অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ক্রমেই আন্দোলন তীব্র হয় এবং অসংখ্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। অবশেষে আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি পুলিশের গুলি করা নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ সময় সেখানে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের গুলির বিষয়টি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে জানাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারি বিভাগে উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মাদ ইকবাল। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা।
একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’
এ ঘটনায় (ডিসি) মোহাম্মাদ ইকবালকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল ১৯ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীতে অবস্থিত নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় তাকে।
তিনি এখন ডিএমপির ডিবি হেফাজতে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেছেন, ইকবালের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত তা তারা জানেন না। তারা শুধু তাকে হেফাজতে রেখেছেন।
আন্দোলনের পুরো সময় মোহাম্মদ ইকবাল ওয়ারি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়া এলাকা তার আওতাধীন ছিল। আন্দোলনের সময় এই দুটি জায়গাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আন্দোলনের মোট নিহতদের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুলিশ ও জনতা হতাহত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়া এলাকায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
রংপুরে শিশু, কিশোর-কিশোরীদের উপর সহিংসতা এবং বাল্যবিয়ে রোধে কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিভাগীয় পরামর্শক সভা হয়েছে।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের প্রধান মাঠ সমন্বয়ক এএইচ তৌফিক আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এপিসি প্রকল্পে’র প্রকল্প পরিচালক এসএম লতিফ।
বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলোয়ারা বেগম। পরামর্শক সভায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এনজিও কর্মী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এতে বাল্যবিয়ে রোধসহ শিশু, কিশোর-কিশোরীদের উপর সহিংসতা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০২৪ সালের হজের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে সাধারণ প্যাকেজে খরচ পড়বে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম।
এ ছাড়া এবার একটি বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ এই হজ প্যাকেজে খরচ পড়বে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হজ প্যাকেজ-২০২৪ ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ হজ প্যাকেজের বৈশিষ্ট্য নিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, এতে প্যাকেজ আপগ্রেডেশন, অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে মক্কার হোটেলে ২ ও ৩ সিটের রুমের সুবিধা, মক্কায় হারাম শরিফের চত্বর থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ মিটারের মধ্যে উন্নতমানের হোটেলের ব্যবস্থা, মদিনায় মারকাজিয়া এলাকায় আবাসন ব্যবস্থা, এক রুমে সর্বোচ্চ চার সিট, মিনায় ‘এ’ ক্যাটাগরির তাঁবুতে আবাসন ও বুফে খাবার ব্যবস্থা এবং মিনা-আরফাহ মুজদালিফা-মিনায় যাতায়াতে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য বাসে সিট নিশ্চিত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৪৪৫ হিজরি ৯ জিলহজ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সালের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালে হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি এজেন্সির কোটা ১ লাখ ১৭ হাজার।
সরকারি মাধ্যমের হজ প্যাকেজের বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, সাশ্রয়ী মূল্যে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের সাধারণ প্যাকেজ, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের সাধারণ প্যাকেজের মূল্য এবং সুযোগ-সুবিধা সমান, প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ সিট থাকবে, প্যাকেজ আপগ্রেডেশনের সুবিধায় অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে মক্কার হোটেলে ২ ও ৩ সিটের রুম নেওয়া যাবে।
সরকারি মাধ্যমের সাধারণ প্যাকেজ মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে এবং হজযাত্রীদের জন্য অনুরূপ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে। উন্নতমানের বাড়ি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে এজেন্সি একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সাধারণ প্যাকেজের ব্যয় ২০২৩ সালের হজের চেয়ে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমানো হয়েছে এবং বিমানভাড়া ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাব সভাপতি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেসরকারি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলনে তা ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে হজযাত্রীর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু হবে এবং ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে হজের জন্য সরকারিভাবে হজ প্যাকেজ ধরা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
আগের বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ ধরা হয়েছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। ওই বছর কোরবানি ছাড়া প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৪৯ টাকা।
এর আগে ২০২০ সালে এই প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছিল জনপ্রতি ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
৯০ জন নারীকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে প্রত্যেককে একটি করে সেলাই মেশিন দিয়েছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। আজ ২৪ মে বুধবার দুপুরে নগরীর শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে এসব সেলাই মেশিন তুলে দেন সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাতা, প্রশিক্ষণ, অর্থিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেলাই মেশিন দেয়া হলো। সেলাই মেশিন ব্যবহার করে আত্মকর্মসংস্থান ও নিজের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তবেই আজকের এই আয়োজন স্বার্থক হয়ে উঠবে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মসিকের প্যানেল মেয়র-৩ সামীমা আক্তার, সমাজকল্যাণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি শীতল সরকার, সচিব মো. আরিফুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানাসহ অন্যান্য ও বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর ভারতীয় সীমান্তে নিজেদের অবস্থান কঠোর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের উপজেলার রঘুনাথপুর সীমান্তে ৫ ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীকে পতাকা বৈঠকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এবার লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টাকালে বাধা দিয়েছে বিজিবি। উপজেলার দহগাম ইউনিয়নের হাড়িপাড়া সীমান্তে ঘটেছে এই ঘটনা।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র বলছে, বুধবার হাড়িপাড়া সীমান্তের ৮ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের ২৩ থেকে ২৬ নম্বর সাব-পিলার অংশে জিরো লাইন (নো ম্যানস ল্যান্ড) বরাবর আকস্মিকভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে কাজ শুরু করে বিএসএফ। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে বিষয়টি নজরে এলে বিজিবি এতে বাধা দেয়।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হঠাৎ করে সীমান্তের জিরো লাইন বরাবর ভারতীয় শ্রমিকরা গর্ত করে লোহার পিলার বসিয়ে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি শুরু করেন। এর কিছুটা দূরে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের দিকে অস্ত্র তাক করে টহল শুরু করেন। এ সময় সেখানে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বিএসএফ সদস্যকে দেখা যায়। এসময় গ্রামবাসী ও বিজিবি সদস্যরা বাধা দিলে কাজ বন্ধ রেখে ভারতীয়রা পিছু হটে।
রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সেলিম আল দীন জানান, আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন ভেঙে সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবর বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টায় বাধা দিয়েছে বিজিবি। এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকেও নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘ভুলক্রমে’ বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করায় ৫ ভারতীয়কে আটক করে বিজিবি। বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও ভারতীয়দের ফেরত দিতে রাজি হয়নি বিজিবি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনায় পড়া না পারায় আব্দুল কাইয়ুম (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের শরীরে গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার চান্দের চর ইউনিয়নের নয়াকান্দি মমতাজিয়া আছমতিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার কাইয়ুমের মা বিষয়টি জানার পর রাতে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ও তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা করেন। পরে রাতেই মাদ্রাসাটির শিক্ষক আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে অধ্যক্ষসহ বাকি শিক্ষকরা মাদ্রাসায় তালা লাগিয়ে পালিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার কাইয়ুম চান্দের চর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কাদিরের ছেলে। সে মাদ্রাসাটির হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পড়া না পারার ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক আতিকুল ইসলাম ও তিন ছাত্র মিলে কাইয়ুমকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে তার শরীরে ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে সোমবার দুপুরে কাইয়ুমের জন্য মাদ্রাসায় খাবার নিয়ে যান মা হাফেজা বেগম। সেখানে তার অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলে কাইয়ুম ঘটনা মাকে জানায়। পরে তিনি কাইয়ুমকে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং এলাকার গণ্যমান্যদের জানান। বিকেলে কাইয়ুমকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাফেজা বেগম বলেন, মাদ্রাসায় যারা আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমার মতো যেন কোনো মাকে এভাবে সন্তানের অবস্থা দেখে চোখের পানি ফেলতে না হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম সিকদার জানান, ছেলেটির ক্ষত বেশ বড়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।