১০ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান

জাতীয়, 14 August 2024, 511 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

banner

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।

১৪ আগস্ট বুধবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নিউমার্কেট থানা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা।

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

শীতের দাপটে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে

জাতীয়, 13 January 2024, 940 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ চলছে । কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু সারা দেশের মানুষ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রমেই নিচের দিকে নামছে পারদের কাঁটা। ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ এলাকায়ই সূর্যের দেখা নেই কদিন থেকে। অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে রাজধানীতেও।

banner

কলকারখানা-গাড়ির ধোঁয়া, মানুষের কর্মচাঞ্চল্য, কোলাহল সবকিছুকে পেছনে ফেলে সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশায় চাদরে ঢাকা পড়ছে ঢাকা শহর। তবে সুসংবাদ নেই। চলমান এই শৈত্যপ্রবাহ আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে শীত বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এমন অবস্থায় শীত নিবারণে রাজধানীজুড়ে চাহিদা বেড়েছে গরম কাপড়ের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বিপণী বিতান, শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতে বেচাকেনা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের শীতের কাপড়।

আজ ১৩ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোডসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মিরপুর রোডের গোল্ডেন গেট শপিং সেন্টার, খান প্লাজা, কাদের অর্কেড, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মার্কেট, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট, নেহার ভবন, নুরজাহান সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নূর ম্যানশন সুপার মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেটসহ সবগুলো মার্কেটেই শীতের কাপড়ের ব্যাপক সমাহার। ব্যবসায়ী ও দোকানিরা ক্রেতাদের চাহিদা আর রুচির কথা মাথায় রেখে পসরা সাজিয়েছেন এসব পোশাকের। এরমধ্যে জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, ফুল স্লিভ টি-শার্ট, ব্লেজার, স্লিভলেস কোট, কটি, জিন্সের মোটা শার্ট-জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, উইন্টার কোট, উলের তৈরি শাল, খাদির শাল, মাফলার, কানটুপি, হাত-পায়ের মোজা অন্যতম।

ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের অধিকাংশ ক্রেতাই তরুণ-তরুণী। সেজন্য তাদের পছন্দের কথা চিন্তা করে দোকানে ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের কালেকশনই বেশি রাখা হয়েছে। এরমধ্যে এবার জ্যাকেটের চাহিদা বেড়েছে। এরমধ্যে জেন্টস লেদার জ্যাকেট, জেন্টস ফুল স্লিভ জ্যাকেট, লেডিস ফিট ফুল স্লিভ জ্যাকেট, জেনস কটন জ্যাকেট, ফুল স্লিভ জেন্টস ক্যাজুয়াল জ্যাকেট, জেন্টস হুডি জ্যাকেট অন্যতম। নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় রেখে এসব জ্যাকেটের প্যাটার্নেও এখন আনা হয়েছে বেশ নতুনত্ব। সিনথেটিক এবং মিক্সড লেদারের জ্যাকেটও রয়েছে দোকানগুলোতে। এছাড়াও ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন প্যাটার্ন স্টাইল এবং গুণগত মানের কাপড় দেখা গেছে দোকানগুলোতে।

চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী বাপ্পি হাওলাদার বলেন, নিউমার্কেটসহ আশপাশের এলাকার অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই মৌসুমভিত্তিক কাপড়ের ব্যবসা করেন। সে অনুযায়ী এখন অধিকাংশ দোকানেই শীতের পোশাক। তবে এক্ষেত্রে আমরা তরুণ-তরুণীদের পছন্দকে প্রাধান্য দেই। কারণ বয়স্ক মানুষজন একটি শীতের কাপড়ের একাধিক বছর চালালেও তরুণ-তরুণীদের প্রতি বছর নতুন কাপড় কেনার প্রবণতা বেশি। সেজন্য আমরা তাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই শীতের পোশাক সংগ্রহ করে থাকি। এবছর বিক্রি খুবই ভালো হচ্ছে। সম্প্রতি শীত বাড়ার কারণে দোকানে ক্রেতার পরিমাণও বেড়েছে। সবমিলিয়ে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীতের পোশাকের বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্টির কথাও জানান তিনি।

রবিউল হুসাইন নামের আরেক বিক্রেতা শীতের পোশাকের দাম সম্পর্কে বলেন, গুণগত মান এবং ব্র্যান্ডের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারিত হচ্ছে। দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভালো কোয়ালিটির জ্যাকেট ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আবার এক্সপোর্ট কোয়ালিটি কিংবা চায়না জ্যাকেট দেড় থেকে আড়াইহাজার টাকায় বিক্রি করছি। লেদার জ্যাকেটের দাম নির্ধারিত হচ্ছে গুণগত মানের উপর। সোয়েটার এবং হুডি ৮শ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করছি। মূলত, এবছর টেক্সটাইল এবং সব ধরনের গার্মেন্টস পণ্যের উপাদানের দাম বাড়ার কারণে এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। তবে বেশি বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে স্বল্প লাভেই বিক্রি করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট ফুটপাতের বিক্রেতারাও। মেয়েদের ওলের ওড়না, জ্যাকেট, চাদর থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন শীতের পোশাকের পসরা নিউমার্কেটের ফুটপাতজুড়ে। দামেও কিছুটা কমের কারণে সেসব দোকান ঘিরে ভিড় করছেন মানুষজন। অনেক দোকানে আবার চাদর, হুডি, হাতাওয়ালা টিশার্ট তাল মিলিয়ে ‘বাইচ্ছা লন, তিনশ’, ‘দেইখা লন, তিনশ’ এভাবে ডেকে বিক্রি করতে দেখা যায়।

আব্দুল ওয়াহাব নামের ফুটপাতের এক বিক্রেতা বলেন, বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। কমদামে ভালো কাপড় দিচ্ছি। আমাদের তো দোকান ভাড়া দিতে হয়না। কর্মচারী বিল নাই। সেজন্য অল্প লাভেই মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারছি। আজকে ছুটির দিন হওয়ার কারণে সকাল থেকেই ক্রেতা সমাগম বেশি।

আবার নিউমার্কেটের ভেতরে দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, মানুষজন বেশি কেনাকাটা করছেন তাদের এলাকায় থাকা আত্মীয় স্বজনদের কাছে পাঠানোর জন্য। বাড়ির ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য শাল, মাফলার, হাত-পায়ের মোজার ক্রেতার পরিমাণ বেশি। ভেতরের দোকানগুলোতে শাল চাদর মানভেদে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা, মাফলার ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে তিনশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার বাচ্চাদের পোশাকও গুণগত মান ও বয়সভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।

কেনাকাটা করতে আসা তাসলিমা বেগম বলেন, আমার বাড়ি গাইবান্ধা। সেখানে প্রচুর শীত পড়েছে। বাবা-মায়ের জন্য শীতের পোশাক আগেই পাঠিয়েছি। তারপরও এখন আবার মোটা খাদি কাপড়ের শাল চাদর, মাফলার এবং হাত পায়ের মোজা বেশি করে কিনে বাড়িতে পাঠাচ্ছি। দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশিই। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে কেনাকাটা তো করতেই হচ্ছে।

ইউসুফ মিয়া নামের আরেকটা ক্রেতা বলেন, শীত একটু বেশি পড়েছে। সেজন্য সবাই হুমড়ি খেয়ে কেনাকাটা করছে। ক্রেতা যেহেতু বেশি তাই দোকানিরা দাম একটু বেশি চাইছে। তবে নিউমার্কেটের ফুটপাতে সাশ্রয়ী মূল্যে শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। আর মার্কেটগুলোতে দাম কিছুটা বেশি। দেখেশুনে কেনাকাটা করতে হচ্ছে।

কম্বল-লেপের বিকল্প হিসেবে চাহিদা বেড়েছে কম্ফোর্টারের

শীতে আরামদায়ক ঘুমের জন্য উঞ্চতা বৃদ্ধিতে বর্তমানে সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেছে কম্ফোর্টার। লেপ কিংবা কম্বলের তুলনায় দ্রুত উষ্ণতা পেতে এর জুড়ি নেই। তাইতো কম্বল ও লেপের তুলনায় এখন চাহিদা বেড়েছে কম্ফোর্টারের। আবার বিদেশি কম্ফোর্টারের পাশাপাশি দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কম্ফোর্টার তৈরি করে স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করার কারণে দামও হাতের নাগালে রয়েছে। কম্ফোর্টার তৈরিতে এগিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানিও। তাই স্বল্প দামে ভালো মানের কম্ফোর্টারের দিকে ঝুঁকেছেন মানুষজন।

বিক্রেতারা জানান, অনলাইনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার কারণে মানুষ এখন দোকানে এসেই কম্ফোর্টার খুঁজেন। স্থানীয়ভাবে তৈরি ফাইবারের এসব কম্ফোর্টার সিঙ্গেল, সেমি ডাবল ও ডাবল হিসেবে দাম ঠিক করা হয়। আবার কম্ফোর্টারের পুরুত্বের ওপরও নির্ভর করে গুণগত মান।

নীলক্ষেত সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের বেডশিট ব্যবসায়ী ইলিয়াস খান বলেন, কম্বল ও লেপের তুলনায় কম্ফোর্টারের ওজন একেবারেই হালকা। তবে এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো দ্রুততম সময়ে উষ্ণতা পাওয়া যায়। আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ড যেমন কমফি, বেক্সি ফেব্রিকসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কম্ফোর্টার তৈরি করছে। এসব কম্ফোর্টার আকারভেদে এগারোশ টাকা থেকে আড়াইহাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কোরিয়ান, চায়নাসহ অন্যান্য বিদেশি কম্ফোর্টার সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইসঙ্গে কম্বলের বেচাকেনা আহামরি না হলেও অন্যান্য বছরের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটিসহ দেশে ৫০ মডেল মসজিদের উদ্বোধন

কসবা, জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 17 January 2023, 3843 Views,
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২টিসহ দেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সারাদেশে মডেল মসজিদগুলো খুলে দেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সারা দেশের মডেল মসজিদ উদ্বোধনকালে জেলা সদরের ছয়বাড়িয়ায় একটি ও কসবা উপজেলা সদরে একটি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে শহরের ছয়বাড়িয়া মডেল মসজিদের হলরুমে ইসলামী ফাউন্ডেশন ও গণপূর্ত বিভাগের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাকিউল আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম শেখ, ইসলামী ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক আশিকুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডঃ মোঃ লোকমান হোসেনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আলেম-ওলামাগণসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। গণপূর্ত অধিদপ্তর ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ দুটি নির্মাণ করেছে।

এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০টি মসজিদ খোলার মাধ্যমে, প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত ৯৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৬৪টির মধ্যে ১০০টি মসজিদ উদ্বোধন করলেন। তিনি এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করেছিলেন। আশা করা হচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারির শেষে তৃতীয় ধাপে আরও ৫০টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চালু করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদগুলোতে ওজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। এছাড়া হাজীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, লাশ দাফনের আগের প্রস্তুতি, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামী সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের জন্য সম্মেলন কক্ষ ও থাকবে। ইসলামিক দাওয়াত, ইসলামী বই বিক্রয় কেন্দ্র এবং দেশী-বিদেশী অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান বক্তব্য দেন। বিভিন্ন জেলা থেকেও কর্মসূচিতে ভাচুয়ালি যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ। অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শেখ হাসিনা সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল ইসলামী ভ্রাতৃত্ব এবং এর মূল্যবোধের প্রচার এবং সেইসাথে চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের সারমর্ম প্রচার করা কারণ ধর্ম কখনই এগুলোকে সমর্থন করে না।

এটি সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- প্রচারের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতেও মনোনিবেশ করবে। এ ক্যাটাগরির অধীনে, ৬৪টি জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা এবং ফ্লোর স্পেস ২,৩৬০.০৯ বর্গমিটার বিশিষ্ট প্রায় ৬৯টি চারতলা মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। বি ক্যাটাগরির অধীনে, প্রতিটি ১৬৮০.১৪ বর্গ মিটার ফ্লোর স্পেসসহ ৪৭৫টি মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে সি ক্যাটাগরির অধীনে ১৬টি মসজিদের প্রতিটি ২,০৫২.১২ বর্গ মিটার মেঝে থাকবে।
জাতির পিতা ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন আইন, ১৯৭৫ প্রণয়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার সাথে সঙ্গতি রেখে প্রকল্পটি সারা দেশে এই মসজিদ এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ইসলামী সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলার দিকেও দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

উদ্বোধন হওয়া ৫০টি মসজিদ হলো: ভাঙ্গা উপজেলা ও ফরিদপুরের নগরকান্দা, গাজীপুরের কাপাসিয়া, গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা, সদর উপজেলা ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, ঘিওর উপজেলা ও মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া, সদর উপজেলা ও নরসিংদীর মনোহরদী, গোয়ালন্দ উপজেলা মডেল মসজিদ রাজবাড়ি, জেলা সদর শরীয়তপুর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা, ধুনট উপজেলা ও বগুড়ার নন্দীগ্রাম, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলা, ভাঙ্গুড়া ও সুজানগর উপজেলা পাবনা, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রংপুরের কাউনিয়া ও গঙ্গাচরা ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলা, শেরপুরের সদর উপজেলা, পিরোজপুরের সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলা ও কশবা, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলা ও মানিকছড়ি, কুমিল্লার চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম, খুলনার রূপসা, খোকসা ও ভেড়ামারা কুষ্টিয়া। জেলা সদর ও গাংনী মেহেরপুর, সাতক্ষীরার দেবহাটা, সিলেটের গোয়াইনঘাট, জেলা সদর ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট।

মা ইলিশ সংরক্ষণ বিষয়ক জনসচেতনতা সভা

জাতীয়, 8 October 2023, 954 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনায় ২০২৩-২৪ আর্থিক সালে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

আজ ৮ অক্টোবর রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের চর সদিরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য দপ্তর আযয়োজিত অনুষ্ঠিত জনসচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন প্রামানিকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাওয়াল বিশ্বাস, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল আলী মাসুদ, অর্থ সম্পাদক হিরোক হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান রকি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী প্রমুখ।

বক্তারা ২২ দিন মা’ ইলিশসহ সকল প্রজাতির মাছ ধরার বন্ধের আদেশ মানার নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। ২২ দিন বন্ধের ফলে সাগর, নদী ও খালে মাছের প্রজনন প্রচুর হারে বাড়বে। তাই সরকারের নির্দেশনা মেনে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব মনে করেন বক্তারা। এ সময় স্থানীয় মৎস্যজীবীবৃন্দ ও স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।

৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সব পৌরসভার মেয়রকেও অপসারণ

জাতীয়, 19 August 2024, 507 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি দেশের ৬০টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সব পৌরসভার মেয়রকেও অপসারণ করা হয়েছে।

banner

আজ ১৭ আগস্ট সোমবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

মৃত্যুর কারণে নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হয়েছে। আটটি জেলা পরিষদে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে (সার্বিক) এবং ৫৩টি জেলা পরিষদে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব কর্মকর্তা নিজ নিজ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে এক আদেশে দেশের সব (৪৯৩টি) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। এদিকে জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি দেশের সব (৩২৩টি) পৌরসভার মেয়রকেও অপসারণ করা হয়েছে। আজ এ বিষয়ে পৃথক আরেকটি আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এর আগে গত শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।

ওই সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই আত্মগোপনে চলে গেছেন। জেলা ও উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রায় সব শীর্ষ পদই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দখলে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। পরে বিকল্প ব্যবস্থা করে সরকার। যেমন উপজেলা চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন সংশোধন করে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ তৈরি করছে সরকার।

বিএনপি ও জামায়াতের নামে যারা রাজনীতি করে, তারা বাংলাদেশ চায় না: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 10 January 2023, 2682 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যখনই ক্ষমতায় আসেন, তখনই উন্নয়নের জোয়ার শুরু হয়। তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের নামে যারা রাজনীতি করে, তারা বাংলাদেশ চায় না। তারা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করেছে। আবার বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া ও কসবা উপজেলা) আসনের এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, আমরা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট করেছি। এই উন্নয়নের অংশীদার বাংলাদেশের জনগণ। আপনারা জনগণের কাছে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট চাইবেন। আমার জন্যও নৌকা মার্কায় ভোট চাইবেন।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে বসিয়েছিলেন মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল আলবদর, আলশামস, রাজাকাররা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা না করলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নত দেশ হতে পারত। যারা পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর, তারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি। এ কারণে জিয়ার পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কর্তব্য হলো জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠন করা। আজকের দিনে আমাদের শপথ হোক, যত দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠন না করব, তত দিন আমরা ঘরে ফিরব না।’
কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ছিদ্দিকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আবদুল আজিজ, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রুমানুল ফারহানা, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া, কসবা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক প্রমুখ।