অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের সংকটকালে ছাত্রদের আহ্বানে আমরা সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। কখন নির্বাচন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন। আজ ২৫ আগস্ট রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার এই ভাষণ বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে একযোগে সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, একটা বিষয়ে সবাই জানতে আগ্রহী, কখন আমাদের সরকার বিদায় নেবে। এটার জবাব আপনাদের হাতে, কখন আপনারা আমাদেরকে বিদায় দেবেন। আমরা কেউ দেশ শাসনের মানুষ নই। আমাদের নিজ নিজ পেশায় আমরা আনন্দ পাই। আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীও এই লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই মিলে একটা টিম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কখন নির্বাচন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন। আমরা ছাত্রদের আহ্বানে এসেছি। তারা আমাদের প্রাথমিক নিয়োগকর্তা। দেশের আপামর জনসাধারণ আমাদের নিয়োগ সমর্থন করেছে। আমরা ক্রমাগতভাবে সবাইকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে যাবো যাতে হঠাৎ করে এই প্রশ্ন উত্থাপিত না হয়- আমরা কখন যাব। তারা যখন বলবে আমরা চলে যাব।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা সংস্কারের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনকেও সংস্কার করব। কমিশনকে যে কোনো সময় আদর্শ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রাখব।
ইউনূস আরো বলেন, একটা বিশেষ ব্যাপারে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতিদিন সচিবালয়ে, আমার অফিসের আশপাশে, শহরের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করা হচ্ছে। গত ১৬ বছরের অনেক দুঃখ- কষ্ট আপনাদের জমা আছে। সেটা আমরা বুঝি। আমাদের যদি কাজ করতে না দেন তাহলে এই দুঃখ ঘোচানোর সব পথ বন্ধ হয়ে থাকবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ আমাদের কাজ করতে দিন। আপনাদের যা চাওয়া তা লিখিতভাবে আমাদের দিয়ে যান। আমরা আপনাদের বিপক্ষ দল নই। আইনসংগতভাবে যা কিছু করার আছে আমরা অবশ্যই তা করব।
তিনি বলেন, আমাদের ঘেরাও করে আমাদের কাজে বাধা দেবেন না। সবাই মিলে তাদের বোঝান তারা যেন এ সময়ে তাদের অভিযোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমাদের দৈনন্দিন গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাধা না দেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ৬ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত ৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ৪ কিশোর তাদের এক বন্ধুর স্ত্রীকে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। কিশোরে গ্যাংয়ের চার সদস্য হচ্ছেন রামপাল উপজেলার আদাঘাটা গ্রামের সাগর শেখের ছেলে সাওন রহমান সান (১৮), জাহিদ সানার ছেলে ইদি সানা (১৭), ফরহাদ শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (১৭) ও চুলকাঠি গ্রামের সেলিম শেখের ছেলে ইমন শেখ (১৭)। আজ ১৫ মে সোমবার বেলা ২টার দিকে মোরেলগঞ্জ নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পুলিশ এদেরকে আটক করে।
আটককৃত কিশোরদের নিকট থেকে একটি খেলনা পিস্তল, লোহার পাইপ, ৪টি মোবাইল ফোন ও দু’টি মোটর সাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
আটক কিশোর গ্যাং নেতা সাওন রহমান সান বলেন, তাদের এক বন্ধুর স্ত্রীকে মোরেলগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। বন্ধুর সেই স্ত্রীকে তুলে নেওয়ার জন্য তারা ৪ জন মোটর সাইকেলে করে মোরেলগঞ্জে গিয়েছিল। কিন্তু, সেই বাড়িতে যাওয়ার আগেই তারা ধরা পড়ে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক নারী দিবস নিয়ে আপনি হয়তো অনেক আলোচনা শুনে থাকবেন অথবা এ নিয়ে নানান খবরাখবরও দেখে থাকবেন গণমাধ্যমে।
কিন্তু এই দিনটা আসলে কী জন্য? এর গুরুত্ব আসলে কোথায়? নারীদের মতো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসও কী আছে? চলুন জানা যাক।
এটা কিভাবে শুরু হয়?
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুরুটা হয় শ্রমিক আন্দোলন থেকে, যা একসময় জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত বাৎসরিক দিবস হয়ে উঠে।
আর এসব কিছুর শুরুটা হয় ১৯০৮ সালে, যখন এক সাথে প্রায় ১৫ হাজার নারী নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমে আসে কর্মঘন্টা কমানো, বেতন বৃদ্ধি ও ভোটের অধিকারের দাবিতে। এর এক বছর পর সোশ্যালিস্ট পার্টি অফ আমেরিকা প্রথম জাতীয় নারী দিবসের ঘোষণা দেয়।
এখন এই দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের চিন্তাটা মাথায় আসে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ও সমাজতান্ত্রিক কর্মী ক্লারা জেটকিনের।
তিনি তার এই চিন্তাটা জানান ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে নারী শ্রমিকদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। সেখানে ১৭টি দেশের ১০০ জন নারী উপস্থিত ছিলেন, এবং তারা সর্বসম্মতিক্রমে তার এই প্রস্তাব মেনে নেন।
তবে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয় অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইটজারল্যান্ডে। আর এই দিবসের শতবর্ষ উদযাপিত হয় ২০১১ সালে।
এই দিবসের সব কিছু আনুষ্ঠানিক রূপ পায় ১৯৭৫ সালে, যখন জাতিসংঘ এটা উদযাপন করতে শুরু করে। আর প্রথমবার এই দিবসের একটা প্রতিপাদ্য ঠিক হয় ১৯৯৬ সালে। জাতিসংঘ সেবার দিবসটি পালন করে ‘অতীতের উদযাপন, ভবিষ্যত ঘিরে পরিকল্পনা’ এই স্লোগান নিয়ে।
প্রতি বছর এখন এই দিবসে উঠে আসে নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে কতোটা এগিয়েছে সেই বিষয়টা। একই সাথে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে রাজনৈতিকভাবে নানা আন্দোলন ও প্রতিবাদের আয়োজন করা হয় এ দিনটি ঘিরে।
৮ মার্চ কেন? ক্লারা জেটকিন যখন এই দিনটি প্রস্তাব করেন তখন তিনি কোনও নির্দিষ্ট তারিখের কথা বলেননি।
১৯১৭ সালের আগ পর্যন্ত এই তারিখটিও নির্দিষ্ট ছিল না, সেবার যুদ্ধের সময় রাশিয়ান নারীরা ‘রুটি ও শান্তি’র দাবিতে এক আন্দোলন শুরু করে – টানা চার দিন ধরে চলা সেই আন্দোলনে অবশেষে সেখানে জার শাসনের অবসান ঘটে এবং অন্তবর্তীকালীন সরকার নারীদের ভোটের অধিকার মেনে নেয়।
যে দিন এই আন্দোলন শুরু হয় রাশিয়াতে সেদিন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী (কারণ তখন রাশিয়াতে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলা হত) ছিল ২৩শে ফেব্রুয়ারি রোববার। আর এই দিনটা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ছিল ৮ই মার্চ – তারপর থেকেই এই দিনটা আন্তর্জাতিক নারী দিবসের স্বীকৃতি পায়।
এদিন বেগুনি রং কেন পরা হয়? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ওয়েবসাইট বলছে এদিনের রং হল বেগুনি, সবুজ এবং সাদা।
‘বেগুনি রং ন্যায় বিচার ও মর্যাদার প্রতীক। সবুজ দিয়ে বোঝায় আশা এবং সাদা মানে পবিত্রতা, যদিও এ নিয়ে বিতর্ক আছে। এই রংগুলো এসেছে ১৯০৮ সালে যুক্তরাজ্যের উইমেন্স সোশ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিয়ন (ডব্লিউএসপিইউ) থেকে’ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
কোনো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস কি আছে? অবশ্যই আছে, আর সেটা ১৯ নভেম্বর। কিন্তু এটা অনেক পরে, ১৯৯০ সাল থেকে পালন করা হচ্ছে এবং এখনও এই দিবসটি জাতিসঙ্ঘের স্বীকৃতি পায়নি। তবে সারা বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে এটি উদযাপিত হয়ে থাকে।
এ দিনটি পালনের লক্ষ্য থাকে, ‘পুরুষ তাদের পরিবার, সমাজ ও এই বিশ্বে যে ইতিবাচকতা আনে সেটায় নজর দেয়া।’
এর আয়োজকরা বলেন একই সাথে এ দিবসের উদ্দেশ্য হল আদর্শ রোল মডেল তুলে ধরা, পুরুষদের সুস্থতার দিকে নজর দেয়া এবং লিঙ্গ সম্পর্কে উন্নতি আনা।
নারী দিবস কিভাবে পালিত হয়ে থাকে? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারি ছুটি থাকে, রাশিয়াতেও এদিন সরকারি ছুটি এবং ৮ মার্চ ঘিরে তিন বা চারদিন ধরে ফুল বিক্রি দ্বিগুণ হয়ে যায়। চীনে স্টেট কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক নারীই ৮ মার্চ অর্ধদিবস ছুটি পেয়ে থাকেন। ইতালিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে বলা হয় লা ফেস্তা দেলা দোনা, লজ্জাবতী ফুল দেওয়ার মাধ্যমে দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে। এই রীতির উৎপত্তি কীভাবে তা পরিষ্কার নয়, তবে ধারণা করা হয় রোমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই এর চল শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে পুরো মার্চ মাসকেই নারীদের ইতিহাসের মাস হিসেবে দেখা হয়। প্রতি বছর এ সময় প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে একটা ইশতেহার বের করা হয় বছর জুড়ে আমেরিকান নারীদের অর্জনগুলোকে সম্মান জানাতে।
২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য কী? এ বছর নারী দিবসে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য হল “নারীদের উপর বিনিয়োগ করুন : দ্রুত উন্নতি আনুন”। এর মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা আনতে যে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে না সেই বিষয়টাতে মনোযোগ দেয়া হয়েছে।
“সংঘাত ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ৭৫ শতাংশ দেশেই জনগণের জন্য রাষ্ট্রের ব্যয় কমিয়ে আনতে পারে, যা নেতিবাচকভাবে নারীদের ও তাদের জরুরি সেবার উপর প্রভাব ফেলবে”, বলা হয়েছে এই দিবসটি ঘিরে।
জাতিসংঘের হিসেবে ২০৩০ সাল নাগাদ লিঙ্গ সমতা আনতে হলে এখন থেকে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৩৬০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে বিশ্ব জুড়ে সরকার মাত্র ৫ শতাংশ সহায়তা দিয়ে থাকে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতন মোকাবেলায়, এবং ০.২ শতাংশেরও কম খরচ করা হয় এই নির্যাতন প্রতিরোধে।
তবে অন্যান্য কিছু প্রতিপাদ্যও আছে। নারী দিবসের ওয়েবসাইট বেছে নিয়েছে “অন্তর্ভুক্তিতে উৎসাহ” এই প্রতিপাদ্য, আয়োজকদের লক্ষ্য “সকল বাধা ভেঙে ফেলা, প্রচলিত ভুল ধ্যান ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা এবং এমন পরিবেশ তৈরি যেখানে সমস্ত নারী সম্মান ও মর্যাদা পায়।”
আমাদের কেন এই দিনটি দরকার? গত বছর আফগানিস্তান, ইরান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন দেশের নারীরা যুদ্ধ, সহিংসতা বা নীতি পরিবর্তনের কারণে তাদের অধিকারের দাবিতে লড়াই করেছে।
সবশেষ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলে চলমান সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্যের নারীরা ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন তারা গাজায় নারী ও শিশুদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘন, এমন কী ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনার মতো গুরুতর অভিযোগ প্রমাণ-সহ পেয়েছেন।
একই সঙ্গে ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় হামাসের দ্বারা ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা এবং নারীদের অঙ্গ কর্তনের প্রমাণও পেয়েছে বিবিসি।
এই সংঘাতে যে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেটার ফল ভোগ করতে হচ্ছে নারীদের। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের এক পরিসংখ্যান আগামী মাসের মধ্যেই গাজায় অন্তত ৫৫০০ জন নারী সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন কোনও রকম ন্যূনতম চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই।
আফগানিস্তানে মেয়েদের প্রাইমারি স্কুলের বয়সসীমা পার হলেই তারা স্কুলে নিষিদ্ধ হয়েছে তালিবানদের দ্বারা, যা মেয়েদের সমশিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
সুদানে সুদানিজ আর্মড ফোর্সেস এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান সংঘাতেরও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে সেখানকার নারীদের উপর।
জাতিসংঘ বলছে, আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রায়ই নারী ও মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার খবর আসছে, যেখানে তাদের জোর করে বিয়ে করানো হচ্ছে এবং মুক্তিপণের দাবি করা হচ্ছে।
১২ লাখেরও বেশি মানুষ পাশের দেশগুলোতে পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে, যাদের মধ্যে দশ জনে নয় জনই নারী ও শিশু।
গত সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী মাশা আমিনির মারা যাওয়ার এক বছর হয়েছে, যিনি ইরানের হিজাব পরার কড়া নিয়ম ভাঙার অভিযোগে ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
এরপর অনেক নারী এই নিয়মের প্রতিবাদ করেন, যার মধ্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি-সহ অনেক অধিকারকর্মী দীর্ঘ কারাগারবাস ভোগ করছেন।
তবে গত বছরের শেষ দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনার কংগ্রেস অলিম্পিয়া আইন পাশ করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আর্জেন্টিনার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে আর্জেন্টিনার প্রতি তিনজনে একজন নারী অনলাইনে সহিংসতার শিকার হন।
নেটফ্লিক্সের এক সিরিজ থেকে তাইওয়ানে প্রচুর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে এবং স্থানীয়ভাবে একটা ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
যা থেকে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি যৌন হয়রানি আইন আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়, যাতে সমস্ত কাজের জায়গায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা জারি হয়।
যার মধ্যে আছে যে কোনও ঘটনা জানানোর ব্যবস্থা থাকা – যা আগে ছোট ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না থাকলেও নতুই আইনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একই সাথে নিয়োগদাতাকে সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সেটার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনার কংগ্রেস অলিম্পিয়া আইন পাশ করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আর্জেন্টিনার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে আর্জেন্টিনার প্রতি তিনজনে একজন নারী অনলাইনে সহিংসতার শিকার হন।
নেটফ্লিক্সের এক সিরিজ থেকে তাইওয়ানে প্রচুর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে এবং স্থানীয়ভাবে একটা ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
যা থেকে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি যৌন হয়রানি আইন আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়, যাতে সমস্ত কাজের জায়গায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা জারি হয়।
যার মধ্যে আছে যে কোনও ঘটনা জানানোর ব্যবস্থা থাকা – যা আগে ছোট ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না থাকলেও নতুই আইনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একই সাথে নিয়োগদাতাকে সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সেটার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
কিন্তু স্পেনের বিশ্বকাপ শিরোপা জয় উদযাপন ঢাকা পড়ে যায় দেশটির সাবেক ফুটবল প্রধান লুইস রুবিয়ালেসের এক চুমু কান্ডে; বিশ্বকাপ জয়ী সদস্য জেনি হারমোসোর ঠোঁটে চুমু খান তিনি।
হারমোসো বলেন তার অনুমতি ছাড়াই তাকে চুমু দেওয়া হয়েছে এবং এ নিয়ে আইনিভাবে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি।
রুবিয়ালেস তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান, কিন্তু তিনি কোনও অন্যায় করেছেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এই ঘটনা বিশ্ব জুড়ে ফুটবল মাঠে ও মাঠের বাইরে যৌনতার সংস্কৃতির আলোচনা উস্কে দেয়।
বিবিসি ১০০ নারী প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণামূলক ১০০ জন নারীর তালিকা প্রকাশ করে। সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ২৯ জুনকে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ধরে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। ১৪ জুন থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এবারও শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে। তবে চাপ কমাতে দুই শিফটে টিকিট দেওয়া হবে। সকাল থেকে পশ্চিমাঞ্চলের এবং বেলা ১২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে।
আজ ৩০ মে মঙ্গলবার রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ২৪ জুনের টিকিট ১৪ জুন, ২৫ জুনের টিকিট ১৫ জুন, ২৬ জুনের টিকিট ১৬ জুন, ২৭ জুনের টিকিট ১৭ জুন এবং ২৮ জুনের টিকিট ১৮ জুন বিক্রি করা হবে। এছাড়া ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২৯, ৩০ জুন ও ১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এবার ঈদে ঢাকা থেকে বহির্গামী আন্তঃনগর ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা হবে ২৯ হাজার। সব টিকিটি অনলাইনে বিক্রয় করা হবে। ঈদের ট্রেনে ৬৫টি অতিরিক্ত বগি যোগ করা হবে।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২২ জুন। ২২ জুন বিক্রি হবে ২ জুলাইয়ের ফিরতি টিকিট।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস কমিয়ে গবেষণায় মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পাবনাতেই হবে দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র।
আজ ১১ মার্চ সোমবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডাক্তার সাহেবরা প্র্যাকটিস করেন, টাকা কামাই করেন, গবেষণার দিকে বেশি যান না।
ঠিক? কয়েকজন ডাক্তার আছেন, আমি সামনাসামনি জিজ্ঞাসা করছি। এখন গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।’
চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গবেষণায় গুরুত্ব দিলে দেশের মানুষ আরো সুস্থ হবে, সবল হবে, মেধাবীরা আরো মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। গবেষণা অপরিহার্য। স্বাস্থ্য বিষয়ে যাঁরা গবেষণা করবেন, তাঁদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সব ক্ষেত্রেই যে গবেষণার বিকল্প নেই, সে কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কৃষিতে গবেষণা করে আজকে আমরা শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না, বাংলাদেশে এখন আমাদের ফল, ফুল, মূল, এমনকি টিউলিপ, যেটা শীতের দেশ ছাড়া হয় না, সেই টিউলিপও বাংলাদেশে হচ্ছে। স্ট্রবেরিও বাংলাদেশে হচ্ছে। সবই গবেষণার ফসল। গবেষণা আমাদের নতুন দুয়ার খুলে দেয়। আর বাংলাদেশের মাটি হচ্ছে সোনার মাটি, যা লাগানো যায় সেটাই হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’
চিকিৎসকদের তিনি বলেন, ‘যাঁরা সরকারি চাকরি করছেন, তাঁরা প্রাইভেট প্র্যাকটিসটা একটু কমিয়ে দিয়ে গবেষণার দিকে মনোযোগ দেন। যাঁরা গবেষণা করবেন, তাঁদের উত্সাহ দেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করব।
গবেষণাটা আমাদের খুব দরকার। বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, এই দুইটার ওপর আমাদের গবেষণায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা চাই, আমাদের গবেষণায় আরো বেশি লোক মনোযোগী হবেন। গবেষকদের কোনো অসুবিধা থাকলে সেটা কিভাবে দূর করা যায়, সে ব্যাপারে আমাদের সরকার সব সময় অত্যন্ত আন্তরিক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে গবেষণার জন্য যে টাকা আমরা অনুদান হিসেবে দিচ্ছি, মনে রাখতে হবে, এই টাকাটা বাংলাদেশের জনগণের টাকা। জনগণের টাকা জনগণের কল্যাণে যেন লাগে। কারণ গবেষণা থেকে যেটা উদ্ভাবন হবে, সেটা কিন্তু জনগণের কাজে লাগবে। সেই কথাটাই মাথায় রাখতে হবে। আমি মনে করি তরুণের যে মেধাশক্তি, সেটা বিকাশের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।’
অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতায় বাংলাদেশের মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ষোলর নিচে যারা (মেয়ে), তারা তো ভারতকে তিন গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন। তাদেরকে আমি ডাকব এবং তাদের ডেকে প্রাইজমানি দিয়ে উত্সাহিত করব।’
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের যে উল্টো যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই ইতিহাসও অনুষ্ঠানে মনে করিয়ে দেন তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা।
দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও পাবনার রূপপুরে করা হবে উল্লেখ করে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয়টির কাজ যাতে শুরু করা যায় সেই ব্যাপারে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছি। আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চেষ্টা করেছিলাম দক্ষিণে। কিন্তু সেখানের মাটি এত নরম, প্রতিটি দ্বীপে আমরা অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছি। আসলে সেখানে করা বোধ হয় সম্ভব নয়। তবে এখন যেখানে আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছি সেটার কাজ সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়টাও আমরা এই পাবনাতে, এই রূপপুরেই করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটার কাজ যখন শেষ হবে সঙ্গে সঙ্গে আমরা যেন দ্বিতীয়টার কাজ শুরু করতে পারি, এখন থেকে আমাদের সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তা ছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আমরা উেক্ষপণ করেছি এবং স্যাটেলাইট-২ উেক্ষপণেও আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ মালেক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি আজ ২৮ মে জাপানের নাগাসাকি শহরের পিস পার্কে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত একটি শান্তি স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম এবং নাগাসাকির মেয়র শিরো সুজুকি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক একটি পারমাণবিক বোমামুক্ত, শান্তিপূর্ণ বিশ্বের অন্বেষণে জাপানের জনগণকে ও বিশ্বে ‘শান্তির সংস্কৃতি’র বার্তা পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার নাগাসাকি পিস পার্কে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। তৎপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধন করেন।
স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতার জন্য নাগাসাকির মেয়রসহ এ প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ ও জাপানের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
স্থপতি অনিন্দ্য পন্ডিত কর্তৃক নকশাকৃত ৩ মিটার উচু এ স্মৃতিস্তম্ভটি কালো গ্রানাইট ও সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত। বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিওর সহযোগিতায় স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানের আগে ১৯৪৫ সালে নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার সময়ের সাথে মিলিয়ে বেলা ১১ টা ২ মিনিটে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি শান্তি-স্মৃতি (পিস মেমোরিয়াল) জাদুঘর পরিদর্শন করেন ও সেখানে দর্শনার্থী বই-এ মন্তব্য লেখেন।
দুপুরে নাগাসাকির মেয়র সুজুকি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। মধ্যাহ্নভোজের বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানটি সফলভাবে আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা ও আন্তরিকতার জন্য মেয়র সুজুকিকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হামিদুর রহমান খান, বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন শাহ আসিফ রহমান, দূতালয় প্রধান শেখ ফরিদ এবং দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) মোঃ ইমরানুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।