চলারপথে রিপোর্ট :
দেশে কিছু সংখ্যালঘুদের উপর হামলার খবর এলেও তা ধর্মীয় কারণে নয়, নিছক রাজনৈতিক কারণে বলে উল্লেখ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কওমী ছাত্রসমাজ।
আজ ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামীলীগের কিছু হিন্দু নেতারবাড়ি-ঘওে আক্রমণকে কেন্দ্র ধর্মীয় উপাসনালয়ে আক্রমণ হয়েছে চলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাফেজ আল মেহরান শাওয়াল। কওমী ছাত্র সমাজের পক্ষে হাফেজ ফখরুল হাসান, হাফেজ তারেক জামিল, হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আনন্দময়ী কালীবাড়ির পুরোহিত জীবন চক্রবর্তী, দক্ষিণ কালীবাড়ির সাধারণ সম্পাদক রাকে শবণিক, সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ।
ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলমান পরিস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলেম সমাজ ও মুসলমানদেও সহায়তা নিয়ে কওমী মাদরাসা ছাত্ররা বিভিন্ন মন্দির পাহারা দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত জেলার কোনো উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল গুজব ছড়াচ্ছে বলে সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে ৫ আগস্ট সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে জেলা শহর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের বিরাসার থেকে পাঁচ শতাধিক লোকজনের একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় মিছিলকারীরা শহরের ব্যাংক এশিয়া ভাংচুর করে। পরে শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে। দুপুর একটার দিকে সদর থানার সামনে রাখা তিনটি ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
পরে মিছিলকারীরা জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন, মুন্সেফপাড়া এলাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রিদোয়ান আনসারী রিমো, মেড্ডা এলাকায় শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানির বাড়ি ভাংচুর করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিঃ এর উচ্চ চাপ ক্ষমতাসম্পন্ন সরবরাহ লাইনের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের পাঁয়তারা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভাদুঘর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর এলাকার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফের ছেলে ইমতিয়াজ মোহাম্মদ বাবুল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, জেলার ১৭ ও ১৮ নং গ্যাস কূপের আওতায় শহরের শিমরাইলকান্দি থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত গ্যাস ফিল্ডের নিজস্ব জায়গার মাটির ৬ ফুট নীচ দিয়ে উচ্চ চাপক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাসের উৎপাদন লাইন নির্মাণ করে এবং দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলার জন্য বিজিএফসিএল এর পক্ষ থেকে সাইন বোর্ড ও মাইকিং করে প্রচার করে। অথচ স্থানীয় হারুন মিয়া, রফিকুল ইসলাম, খোকন মিয়া, বশির মিয়া ও জালাল মিয়াসহ একটি স্বার্থন্বেষী ভূমি খেকো মহল প্রভাব খাঁটিয়ে এই পাইপ লাইনের উপর দিয়ে পায়ে হাঁটা এবং ভারীযান পরিবহনের জন্য রাস্তা নির্মাণের পায়তারা করছে। ওই রাস্তা দিয়ে ভারীযান চলাচল করলে যেকোন সময় গ্যাস পাইপ লাইনের বিষ্ফোরণের আশঙ্কার পাশাপাশি শহরের ঘনবসতি মানুষের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিস্ফোরণে তা যেন মাগুরছড়া ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মতো ভয়াবহ বিপর্যয় না ঘটে। যেকোন ধরণের বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সেলিম মিয়া, মোকলেছ মিয়া, আব্দুর রহিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানীর লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এডমিন) মাহমুদুল নবী মিলন বলেন, সেখানের রাস্তা নির্মানের কোন সুযোগ নেই। আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা প্রতিনিয়ত দেখাশুনা করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়র ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ ২৬ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। সকাল সোয়া ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ. এস.এম. শফিকুল্লাহ, প্রফেসর খালেদ খান, আহসান শাহরিয়ার তোফা, মোঃ সাইদুল ইসলাম খান, শায়েলা ইয়াসমিন, মোঃ মোসলেম উদ্দিন, শামসুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত সরকারি কলেজ সমূহে উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার সংখ্যা মাত্র ১৬ হাজার। গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে ১২ হাজার ৪৪৪ টি পদ সৃজনের প্রস্তাব আটকে আছে ৯ বছর ধরে।
উপরন্ত আমরা লিখিতভাবে আপত্তি জানাবার পরেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫১২টি পদ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিল বহির্ভুত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি চুড়ান্ত করা হয়েছে। এটি সুষ্পষ্টই শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্বের উপর আঘাত। আমরা এ সকল কর্মকান্ডকে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল মনে করি। শিক্ষা ক্যাডারকে অন্ধকারে রেখে এই বিধি করার এখতিয়ার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই। আমরা শিক্ষা ক্যাডার বিরোধী এসকল কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে এই বিধি বাতিলের দাবি করি।
আমাদের দাবি না মানলে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২ অক্টোবর সারাদেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে। এতে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ১০, ১১, ১২ অক্টোবর টানা তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রশাসনসহ অন্যান্য সেক্টরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অফিস রয়েছে। কিন্তু জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনের জন্য শক্তিশালী শিক্ষা প্রশাসন গড়ে উঠেনি। দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত জেলা ও উপজেলা শিক্ষা প্রশাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সভাপতি জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও আকস্মিক দুর্ঘটনায় ক্ষতি গ্রস্তদের উদ্ধার ও সাহায্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট থেকে পঁচিশ সদস্যের একটি শক্তিশালী ‘‘ডিজেস্টারের রেসপন্স ইউনিট’’ গঠন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই ইউনিটের প্রতিটি সদস্যকে আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত দক্ষ মানবকর্মী হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি আজ ১৯ মে শুক্রবার বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্দেশনা ও আর্থিক সহযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের উদ্যোগে ডিজেস্টার রেসপন্স ইউনিট কর্মীদের চারদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আলহাজ¦ শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট দানবীর লায়ন ফিরোজুর অলিও এবং প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অন্যান্যের মধ্যে ইউনিট আহবায়ক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম শাহাজাদা, আশিকুর রহমান পাঠান ও সালাউদ্দিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সদর দফতর থেকে আগত জুনিয়র সহকারী পরিচালক কাজি আছাদুজ্জামান, আরসিওয়াই সদস্য তানজিম হাসান এবং ইউনিট লেভেল অফিসার পঙ্কজ সরকার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।