চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর মেডিকেল কলেজের নারী চিকিৎসক মৌমিতাকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ১৭ আগস্ট শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবক মকবুল আহমেদ মারুফ, শাহ আলম পালোয়ান, মেহেরুন্নেসা মুনিয়া প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রতিবেশী দেশ ভারতের শিক্ষার্থীরা আমাদের আন্দোলনে সমর্থন জুগিয়েছিল। তাই নৈতিক ও মানবিক কারণে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এ সময় বক্তারা ভারতে নারী চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসী ও তাদেও পরিবারের সদস্যদের আইনী সেবা দিতে প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক চালু করেছে জেলা পুলিশ।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রবাসী সহায়তা ডেস্কের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা। প্রবাসী এবং তাদের স্বজনরা স্বশরীরে এসে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি হটলাইন নম্বরে ফোন কল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমেও কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে পারবেন। দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টাই সহায়তা ডেস্কেও সেবা নিতে পারবেন প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এর আগে জেলা পুলিশ লাইনের ড্রিলশেডে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রেঞ্জ ডিআইজি। এতে তিনজন প্রবাসী সিআইপিকে সম্মাননা জানানো হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রবাস বিষয়ক পরামর্শক মোঃ এজাজ মাহমুদ, জেলার প্রবাসী সিআইপি আহমেদ মোত্তাকি, মোঃ তৌফিকুজ্জামান ও মোঃ কাশেম মিয়া। ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু প্রবাসে নিজেদের সমস্যার পাশাপাশি দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের সমস্যায় দুশ্চিন্তায় থাকেন। প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের এসব সমস্যা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের জন্য পুলিশের সহায়তা ডেস্ক খোলা হয়েছে। পুলিশের সাথে প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে তাদের আর হয়রাণি হতে হবে না। মূলত পুলিশ ও প্রবাসীদের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন রচনা করতেই বাংলাদেশ পুলিশ এই উদ্যোগকে আরো জোরদার করেছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ভারতের ত্রিপুরায় বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আগরতলার বিএসএফ সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের ৪ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির সুলতানপুর-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান। প্রতিনিধি দলটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যায়। বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ত্রিপুরা রাজ্যের গোকুলনগর-৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অজয় কুমার সিং। বিএসএফের ৫ সদস্যের দল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে সীমান্ত এলাকা শান্তিপূর্ণ রাখতে লক্ষ্যে বিএসএফের পুশ-ইন বন্ধ রাখা, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
সূত্র আরো জানায়, ভারত থেকে মাদক আসার বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাদেরকে সেখানকার মাদকের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে। পুশইন বিষয়েও আলোচনা হয়। আপাতত সেখান থেকে পুশইনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে আশ্বস্ত করা হয়। বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান বৈঠক শেষে ফিরে সোমবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। পুশইন ও মাদক বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া রুটিনমাফিক যেসব আলোচনা হয়, সেসব নিয়ে কথা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে মাদকদ্রব্যসহ ভারতীয় পণ্য চোরাচালান রোধেও বিজিবি সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
উভয়পক্ষই বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত চুক্তি-১৯৭৫ এবং সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (CBMP) আলোকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভুত যেকোন সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ/ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে একমত হন। পরিশেষে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে পতাকা বৈঠকটি সমাপ্ত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে আজ ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। সকালে জাতীয় পতাকা নিয়ে শহরে র্যালি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের ব্যানারে মুক্তিযোদ্ধারা
সকাল ১০টায় শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন মুক্ত মঞ্চে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বাঙ্গালী বীরের জাতি এর প্রমান করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। সীমান্তবর্তী অনেক জেলা মুক্ত হওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত হয়। ওইদিন শহরের পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিন পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জহুর আহমেদ চৌধুরী।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশে এখন নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে আসবে। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি ধ্বংসাত্মক ও নাশকতা করছে। তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে সরকারের কিছুই হবেনা, বিএনপি নিজেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের আয়োজনে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করতে ৩০ নভেম্বর থেকে জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় মিত্রবাহিনী পাকবাহিনীর ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালাতে থাকে। ১ ডিসেম্বর আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় ২০ পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়। ৩ ডিসেম্বর আখাউড়ার আজমপুরে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। সেখানে ১১ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। শহীদ হন ৩ মুক্তিযোদ্ধা।
এরই মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রাজাপুর এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে।
৪ ডিসেম্বর পাক হানাদাররা পিছু হটতে থাকলে আখাউড়া অনেকটাই শত্রæমুক্ত হয়। এখানে রেলওয়ে স্টেশনের যুদ্ধে পাক বাহিনীর দু’শতাধিক সেনা হতাহত হয়। ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়।
এরপর চলতে থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত করার প্রস্তুতি। মুক্তিবাহিনীর একটি অংশ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে এবং মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্ট ডিভিশন রেজিমেন্টের সদস্যরা আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও উজানিসার সড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। শহরের চারিদিকে মুক্তিবাহিনী অবস্থান নিতে থাকায় ৬ ডিসেম্বর পাক সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজাকারদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে.এম লুৎফুর রহমানসহ জেলা কারাগারে আটক অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের করুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাকিস্তানীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। পরে ৮ ডিসেম্বর কোনও ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শত্রুমুক্ত হয়।
৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল যুদ্ধের পরিচালনাকারী জহুর আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। একই দিন সন্ধ্যায় জেলার সরাইল উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আফ্রিকার মধ্য কঙ্গোর ফিমি নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় প্রায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এছাড়াও ডজনখানেক মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নৌকাটিতে ১০০ জনের বেশি যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার এটি রাজধানী কিনশাসার উত্তর-পূর্বে ইনোঙ্গো শহর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। যাত্রার কয়েকশো মিটার পথ অতিক্রম করার পর ফিমি নদীতে এটি উল্টে যায়।ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেও নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলতে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ইনোঙ্গোর নৌ কমিশনার ডেভিড কালেম্বা বলেন, নৌকার ছাদের অংশে অতিরিক্ত ওজন ছিল। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
চলতি বছরে মাই-এনডম্ব প্রদেশে এটি চতুর্থ বড় নৌকাডুবির ঘটনা। নদীবেষ্টিত আফ্রিকার এই অঞ্চলে মানুষের যাতায়াতের জন্য নৌপরিবহনই প্রধান মাধ্যম। কারণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের যাত্রীদের অনেকের পক্ষে সড়কপথে ভ্রমণের খরচ বহন করা সম্ভব নয়।
কর্মকর্তারা বারবার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন এবং যারা এই নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিক দামে কাপড় বিক্রির দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৯ এপ্রিল রবিবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের কোর্ট রোডের এফ.এ টাওয়ারের বিভিন্ন শো-রুমে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় “লাইক ফ্যাশন হাউজ” নামক কাপড়ের শো-রুমকে ৫ হাজার ও “লা-রোজা” নামক কাপড়ের শো-রুমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে রবিবার দুপুরে শহরের কোর্ট রোডের এফ.এ. টাওয়ারের বিভিন্ন শো-রুমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে কাপড় বিক্রির দায়ে লাইক ফ্যাশন হাউজের শো-রুমকে ৫ হাজার এবং ক্রয় মূল্যের রশিদ প্রদর্শন করতে না পারায় লা-রোজা নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়।