চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ট্রাফিকের দায়িত্ব¡ পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করতে দেখা গেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এর পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ট্রাফিক জ্যাম নিরসনকল্পে জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থীরা। কারও হাতে লাঠি, কারও মুখে বাঁশি। ট্রাফিক পুলিশের মতো ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা। এদিকে, রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনকে দেখা যায়নি। তবে সতর্ক অবস্থায় দেখা গিয়েছে সেনাবাহিনীদের। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সকাল থেকেই মেড্ডা থেকে অবস্থান করি নিজ উদ্যোগে। যাতে যানজট না হয় সেদিকের খেয়াল রাখার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে গোটা শহরে কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। এ অবস্থায় শহরবাসীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব বোধ থেকে আমরা সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নেমেছি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই কাজ চালিয়ে যাবে। একজন পথচারী বলেন, মনে হচ্ছে দেশটি নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতার জন্য আমরা খুবই খুশি দীর্ঘ ১৫ বছর অপেক্ষার পর এই দিনটি পেয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে। এতেও আরও বেশি ভালো লাগছে।
একজন রিকশা চালক বলেন, দেশটা নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। যাদের কারণে দেশ স্বাধীন হলো তারা আজ আবার ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে দেখে খুব ভালো লাগছে। প্রসঙ্গত: গত ৫ আগস্ট সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে শহরে জনগণের ঢল নামে, বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাসসহ মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান পথিকৃৎ মহাকালের কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব ২০২৫ এর আজ ছিলো সমাপনী দিন। তিন দিনব্যাপী নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথমবারের মতো এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হককে সোনালী কাবিন পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ছিলো একটি পদক ও আর্থিক চেক।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সমাপনী দিনে, সকাল ১০টায় স্বরচিত কবিতা পাঠ, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল তিনটায় শুরু হয় আলোচনা সভা। সন্ধ্যা ৬টায় সোনালি কাবিন পদক প্রদান করা হয়। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবছর সোনালি কাবিন পদক গ্রহণ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি মহিবুর রহিম। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, কবি মোবারক হোসেন আকন্দ, কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, নবীনগরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক সরকার। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত।
বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক সোনালী কাবিন পদক গ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, আল মাহমুদের কবিতার ভাষা বেশ বিশ্বস্ত। তাঁর কবিতায় জীবন শুধু দুঃখময়ই নয়, জীবন যাপনযোগ্য এবং সৌন্দর্যমন্ডিত। তিনি হতাশাবাদীদের মতাদর্শ গ্রহণ করেননি। এখানেই তিনি স্বাতন্ত্র্য একটি সাহিত্য জগত তৈরী করেছেন। বাংলা সাহিত্য আজ আল মাহমুদকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অবশ্যই দিতে হবে। কারণ তাঁর লেখা ব্যতিক্রম।
তিনি বলেন, নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে একটা সময় আল মাহমুদ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, অথবা তাঁকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমি বলবো আল মাহমুদকে দূরে রাখার প্রবণতাই এজন্য দায়ী। তিনি বলেন, আমাদের উচিৎ তাকে কবি হিসেবে দেখা। আল মাহমুদ অনেক বড় মাপের একজন মানুষ ও কবি। এসময় তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আল মাহমুদের একটা জীবনী রচনা করার দায়িত্ব আজকের তরুণদের নিতে হবে। তাঁর কবিতা ও কবি জীবন নিয়ে লেখা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। আমরা যদি তাঁর একটা রচনাবলী প্রকাশ করি, তবেই আমরা বুঝতে পারবো তিনি কত বড় মাপের কবি ও মানুষ ছিলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের জাতি, রাষ্ট্র ও জনজীবনকে উন্নত করতে হবে। সন্ধ্যায় আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অংশ নেন, কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ, সাহিত্য একাডেমি, আবরণী, আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সাগর মিউজিক প্লাস এবং নৃত্য পরিবেশন করবেন জিয়া আমিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
টানা কয়েকদিন থেকে সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বইছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন কর্মজীবী মানুষজন। যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে রিক্সা চালকরা রিকশা চালাচ্ছেন। তাদের রিকশা চালাতে যেন কষ্ট একটু হলেও লাঘব হয় এজন্য গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করেছেন মানবিক ছাত্রনেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার দুপুরে শহরের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ২ হাজার রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।
শোভন বলেন, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায় ২ হাজার রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করা হয়েছে। আমরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই এগিয়ে আসলে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। এ সময় সবাইকে গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ক্যাপ বিতরণের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অন্তু বিল্লাহ, উবায়দুর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিন, জসিম আহমেদ রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদী, আজহারুল হাসান মিঠু সহ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আয়োজনে আগামী রবিবার বাদ যোহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তমঞ্চে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার; দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা; সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রবর্তন এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ ভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনুষ্ঠেয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই। এতে সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। উক্ত গণসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলা ও অধিকাংশ ইউনিয়নে যথাক্রমে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক সফর করেছেন এবং অব্যাহত আছে। জেলার সর্বত্র পোস্টার, হ্যান্ডবিল, লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুন ও মাইকিংয়ের দ্বারা প্রচারণা চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ফ্ল্যাশিং প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী শনিবার প্রতিটি উপজেলায় দাওয়াতি মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গণসমাবেশ সর্বাত্মক সফল করার জন্য জেলাবাসীকে আহবান জানিয়েছেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার এসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল সার্ভিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এসসাড) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) এর সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে “ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি এবং করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোঃ আবুল বসার মোল্লার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আঃ কাইয়ুম।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ একেএম শিবলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়া, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজিদুল ইসলাম, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন নাহার, নাওঘাট মাদরাসার সুপার মোঃ আবুদর রউফ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেরুন্নেছা মুনিয়া, শাহ আলম পালোয়ান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আঃ কাইয়ূম বলেন, এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় সংকট বিজ্ঞানে পড়াশোনার পর যোগ্য সম্মানের। দেখা যায় যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয় অথবা গবেষণা করে তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদান করা হয়না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের চাকুরি করতে হয়। দেশে সুযোগ সুবিধাও নেই পর্যাপ্ত। হয়তো তাদের বিদেশ পাড়ি দিতে হয়, অথবা প্রশাসনের দিকে ঝুঁকতে হয়। তাই দরকার গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো এবং বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করা যায় এমন প্রকল্প হাতে নেয়া। এই জায়গা থেকে এসসাডের কার্যক্রম সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে আজ ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আঞ্চলিক তথ্য অফিস চট্টগ্রামের উদ্যোগে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন মোঃ নোমান মিয়া। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন সুলতানা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী। পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের নব-নির্বাচিত সভাপতি আল-আমীন শাহীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাংবাদিক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, মোঃ শাহাদৎ হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বায়জেদুর রহমান সিয়াম প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, জুলাই-আগষ্টের আন্দোলন অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বৈষম্যের কারণে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। একটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ আমাদের দরকার, যাতে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি।
সভায় বক্তারা বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা ইতিবাচক পরিবর্তনের নিয়ামক শক্তি। একজন নির্ভীক সংবাদ কর্মী হলেন সমাজের নির্মাতা। নিজের স্বার্থ না দেখে গণমানুষের জন্য কাজ করা একজন নির্ভিক সংবাদকর্মীর নৈতিক দায়িত্ব। গণমাধ্যম সরকার ও জনগনের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে থাকে। স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া কোনোভাবেই সরকার ও জনগণের মধ্যে জনগণ কি ভাবছে, সরকার কি করছে তা প্রকাশ পাওয়া সম্ভব নয়।