চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে সামাজিক অসংগতি দূরীকরণ সহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।
১৪ আগস্ট বুধবার সকালে মধ্যপাড়াস্থ ক্লাব প্রাঙ্গন থেকে এ অভিযানে ক্লাব নেতৃবৃন্দ সহ সদস্যরা এলাকার সম্প্রীতি রক্ষায় বিভিন্ন মন্দির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্র্শন করেন এবং এলাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। এছাড়া সম্প্রীতি রক্ষা সহ সামাজিক অসংগতি দূরীকরণে একটি তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের আহবায়ক আশরাফুল হক ফারুক জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটি সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ কর্মসূচি হয়েছে। উল্লেখ, গত ১২ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব কার্যালয়ে এক সভায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আশরাফুল হক ফারুককে আহবায়ক ও তাপস পাল প্রণবকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন রফিকুল ইসলাম (রফিক), শরীফুল হক বাকের, ইমতিয়াজ হোসেন সভ্য, মো. মানিক মিয়া, নকুল কৃষ্ণ পাল, মো. আবুল খায়ের, নান্নু মিয়া, আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মনির হোসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।
আজ ৫ জুন বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা শহরের কলেজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আয়াশ আহমেদ ইজাজ (২৩)। তিনি শহরের কলেজপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের স্নাতক উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ইজাজ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও সদ্য সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস প্রতীক) পক্ষে কাজ করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস প্রতীক) বিজয়ী হওয়ার খবরে সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে এলে আয়াশ আহমেদ ইজাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার বন্ধুরা তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগের কর্মী আয়াশ আহমেদ ইজাজ গুলিবিদ্ধ হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আটকে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত চত্বর থেকে অপহরণ হওয়া তিন যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় যুবকদের কাছ থেকে নেয়া ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
জরুরি সেবা সার্ভিস ৯৯৯-এ কল পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পৌর এলাকার ভাদুঘর রেললাইনের পাশ থেকে অপহৃত তিন যুবক সোহাগ মিয়া (৩০), হিমেল মিয়া (১৯) ও মুন্না মিয়া (৩৫) কে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ অপহরণকারী লাল মিয়া (২৯) কে গ্রেফতার করতে পারলেও অন্যান্য অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
উদ্ধার হওয়া সোহাগ মিয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে, হিমেল একই গ্রামের নেসার উদ্দিনের ছেলে ও মুন্না মিয়া আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নোয়ামোড়া গ্রামের ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে। গ্রেফতারকৃত লাল মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে।
উদ্ধার হওয়া হিমেল, সোহাগ ও মুন্না এবং পুলিশ জানায়, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে লাল মিয়ার সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জেরে লাল মিয়ার সাথে কয়েকদিন আগে তাদের ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় লাল মিয়া তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তারা আদালতে আত্মসমর্পন করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। পরে আদালত তাদেরকে জামিন দিলে দুপুর দেড়টার দিকে তারা আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় আদালতের সামনের রাস্তা থেকে মামলার বাদি লাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের তার ভগ্নিপতি ও খালাতো ভাই সাহস মিয়াসহ ৬/৭ জন যুবক তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাদের মোটর সাইকেলে তুলে নেয়। পরে তাদেরকে প্রথমে শহরের ওয়াপদার ভেতরে ও পরে ভাদুঘর রেললাইনের পাশে বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে বেধরক মারধোর করে। পরে লাল মিয়া ও সাহস মিয়া তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তাদেরকে ট্রেনের নীচে ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরে তিন যুবক তাদের স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা লাল মিয়ার বিকাশ নম্বরে এনে দেয়। পরে সুযোগ বুঝে অপহৃত যুবকদের একজন জরুরি সেবা সার্ভিস ৯৯৯ কল করে পুলিশের সহায়তা চাইলে বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় পুলিশ ভাদুঘর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে তিন যুবককে উদ্ধার ও অপরহনকারী লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে লাল মিয়ার কাছ থেকে বিকাশের মাধমে নেয়া ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, জরুরি সেবা সার্ভিস ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে আমরা তিন যুবককে উদ্ধার করি ও অপহরণকারী লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আজ ১৯ মে শুক্রবার গ্রেফতারকৃত লাল মিয়াকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারী, ২৫০ শয্যা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দালালের দৌরাত্ম প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ, সকল ভাঙ্গা সড়ক সংস্কারে পৌর কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণে গুরুত্ব আরোপের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলনের স্মৃতির ধারক বাহক সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
১ নভেম্বর দিবাগত শুক্রবার রাতে শহরের মৌলভীপাড়াস্থ বর্তমান অস্থায়ী কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, সহ-সভাপতি মোঃ সামসুল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, আইন সম্পাদক অ্যাড. মোঃ আক্কাস আলী, সদর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়ন, জেলা উন্নয়ন পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর, শরীফ আহমেদ খান, ডা. মোফাকখারুল ইসলাম, মোঃ হারুন আল রশিদ, মোহাম্মদ আমির ফারুক।
কোরআন তিলাওয়াত এবং দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ সারোয়ার কাইছার টিপু।
উপস্থাপনা করেন জেলা উন্নয়ন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলী আসিফ গালিব, জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি এজাজ আহাম্মেদ মনির, শফিউল আলম কাজল, মাসুদুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, বশির আহমেদ, সৈয়দ সালাউদ্দিন রকিব প্রমুখ নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। বক্তারা সাংগঠনিক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণে গুরুত্ব আরোপ করেন। পরে উৎসব মুখর পরিবেশে কেক কাটা হয় এবং জেলা আন্দোলন দিবস বাস্তবায়নে আগামী ৯ নভেম্বর পরামর্শ সভায় সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থাকার আহবান জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে আঁচ লেগেছে। এক সময় ঈদের আগে জেলার পাদুকা পল্লীতে চরম ব্যস্ততা থাকতো। কিন্তু এবারে দেখা মিলছে চিত্র ভিন্ন।
একদিকে উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি, অন্যদিকে মন্দার প্রভাবে কাজ কমে যাওয়ায় কারখানা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মালিকদের। সেইসঙ্গে যেটুকু কাজ মিলেছে, তাও করতে গিয়ে লোডশেডিংয়ের ছোবল পহাতে হচ্ছে।
এদিকে, অটো মেশিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না হাতে জুতা তৈরির আদি কারাখানাগুলো। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে মজুরি না বাড়ায় হতাশ পাদুকা কারিগররা।
সরেজমিনে পাদুকা শিল্প পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ঈদের আগে জুতা তৈরির যে ব্যস্ততা সচরাচর থাকতো সেটি আর আগের মতো নেই। হাতে তৈরির কারখানাগগুলোতে শ্রমিকের পরিমানও কমে গেছে। নেই কোনো কর্মচাঞ্চলতা। যে পরিমান অর্ডার পাওয়া গেছে, তা নিয়ে কাজ করছেন তারা।
পাদুকা তৈরির কারিগর এরশাদ মিয়া বলেন, বর্তমানে আমাদের কাজকর্ম অনেক কমে গেছে। চার বছর ধরে চায়না অটো মেশিনের কারণে আমাদের হাতে তৈরি জুতাগুলোর কদর কমে গেছে। আগে একটি কারখানাতে ২০/২৫ জন শ্রমিক কাজ করলেও এখন মাত্র চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক আছে। রমজান মাস যে আমাদের মৌসুম তা বুঝাই যাচ্ছে না। কাজ না থাকায় অনেক কারিগররা এখন অন্যান্য পেশায় চলে গেছেন।
প্রবীণ কারিগর এরশাদ মিয়া বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি এই পেশার সঙ্গে জড়িত। আগে চাহিদা অনেক ভালো ছিল। অটোমেশিনের কোম্পানি বের হয়ে আমাদের চাহিদা কমে গেছে। যে কাজ তা দিয়ে এখন আর কাঙ্খিত মুনাফা পাওয়া যায় না। পরিবার নিয়ে চলতে এখন কষ্ট হচ্ছে।
কারিগর বাদশা মিয়া বলেন, দিন দিন সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের মজুরির দাম আর বাড়ছে না। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করে ৫০০ টাকা মতো রোজগার হয়। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম বেড়ে যাওয়ায় এই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।
পাদুকার একাধিক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির পর অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে। আর যেটুকু জুতা তৈরির অর্ডার মিলেছে, লোডশেডিংয়ের কারণে তাও করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকতে গিয়ে কম মূল্যে তাদের জুতা বিক্রি করতে হচ্ছে। আর জুতা তৈরির উপকরণগুলোর দাম যেভাবে বেড়েছে, সেই অনুপাতে জুতার মূল্য বাড়ে নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পাদুকা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। নান্দনিক ডিজাইন ও গুনগত মান ভালো হওয়ায় ক্রমেই বিকাশ ঘটতে থাকে এ শিল্পের। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখানকার জুতার বেশ শুনাম। তবে গেল কয়েক বছর ধরে এই শিল্প খাতটি অনেকটাই দমে গেছে।
মাত্র কয়েক বছর আগেও জেলায় ৫ শতাধিক পাদুকা কারখানা থাকলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫০ এর ঘরে। কোনোরকমে টিকে থাকা অবশিষ্ট কারখানাগুলো চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এসব কারখানার মধ্যে ২৫টি অটোমেটিক মেশিন এবং বাকিগুলোতে হাতেই তৈরি হয় লেডিস, জেন্টস, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফুট ওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, জুতার উপকরণগুলোর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের জুতা তৈরি করে বিক্রি করতে লোকশান গুনতে হচ্ছে। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে কাজ করতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ হাজার ৫শত জন কৃষকদের মধ্যে প্রনোদনা হিসেবে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এই সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূইয়া প্রধান অতিথি থেকে কৃষকদের হাতে সার ও বীজ তুলে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগমের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফাহমিদা সিদ্দিকী হাবিবা, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক চৌধুরী ও সকল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম জানান, সদর উপজেলায় প্রনোদনার কর্মসূচির আওতায় ২হাজার ৫শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি আউশ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়। পাশাপাশি আউশ ধানের উফশী বীজ ব্রি ধান ৪৮, ব্রি ধান ৮২, ব্রি ধান ৮৫, ব্রি ধান ৯৮ জাতের উন্নতমানের বীজও কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
তিনি জানান, এ বছর পহেলা বৈশাখের আগেই সঠিক সময়ে কৃষকদের মাঝে আউশ ধানের বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে। যাতে কৃষকগণ সঠিক সময়ে বীজতলা করতে পারেন।