অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সব (৪৯৩টি) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। তাঁদের জায়গায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ ১৯ আগস্ট সোমবার এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এর আগে গত শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
ওই সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই আত্মগোপনে চলে গেছেন। জেলা ও উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রায় সব শীর্ষ পদই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দখলে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। পরে বিকল্প ব্যবস্থা করে সরকার। যেমন উপজেলা চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন সংশোধন করে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ তৈরি করছে সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ মঙ্গলবার চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল বুধবার ঈদ। এক মাস সিয়াম সাধনার পর উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকাল থেকেই শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য অগণিত মুসলিম আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। চাঁদ দেখা না গেলে পরের দিন বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের দিন আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে সবাই শামিল হবেন ঈদগাহ ময়দানে।
দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি করবেন একে অপরের সঙ্গে। দোয়া ও মোনাজাত করবেন বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম জাহানের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায়।
ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক বৈঠক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদ দেখা গেলে বুধবার ঈদুল ফিতর, অন্যথা পরশু মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল ফিতরের আনন্দে মেতে উঠবে সন্দেহ নেই।
যারা এক মাস রোজা রেখে অভুক্ত থাকার কষ্টকে অনুভব করেছেন, নামাজ, তারাবিহ, ইবাদত-বন্দেগি ও ইসলামের অনুশাসন পালন করেছেন, তাদের জন্য এই ঈদ আনন্দ বেশি উপভোগের, উচ্ছ্বাসের ও শান্তির। তাদের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের এক মহাপুরস্কার হচ্ছে ঈদ।
পবিত্র কোরআনের বর্ণনা মতে, এক মাস রোজা রাখার পর মুসলমানরা যখন নতুন পাজামা-পাঞ্জাবি তথা পছন্দের পোশাক পরে, দেহে আতর-খুশবু মেখে ঈদগাহে যান, তখন ফেরেশতারা তাদের সংবর্ধনা জানান। স্বর্গীয় সব বাণীতে তাদের অভিনন্দিত করা হয়। ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর জন্য এক সর্বজনীন ধর্মীয় উৎসব তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ধনী-দরিদ্র, ছোট-বড়, শাসক-শাসিত ও আবালবৃদ্ধবণিতা সবার জন্য ঈদের আনন্দ যেন সমান ও ব্যাপক হয়, ইসলামে সেই ব্যবস্থা রয়েছে।
পবিত্র রমজানে বিত্তবানরা এগিয়ে এলে এবং দান-খয়রাত করলে, জাকাত ও ফিতরা প্রদান করলে দরিদ্ররা ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারবে বেশি। তাদের মুখেও হাসি ফুটবে এবং ঈদের ভোর আসবে তাদের জন্য আনন্দবার্তা নিয়ে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঈদের খুতবায় দান-খয়রাতকে বিশেষ ভাবে উৎসাহিত করতেন।
মঙ্গলবার চাঁদ দেখা গেলেই ঘরে ঘরে উপাদেয় খাদ্যসামগ্রী তৈরির তোড়জোড় শুরু হবে। সেমাই খাওয়ার ঈদ বলে প্রচলিত এই ঈদে সেমাইয়ের সঙ্গে থাকবে ফিরনি, পিঠা, পায়েস, কোরমা, পোলাওসহ সুস্বাদু সব খাবারের সম্ভার। রোগীদের জন্য হাসপাতাল এবং এতিমখানা ও বন্দিদের জন্য জেলখানায় থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন।
সরকারি শিশুসদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র এবং দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে থাকবে উন্নতমানের খাবার ও বিনোদনের ব্যবস্থা। এছাড়া কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের সব কারাগারেও পরিবেশন করা হবে উন্নতমানের খাবার। এরই মধ্যে ঈদের আনন্দ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
কাপড়চোপড়ের মার্কেট থেকে শুরু করে মসলাপাতির বাজারও জমে উঠেছে। চলছে কেনাকাটার ধুম। নাড়ির টানে মানুষ ছুটছে গ্রামের পানে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরাও নিজ নিজ এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। ঈদ মানুষকে কাছে টানে। দৃঢ় করে সামাজিক ও সম্প্রীতির বন্ধন।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সচিবরা। আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করছেন সরকারপ্রধান।
জানা গেছে, সাধারণত সচিব সভায় কয়েকটি নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডার বাইরেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এবার এ বৈঠকের জন্য বিস্তারিত এজেন্ডা থাকছে না। এছাড়া সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে সারা দেশে প্রশাসনিক কাজগুলো কীভাবে দ্রুত স্বাভাবিক ধারায় আনা যায়, এ-সংক্রান্ত পরামর্শ শুনতে চাইতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তার সরকার এসব বিষয়ে কী ভাবছে, সে সংক্রান্ত নির্দেশনা সরাসরি সব সচিবকে দেবেন ড. ইউনূস।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারে রয়েছেন ২১ জন উপদেষ্টা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গলায় লিচুর বিচি আটকে জুনাইদ নামে দেড় বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার যশরা ইউনিয়নের খোদাবক্সপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জুনাইদ ওই গ্রামের আশরাফুল আলমের ছেলে।
জুনাইদের পরিবারের সদস্যরা জানান, দুপুরে নানার বাড়ি থেকে আনা লিচু খাচ্ছিল জুনাইদ। একটি লিচু খেতে গিয়ে বিচি জুনাইদের গলায় আটকে যায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
উচ্চ মাত্রায় হাইড্রোলিক হর্ন বাজিয়ে শব্দদূষণ সৃষ্ঠি করার অপরাধে ছয়টি যানবাহনকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর শেরপুর। আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের গৌরিপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় গাড়ির শব্দদূষণ রোধে ছয়জনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা হয় ১১টি হর্ন এবং অভিযুক্তদের সাবধানও করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর শেরপুর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস এই তথ্য জানিয়েছেন।
সুশীল কুমার দাস জানান, শব্দদূষণের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। উচ্চমাত্রায় হাইড্রলিক ব্যবহার পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বৃহস্পতিবার শেরপুর শহরের গৌরিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ও শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালায় এই শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শেরপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. আশরাফুল আলম রাসেল।