সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ যাদের লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হচ্ছে

জাতীয়, 21 August 2024, 409 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের সব মন্ত্রী-এমপির নামে বরাদ্দ কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

banner

মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে (ডিআইপি) এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ডিআইপি ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে এবং আশা করছি, শিগগিরই আদেশ জারি করা হবে।’

সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহন করেন। এমপিদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা প্রাথমিক পাসপোর্টধারীর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করছি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্টও বাতিল হয়ে যাবে।’

মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘যদি কেউ (কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী) নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই প্রথমে কূটনৈতিক বা লাল পাসপোর্টটি জমা দিতে হবে এবং তারপর আইন অনুযায়ী একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।’

জানা যায়, লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে যাদের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন, এমন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে।

সে ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পাওয়ার পরই তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

অবৈধ জাল পুড়িয়ে জেলেদের বৈধ জাল বিতরণ

জাতীয়, 14 November 2023, 835 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
রামগতি উপজেলার ২০ জন জেলের অবৈধ জাল পুড়িয়ে তাদেরকে বৈধ সুতার জাল দেওয়া হয়েছে।

banner

আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জেলেদের বৈধ জাল বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. রাহিদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ ও চর আলগী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন।

মৎস্য বিভাগ জানায়, মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টে কম্পোনেন্ট-৩ এর আওতায় উপজেলার আসলপাড়া ও রঘুনাথপুর মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতির ২০ জন সুফলভোগীর মধ্যে এ জাল বিতরণ করা হয়েছে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দুটি মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতির ২০ জন জেলের অবৈধ জাল পুড়িয়ে নতুন সুতার (ফাঁস জাল) জাল দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা জালের দৈর্ঘ্য ৪ শত মিটার। যার বাজার মূল্য ২২ হাজার টাকা।

নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কিনা সময়ে বলে দেবে: জি এম কাদের

জাতীয়, 1 January 2024, 803 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরে যাওয়াটাও রাজনীতির জন্য সুখবর নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের অনেক আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা সরে যাচ্ছেন। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কিনা তা সময় বলে দেবে।

banner

আজ ১ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর কোর্ট চত্বরে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, অনেক সময় অনেক প্রার্থী নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকেন না। কেউ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ করেন, আবার কেউ ঘোষণা করেন না। তবে পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে আমার একটা নির্দেশনা আছে। যারা নির্বাচন করতে চান করবেন, না চাইলে সেটিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা তাদের রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রার্থীতা প্রত্যাহার হুমকির কারণে হতে পারে, অর্থের অভাবে হতে পারে। তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরে যাওয়াটা ওই আসনের ভোটাররা ভালোভাবে দেখেন না। নির্বাচন থেকে সরে গেলে, প্রার্থীরা অন্য কারো প্ররোচণায় কিংবা সমর্থনে বা আতাঁত করে অথবা ভয়ে সরে গেছে এমন একটা ম্যাসেজ যায়। যা রাজনীতির জন্য সুখবর নয়। দেশের বিভিন্ন আসন থেকে জাপার প্রার্থীরা সরে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে কিনা সেটা সময়ে বলে দেবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।

গণসংযোগে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি-ইসি নিয়োগের দায়মুক্তি কেন অসাংবিধানিক নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি করলো হাইকোর্ট

জাতীয়, 27 August 2024, 459 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কমিশনার (ইসি) নিয়োগের দায়মুক্তি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

banner

আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন তখনকার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংলাপে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ইসি গঠনে আইনের পক্ষে প্রস্তাব করে। আওয়ামী লীগও ইসি গঠনে আইনের প্রয়োজন আছে বলে মত দেয়।

সংবিধানে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের নির্দেশনা থাকলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরে তা হয়নি।
অবশেষে ২০২২ সালে সেই আইন করে ইসি গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার। এর জন্য ওই বছর ১৭ জানুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। পরে ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনটির বিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। ২৯ জানুয়ারি এ আইনের গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

আইন পাসের পর ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে ওই বছর ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম দেওয়ার অনুরোধ করে। ব্যক্তিপর্যায়েও নাম আহ্বান করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে কমিটি। অনুসন্ধান কমিটির প্রকাশ করা ৩২২ জনের তালিকা থেকেই নতুন নির্বাচন কমিশনের ৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তাঁদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে করা হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। আর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান এবং সাবেক দুই জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান। এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এই আইনের ৯ ধরায় বলা আছে- ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতঃপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।’

এই ধারাটি চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। তাঁরা হলেন- আব্দুল্লাহ সাদিক, জিএম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক এবং একেএম নুরুন নবী। রিটে বলা হয়, সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে। আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। আইন বিভাগ কোনো আইন পাশ করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে না। কারণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার আইন, ২০২২ এর ৯ ধারার মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘ধারা ৯ এর মাধ্যমে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি বিচার বিভাগের ক্ষমতাকেও খর্ব করা হয়েছে। যা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ এবং ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতি ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থি। তা ছাড়া এই দায়মুক্তি সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক।’

বাড়তি দামে খেজুর বিক্রি, তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

জাতীয়, 25 March 2023, 1486 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে ফলের পাইকারি বাজার ফলমণ্ডিতে অভিযান চালিয়ে বাড়তি দামে খেজুর বিক্রির দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

banner

আজ ২৫ মার্চ শনিবার দুপুরে আদালত পরিচালনার সময় ফল ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন জালিয়তির বিষয়টি ধরা পড়ে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জানান, রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিতে উন্নত জাতের খেজুরকে নিম্নমানের খেজুর দেখিয়ে আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সে খেজুর আবার ফলমণ্ডিতে তিন থেকে চারগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছিলো। ফলমণ্ডি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আমদানিকারক ও কমিশন এজেন্টরা সিন্ডিকেট করে বাড়তি দরে খেজুুরসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করছেন।

অভিযানের সময় আমদানি নথি যাচাই করে দেখা যায়, ফলমণ্ডিতে ১২ জন আমদানিকারক গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৪০ হাজার ২৪ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করেছেন। এগুলো কেজিপ্রতি গড়মূল্য ৮৯ টাকা ৩৬ পয়সা। এরমধ্যে আমদানিকারক ‘আল্লাহর রহমত স্টোর’ গত চার মাসে ৩৩টি এলসির মাধ্যমে ২ হাজার ৫৭২ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করে কেজিপ্রতি ৭০ টাকা ১৪ পয়সা দরে। ‘আলী জেনারেল ট্রেডিং’ ১৬৮ মেট্রিক টন খেঁজুর কেজিপ্রতি ১০৪ টাকা দরে আমদানি করে।

অথচ ফলমণ্ডির ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে প্রতি কেজি আজওয়া ৭৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, মাবরুম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, মরিয়ম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, দাবাস ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, জাহিদি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, মেজডুল খেজুর ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা ও আলজেরিয়া খেজুর ২৫০ থেক ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো।

অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গাছ লাগানোর শর্তে ভবনের নকশা অনুমোদনের নির্দেশনা গণপূর্তমন্ত্রীর

জাতীয়, 8 July 2024, 485 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
খালি জায়গায় গাছ লাগাতে হবে, এমন শর্তে ভবনের নকশা অনুমোদনের নির্দেশনা দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

banner

আজ ৮ জুলাই সোমবার পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের মেকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ডে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের (৮-১৪ জুলাই) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী বলেন, বাড়ি করার জন্য রাজউক যেসব শর্তের ভিত্তিতে নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে একটি শর্ত যুক্ত করতে বলেছি, তারা যেন বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগায়, অন্তত ফুলের বাগান হলেও যেন করে। তাতেও বনায়নের কিছুটা কাজ হবে।

‘পূর্বাচলে বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশ জমিতে যেন গাছ লাগানো হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। ফলদ, বনজ এবং ঔষধি- যে কোনো ধরনের গাছ হতে পারে। একইসঙ্গে নিজেদের খাওয়ার উপযোগী সবজি উৎপাদন করা যেতে পারে। ঘরের বারান্দায়, ছাদে বা বাড়ির আঙিনায় কাঁচামরিচ বা এ ধরনের অনেক কিছু নিজেরা আবাদ করা যায়,‘ যোগ করেন তিনি।

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে ঘাটতিও রয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণে যেসব জমি রয়েছে, তার খালি অংশে বৃক্ষরোপণ করা হবে।

‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’- প্রতিপাদ্য নিয়ে এই বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর ৫ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রী বলেছেন, আগামী এক বছরে আমরা ৫ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যরা যারা উপস্থিত আছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর, সংস্থায় কর্মরত সবাইকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম বলেন, গাছ লাগাতে বেশি সময় লাগে না। আমরা যেন এটা করতে গিয়ে অফিসের কাজে ফাঁকি না দেই। অফিসের কাজের পাশাপাশি অনায়াসে গাছ লাগানো যায়। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে নগরকৃষির জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ও সচিব মেকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ড চত্বরে খালি জায়গায় একটি করে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন।

অনুষ্ঠানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।