চলারপথে রিপোর্ট :
লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে সবচেয়ে বেশি দিন বই পড়ায় ২২ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। গতকাল ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
নাসিরনগরে সর্বাধিক দিন বই পড়লে পুরস্কার দেওয়ার প্রথা অব্যাহত রেখেছে এই উপজেলা প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বালিকা বিভাগে ১৪ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছে সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা, সুমাইয়া আফরিন, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, শাহ-সামিয়া, নুসরাত সোহা, লামিয়া আক্তা ও ইস্পা আক্তার।
১৩ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে আদ্রিতা। ১১ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছে ইসরাত তানিশা।
বালক বিভাগে ১৪ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছে পৃথিবী দাস সূর্য্য, গগনদীপ কুন্ডু, সৌমিক রায়, স্নেহাল গোপ পান্না, চৌধুরী আনাস ও আব্দুল গফফার। ১৩ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে সৌভিক রায়, সপ্তদীপ কুন্ডু ও অনির্বান দাস।
১২ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছেন তন্ময় সরকার। নাসিরনগরের ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পাঠের কোনো বিকল্প নেই। ভালো কিছু করার জন্যই এই উদ্যোগ। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়ুক, সেই উৎসাহ দানের জন্যই এই পুরস্কার।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে লাইব্রেরিতে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সবচেয়ে বেশি বই যারা পড়ছে তাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১২ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৩২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক দরবার শরিফের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল হয়। সেখানে আতুকুড়া গ্রামের দুই যুবক মোতাব্বির ও বাদল মিয়ার মধ্যে বসার জায়গা নিয়ে তর্ক হয়। পরদিন সন্ধ্যায় আতুকুড়া গ্রামে গিয়ে সেই ঘটনায় আবার তর্কে জড়ায় দু’জন। এর জেরে এক পর্যায়ে দুই ওয়ার্ডের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশ সদস্য, গ্রামবাসীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার দিন রাতে অভিযান চালিয়ে দুই পক্ষের ৩২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া শতাধিক লোককে আসামি করে একটি মামলাও করা হয়েছে।
আতুকুড়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়া বলেন, ‘ফান্দাউক দরবার শরিফে ওয়াজে গিয়ে ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের দু’জনের মধ্যে ঝগড়ার জেরে পরদিন আকুতুড়া বাজারে গেলে ৮নং ওয়ার্ডের লোকজন আমাদের লোকদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই পরে সংঘর্ষে জড়ায়। ৯নং ওয়ার্ডের ২৫ জন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে পুলিশ সবাইকে আটক করে।’ তবে এ ব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ডের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে তাহমিনা আক্তার (২৬) নামে এক মায়ের বিরুদ্ধে দুই মাস বয়সী শিশু সন্তান সাইমকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ১২ মার্চ রবিবার রাতে উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ ১৩ মার্চ সোমবার সকালে তাহমিনাকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশু সাইম উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মো. খোকন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর আগে তাহমিনা ও খোকন মিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের ঘরে চারটি সন্তানের জন্ম হয়। সর্বশেষ ছোট ছেলে সাইম জন্ম নেওয়ার পর তার নাম রাখার সময় খাবারের আয়োজন করে খোকন মিয়া। কিন্তু তাহমিনার বাবার বাড়ির কম লোকজনকে দাওয়াত দেন খোকন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পর দিন রাগ করে বাবার বাড়ি পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে চলে যান তাহমিনা। সেখানে গিয়ে খোকনকে ফাঁসানোর ফন্দি করেন তাহমিনা।
এরপর ১২ মার্চ রবিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে শিশু সাইমকে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন তাহমিনা। ওই দিন রাতেই তাহমিনা পাড়ার সবাইকে বলতে থাকেন- খোকন এসে তার শিশু সন্তান সাইমকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। তবে ওই দিন রাতে খোকন গোকর্ণ গ্রামের একটি ইটভাটায় কাজ করছিলেন। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা পুকুরে গোসল করতে গেলে শিশুর মরদেহ দেখতে পায়। তখন পুলিশ গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। তাহমিনাকে আটক করে পুলিশ।
নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহমিনা আক্তার তার শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তার স্বামী খোকন মিয়া স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলায় আগস্টে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ২৩ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হওয়া সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা, সুমাইয়া আফরিন, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, লামিয়া আক্তার, আদ্রিতা, নুসরাত জাহান সোহা ও শাহ সামিয়া। ২০ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হওয়া ইস্পা আক্তার। ১১ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হওয়া ইসরাত সানিয়া আক্তার। বালক বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হওয়া স্নেহাল গোপ পান্না, তন্ময় সরকার, সৌমিক রায়, গগনদীপ কুন্ডু, পৃথিবী দাস সূর্য্য, আব্দুল গফফার মাহুদী, সৌভিক রায়, আরিয়ান ইসলাম সোহান ও ওমর ফারুক। ২৫ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হওয়া সপ্তদীপ কুন্ডু। ২২ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হওয়া ক্বারি মো. আব্দুল্লাহ।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় কোন পাবলিক লাইব্রেরি নেই। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। সেটিতে পাঠক একেবারে ছিলো না। পাঠক বাড়ানোর লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল রবিবার সকালে বৈশাখী শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাঙালির নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুর হয়। নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধি গণ অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ (নাসিরনগর) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বর্ষবরণ উপলক্ষে ঐকতান সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র আয়োজিত ভর্তা উৎসবে অংশ নেন।