চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৯ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের কাউতলী কুরুলিয়া খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. ইকবাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় শহরের কাউতলি এলাকার কুরুলিয়া খালের ব্রিজের নিচে মরদেহ ভাসতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেনা সদস্যদের জানালে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। মরদেহটি অর্ধগলিত ছিল।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও সফল মৎস্য চাষিদেরকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে মৎস্য সপ্তাহ এর উদ্বোধন করা হয়।
এতে জেলা প্রশাসক শাহাগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাাদির চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক কাজ করছে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে মাছ বিদেশে রফতানি হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরামুল্লাহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাজমহল বেগম। এ সময় সফল মৎস্য চাষীদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালি শেষে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সংলগ্ন কুরুলিয়া খালে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পূর্ব বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আট দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৮টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৩৬টি দেশীয় অস্ত্র ও ৪টি হেলমেট উদ্ধার করা হয়। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- মো. জসিম উদ্দিন (৫৫), জহিরুল মোল্লা (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৫), মো. রনি (১৪), মো. শামীম (১৬), আব্দুল রাফি (১৭), মো. মানিক মিয়া (১৯), মনির হোসেন (৪২)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, দুপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে থেমে থেমে সংঘর্ষে চলছিল। এতে উভয় পক্ষের ৩০ থেকে ৪০টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সংঘর্ষে অনেকেই গুরুতর আহত হয়। পরে খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটকসহ ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ গ্রামে উমেদ গ্রুপ ও এলেম গ্রুপের জাকিরের নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন আচরণে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে সংগঠনটির সভাপতি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবর রহমানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কতিপয় আইনজীবী ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাস কক্ষে বেআইনিভাবে বিচারিক কাজে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেন। একই সঙ্গে তাঁরা বিচারকের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন আচরণ করেন; যা অনভিপ্রেত, ন্যক্কারজনক ও দুঃখজনক। এতে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। শিষ্টাচারবহির্ভূত ওই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের নিন্দনীয় ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়।
শিষ্টাচারবহির্ভূত ওই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের নিন্দনীয় ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে এজলাস চলাকালে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়াসহ কয়েকজন আইনজীবী বিচারককে গালিগালাজ করছেন। তবে তানভীর ভূঁইয়ার দাবি, তিনি বিচারককে গালি দেননি। ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়েছে।
এদিকে, আইনজীবী ও আদালত কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত। বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ, কর্মচারীদের মারধর, মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আদালতের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির বর্ষপূর্তিতে ফান রান দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে জেলা শহরের পৌর এলাকার লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড় থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে বিভিন্ন বয়সী দৌড়বিদেরা অংশগ্রহণ করেন।
ভোরে সূর্যের আলো উঠার আগেই শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সের দৌড়বিদরা লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড়ে জমায়েত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দিলারা আক্তার খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির প্রধান উদ্যোক্তা সংগঠনের এডমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক রাজন মিয়া।
শহরের লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড়ের প্রধান ফটক থেকে প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে শহরের তিতাস নদীর বুক চিরে বের হওয়া নতুন সড়ক সীমনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের (শেখ হাসিনা সড়ক) তৃতীয় সেতু পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও বিজয়নগর উপজেলার মনিপুর থেকে শহরের শিমরাইলকান্দি সেতু পর্যন্ত আসা-যাওয়া ১০ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা চলে। ফান রানে দুই কিলোমিটার দৌড়ে শিশুরা, ৪৫ বছর বয়স থেকে বয়োজ্যেষ্ঠরা ৫ ও ১০ কিলোমিটার এবং নারীরা ৫ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন। ৫ ও ১০ কিলোমিটার সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। ছয় ক্যাটাগরিতে মোট ৮৫ জন অংশ নেন।
দৌড় শেষে সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের শিমরাইলকান্দি সেতুতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান। অংশগ্রহণকারীদের একটি করে শুভেচ্ছা স্মারক, সনদ, টি-শার্ট দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ ট্রফি দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির সমন্বয়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. রাজন মিয়া বলেন, সুস্থ্য দেহ ও সবল মনের জন্য ২০২১ সালে এই সংগঠন করেছিলাম। নিজেদের সুবিধামতো জায়গায় সংগঠনের ৫০ সদস্য প্রতিদিন দৌড়ান। সংগঠনটির সক্রিয় রানার সংখ্যা এখন শতাধিক। এই সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন অন্তত আড়াই হাজার সদস্য। আগামী বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মানের বড় পরিসরে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের প্রফেসর দিলারা আক্তার জানান, প্রথমবারের মতো শিশুরা অংশগ্রহণ করেছেন এই প্রতিযোগিতায়। সকলকে এই সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনার মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক পদক্ষিণ শেষে শহরের কাউতলী জেলা ডায়াবেটিস সমিতির হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
জেলা ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এডঃ মিন্টু ভৌমিকের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নোমান মিয়া, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম,সমিতির সহ সভাপতি এডভোকেট হাবিব উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী কামাল উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ নূরে আলাম সিদ্দিকী।
সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুর সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ওমর ফারুক।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিক মো. আরজু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের অতিথিরা বক্তব্যে বলেন ভূয়সী প্রশংসা করে ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিয়মিত হাঁটা, ব্যয়াম করা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিমিতি আনার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।