চলারপথে রিপোর্ট :
ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা পরিহার করে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ আগস্ট রোববার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ-সভাপতি আবু কাউসার খানের সভাপতিত্বে ও সাঈদ হাসান সানীর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মোমিনুল হক।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন ও সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, এবং সাবেক সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, অধ্যাপক জিয়াউল হক লাভলু, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে- যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এদেশে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। এটিকে কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না। তাই দল-মত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ ধরনের সহিংসতা পরিহার করে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বীমা ফোরামের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স কোঃ লিঃ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোর্ট রোডস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা বীমা ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা বীমা ফোরামের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আরজু মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি এইচ এম আবুল বাশার, সহ-সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর হোসেন ফারুক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া কার্যকরী সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন।এছাড়া বিভিন্ন বীমা কোম্পানীর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণসহ সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আমাদের নদীগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী পালিত হলো আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস ২০২৫। এই দিবসটি উপলক্ষে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ এর আয়োজনে নদী রক্ষায় দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা ‘ শীর্ষক এক আলোচনা সভা আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে হয়েছে।
সভায় বক্তারা নদী সুরক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন,মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরাম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মমিনুল হক, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরি বাপ্পি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ।
সভায় বক্তারা নদী রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের আহবান জানান। সোহেল রানা ভূইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী। আমন্ত্রিত অতিথিদের পাশাপাশি নদীরক্ষায় করনীয় সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর সদস্য মাহবুব খাঁন ও সফিউল আলম সুমন, মোহাম্মদ জাবেদ হোসাইন, মো. সাবের হোসাইন, শাহ আলম পালওয়ান।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি আরো উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য নাফিজ আহমেদ সেলিম, হৃদয় কামাল, মোস্তফা দেলোয়ার, সদস্য সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর হোসাইন, শাকিল আহমেদ, শাহগীর মৃধা, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, আব্দুল হেকিম, জুবাইদুর রহমান মেহেদী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যাগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে ও সাবেক জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলী আজমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মমিনুল হক, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু, সাবেক কোষাধক্ষ্য জসিম উদ্দন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তারিকুল ইসলাম রুমা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হেবজুল বারী, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সকল নেতাকর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। পরে নির্যাতিত ত্যাগীদের বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির চলমান রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে বক্তারা বলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র ও ত্যাগী এবং কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি করে জেলার কাক্সিক্ষত সম্মেলন করতে যাচ্ছে। তাই প্রশ্ন জাগে সিনিয়র নেতাদের কি অপরাধ তারা আজ বঞ্চিত।
বক্তারা সম্মেলনকে সামনে রেখে একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ বিগত ফ্যাসিস সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ত্যাগীদের নিয়ে তালিকা করার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, প্রত্যেকটি উপজেলায় ত্যাগীদের বঞ্চিত করে নিজস্ব পকেটের লোক দিয়ে সম্মেলনের চিত্র বারবার কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকে জানানো হয়েছে। দলের ৯০ ভাগ ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সম্মেলন কখনো স্বচ্ছ হবে না।
সমাবেশে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে উপস্থিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় দুই শতাধিক কবি সাহিত্যিকদের আনন্দঘন অংশহগ্রহনের মাধ্যমে ২৯ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অদ্বৈতমল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন। কয়েকটি পর্বে বিভক্ত এই কবিতা উৎসবে ছিলো উদ্বোধনী আলোচনা। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, আবৃত্তি গান ও সম্মাননা প্রদান।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এসময় তিনি এই ধরণের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্যের সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে দেবার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁর সকল ভালো কাজে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সূচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব কবি আসাদ মান্নান। এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক সাবেক যুগ্ম সচিব কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কবি জয়দুল হোসেন ও কবি মো. আ. কুদদূস। মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এ পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, অনুষ্ঠানের আহবায়ক কমিটির সমস্য সচিব কবি আব্দুর রহিম, উপাধ্যক্ষ একেএম শিবলী।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠণ ও আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এসময় অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনির মোড়ক উন্মোচন ও বিতরণ করা হয়। তাছাড়াও কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস এর সদ্য প্রকাশিত ছিন্নপক্ষ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর আবৃত্তি পরিবেশন করেন তিতান আবৃত্তি সংগঠণের নাওমী।
কয়েকটি পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানমালায় কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, আলোচনা, আবৃত্তি আর গানের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন আমন্ত্রিতরা। দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি জয়দুল হোসেন। এই সময় সভাকবির বক্তব্য প্রদান করেন ফরিদ আহমেদ দুলাল, আলোচনা করেন কামরুল হাসান, মজিদ মাহমুদ, মামুন মোস্তফা প্রমুখ। উপস্থাপনা করেন কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়। এসময় আবৃত্তি পরিবেশনা করেন- ভাষা সাহিত্য ও অনুশীলন কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এসময় সঙ্গীত পরিবেশন করেন কবি আসাদ মান্নানের সহধর্মিনী নাজমা মান্নান।
তৃতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি জয়দুল হোসেন। এই সময় সভাকবির বক্তব্য প্রদান করেন সম্পাদক-অধ্যাপক ও কবি মাহমুদ কামাল, আলোচনা করেন রানা কুমার সিংহ, কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের ডিন ডক্টর জিএম মনিরুজ্জামান। এ পর্বে উপস্থাপনা করেন কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। এসময় আবৃত্তি পরিবেশনা করেন- তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রোকেয়া দস্তগীর।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায় দুই শতাধিক কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।
বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসবে বক্তারা বলেন, বর্ষা ঋতু বাংলার অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কাজেই বর্ষা ও পানিকে সুরক্ষ করতে হবে। তারা বলেন, এদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি বর্ষার পানির উপর নির্ভরশীল। এজন্য আমাদের জলবায়ূ নিয়ে কথা বলতে হবে। প্রকৃতির সব ঋতুর যেনো সুরক্ষা হয়-তা নিয়ে ভাবতে হবে। তারা আরও বলেন, সাহিত্যে বর্ষা নিজস্ব মহিমায় বিস্তৃত। সাহিত্যের প্রাচূর্য বৃদ্ধি পাক। তরুণ প্রজন্মকে সাহিত্যের দিকে টেনে আনার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তারা বলেন, তরুণরা এখন কবিতা লিখছেনা, এটা ভাববার বিষয়। তরুণদের কবিতা পড়ায় উৎসাহ দিতে হবে।
বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসব শিরোনামের প্রশংসা করে তারা বলেন, কবিতার জন্য অবশ্যই বিষয় থাকতে হবে। একটা সময় বর্ষা ছিলো আমাদের জন্য আশির্বাদ। বাংলা সাহিত্যে এমন কোনো কবি নেই যিনি বর্ষা নিয়ে কবিতা লিখেন নাই। অথচ আজ প্রকৃতি যেমন বদলে যাচ্ছে তেমনি আমাদের কবিরাও বর্ষা নিয়ে তেমন কবিতা লিখছে না।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আগত কবিদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ওয়েলকাম ড্রিংকস, চা, মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন ছিলো। পুরো অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি ও গীতিকার এবং কবিতাবিষয়ক গবেষক মো. আ. কুদদূস ও সাবেক যুগ্ম সচিব কবি সানাউল হক।
দিনব্যাপী এই বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কয়েকজন কবি অংশগ্রহন করেন এবং তাদের মাতৃভাষায় রচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবিদের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট, পাবনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, নোয়াখালি ও ঢাকার কবিরা অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুল্লাহ, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যাপক এসআরএম ওসমান গণি সজিব উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মায়ের স্বপ্ন ছিল জীবনে একবার হেলিকপ্টারে চড়ার। তিনি তার ইচ্ছের কথা জানান ছেলে সোহাগ সরকারকে। মায়ের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে বৃদ্ধ বাবা-মাকে হেলিকপ্টারে চড়ালেন ছেলে। ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের প্রস্তাবিত জাহানারা হক মহিলা কলেজ মাঠ থেকে সোহাগ সরকারের বাবা-মাসহ চারজন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় হেলিকপ্টারটি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্মমঠ এলাকার বাসিন্দা সোহাগ সরকার।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোহাগ সরকার বলেন, আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল যে হেলিকপ্টার দিয়ে ঘুরবে। পরে জানতে পারলাম যে আমার এলাকায় প্রবাসী হেলিকপ্টার আসবে তখন আমি মায়ের এ স্বপ্নটা পূরণ করতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকিট বুকিং করি। বাবা-মায়ের এ ছোট স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে সত্যিই আমার খুব ভালো লাগছে।
এ সময় সোহাগের মা বলেন, আমার ছেলের কাছে বলেছিলাম আমার স্বপ্ন হেলিকপ্টার দিয়ে ঘুরবো। আজকে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে আমার ছেলে। আমি এবং আমার স্বামী আমরা দুজনেই এই হেলিকপ্টার দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি।
সৌদি আরব প্রবাসী ইসমাইল খাঁ বলেন, সরকার প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী হেলিকপ্টার নামে দারুন একটি সেবা চালু করেছে। আমি প্রথমবারের মতো আমার এলাকায় প্রবাসী হেলিকপ্টার দিয়ে টাকা বিমানবন্দর থেকে আমার এলাকায় এসেছি। আমি প্রবাসীদের কাছে অনুরোধ করব যদি কারো সামর্থ্য থাকে তাহলে যেন প্রবাসী হেলিকপ্টার সেবা গ্রহণ করেন।
হেলিকপ্টার দেখতে এলাকার কয়েকশো উৎসুক জনতার ভিড় জমে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রবাসীদের এমন আসা তাদের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। প্রতিটি প্রবাসী এমন সম্মান নিয়ে যেন দেশে ফেরেন সেটায় আশা করছেন স্থানীয়রা।