চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক্টও চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনার ঘটে আজ ১২ আগস্ট সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ঘাটুরা এলাকায়। নিহতরা হলেন সাধন মিয়া (৪০) ও হিমেল (২৮)।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, নাজমুল করিম ও হিমেল সকালে অফিসিয়াল কাজে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে বিশ্বরোডে যাওয়ার পথে ঘাটুরা নামক এলাকায় তাকে একটি ট্রাক্টর চাপা দেয়। এতে নাজমুল ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং হিমেল গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত হিমেলকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আশুগঞ্জে মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম শফিক হত্যা মামলার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। নিহত শফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের গৌতমপাড়ার ধন মিয়া খন্দকারের ছেলে। শফিক পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন।
গতকাল সোমবার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মোঃ কাছম আলী (৫৫), কাছম আলীর ছেলে মোঃ জামান মিয়া (২৭) ও একই গ্রামের মোঃ ডাক্তার আলীর ছেলে মোঃ রিয়াদ মিয়া (২০)।
আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গৌতমপাড়া গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম শফিকের চাচাতো ভাই বাকপ্রতিবন্ধী মোঃ আবদুল্লাহর সাথে কাছম আলীর পক্ষের লোকজনের প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে পরদিন ৪ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় কাছম আলীর লোকজন শফিকুল ইসলাম শফিকে ঘাটুরা পেট্টোল পাম্পের সামনে একা পেয়ে এলোপাথারি মারধোর ও ছুরিকাঘাত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিককে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শফিকের ভাই বাদী হয়ে কাছম আলীকে প্রধান আসামী করে চারজনের নাম উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতদেরকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ৭ বছর পর বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৯ জুন শনিবার শহরের শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি নাটমন্দির চত্বরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে জেলার ৯ উপজেলা থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে শহরের হালদার পাড়াস্থ শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি নাটমন্দির চত্বরে সম্মেলনস্থলে সমবেত হন।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা।
সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনিল চন্দ্র দেবের সভাপতিত্বে ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদেও সদস্য সচিব সঞ্জীব চন্দ্র সাহা বাপ্পীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিন্দ্র নাথ বসু, সাংগঠনিক সম্পাদক এড: কিশোর কুমার রায় চৌধুরী পিন্টু, কার্যকরী সদস্য ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ট্রাফিকের দায়িত্ব¡ পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করতে দেখা গেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এর পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ট্রাফিক জ্যাম নিরসনকল্পে জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থীরা। কারও হাতে লাঠি, কারও মুখে বাঁশি। ট্রাফিক পুলিশের মতো ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা। এদিকে, রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনকে দেখা যায়নি। তবে সতর্ক অবস্থায় দেখা গিয়েছে সেনাবাহিনীদের। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সকাল থেকেই মেড্ডা থেকে অবস্থান করি নিজ উদ্যোগে। যাতে যানজট না হয় সেদিকের খেয়াল রাখার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে গোটা শহরে কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। এ অবস্থায় শহরবাসীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব বোধ থেকে আমরা সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নেমেছি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই কাজ চালিয়ে যাবে। একজন পথচারী বলেন, মনে হচ্ছে দেশটি নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতার জন্য আমরা খুবই খুশি দীর্ঘ ১৫ বছর অপেক্ষার পর এই দিনটি পেয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে। এতেও আরও বেশি ভালো লাগছে।
একজন রিকশা চালক বলেন, দেশটা নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। যাদের কারণে দেশ স্বাধীন হলো তারা আজ আবার ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে দেখে খুব ভালো লাগছে। প্রসঙ্গত: গত ৫ আগস্ট সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে শহরে জনগণের ঢল নামে, বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাসসহ মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
তেলবাহী লরি, যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী পরিবহন এসকর্টের মাধ্যমে নিরাপত্তা দিচ্ছে র্যাব-৯।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অপরাধ দমনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে জনসাধারণের পাশে থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা জোরদার করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাবের এই কার্যক্রম দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
দেশে বিভিন্ন সময়ে চলমান হরতাল-অবরোধে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে এবং দেশের সম্পদ রক্ষার্থে র্যাব-৯ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে চলমান হরতাল-অবরোধে জনসাধারণের চলাচলে কেউ যেন বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে এবং নির্বিঘ্নে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পণ্যবাহী, যাত্রীবাহী গাড়ি ও তেলবাহী লরি কনভয়কে নিরাপদে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে র্যাব এর দায়িত্বপূর্ণ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট,হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জ) জেলাগুলোতে নিয়মিতভাবে এসকর্ট প্রদানের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাসফিল্ড থেকে ছেড়ে যাওয়া রংপুরগামী বিভিন্ন তেলবাহী লরি কনভয়কে নিয়মিত র্যাবের এসকর্ট দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সিলেট থেকে বিভিন্ন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে এসকর্টকরে নিরাপত্তা দিচ্ছে র্যাব-৯। নাশকতা ও সহিংসতার মাধ্যমে কেউ যেন জনমনে ভীতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে র্যাব-৯ এর বিশেষ টহল এবং চেকপোস্ট কার্যক্রমের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরা সাদা পোষাকে সতর্কতার সাথে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।সব ধরনের পরিবহণ ও সাধারণ জনগণ যেন নিশ্চিন্তে এবং নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য র্যাব-৯ এর উক্ত নিরাপত্তা জোরদারকরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়াও যে কোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর।