চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ব্যবসায়ী সুশান্ত সরকার হত্যার বিচার ও খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ ২০ আগস্ট মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সকাল ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ী সত্যজিত দেবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান খাঁন মাসুম, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আশকর আলী, স্থানীয় মেম্বার মেহেদী হাসান জালাল, মেম্বার আক্তার হোসেন, সাবেক মেম্বার মালেক মিয়া, সৈয়দ মিয়া, নিহতের চাচা সুব্রত সরকার, আব্দুর রহিম প্রমুখ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিহতের মা রূপালী সরকার ও স্ত্রী রূপা সরকার। বক্তারা হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী করেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে ইউনিয়নের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুশান্ত একটি পুরনো মোটর সাইকেল বিক্রির টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল ক্রেতা আশিকের সাথে। এরই জের ধরে আশিক রবিবার (১৮ আগষ্ট) রাতে তার দলবল নিয়ে এসে সুশান্তকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে মেঘনা নদীর পাড়ে লাশ ফেলে রেখে যায়। এই ঘটনায় নিহত সুশান্তের মা রূপালী সরকার বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
শফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ উজ্বলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ ৪ মে রবিবার নবীনগর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবাদ সভায় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি সভাপতিত্বে ও দৈনিক কালবেলা উপজেলা প্রতিনিধি শাহনূর খান আলমগীরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আবু কামাল খন্দকার, সাবেক সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, অর্থ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাবু, আব্দুল হাদী, পিয়াল হাসান রিয়াজ, মিঠু সূত্রধর পলাশ, আবু কাউছার, সাইফুল ইসলাম রবিন, শফিকুল ইসলাম বাদল, সফর আলী, জামাল হোসেন পান্না, মোমিনুল হক রুবেল,সাকিল আহামেদ রুবেল, মাজেদুল ইসলাম, মনির হোসেন, হেলাল উদ্দিন, আব্বাস উদ্দিন হেলাল, কাউছার আহামেদ, নুরে আলম, মো: আমজাদ হোসেন, এম নুরুল আলম সরকার, সফিউল আলম, ইকরাম হোসেন এবং আলামিন।
সভায় বক্তারা মামলাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে বলেন, সংঘর্ষের দিন মোস্তাক আহমেদ উজ্বল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অবস্থান করছিলেন। অথচ তাকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল নবীনগরের সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা ও বাড়াইল গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজিজ মিয়া (৫২) নিহত হন এবং অন্তত ৩০ জন আহত হন। বক্তারা অবিলম্বে সাংবাদিক উজ্বলের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তারা বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সত্যের পক্ষে তারা সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মামুনুল হকসহ সকল কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবিতে নবীনগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থানা গেইটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মুফতি বেলায়েতুল্লাহ কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মেহেদী হাসান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম নবীনগর উপজেলার সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল কাঈয়্যুম ফারুকী, নবীনগর দাওয়াতুল হক পরিষদের সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা মাকবুল হোসাইন, মাওলানা ফোরকান উদ্দিন নবীপুরী, হাফেজ মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা মুমিনুল হক ভূইয়া, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা মোকতার হোসাইন আমিনী, মাওলানা ফরহাদ হোসাইন ফরিদী, মাওলানা আব্দুর রউফ, হাফেজ সাদ-উল্লাহ, মুফতি আবু সুফিয়ান, মাওলানা মোফাজ্জল, হাফেজ রাকিবুল ইসলাম তাজ, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মোঃ নিয়ামুল হুদা, মাওলানা কাউছার, হাফেজ কামরুল ইসলাম, মাওলানা রবিউল্লাহ, মাওলানা খালিদ সায়ফুল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা আল্লামা মামুনুল হক সহ মাজলুম কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবি সহ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে পথচারী হাফেজ রেজাউল করিমকে নির্মমভাবে পিঠিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান, অভিলম্বে অপরাধীদের কে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেন।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর উপজেলা কাজলিয়া থেকে পরিত্যাক্ত ৬৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার শিবপুর ইউনিয়ন কাজলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন স্কুল ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বেকো দিয়ে মাটি উত্তোলণের সময় গুলি গুলো স্থানীয়রা দেখে প্রশাসন কে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে গুলি গুলো উদ্ধার করেন।
স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় এখানে মুক্তি যোদ্ধাদের আস্থানা ছিল, তারা মনে হয় গুলি গুলো এখানে রেখে গেছেন। শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ মো.কামাল বলেন, উপজেলা কাজলিয়া সরকারি প্র্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবণ নির্মাণের জন্য বেকো দিয়ে মাটি উত্তোলণ করার সময় ৬৮ রাউন্ড এলএমজি গুলি দেখতে পেয়ে প্রশাসন কে খবর দিলে ঘটনা স্থলে গিয়ে গুলি গুলো উদ্ধার করা হয়।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পাশ করা কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ মে শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই সংবর্ধনা প্রদান ও দোয়া মাহফিলসহ দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সমাবেশ ও নবগঠিত পিটিএ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. মো. মিজানুর রহমান।
প্রধান শিক্ষক শাহ জাহান কবিরের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক আলী আকবর মাস্টারের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, মো. শাহীন, বাছির উদ্দিন, মিজানুর রহমান, মোখলেছুর রহমান, ইভা আক্তার, শিক্ষক প্রতিনিধি আবুল হোসেন, বায়েছ মিয়া ও হাজেরা বেগম, প্রভাষক আবুল হোসেন, মতিউর রহমান, পিটিএ কমিটির সভাপতি মফিজুল করিম, সদস্য সচিব বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ সহ ৯১.৪% শিক্ষার্থী পাশ করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সার্বিক দিকনির্দেশনায়, শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং শিক্ষার্থীদের সদিচ্ছার কারণেই এ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সাফল্যে এমন ফলাফলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এ জন্য তারা উপস্থিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন।
পরে দেশ, জাতি ও ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনায় মিলাদ শেষে দোয়া করা হয়।