অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের সব মন্ত্রী-এমপির নামে বরাদ্দ কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে (ডিআইপি) এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ডিআইপি ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে এবং আশা করছি, শিগগিরই আদেশ জারি করা হবে।’
সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহন করেন। এমপিদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা প্রাথমিক পাসপোর্টধারীর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করছি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্টও বাতিল হয়ে যাবে।’
মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘যদি কেউ (কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী) নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই প্রথমে কূটনৈতিক বা লাল পাসপোর্টটি জমা দিতে হবে এবং তারপর আইন অনুযায়ী একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।’
জানা যায়, লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে যাদের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন, এমন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পাওয়ার পরই তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বিএনপি। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নয়াপল্টন এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, আমান উল্লাহ আমানসহ সকল সিনিয়র নেতাদের সাজা প্রদানের প্রতিবাদে এবং মিথ্যা-গায়েবী মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশী সাজা বাতিল এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যুগপৎ ধারায় আন্দোলনের একদফা দাবির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ।
সরজমিন দেখা যায়, সমাবেশে অংশ নিতে বেলা ১টা থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে কর্মসূচির প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তুলেন।
এদিকে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটর সাইকেলে থাকা মোহাম্মদ মুজাহিদ চৌধুরী নামের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট নিহত হয়েছেন। ১৩ মার্চ সোমবার রাত ১১টার দিকে বন্দরের আউটার রিং রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ মুজাহিদ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর গ্রামে।
তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সন্তানের মুখ দেখার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলেন এ ট্রাফিক সার্জেন্ট। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিএমপির বন্দর ট্রাফিক জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, পতেঙ্গা এলাকায় ডিউটি ছিল মুজাহিদের। আরেক সার্জেন্ট ও কনস্টেবলের সঙ্গে আলাদা আলাদা মোটর সাইকেলে তারা ফৌজদারহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ওয়াই জংশন এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকার তাকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়েন মুজাহিদ। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পাহাড়তলি থানার পুলিশ প্রাইভেটকার চালককে আটক করেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, মুজাহিদের স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আগামী মাসেই তিনি সন্তান প্রসব করবেন বলে চিকিৎসক সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন। প্রিয় সন্তানের মুখ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলেন মুজাহিদ। সন্তানের মুখ দেখার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তার।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ৭০ বছর বয়সের চিরকুমার অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক শওকত আলী হাওলাদার। তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজুকে (৩৫) বিয়ে করেছেন।
রামপাল সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক বিয়ের পর নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন। দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে স্ত্রী নাজুর সঙ্গে শওকত আলী হাওলাদারে যুগল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে শুভ কামনা জানাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ কটু মন্তব্যও করছেন।
রামপালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক শওকত আলী হাওলাদারের বাড়ি উপজেলার জিগিরমোল্লায় হলেও তিনি হুড়কা গ্রামে বসবাস করেন। রামপাল কলেজে শিক্ষকতার পাশাপশি ভাইবোনদের মানুষ করতে তার সময়মতো বিয়ে করা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা শওকত আলী হাওলাদারকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও তিনি সবসময় তা এড়িয়ে গেছেন। ভাইবোনেরা বিয়ে করে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অবসরপ্রাপ্ত এই কলেজ শিক্ষক একাকিত্ব অনুভব করায় ৭০ বছর বয়সে এসে পার্শ্ববর্তী মোংলা উপজেলার মিঠাখালী এলাকার কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজুকে বিয়ে করেন।
গত শনিবার (১৮ মার্চ) ১০ লাখ টাকা দেনমোহরানা নিয়ে এবং নগদ পাঁচ লাখ টাকা ওয়াসিলে এ বিয়ে করেন শওকত আলী হাওলাদার। বিয়ের পোশাকে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা সেই ছবি তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুই আইডিতে পোস্ট দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। রামপাল ছাড়িয়ে এই বিয়ের খরব এখন চায়ের দোকান, অফিসে আড্ডায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
শওকত আলী হাওলাদারের ছোট ভাই আব্দুল হালিম খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বড় ভাইয়ের কাছে মানুষ হয়েছি। সারাটা জীবন তিনি আমাদের সুখে দুঃখে বটবৃৃক্ষের মতো আগলে রেখেছেন। বড়ভাই কলেজ শিক্ষকতা থেকে অবসরে চলে আসায় এবং বর্তমানে আমরা নিজেদের পরিবার ও ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি অনেকটা একাকিত্ব বোধ করছিলেন। তার এই একাকিত্ব দূর করতে ও তাকে দেখভাল করতে এ সময় তার একজন সঙ্গিনী খুবই দরকার ছিল। এই পরিস্থিতে আমরা তাকে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করলে তিনি একটা সময় এসে রাজি হন। এরপর আমরা মোংলা উপজেলার মিঠাখালি এলাকার এক কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজু (৩৫) সঙ্গে তাকে বিয়ে দিয়েছি। কনের আগের সংসারের মেয়েটার দায়িত্ব আমার বড় ভাই শওকত আলী নিয়েছেন। তারা বর্তমানে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন। পরিবারসহ নতুন বর ও কনে আগামীতে হজেও যাবেন। সংবাদমাধ্যমে দেশবাসীর কাছে এই নবদম্পতির জন্য দোয়া চাই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর এলাকার পুকুর হতে মাছ ডাকাতির সময় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় ১৪জন সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেছে র্যাব-৫।
আজ ১১ অক্টোবর বুধবার ভোররাতে ১৯ বস্তা মাছসহ তাদের গ্রেফতার করেন র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।
বিকেলে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এই তথ্যগুলো জানান।
আটককৃতরা হলো, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক হিন্দুপাড়া গ্রামের শ্রী বিষ্ণু দাসের ছেলে শ্রী রাম কৃষ্ণ দাস (৩৫), মৃত মহিন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫), একই উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মোঃ মোজাহার সরদারের ছেলে মুকুল মিয়া (৩৫), মৃত ওমরচান সরদারের ছেলে মোজাহার সরদার (৩৬), জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার শ্রী সুবিন্দ চন্দ্রের ছেলে শ্রী রিমন চন্দ্র (২১), শ্রী বিরেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী বিফল চন্দ্র দাস (২৪), শ্রী ঝড়– চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কাজল চন্দ্র দাস (২১) ও শ্রী প্রনব চন্দ্র দাস (২২), জিয়াপুর গ্রামের শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী উজ্জল চন্দ্র দাস (২৮), মৃত নির্মল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নিরেন চন্দ্র দাস (৩৬), মৃত হরেন হাওলাদারের ছেলে শ্রী মিলন চন্দ্র হাওলাদার (৩৪), শ্রী বিপ্লব চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী শুভ চন্দ্র দাস (১৯), পাঁচবিবি উপজেলার কুসুমবাগ গ্রামের সায়েদ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (২৭), ও ধুরইল গ্রামের মৃত তোফেজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ড্রাইভার মোঃ আমজাদ হোসেন (৪৮)। আটককৃতদের আত্রাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ চিহ্নিত ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে গোপনে অন্যের পুকুরে মাছ লুট করে বিভিন্ন বাজারে পাইকারী বিক্রি করে আসছিল।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ডাকাত দলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ সরদারপাড়ার আবুল কালাম আজাদের পুকুরে মাছ লুট করে পিকআপে লোড করার সময় র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক উক্ত ডাকাত চক্রের সদস্যদেরকে হাতেনাতে আটক করে।
সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশিকালে তাদের নিকট থেকে কার্প জাতীয় মাছ-৩৬৫ কেজি, মাহিন্দ্রা পিকআপ-০১টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত), মাছ ধরার জাল-০২ টি, মোবাইল ফোন-০৫টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত), সিম কার্ড- ১০ টি, চাকু-০১ (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) ও ছোট হাসুয়া-০১টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ডাকাত দলের নেতা শ্রী রাম কৃষ্ণ দাস এবং তার অধীনে ১৫-২০ জনের একটি দল রয়েছে।
তারা নওগাঁ, বগুড়া এবং জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২-১৫ টি পুকুরে এই ধরনের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিল এবং চুরিকৃত মাছ বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় বাজারে,দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও হিলি বাজারে এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর বাজারে বিক্রি করত বলে জানায়।
আটককৃতদের আত্রাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আত্রাই থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার।
স্টাফ রিপোর্টার :
ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী কালনী ও উপবন এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রেলপথে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রী বিরতি দেয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়া প্রতিটি ট্রেনের আসন বৃদ্ধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে টিকেট কালোবাজারী মুক্ত করার দাবিতে আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযুষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদস্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, কবি দেওয়ান মারুফ, সাংবাদিক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, সাংবাদিক ইব্রাহিম খান সাদাত, খেলাঘর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউছার এমরান, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, নাগরিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, কমরেড নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন ট্রেনের আসন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন শুরু করি, তখনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিভিন্ন ট্রেনের আসন সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘাঁ এর মতো।
বক্তারা বলেন, কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে কোন টিকেট কালোবাজারী নাই, আমরাও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনকে কালোবাজারী মুক্ত দেখতে চাই। বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়া প্রতিটি ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কালনী, বিজয় ও উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি দেয়ার দাবি জানান।
বক্তারা আগামী ১ মাসের মধ্যে তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া না হলে জেলার সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে কথা বলে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেবেন বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।