চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দোকানে চোর ধরতে দোকানের সাঁটারে বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে ছিলেন দোকানদার। চিনি ক্রয় করতে গিয়ে সেই ফাঁদে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে রায়হান নামে এক কিশোর।
আজ ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কদমতলী গ্রামের কান্দু শাহ মাজার সংলগ্ন বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোর বাজারের কবির হোসেনের চায়ের দোকানে কাজ করত। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক মিজান মিয়া চুরি ঠেকাতে দোকানের সাঁটার বিদ্যুতায়িত করে রাখেন। রায়হান ওই দোকানে চিনি কিনতে গিয়ে সাঁটারে হাত দিলে বিদ্যুতায়িত হয়। তাকে বাঁচাতে দোকানদার এগিয়ে এলে তিনিও বিদ্যুতের ফাঁদে আটকে আহত হন। পরে এলাকাবাসী রায়হানকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী জানান, এর আগেও একাধিকবার মিজানের দোকানে বিদ্যুতের ফাঁদে পড়েছিল সাধারণ ক্রেতা। এ বিষয়ে মুদি দোকানদার মিজান মিয়া বলেন, ‘দোকানে আমি কোনো বিদ্যুতের ফাঁদ পাতিনি, হয়তো দোকানে কোনো জায়গায় বিদ্যুতের তার লিক ছিল।’
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এসআই আরিফুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি বিদ্যুৎ স্পর্শে মারা গেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা কদমতলী গিয়েছিলাম। নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসী বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তার মুড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম (২১)। তিনি ওই এলাকার নসু মিয়া ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। তার মালিকানাধীন সাদা রঙের একটি নোয়া মাইক্রোবাস রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। এই মাইক্রোবাসটি তিনি গাঁজা বিক্রির কাজে ব্যবহার করতেন।প্রতিদিন তিনি বিজয়নগর থেকে বের হয়ে বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে ঘুরে গাঁজা বিক্রি করতেন। অবশেষে ২৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার দর্গারামপুর সেতু এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গাড়ি ও গাঁজাসহ আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মো. হাসান উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সাদা রঙের একটি নোয়া মাইক্রোবাস থামিয়ে তল্লাশি চালালে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাওয়া যায়। পরে মাদকসহ ১০ লাখ টাকা দামের গাড়িটিও জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা ও একটি নোয়া মাইক্রোবাসসহ সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ বিকেলে পৌরসভার দুর্গারামপুর সেতু এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিকে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে ফেনসিডিলসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়
গ্রেফতার ছানাউল্লাহ (৪৫) জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মীরবাড়ী (কালিকাপুর) এলাকার বাসিন্দা।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ হয়, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কালিকাপুর এলাকার ছানাউল্লাহর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বসতঘর তল্লাশি করে ৬৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সে এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, জাতির জনক সারাজীবন বাঙ্গালীর অধিকার আদায় ও সেবার জন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। লক্ষ্য ছিল বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) ঐচ্ছিক তহবিল থেকে অনুদান প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলার মাটিতে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করেছেন তার বিকল্প আর বাংলাদেশে কেউ-ই হতে পারে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে পূর্বের ন্যায় জনগণ ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্বাচিত করে দেশের উন্নয়ন ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের অধিকার আদায়ের জন্য সুযোগ করে দেবেন। জনগণই আমার শক্তি, আমি জনগণের সেবক।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী আতিকুর রহমান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আমির, ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া বকুল, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র মো. তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা পবিত্র চন্দ্র মন্ডল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজানচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, স্বেচ্ছাসবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেল (২৬) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের লিল মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আবদুল আহম্মদের মা আমেনা বেগম। ডাকযোগে পাঠানো অভিযোগটি ২২ মার্চ বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে৷
অভিযুক্তরা হলেন, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আল-আমিন মানিক ও উপজেলার দুর্গাপুরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা রবি উল্লাহ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবি উল্লাহ সঙ্গে আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেলের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে আবদুল আহম্মদের পরিবার রবি উল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছে। মামলাটি চলমান। এরই জেরে রবি উল্লাহর সঙ্গে আহম্মদের বিরোধ আরো প্রকট হয়। রবি উল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে আহম্মদ ও তার পরিবারের লোকজনের ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মার্চ বিকেলে রবি উল্লাহর প্ররোচনায় ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অন্যায়ভাবে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এএসআই আল আমিনসহ চারজন সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য আবদুল আহাম্মদকে তার বাড়ি থেকে আটক করেন। থানায় নিয়ে রবি উল্লাহর কথা মতো পরিদর্শক তরুণ কান্তি দে ও এএসআই আল-আমিন দফায় দফায় লাঠি দিয়ে আবদুল আহাম্মদকে মারধর করেন। মারধরের কারণে আহাম্মদের পুরো শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়।
আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আব্দুলকে আদালতে না পাঠিয়ে থানায় শারীরিকভাবে নির্যাতন অব্যাহত রাখলে তার মা সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নেন। বিষয়টি জেনে তড়িঘড়ি করে আটকের একদিন পর ১৬ মার্চ দুপুরের দিকে আবদুলকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
সেখানে আব্দুলের শরীরের জখম দেখে আদালতের পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রহণ না করে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। সেসময় আদালত থেকে আবদুলকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পুনরায় আদালতে নেওয়া হয়। পরে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই ঘটনায় গত ১৯ মার্চ রবিবার নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে তাদের তিনজনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আহাম্মদের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে অভিযোগ দেন। পরদিন ২০ মার্চ সোমবার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার মামলাটি খারিজ করে দিয়ে এ বিষয়ে পুলিশ সুপারকে জানানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে কিছু নির্দেশনা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহম্মদের মা।
আবদুল আহম্মদের স্ত্রী মায়া মনি বলেন, আমার স্বামীকে আটকের পর পুলিশ হেফাজতে রেখে নির্যাতন করে। ১৪ মার্চ তাকে আটক করলেও ১৬ মার্চ তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতের পাঠায়।
তিনি আরো বলেন, আবদুলকে প্রচুর নির্যাতন করে আদালতে পাঠালে কোর্ট পুলিশ আহতাবস্থায় তাকে গ্রহণ করেনি। আদালত থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে মিলবে। পুলিশের ভয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর জামায়াত ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কাজী আবুল বাশার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও কর্ম পরিষদের সদস্য নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমির এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল জাব্বার।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কর্মপরিষদ সদস্য মো. শামীম নূর ইসলাম ও উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আমির মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. মাহিমুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহনগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মো. শফিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র শিবিরের অর্থ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, বাঞ্ছারামপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এত বেশি ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর ঘটেনি। নব্বই বছরের বৃদ্ধ রাস্তায় আসেনি, বৃদ্ধদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত জঘন্যতম, নির্মমতা ও পৈশাচিকতা প্রদর্শন করেছে আওয়ামী লীগ। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে তাদের শাসনামলের সবচেয়ে নির্যাতিত-মজলুম দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেয়নি। কারণ জামায়াত এভাবে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে না। তিনি আরো বলেন, আমরা এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই প্রতিশোধ নেব। আমরা জানমাল দিয়ে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করতে চাই। সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, কারণ এ সংবিধানে ইসলামের কোনো কথা নেই। আমরা এই সরকারের অধীন আগে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে যাব না। আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন।