চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মাসুম মিয়া (৯) ও উপজেলার আকছিনা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ফাহিম মিয়া (১০)।
দুই শিশু সম্পর্কে খালাতো ভাই। বৃহস্পতিবার ধর্মপুর গ্রামে নানা জিতু মিয়ার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলো দুই শিশুর মা বিলকিছ বেগম ও লিপি বেগম। শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে নিখোঁজ ছিলো মাসুম ও তার খালাতো ভাই ফাহিম। কোথাও খুঁজে না পেয়ে সন্দেহবশত বাড়ির পাশ্ববর্তী পুকুরে খুঁজতে নামে বাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে পানির নিচ থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে কসবা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনে শোভা যাত্রা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহামমদ শাহরিয়ার মুক্তার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কসবা পৌর মেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ সোলেমান খান, উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার অবসরপ্রাপ্ত শামসুল আলম।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় আট বছরের এক শিশুকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে শাহআলম মিয়া (৪০) নামের এক যুবক। শুক্রবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া শাহআলম মিয়া (৪০) কসবা পৌর শহরেরর বিশারাবাড়ি শালিকপাড়া এলাকার একরাম মেস্তুরের ছেলে। তাকে আজ ২৯ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
পুলিশ ও মামলার এজহার সূত্রে জানাগেছে, শিশুটির বাবা বেচেঁ নেই। মায়ের অনত্র বিয়ে হয়ে গেছে। দাদীর সাথে বসবাস করতেন শিশুটি। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াশুনা করত। শুক্রবার সকালে শিশুটির দাদী অন্য এক জায়গায় গেছেন। ঘরে কেউ নেই। একাই শুয়ে ছিলেন। শাহআলম কৌশলে ওই ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির সমবসয়ী এক শিশু এসে ঘরের ভিতরে এ ঘটনাটি দেখতে পায় এবং চিৎকার শুরু করে। দুই শিশুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এলে শাহআলম পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে শাহআলমের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে থানায় একটি ধর্ষণের চেষ্টা মামলা করেছে। রাতেই পুলিশ শাহআলমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, শিশুটিকে একা ঘরে পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী শাহআলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুতের টাওয়ারের চূড়ায় উঠে বসে থাকা যেন নেশার মতো হয়ে উঠেছে যুবক নাসিরের। গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একটি টাওয়ারে উঠার পরে অভিনব কায়দায় নামিয়ে আনা হয়েছিল তাকে। এর ৫ দিনের মাথায় ৩০ মে পাশের কসবা উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রামের টাওয়ারে উঠে জিকির করছিলেন ওই যুবক। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ও কসবা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পরীক্ষিত সেই কৌশল অবলম্বন করেই ১৭০ ফুট উঁচু টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনেন তাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ৩০ মে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বাড়িখোলা গ্রামের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় ওই যুবককে দেখতে পান স্থানীয়রা। দেখতে দেখতে এলাকার লোকজনও জড়ো হন। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিছুক্ষণ ডাকাডাকি ও অনুরোধের পর হ্যান্ড মাইকে আজান দিলে ওই যুবক ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসে। ৫ দিন আগেও সদর উপজেলার কোড্ডা এলাকার বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে বসে থাকে এই যুবক। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আজান শুনিয়ে তাকে নিচে নামায়। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাড়িখোলা গ্রামের শরীফ উদ্দিন বলেন, বিকেল ৪টার দিকে চারদিকে সাড়া পড়ে কেউ একজন টাওয়ারে উঠে বসে আছে। কিছু তরুণ বিষয়টি ফেসবুকেও লাইভ প্রচার করেন। আমরা তাকে ডাকাডাকি করলেও সে না নেমে আপন মনে জিকির করছিল।
তিনি আরো বলেন, ওই যুবক কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। টাওয়ারের চূড়ায় উঠে জিকির করার পাশাপাশি কিছুক্ষণ পর পর টাওয়ারে নিজের মাথাকেও বাড়ি দিচ্ছিল।
এ বিষয়ে কসবা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বাসেত সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইকে আজান শুনিয়ে তাকে নিচে নামিয়ে আনি। এর আগেও পাশের সদর উপজেলার একটি টাওয়ারে উঠেছিল বলে খবর পেয়েছি। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হওয়ায় তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন অফিসারদের পরামর্শ মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় তীর্থযাত্রার একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ৮ মার্চ শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- জয়দাস (২২), সুমন (৩৬), বাপন দাস (৩৬), সংগীতা দাস (৩০), সুনাকা (৬০), খুশি রায় (৪), কবিতা রানী (৪০), আশা রায় (২৪), রাহুল রায় (১৭), রাকেশ (২৫), কেশব (২৬), গোপাল (৩০), জনি দাস (৩৬), মমতা দাস (৬৮) ও বাপন দাস (৪২)। আহতরা শহরের পাইকপাড়া ও মেড্ডার বাসিন্দা।
হাসপাতাল সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ মন্দিরে শিব চতুর্দশী মেলার তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে দুটি বাস জেলা শহরের পাইকপাড়া থেকে রওনা দেয়। পথে একটি বাস কসবার মনকাশাইর এলাকায় অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খালে পড়ে যায়। স্থানীয়রা ও কসবা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে।