চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে সপরিবারে দেশত্যাগের চেষ্টা করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে চেকপোস্টে যান তিনি। তবে ইমিগ্রেশন পুলিশের বাধায় দেশ ছাড়তে পারেননি শ্যামল দত্ত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম জানান, বিকেলে স্ত্রী সঞ্চিতা দত্ত ও মেয়ে সুনন্দা দত্তকে সঙ্গে নিয়ে ইমিগ্রেশনে আসেন শ্যামল দত্ত। তবে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের ভারতে যেতে দেওয়া হয়নি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্যামল দত্তকে তার পরিবারসহ ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি অনেক কর্মকর্তার দেশত্যাগ ঠেকাতে কঠোর নজরদারি করছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। ইতোমধ্যে আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রতিত করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে গুরুতর অসুস্থ রোগী ছাড়া অন্য কোনো ভিসার যাত্রী চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় খরমপুর কেল্লা শাহ মাজার এলাকায় ইয়াসিন মিয়া (১৬) নামে এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই কিশোরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত ইয়াসিন মিয়া ময়মনসিংহ জেলার ফেন্সু মিয়ার ছেলে।
মাজারের পাশে ঝালমুড়ি দোকানি জরিনা বেগম জানান, ইয়াসিন দীর্ঘদিন মাজারের আশেপাশের বিভিন্ন দোকানে দৈনিক হাজিরায় কাজ করতো-এই মাজারেই থাকতো। মঙ্গলবার বিকেলে ইয়াসিন হঠাৎ বমি করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের সার্ভার সচল হয়েছে। ২৭ ঘন্টা পর আজ ৯ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সার্ভারে ত্রুটি দিলে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১টার দিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করে সংশ্লিষ্টরা। এসময় প্রচুর যাত্রী আটকা পরে। হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করতে অনেক পরিশ্রম হয় ইমিগ্রেশন কর্মীদের। তবে যাত্রীদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে আসে।
জানা যায়, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে ৩টি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এরমধ্যে ২টি ডেস্কে বহিঃগমন এবং ১টি আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে সার্ভারে জটিলতা দেখা দিলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ভারত- বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী আটকে পরে। এতে নারী শিশু সহ রোগীরা বেশি কস্ট করে। তীব্র গরমের অতিষ্ঠ হয়ে পরে যাত্রীরা। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় ও বসার মত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় বেশি। পরে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে রাতেই ইঞ্জিনিয়ার এসে সার্ভার মেরামতের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সার্ভারে জটিলতার বিষয়টি অবগতি করি। রাতেই ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে কাজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। উল্লেখ্য, আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার পর্যটক আসা-যাওয়া করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে আখাউড়ায় পশু পালনে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষক ও খামারিরা। ছোট বড় খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল, মহিষ, পালন করছেন তারা। তবে এবছর চাহিদার চেয়ে অনেক কম পশু পালন হচ্ছে। গো-খাদ্যসহ অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্য ভালো পেলে কোরবানির পশু বিক্রি করে লাভবান হবার আশা করছেন খামারিরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৭০৩টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে গরু-মহিষ ৩ হাজার ৬৬০, ছাগল-ভেড়া ১ হাজার ৪৩টি।
আখাউড়া উপজেলায় নিয়মিত খামারী আছে ৭০৪ জন। এছাড়াও অনিয়মিত খামারী স্বল্প সময়ে বিক্রির জন্য পশু প্রস্তুত করছে বলে জানা যায়। পশু পালন লাভজনক হওয়ায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে গরু পালন করছেন। এবছর আখাউড়া উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১১ হাজারের বেশি। এরমধ্যে গরু-মহিষ ৮ হাজার ৯০০টি এবং ছাগল-ভেড়া ২ হাজার ৫০০টি । বাইরের জেলা-উপজেলা থেকে আনীত পশুর মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় সদর উপজেলাসহ অন্যান্য স্থান থেকে পশু আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সরেজমিনে কয়েকটি খামার ঘুরে খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদকে উপলক্ষে গরু লালন পালন করছেন। ঘাস, খড়, খৈল ভুষিসহ পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে দেশীয় জাতের গরুই বেশী লালন পালন করছেন বেশি। আশা করছেন লাভবান হবেন।উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের প্রবাস ফেরত খামার মালিক রবিউল্লাহ বলেন, তার প্রবাসী বড় ভাই মো. হাবিব বিগত ৫ বছর আগে শখ করে কয়েকটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। দেশে ফিরে রবিউল্লাহ এখন খামারটি পরিচালনা করছেন। বর্তমানে ২৫টি বড় গরু রয়েছে। দেড় বছর আগে পাবনা থেকে গরুগুলো কিনে এনেছিলেন। দেড় বছর লালন পালন করেছেন। গরু কেনা, শ্রমিকের বেতন, লালান পালন, খাবারসহ অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। আশা করছেন খরচ বাদ দিয়ে ৭/৮ লাখ টাকা লাভ হবে।
দক্ষিণ ইউনিয়নের বঙ্গের চর গ্রামের মো. ইছহাক মিয়া জানান, তিনি বিগত ৫ বছর ধরে গরু লালন পালন করেন। কোরবানিকে সামনে রেখে তার খামারে ২২টি ছোট বড় গরু রয়েছে। দেশী জাতের পাশাপাশি, শাহিওয়াল, ফ্রিজিয়াম জাতের। ঘাষ, খের, ভূষি ইত্যাদি খাবার খাওয়ান তিনি। ভালো দাম পেলে লাভবান হবার আশা করছেন তিনি।
আব্দুল্লাহপুর গ্রামের খামার মালিক সোহাগ ভূঁইয়া বলেন, প্রতিবছরই কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে গরু লালন পালন করি। তবে এবার ছোট বড় ১২টি গরু লালন পালন করছেন। আশা করছেন তিনি লাভবান হবেন।
আখাউড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জুয়েল মজুমদার বলেন, এপ্রিল/২৪ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে আখাউড়া উপজেলায় ৪ হাজার ৭০৩টি পশু লালন পালন হয়েছে। উপজেলায় গরু-মহিষের চাহিদা প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। খামারিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি খামারিদের সচেতন ও তদারকি করছি। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করে দেশীয় খাবার খাইয়ে পশু পালনের জন্য কৃষক ও খামারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আটক হয়েছেন মো. হৃদয় নূর (২২) নামে এক যুবক। ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে তাকে আটকের পর আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আটক হৃদয় নূর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের নয়নপুরের হান্দু মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, হৃদয় নূর নামে এক যুবক ক্রোয়েশিয়া যেতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে কোনো দূতাবাস না থাকায় সোমবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের দিল্লিতে থাকা ক্রোয়েশিয়া দূতাবাসে যাচ্ছিলেন। এ সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে হৃদয়ের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি নকল বলে সন্দেহ হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু তার বাড়ি সদর উপজেলায় তাই তাকে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, আটক যুবকের মোবাইলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সফট কপি ছিল, কোনো হার্ড কপি ছিল না। এর স্বাক্ষর সন্দেহজনক ছিল। নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি এর পেছনে কে বা কোন চক্র কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে মাইলেজ জটিলতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
আজ ২৭ আগস্ট রবিবার বেলা ১১টার দিকে আখাউড়া জংশন রেলস্টেশনের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আখাউড়া রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। রেলওয়ের লোকোমোটিভ রানিং স্টাফ, গার্ড, টিটিইসহ সব রানিং স্টাফরা এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি কবির আহমদ ভূঞাঁ সভাপতিত্ব করেন।
বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজকের মধ্যে (২৭ আগস্ট) ১৮ জুন জারি করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস শাখার চিঠি প্রত্যাহার এবং আগের মতো ন্যায় পার্ট অব পে ৭৫ শতাংশ মাইলেজ যোগে পেনশন ও আনুতোষিক নির্ধারণের সুস্পষ্ট আদেশ জারি করতে হবে। তা না হলে মাইলেজ নামের বেতন ও পেনশন কমানোর প্রতিবাদে ২৮ আগস্ট থেকে সর্বস্তরের রানিং স্টাফরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করবেন।
বক্তারা আরও বলেন, রেলের রানিং স্টাফরা ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী পার্ট অব পে হিসেবে ট্রেন পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে রানিং স্টাফদের আইবাস সিস্টেমে যোগদান করতে বলা হচ্ছে। এতে একজন রানিং স্টাফ ৩০ দিনের বেশি মাইলেজ সুবিধা পাবেন না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। বর্তমানে ৮ ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনার পর বিশ্রামে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনা করতে হচ্ছে। ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের মাইলেজ সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
সমাবেশে বক্তারা জানান, মাইলেজ নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না। অধিকার হরণ করা হলে প্রয়োজনে নিয়মের বাহিরে অতিরিক্ত ডিউটি পালন করা হবে না।
এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, রানিং সংগঠনের সভাপতি কবির হোসেন ভুঁইয়া, গার্ড কাউন্সিলের আখাউড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন, টিটি অ্যাসোসিয়েশনের রাজীব হোসেন, লোকোরানিং অতিরিক্ত সম্পাদক সোলাইমান রশিদ, লোকো রানিং সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আকরাম হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. এস আর মামুন, সহ প্রচার হাফিজুর রহমান, সদস্য মুশফিকুর রহমান চৌধুরী বিপ্লব তৌহিদুর মুরছালিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।