকোনোভাবে অংশ নিতে পেরেই তারা খুশি।
আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে রবিবার ভোর থেকে দলে দলে যোগ দেন হাজার হাজার মানুষ। মধ্যরাত থেকে ইজতেমা ময়দান এলাকায় বাস চলাচল বন্ধ থাকায় হেঁটেই রওনা হন মুসল্লিরা। তবে ঢাকার দক্ষিণাঞ্চল থেকে মেট্রোরেলে করে ইজতেমা এলাকায় এসেছেন অনেকে। এতে অফিস সময়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা গেছে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে।
মতিঝিল, প্রেসক্লাব, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মিরপুর-১০ এর মুসল্লিরা মেট্রোরেলে উঠে উত্তরা স্টেশনে আসেন। গতকাল মধ্য রাত থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ড বাজার, কলেজ গেট, বিমানবন্দর, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, কামারপাড়া ও টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকা হয়ে ঢাকা ও গাজীপুরের আশপাশের জেলার মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমা ময়দান এলাকায় এসেছেন।
আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিরা দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য দোয়া করছেন। বিশ্বশান্তি ও কল্যাণ চেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাচ্ছেন। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের ইজতেমায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চাদ, ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, পাকিস্থান, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালয়েশিয়া, মরক্কো, নেপাল, কেনিয়া, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, জর্দান ও দুবাইসহ বিশ্বের ৬১টি দেশের প্রায় এক হাজার ৯০০ জন বিদেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।
এর আগে রবিবার ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। এই বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপর কিছু সময় নসিহতমূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে দেশ বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি এসেছেন ইজতেমা ময়দানে। গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা এখানে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগি করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, সরকার যে টেকসই উন্নয়নের কথা বলছেন, সেটি কেমন হতে পারে। যে কোন উদ্ভাবন হবে বর্তমান চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যৎ ব্যবহারের যোগ্য করে তোলা। এ ধরণের পরিকল্পনা করেই আমাদের কাজ করতে হবে।
আজ ২ জুন শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা এবং সপ্তম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মেলায় বিভিন্ন ইভেন্টে অনেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. অশিত বরণ দাস, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার ও বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ।
সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বাবুর উপস্থাপনায় ‘সৌর বিদ্যুতের সম্ভাবনা’ বিষয়ে মূখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট বিজ্ঞান ক্লাব সংগঠক ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. শেখ সাদী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ অতিথিরা শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী স্টল পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। মেলার আয়োজনে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, তত্ত্বাবধানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর এবং পৃষ্ঠপোষকতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।