অনলাইন ডেস্ক :
এবার জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচিত-সমালোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে আদাবর থানায় মামলাটি রুজু হয়।
আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই মামলার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগস্ট মারা যান।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের আরো ৩৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উপসচিব পদমর্যাদার এসব কর্মকর্তাকে ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগের দিন ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার ২৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
৩৪ জেলার মধ্যে অর্থ বিভাগের উপসচিব ড. মনোয়ার মোল্লাকে মানিকগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. সাবেত আলীকে টাঙ্গাইল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারকে সিরাজগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তোষাখানা ইউনিট পরিচালক মোস্তাক আহমেদকে সাতক্ষীরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুর রহমানকে ঝালকাঠি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানকে পিরোজপুর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব বনানী বিশ্বাসকে নেত্রকোনা, আরপিএটিসি উপপরিচালক মনোয়ারা বেগমকে রাজবাড়ী, ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-ওয়াকফর প্রশাসক হাছিনা বেগমকে জামালপুর জেলায় পদায়ন করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুস সামাদকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ভিভাগের সুফিয়া আক্তার রুমীকে লক্ষ্মীপুর, জয়িতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোছা. ইয়াসমিন আক্তারকে মাদারীপুর, জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ফৌজিয়া খানকে কিশোরগঞ্জ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমানকে রাজশাহী, নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের পরিচালক মোহাম্মদ দিদারুল আলমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব ফাতেমাতুল জান্নাতকে মুন্সীগঞ্জ, স্বাস্ত্যসেবা বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুল আজিজকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগের উপসচিব আহমেদ কামরুল হাসানকে বাগেরহাট, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরীক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে পটুয়াখালী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়াকে সুনামগঞ্জ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব মো. আজাদ জাহানকে ভোলা, খুলনা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিফাত মেহনাজকে মেহেরপুর, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানকে পঞ্চগড়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজহারুল ইসলামকে যশোর, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে বরগুনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহানকে নড়াইল, সেতু বিভাগের উপসচিব শরিফা হককে নীলফামারী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার নুসরাত সুলতানাকে কুড়িগ্রাম, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক এইচ এম রকিব হায়দারকে লালমনিরহাট জেলার ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. দেলোয়ার হোসেনকে বরিশাল, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইশরাত ফারজানাকে ঠাকুরগাঁও, জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরীকে নরসিংদী ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মোবাশশেরুল ইসলামকে দিনাজপুরের ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার শুরু হয়। গত ২০ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে ২৫ ডিসিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ওইদিন এক আদেশে ঢাকা, সিলেট, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খুলনা, গোপালগঞ্জ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পৃথক আদেশে ফরিদপুর, শেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট, চাঁদপুর জেলার ডিসি প্রত্যাহার করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। তাদের নেওয়া পদক্ষেপের মধ্যে সব দলের নির্বিঘ্ন প্রচার, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা রোধ ও হয়রানিমূলক মামলা না করাসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত।
এছাড়াও সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা এবং কোনো ধরনের হয়রানিমূলক মামলা না করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ৭ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে আগ্রহ ব্যক্ত করে এসেছে। নির্বাচনের ফলাফল যাতে সব ভোটার ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়, অর্থাৎ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সব কার্যক্রম সংবিধান, আইন, বিধি অনুযায়ী গ্রহণ এবং যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন ও কেবল সংবিধান এবং আইনের অধীন। বর্তমান ইসি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন নানা অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, সীমানা পুননির্ধারণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন দলের নিবনন্ধনসহ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় আগে থেকেই দৃঢ়তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়েছে।
মন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে সিদ্ধান্ত সংসদকে অবহিত করেন। এর মধ্যে রয়েছে- প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থক দ্বারা প্রার্থী, সমর্থক, তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ না করা এবং এমন হলে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সভা করে নির্বাচনে তারা যেন আন্তরিকতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনাও দেবে ইসি।
এছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার কোনো বিধি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক্সিকিউটিভ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন, যোগ্য ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণেরে জন্য দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগসহ বিধিসম্মতভাবে প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৫ মে সাম্যের কবি, বিরহ ও বেদনার কবি, বিদ্রোহের কবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ছিলেন একাধারে প্রেমিক ও বিদ্রোহী।
উপন্যাস, নাটক, সঙ্গীত আর দর্শনেও নজরুলের অনবদ্য উপস্থিতি বর্ণাঢ্য করেছে বাংলা সাহিত্যকে। কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, সম্পাদক পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অভিমানী এই মানুষ হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন নিপীড়িত-অসহায়ের আর্তি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার কবিতা কোটি তরুণের রক্তে জ্বালায় স্ফুলিঙ্গ।
অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি সাল অনুযায়ী ২৪ মে ১৮৯৯ সাল) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব-কৈশোর-তারুণ্যের জীবনের পরতে পরতে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। জড়িয়েছিলেন নানা পেশায়। ১৯১৭ সালে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। অংশ নেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও।
এরই মাঝে তৎকালীন প্রভাবশালী কবি-সাহিত্যিকদের সংস্পর্শে আসেন তিনি। ১৯২২ সালে প্রকাশ করেন ধূমকেতু পত্রিকা। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার জন্য নজরুলকে দেওয়া হয় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। মাত্র ২২ বছর ব্যাপ্তির লেখক জীবনে তিনি রচনা করেছেন প্রায় ৩ হাজার গান, লিখেছেন অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস।
সাহিত্যের পাশাপাশি সংগীত ও চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন নজরুল। নিজের পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ধ্রুব’তে অভিনয়ও করেছিলেন। তাই শুধু কবি পরিচয়েই আবদ্ধ নন নজরুল। আসানসোলের রুটি বানানো ছেলেটা এখনও বিশাল এক প্রতিষ্ঠান। না থেকেও যার উপস্থিতি প্রতিদিন।
১৯৭২ সালে কবি নজরুলকে সপরিবারে নিয়ে আসা হয় স্বাধীন বাংলাদেশে। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এই মহাবিদ্রোহী ও প্রেমিক পুরুষ। কবির ইচ্ছানুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ছুটি ছাড়াই প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩৪ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
২০ জুলাই বৃহস্পতিবার মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা চিঠি স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে মাউশির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় আজ ২৩ জুলাই রবিবার।
এতে উল্লেখ করা হয়, জুন মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করেন। অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং থেকে মাধ্যমিক উইংয়ে এ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন পাঠানো হয়। এতে ছুটি ছাড়াই অননুমোদিতভাবে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনুপস্থিতির বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এমতাবস্থায় পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে পরিদর্শনকালীন অননুমোদিতভাবে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে সুস্পষ্ট কারণ আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে স্ব স্ব জেলা শিক্ষা অফিসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
শোকজ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রংপুর। এ অঞ্চলের ১০ শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজশাহীর সাতজন, খুলনা অঞ্চলের পাঁচজন, ঢাকা অঞ্চলের চারজন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের তিনজন, কুমিল্লা অঞ্চলের দুইজন, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট অঞ্চলের একজন করে শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন।
মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হক হেনরী বলেন, যাদের শোকজ করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই দুদিন বা তার বেশি দিন স্কুলে আসেন না। এটা সতর্কীকরণ নোটিশ। ভবিষ্যতে কেউ এমন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বর্তমান সরকার শুধু দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের কারও সঙ্গে কোনো ধরনের যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছে নেই। আমরা প্রকৃতপক্ষে কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাই না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুধু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।
আজ ১২ জুলাই বুধবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিএনএস শের-ই-বাংলা’র নবনির্মিত ঘাঁটি, ৪১টি পিসিএস-এর চারটি জাহাজ ও চারটি এলসিইউর কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে তারা আন্তর্জাতিক স্তরের যোগ্যতা ও মান অর্জনের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে উঠেছে। আমরা সেই উদ্দেশ্যে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলেন, হেলিকপ্টার কেনার পাশাপাশি সাগরে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। শুরুতেই বিএনএস শেরে বাংলা, ৪১ পিসিএসের চারটি জাহাজ ও চারটি এলসিইউ-এর ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিএনএস শের-ই-বাংলার বেস কমান্ডার এবং চারটি জাহাজের কমান্ডার এবং ৪১ পিসিএসের চারটি এলসিইউ-এর কাছে কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিএনএস শের-ই-বাংলা ঘাঁটি এবং ৪১ পিসিএসের চারটি জাহাজ ও চারটি এলসিইউ-এর নেমপ্লেটও উন্মোচন করেন।
এই প্রথমবারের মতো নৌ-ঐতিহ্য অনুযায়ী বিএনএস শের-ই-বাংলা ঘাঁটি, চারটি জাহাজ এবং চারটি এলসিইউতে জাতীয় পতাকা উড়ানো হয়। যা নৌবাহিনীতে ‘রঙ’ নামে পরিচিত।