চলারপথে রিপোর্ট :
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করেছেন “মাজলুম ওলামায়ে কেরাম” নামে একটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আজ ১১ আগস্ট রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম, নবীনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল কাইয়ুম ফারুকীর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উম্মুল কোরআন মাদরাসার মোহতামিম মুফতি উবায়দুল মাদানী। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পতন হওয়া স্বৈরাচারি সরকার গত ১৬ বছর এদেশে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছেন।
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলায় জেলার ৬৪জন আলেম দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। এ সময় আইন-শৃংখলাবাহিনীর গুলিতে ১৬জন আলেম ও মাদরাসার ছাত্র শাহাদাৎ বরণ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫৬টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া থানায় একটি মামলা রয়েছে। নেতৃবৃন্দ এসব মামলা সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় ২০২১ সালে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি এবং ২০২১ সালে চাকরিচ্যুত আলেম-ওলামাদেরকে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যার সাথে জড়িতরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা যাকারিয়া, মাওলানা নিয়ামুল করিম, মাওলানা মোজাম্মেল হক, মাওলানা আমানুল হক, মাওলানা খন্দকার ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তির পথ যুব সংগঠনের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়া জেলা ঈদগা মাঠে দুই দলের অংশগ্রহণে এই প্রীতি সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মোঃ মোস্তাক মিয়া এর সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি এড. মোঃ মাসুদ পারভেজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক ও যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদি কৃষকদলের সদস্য সচিব, যুক্তরাজ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদি ফোরামের আহবায়ক শাহ মো ইব্রাহীম মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তি পথ যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোঃ মানিক মিয়া, আলহাজ্ব মোঃ ফরহাদ সিদ্দিকী, মোঃ সাদেকুল ইসলাম, মোঃ জামাল মিয়া(কবিরাজ), মোঃ হানিফ মিয়া, মোঃ ফরহাদ হোসেন আহমেদ, মোঃ অলিউর রহমান(প্র.শি.), মোঃ আজমল ছিদ্দিকী, মুক্তির পথ যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা মোঃ নাদিম মিয়া,মুক্তির পথ যুব সংগঠনের এক্সিকিউটিভ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল মিয়া(দলিল লেখক), উপদেষ্টা এনামুল হক(এনাম), মুক্তির পথ যুব সংগঠনের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ দিদার, সাবেক সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আরাফকত খন্দকার, সাবেক সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য এড. শাহ মোঃ কাউছার, মোঃ হানিফ, আসির হোসেন মিলন, মোঃ খোকা মিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ট্রাইবেকার সাদা দলকে৩-৪গোলে পরাজিত করে নীল দল জয় লাভ করেন।
পরে খেলায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টায় শহরের অন্নদা স্কুলের বর্ডিং মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি থেকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি এস.এম শান্তনু চৌধুরী, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন প্রমুখ।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দৌড়, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, গোলক নিক্ষেপসহ ১০৮টি ইভেন্টে অংশ নেয়। পরে অতিথিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির গঠন উপলক্ষে ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দৈনিক বর্তমান পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক সেলিম পারভেজ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কর্মরত জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত থেকে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সর্বসম্মতিক্রমে দৈনিক বর্তমান পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সেলিম পারভেজকে সভাপতি, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন বেলালকে সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ফজলে রাব্বিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি মো: আশিকুল ইসলাম ও দৈনিক নিউ এইজ জেলা প্রতিনিধি হান্নান খাদেমকে সহসভাপতি, দৈনিক নয়া দিগন্তের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হককে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ আহমেদ অপুকে কোষাধ্যক্ষ, দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি খন্দকার মো: শফিকুল ইসলাম কে প্রচার সম্পাদক, দৈনিক আজকালের খবর’র মোজাম্মেল চৌধুরীকে জনকল্যাণ সম্পাদক, দৈনিক বায়ান্ন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি তৌহিদুর রহমান নিটলকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক, দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকার জেলা সংবাদদাতা মাঈনুদ্দীন রুবেলকে দফতর সম্পাদক ও ৯জনকে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে।
সভায় জেলা ও উপজেলায় কর্মরত জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী সকল গণমাধ্যম কর্মীকে সদস্য পদ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। এ উপলক্ষে কবি ও কবিতা বিষয়ক সংগঠন কবির কলমের উদ্যোগে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। একাত্তরের রণাঙ্গনের সাহসিকতার বাতিঘর, কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক (বীর প্রতীক) কে সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সংস্কৃতিজন আবদুল মান্নান সরকার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও গীতিকার কুরুলিয়ার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, কবি ও গীতিকার শিক্ষক আবদুর রহিম, কবি হুমায়ুন কবির ভূইয়া, তরী বাংলাদেশের সভাপতি শামীম আহমেদ ভূইয়া, অংকুর শিশু কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, কবি মাশরীকি শিপার, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, কবি আজিজা সোপান, কবি ইউনুস আহমেদ, কবি গোলাম মোস্তফা, সমাজ কর্মী কুহিনূর আক্তার, সংগীত শিল্পী শাহাদাত হোসেন সোহেল, সংগঠক ফাহিম মুনতাসিব, তরী বাংলাদেশের সোহেল আহমেদ, আজকের সংস্কৃতির সভাপতি মোস্তফা জাফরি হামীম, সোনালী সকালের সদস্য জাহিদ, মুবিন, নৃত্য শিল্পী জয় সহ একঝাঁক আবৃত্তি শিল্পী এ সময় আবৃত্তি করে।
সংগঠনে সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন শিপনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানটি শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তাগণ কবির কলম কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন একসময় দিনব্যাপী এ চত্বরে মুক্ত দিবসের কর্মসূচি পালন হত, এবার এমন কিছু চোখে না পরলেও কবির কলমের আয়োজনটি সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সংবর্ধনা পাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে সভায় আলোচনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ৩ এপ্রিল বুধবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে এ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ। এই কর্মসূচিতে প্রত্যেক কার্ডধারী পাচ্ছেন ২ কেজি করে মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি চাল ও ১ কেজি ছোলা বুট। মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটার, চাল ৩০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। টিসিবির পণ্য হাতে পেয়ে আয়শা বেগম বলেন, বর্তমান বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অনেক বেশি। এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে স্বল্প মূল্যে তেল, ডাল, চিনি ও চাল পেয়ে অনেক খুশি। সরকার সব সময় যেন আরো কিছু নিত্য পণ্য যোগ করে স্বল্পমূল্যে আমাদের প্রদান করে, সে দাবি জানাই। মুক্তার ও রফিক টিসিবির পণ্য হাতে পেয়ে বলেন, রমজান মাসে সরকার আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে এই স্বল্পমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়ায় অনেক উপকার হয়েছে।
সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌরসভায় ৪ হাজার ৯৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে চারটি স্থানে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়। তিনি আরো বলেন, এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। নিম্ন আয়ের মানুষরা যেন সঠিকভাবে এই পণ্য পান, সে জন্য জোরদারভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোনো ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।