অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরইমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চালের ড্রামে গাঁজা পাচারকালে ২২ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ ৩০ জুলাই রবিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের দলটি ভৈরব উপজেলার জগন্নাথপুর বেণীবাজারে একটি মাদ্রাসার সামনে অভিযান চালায়। এ সময় উজ্জ্বল মিয়া (১৯) নামে একজনকে আটক করে। পরে তার কাছে থাকা একটি চালের ড্রাম তল্লাশি করে ৮টি বান্ডিলে মোড়ানো ২২ কেজি গাঁজা, একটি মোবাইল ফোনসেট ও নগদ ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। উজ্জ্বল মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মুড়াপাড়া গ্রামের মৃত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
র্যাবের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী গ্রেফতার উজ্জ্বল মিয়াকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে ভৈরব থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের প্রতিনিধি দল। পৃথকভাবে আসা পরিদর্শন দলে ইইউর চার সদস্য এবং অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের তিন সদস্য ছিলেন। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিদর্শন টিম ক্যাম্পে ছিলেন।
আজ ১৩ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পে আসা ইইউর প্রতিনিধি দলে চার সদস্যর নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি ও অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের তিন সদস্যরের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ফার্স্ট সেক্রেটারি ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার এমিলি ম্যাকডোনাল্ড।
ইইউর প্রতিনিধি দলটি প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৪ এ পৌঁছে। সেখানে ইউএনএইচসিআর পরিচালিত রেজিস্ট্রেশন সেন্টার ও পরে এক্সটেনশন-৪ এর ডাটা এন্ট্রি সেন্টার পরিদর্শন করেন।
এরপর ক্যাম্প-৪ এ ইউনিসেফ পরিচালিত লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেছেন তারা। পরে উখিয়ার কুতুপালংয়ের ১৮ ও ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে দুপুর ২টায় ক্যাম্প থেকে কক্সবাজারের দিকে রওনা দেন। প্রতিনিধি দল বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজারের শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
অপরদিকে, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার এমিলি ম্যাকডোনাল্ডের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৩, ১৫ ও ১৯ পরিদর্শন শেষে শরণার্থী কমিশনার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে প্রতিনিধি দলটি সাধারণ কোনো রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেনি।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন ইইউর চার এবং অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ফার্স্ট সেক্রেটারিও ছিলেন। প্রতিনিধি দলটি এনজিও সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তারা বিকালে ক্যাম্প ছেড়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে সরকারকে সাহায্য করার জন্য সকলকে, বিশেষ করে আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কুসংস্কার, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে আপনাদের (আলেম-ওলামাদের) সহযোগিতা চাই।’
আজ ১৩ আগস্ট রবিবার সকালে ‘জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩’-এর জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী হাফেজদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি যাতে আমাদের সন্তানরা বিপথে যেতে না পারে।’
প্রধানমন্ত্রী আলেম-ওলামাদেরকে সকলের মাঝে ইসলামের প্রকৃত মর্মবাণী ছড়িয়ে দিতে বলেন, যাতে কেউ কাউকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পথে বিচ্যুত করতে না পারে এবং ইসলামের বদনাম করতে না পারে।
তিনি বলেন, ‘যারা জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী, তারা সন্ত্রাসী। তারা কোনো ধর্ম, দেশ বা জাতি গোষ্ঠীর নয়। তাই সকলের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আমাদের ধর্মের মান-ইজ্জতটা রক্ষা করবেন। কেউ যেন এই বিপথে না যায়। সন্তানের নিয়মিত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির বিষয়টা এবং কার সঙ্গে মিশছে সে বিষয়টা আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম, সেই ধর্মের সঙ্গে সামান্য মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য কেন সন্ত্রাসী নামটা যুক্ত হবে? সত্যিকারের যারা ধর্মে বিশ্বাসী তাদের জন্য এটা খুব কষ্টদায়ক। কাজেই এ সমস্ত কুসংস্কার, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলের ক্ষেত্রে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদের দোয়া চাই। আমাদের ছেলে মেয়েরা যেন বিপথে না যায় সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নানা ধর্মের লোক এই বাংলাদেশে আছে এবং যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। এটা আমাদের নবী করীম (সা:)-এর শিক্ষা। আমরা সেভাবেই চলব। চূড়ান্ত বিচার বা শেষ বিচার করবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। কাজেই কে কোন ধর্মের, কে হিন্দু না মুসলমান, বৌদ্ধ না খ্রিস্টান তা দেখার দায়িত্ব আমাদের না। যার যার কর্মফল সে সে ভোগ করবে।’
বিচারের ভার নিজেদের হাতে তুলে না নিয়ে বরং আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যেন ইসলামের ছায়াতলে আসে সেজন্য সকলের প্রচেষ্টা থাকা উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। সফররত সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তি মন্ত্রী ড. সুলতান আহমেদ আল জাবের আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আমিরাতের মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রচলিত জ্বালানির পাশাপাশি জ্বালানি খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতি খুবই আগ্রহী।’
জ্বালানি কোম্পানি মাসদার-এর চেয়ারম্যান এবং আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির (এডিএনওসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সুলতান আহমেদ বলেন, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে দুটি দল পাঠাবেন‒ একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে আলোচনার জন্য এবং অন্যটি ব্যবসা নিয়ে আলোচনার জন্য। বৈঠকে তারা মূলত অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ জলবায়ু পরিবর্তন ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।
আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত এবং ২৮তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (কপ২৮) এর মনোনীত প্রেসিডেন্ট ড. সুলতান আহমেদ জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং এ বিষয়ে তাঁর আরো সমর্থন কামনা করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জলবায় পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুতে সহায়তা বাড়ানোরও অনুরোধ করেন। ‘আমরা একটি গেম চেঞ্জার হতে চাই’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা কপ২৮ এর আগে সমস্যা সমাধানের জন্য জলবায়ু তহবিল সংগ্রহের ওপর জোর দিচ্ছেন। এরপর তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সবুজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কপ২৮ থেকে একটি ইতিবাচক প্রভাব পেতে চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কপ২৮ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই সম্মেলনে প্যারিস চুক্তির বৈশ্বিক স্টকটেক নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, ইউএই প্রেসিডেন্সি ১.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্মপন্থাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং তার পাশাপাশি বিশাল ব্যবধানের একটি বাস্তবসম্মত মূল্যায়ন করতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ২৯ জুলাই শনিবার সারা দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বুধবার পবিত্র জিলহজ মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র মহররম মাস গণনা শুরু হবে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৫ সালের মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে।
পবিত্র আশুরা ইসলামের ইতিহাসে অসামান্য তাৎপর্যে উজ্জ্বল। ইবাদত-বন্দেগির জন্যও এ দিবস অতুলনীয়। সবকিছু ছাপিয়ে কারবালার মর্মন্তুদ সকরুণ শোকগাথা এ দিবসকে গভীর কালো রেখায় উৎকীর্ণ করে রেখেছে।
৬১ হিজরি সনের এই দিনে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার ময়দানে শহীদ হন। পবিত্র আশুরা তাই মুসলিম উম্মাহর জন্য এক তাৎপর্যময় ও শোকাবহ দিন। দিনটি মুসলমানদের কাছে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠারও দিন।
এ দিনটি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে খুবই প্রিয়। তাই তিনি এ দিনে রোজা পালনের সওয়াব প্রদান করে থাকেন বহুগুণ। বিগত বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে মহররমের দুটি রোজা রাখা মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হিজরি সালের প্রথম মাস হচ্ছে মহররম। আশুরার দিন দেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশেষভাবে আশুরা পালন করে থাকেন। কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর শাহাদতবরণের শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত পালিত হয় আশুরা।
তবে ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র আশুরা অসংখ্য তাৎপর্যময় ঘটনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। এই দুনিয়া সৃষ্টি, হযরত আইয়ুব (আ.) এর কঠিন পীড়া থেকে মুক্তি, হযরত ঈসা (আ.) এর আসমানে জীবিত অবস্থায় উঠে যাওয়াসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে মহররমের ১০ তারিখ অবিস্মরণীয় ও মহিমান্বিত। এই পৃথিবীর মহাপ্রলয় বা কিয়ামত মহররমের ১০ তারিখে ঘটবে বলে বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে।