চলারপথে রিপোর্ট :
ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্স ভবনে হামলাকারিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা। আজ ২৪ আগস্ট শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন চলাকালে এক প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মো. আকরাম, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, সিনিয়র সাংবাদিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আবদুন নূর, বাংলা টিভির সাংবাদিক আল-আমীন শাহীন।
এতে অন্যান্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান, দৈনিক করতোয়ার শাহজাহান সাজু, গ্লোবাল টিভির মফিজুর রহমান লিমন, সময় টিভির বুরে্যা চিফ উজ্জল চক্রবর্তী, আলোকিত বাংলাদেশের ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, বৈশাখী টিভির আল-মামুন, আরটিভির আজিজুর রহমান পায়েল, মাছরাঙা টেলিভিশনের আশিক মান্নান হিমেল, রাইজিং বিডির মাইনুদ্দিন রুবেল, নিশাদুল ইসলাম, সোহেল রানা, মো. মামুন, সোহেল আহাদ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্স ভবনে হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে নির্যাতিত, নিগৃহিত হয়েছে, হচ্ছে। আজও সাগর-রুনি হত্যা রহস্যের কোনো কুল কিনারা হয়নি। এবারের আন্দোলনে আমাদের জেলাতেও সাংবাদিকদের উপর নির্মম হামলা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে আমরা উত্তরণ চাই। অন্যথায় আমরা রাজপথে নেমে আন্দোলন করবো।
এ সময় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে হামলার প্রতিবাদে সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের নিয়ে আগামী শনিবার সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’য় মহান বিজয়ের আলোচনা সভা
স্টাফ রিপোর্টার :
দেশের শিক্ষার্থী সমাজকে স্বাধীনতার চেতনায় সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি বলেন- ১৯৭১ সালে মৃত্যুর সন্নিকট থেকে ফিরে এসে জীবনের সন্ধান পেয়েছিলাম এই বিজয় দিবসে। এর যে অনুভূতি, তার কোনো তুলনা হয় না। এটা বর্তমান প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছি বলে দাবি করি, ২০২৩ সালের মধ্যে অন্যান্য সূচকগুলোকে যদি আমরা প্রতিপালন করতে পারি তাহলে সত্যি সত্যি আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব, ২০৩০ সালে স্থায়ীভাবে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব এবং ২০৪১ সালে আমরা একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হব।
গত শুক্রবার ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর আয়োজনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি এ কথা বলেন। আলোচনা শেষে পুরস্কার বিতরণী ও জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারুক আহম্মদ উল্লাহ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, আমরা এখন বিশ্ব উন্নয়নের অংশীদার। বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অংশীদার আমরা। কিন্তু এটিই শেষ নয় আমাদের আরও অনেকদূর এগিয়ে যেতে হবে। আর এই অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে বই উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়।
সকাল সাড়ে ৯ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
আলোচনা করেন সাহিত্য একাডেমি সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড মাহবুবুল আলম খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো মহসিন, সৈয়দ মিজানুর রেজা তানজিন আহমেদ, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল,সৈয়দ আসলাম,জাহাঙ্গীর আলম, স্বপন রায়, আবদুল খালেক বাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এড লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা,জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ আলম তারা দুলি,জেলা তাঁতীলীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা মৎস্যজীবি লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান,জেলা পরিবহন শ্রমিক লীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ,সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত সায়েম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাস্টবিনের মধ্যে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে পৌর শহরের ট্যাংকের পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে শহরের ট্যাংকের পাড়ের সামনে ডাস্টবিন পরিষ্কার করার সময় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক বাচ্চার মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো বলেন, ট্যাংকের পাড়ের আশপাশে অনেক হাসপাতাল রয়েছে। কেউ হয়তো রাতে অবৈধভাবে গর্ভপাত করে নবজাতকের মরদেহ ডাস্টবিনে ফেলে যান। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধলে তারু মিয়া (৬২) নামে এক বৃদ্ধ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৫ মে রবিবার ভোরে উপজেলার বুধল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। হত্যার শিকার তারু মিয়া বুধল বাজারে পান-সিগারেটের ব্যবসা করতেন। গত ২৮ এপ্রিল বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তারু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে তারু মিয়া নিখোঁজ দাবি করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মেয়ে তানজিনা আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারু মিয়া উচ্ছৃঙ্খল ভাবে চলাফেরা করতেন। তিনি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করতেন তার মেয়ে তানজিনা আক্তার। অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রায় তারু মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রী হাদিসা বেগমের ঝগড়া হতো এমনটাই জানা যায়। এ নিয়ে তারু মিয়ার স্ত্রী ও মেয়ের মনে দিনে দিনে ক্ষোভ জন্ম লাভ করে। সেই ক্ষোভ থেকে তারু মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মেয়ে তানজিনা আক্তার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল বুধবার রাতে তানজিনা আক্তার তার বাবার খাবারের মধ্যে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে তারু মিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। পরে তারু মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তার, তারু মিয়ার স্ত্রী ও পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ভাড়াটে খুনি সুমনসহ আরো কয়েজকন মিলে রাত দেড়টার দিকে তারু মিয়ার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় ঝোপ-ঝাড়ে মরদেহ লুকিয়ে ফেলেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তানজিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল দুপুরে ওই ডোবায় তারু মিয়ার মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তারু মিয়ার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. মহিউদ্দিন শেখ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত তারু মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তারকে গ্রেফতার করেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, তারু মিয়ার স্ত্রী হাদিসা বেগম ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাহপুর এলাকার মনা মিয়ার ছেলে সুমনকে গ্রেফতার করে। গত শনিবার বিকেলে আসামিরা ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আফরিন আহমেদ হ্যাপি এই আদেশ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রভাবশালী এই চিকিৎসক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টায় তাকে আদালতে নেওয়া হয়। সে সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গতকাল তার শুনানি হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ডা. আবু সাঈদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিএমএ’র সভাপতি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত, তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। তাকে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ৬০ নম্বর আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিনে রয়েছেন।