চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৯ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের কাউতলী কুরুলিয়া খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. ইকবাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় শহরের কাউতলি এলাকার কুরুলিয়া খালের ব্রিজের নিচে মরদেহ ভাসতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেনা সদস্যদের জানালে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। মরদেহটি অর্ধগলিত ছিল।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বালুবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন অটোরিক্সা চালক।
৩০ আগস্ট বুধবার বিকেলে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতুলী কুরুলিয়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শঙ্কর কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকেলে একটি বালুবাহী ট্রাক কুমিল্লার দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি কাউতুলী সেতুতে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছনের দিকে আসতে থাকে। এসময় দাঁড়িয়ে থাকায় একটি খালি অটোরিক্সাকে ট্রাকটি পিষ্ট করে। তবে ট্রাকটি আসতে দেখেই অটোরিক্সাচালক দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন। তাই কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এএসআই শঙ্কর কুমার বলেন, ঘটনার পর ট্রাক মালিক সমিতির স্থানীয় নেতারা অটোরিক্সার মালিকের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করেন। তারা অটোরিক্সাটির ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫১তম মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। বিজয়টি উপলক্ষে শুক্রবার প্রথম প্রহরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে স্থানীয় ফারুকী পার্কের শহীদ স্মৃতিসৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। পরে রাষ্ট্রীয় সালামের মধ্য দিয়ে ৭১এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের পক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। পরে পর্যায়ক্রমে পৌর সভার পক্ষে মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট ইউনিটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। আমরা সকলের সহযোগীতা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। সে লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করছে।
শহীদ স্মৃৃতি সৌধে পুষ্পস্তক অর্পন শেষে সকাল ৮টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। পরে কুচকাওয়াজ, শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লে, ঐতিহ্যবাহী মোরগ লড়াই প্রতিযোগীতা, কারাতে প্রতিযোগীতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা বিশিষ্ট প্রফেসর ফাহিমা খাতুন একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১২ নভেম্বর রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি থেকে এ একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাধির চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই মাসুদ।
সুলতানপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শেখ হেদায়েত হোসেন মোর্শেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (পিপি) মাহবুবুল আলম চৌধুরী খোকন, বিদ্যালয় কমিটির সহ-সভাপতি গাজী শাহীন আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সামগ্রিক শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ একটি দেশ, একটি জাতি তখনি উন্নতি করতে পারে, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে যখন সেই জাতি শিক্ষা-দিক্ষায় এবং সংস্কৃতিতে অগ্রসর থাকে।
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যারা গড়ে তুলেছেন তাদের ইচ্ছে ছিল তাদের সন্তানদেরকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলার। তাদের এই ইচ্ছাই তোমরা পূরণ করবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, চারদিকে মাদকের যেভাবে বিস্তার লাভ করছে বিস্তারের কারণে আমাদের যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই মাদক থেকে রক্ষা করার উপায় হল শিক্ষাকে গ্রহণ করা। শিক্ষার সাথে সাথে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির কর্মকান্ডের সাথে বেগমান করা ও বৃদ্ধি করা। তাহলে তারা মাদক থেকে দূরে থাকবে। মাদকের যে কূ প্রভাব আছে তা থেকে দূরে থাকতে তিনি সকল যুবকদের আহবান জানান।
প্রসঙ্গত, সরকারি অর্থায়নে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে এই একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, আজকের তরুণরা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সুযোগ গ্রহণ করে মেধা ও মননশীলতার বিকাশ ঘঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ব হয়ে আগামী দিনে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সাহসী সৈনিক হিসাবে নিজেদেরকে গড়ে তুলবে।
তিনি শুক্রবার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ন্যাশনাল চিল্ড্রেন’স ট্রাস্ক ফোর্স ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আয়োজনে ‘‘ম্যাথ ফেস্টিভ্যাল’’ শিক্ষার্থী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জেলা শিশু বান্ধব (এনসিটিএফ) প্লাটফরম সভাপতি মোঃ সায়মা মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলাপরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম. মাহমুদুর রহমান, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাকিল মাহমুদ, শেখ মোঃ মহসিন ও শিশু সংগঠক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু প্রমুখ।
গণিত উৎসবের সমাবেশে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় একহাজার তরুণ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে বিভিন্ন প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মধ্যে মেডেল ও সনদ পত্র বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাহারি সব নাম। খেতেও সুস্বাদু। ২০০ রকমের পিঠা। নাম লেখা- পাটিসাপটা, দুধচিতই, পানতোয়া, মুখচাহনি, সন্দেশ-নেভিকুলা, নকশি, পোয়া, ভাপা।
সঙ্গে যে জেলায় পিঠাটি বিখ্যাত এর নামও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সহজেই চিনে নিয়ে যে যার মতো কিনে খাচ্ছেন।
আয়োজনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজে। ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার আয়োজন করেন পিঠা উৎসবের।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কলেজের পরিচালক এবং জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ, কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক (প্রশাসন) হারুন অর রশিদ, কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক শাহাদৎ হোসেন, কলেজের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মোট ছয়টি স্টলে এসব বাহারি পিঠা নিয়ে হাজির হন। তাঁরা ছয়টি স্টলের নাম দেন-রজনীগন্ধা, অর্কিড স্টোর, বেলি, কাঠগোলাপ, গরিবের পিঠা ঘর, হাসনা হেনা।
রজনীগন্ধা স্টলে ৩৫ ধরনের পিঠা, অর্কিড স্টোরে ৩০ ধরনের, কাঠগোলাপে ২৬ ধরনের, গরিবের পিঠা ঘর ১২ ধরনের, হাসনা হেনাতে ৭৫ ধরনের, বেলী ৫০ ধরনের পিঠার পসরা বসে। মিষ্টি কুমড়া, মালাই রোল, ঝাল পাকন, শাহি টুকরা, সুয়াই, পাতা পিঠা, পাকন, পুডিং, ফুল পিঠা, নকশি পিঠা, দুধ পলি, ঝাল পাকন, কাপ পিঠা, মালপুয়া, দুধ চিতই, গোল পাক্কন, গাজরের হালুয়া, বিবিখানা, সুজির পিঠা, হৃদয় হরণ, ছিটা রুটি, শামুক, শিউলি, সাবুদানাদার, মরিয়ম ফুল, পোয়া, শাঝ, পুদিনা ভাপা ইত্যাদি সব পিঠার নাম সবার নজর কাড়ে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ ও পরিচালক (প্রশাসন) হারুন অর রশিদ জানান, কলেজের শিক্ষার্থীরা বেশ আগ্রহের সঙ্গে এসব পিঠা নিয়ে আসেন। তাদের এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রামীন সংস্কৃতিও ফুটে উঠে। শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারসহ ছয়টি স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।