চলারপথে রিপোর্ট :
৭ দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি থানায় যোগ দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। আজ ১২ আগস্ট সোমবার সকাল থেকে জেলা সদর থানা, সরাইল, নাসিরনগর, কসবা, আশুগঞ্জ, বিজয়নগর, আখাউড়া, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হন। এতে করে থানাগুলোতে আবারো ফিরতে শুরু করেছে স্বাভাবিক পরিবেশ। সে সাথে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো: শাখাওয়াত হোসেন জানান, জেলার সবগুলো থানাতে পুলিশ সদস্যরা যোগ দিয়েছেন। সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযোগ নথিভুক্ত ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ আশুগঞ্জ, আখাউড়া, কসবা, বিজয়নগর থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সদর মডেল থানা একেবারে ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও অন্যান্য থানাগুলো তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এর পর থেকে জেলার নয়টি থানার কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে বন্ধ ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকার নির্ধারিত ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা মূল্যে অপারগতা প্রকাশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দুদিন ধরে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। মূল্য বাড়ানোর দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে স্মারকলিপি দেন তারা। তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি নিয়ে যান মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন ফারুক আহমেদ। এছাড়া সঙ্গে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক।
তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি তুলে দিয়ে দাবি-দাওয়া পেশ করেন। এসময় জেলা প্রশাসক দেশব্যাপী সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জেলার মাংস ব্যবসায়ীরা তাদের লাভ হচ্ছে না জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। তবে সারাদেশে যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে, তারা অবশ্যই তা মেনে চলবেন। কেউ অতিরিক্ত দাম নিলে তা আমরা দেখবো।
তবে, এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক জানান, জেলা প্রশাসক মাংস ব্যবসায়ীদের বলেছেন, আপনারা আজ যেমন এসেছেন, কিন্তু আসার আগে মাংস বিক্রি কেন বন্ধ করলেন? সুবিধা-অসুবিধার কথা জানাতে পারতেন। তখন ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারি দরে তারা মাংস বিক্রি করতে পারবেন না। আবার অতিরিক্ত দরে বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করবেন। তাই তারা দোকান বন্ধ করছেন। সবশেষ জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্য মেনে মাংস বিক্রি করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১ মে বুধবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মসজিদ রোডস্থ ভূইয়া ম্যানশনে নিজস্ব কার্যালয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো: আরজু।
প্রধান আলোচক ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. জহির রায়হান, সাংবাদিক ইউনিয়ন সদস্য মো. মজিবুর রহমান, মনিরুজ্জামান পলাশ, সামিউল আহমেদ, আব্দুর রহমান বুলবুল, আরিফুল হক জুযেল, হান্নান মিয়া প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আধুনিকতার ছোয়ায় সংবাদ কর্মীদের কাজের পরিধি বেড়েছে? কিন্তু আগের মতোই জেলায় কর্মরত জাতীয় মিডিয়ার প্রতিনিধিদের বেতন বৈষম্য রয়ে গেছে। এসময় বক্তারা স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে কর্মরত কর্মীদের শ্রম অধিকার আদায়ে কিছু দাবি উত্থাপন করেন।
দাবি গুলো হচ্ছে, জেলার স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইনে কর্মরত কর্মীদের নিয়োগপত্র প্রদান, সাপ্তাহিক ছুটি ও সকল উৎসবে ভাতা প্রদানের দাবি। এছাড়াও জেলায় কর্মরত জাতীয় মিডিয়ার প্রতিনিধিদের ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন-ভাতা প্রদান।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জায়গার দলির ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১০৫ টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১২৬ টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১০০ টি পরিবার, আখাউড়া উপজেলায় ০৮ টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৪৯ টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার ও নাসিরনগর উপজেলায় ২৫৪টি পরিবারের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আজ ২২ মার্চ বুধবার সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উদ্বোধন করেন। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৬টি উপজেলাকে “ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
“ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে বিজয়নগর উপজেলা, নাসিরনগর উপজেলা, সরাইল উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, নবীনগর উপজেলা, আখাউড়া উপজেলা, সরাইল উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপকারভোগীদের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০৫জন উপকারভোগীর মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া বেদে সঙ্গীতা বেগম বলেন, আগে আমরা নৌকায় থাকতাম। যাযাবর জীবন ছিলো আমাদের। এখন থেকে নিজের ঘরে থাকব, এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে। তিনি তাকে ঘর দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
একই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া বেদে শিল্পী বেগম বলেন, জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপন ঠিকানা দিয়েছেন। যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করব। তিনি বলেন, আমি জীবনেও নিজের জায়গায় পাকা ঘরে থাকতে পারব ভাবিনি, প্রধানমন্ত্রী আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
সদর উপজেলার সুলতানপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া প্রতিবন্ধী হিরন মিয়া বলেন, আগে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতাম। এখন নিজের ঘরে থাকব। শেখ হাসিনা আমাকে জায়গাসহ ঘর দিয়েছে, আমি অনেক খুশি।
ঘর পাওয়া আনোয়ার, রবিউল ও শফিক মিয়া জানান, আজ প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে ঈদের আগেই ঈদ মনে হচ্ছে। আজ থেকে আমরা আমাদের স্বপ্নের নিজের ঘরে থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন। যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করব।
উল্লেখ্য, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হস্তান্তর করা ১০৫টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৫টি ঘর বেদে পরিবারকে দেয়া হয়।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, জনস্বার্থ ও জনকল্যাণ বিবেচনায় জেলাপরিষদ থেকে সকল উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে জেলার সকল উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের সাথে সমন্বয় করে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ থেকে উন্নয়ন বরাদ্দ বন্টন করা হবে।
গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদের ২য় মাসিক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এই কথা বলেন। জেলাপরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এড. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া ও কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ও পৌর মেয়র শিব শংকর দাস, আখাউড়া পৌরসভা মেয়র তাকজিল খলীফা কাজল, বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা মেয়র তফাজ্জল হোসেন, নির্বাচিত সদস্য আব্দুল আজিজ, মোঃ নাছির উদ্দিন, সংরক্ষিত সদস্য রুমানুল ফেরদৌসী ও সনি আক্তার প্রমুখ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন আগামী জুন মাসে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রেন চলাচল করবে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। তিনি রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শীবনগর এলাকায় নির্মাণাধীন আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্প পরিদর্শনকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইকথা বলেন।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ধীরে ধীরে সবগুলো রেলপথকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে পর্যায়ক্রমে মিটার গেজ থেকে ব্রডগেজে পরিনত করা হচ্ছে। তেমনিভাবে আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত যে রেলপথ আছে সেটিকেও ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি আন্দোলনের নামে পাকিস্তানের ভাবার্দশে বিশ্বাসী, ৭১এর পাকিস্তানী বাহিনীর প্রেতাত্মারা রেলের কোচ পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। রেলে আগুন দিয়েছে। তাদের আন্দোলনের গতি প্রকৃতি নিয়ে আমরা সব সময় শংকিত থাকি।
এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে সাড়ে ৩শ সদস্য রয়েছেন। বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছে তাতে কিছু যায় আসে না। এতে সংসদের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। তিনি বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে জনমত তৈরী করার আহবান জানান।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকোর কান্ট্রি ডিরেক্টর শরৎ শর্মা, এজিএম ভাস্কর বকশী, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইরকনের টিম লিডার রমন সিংলা বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সহিদুল ইসলাম, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) জাফর আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।