অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত কতসংখ্যক শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন, তার তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
২৫ আগস্ট রবিবার অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব মো. লুৎফর রহমানের সই করা জরুরি চিঠিতে এ তথ্য জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান ও সহকারী শিক্ষক পদে কতজন শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন, সে বিষয়ে সংযুক্ত পত্রের ছক মোতাবেক একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য আগামী ২৮ আগস্ট দুপুর ১২টার মধ্যে নিয়োগ শাখার ই-মেইলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
ই-মেইল ঠিকানাটি হলো-ad.recruitdpe@yahoo.com। এই ঠিকানায় এক্সেল ফরম্যাটে সফট কপি ও পিডিএফ কপি মেইল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল উমারপুর ইউনিয়ননের হাপানিয়া গ্রামের বাসিন্দা হামিদ মোল্লা (৮৬) ও তার স্ত্রী ফজিলা খাতুন (৭৭) দম্পতি। সংসারে ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের রয়েছে তাদের। যমুনা নদীর ভাঙনে বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। আর ছেলেরা যার যার মত সুবিধা মত জায়গায় চলে গেছেন। কিন্ত ৫ ছেলের সংসারে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের ঠাঁই হয়নি। কয়েকদিন আগে তাদের উপজেলার সম্ভুদিয়া জান্নাতুল বাকি কবরস্থান এলাকায় নির্জন স্থানে ফেলে রেখে গেছেন স্বজনরা। এ ঘটনার পর তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। চলছে মামলার প্রস্তুতি।
জানা যায়, প্রায় ২ মাস আগে সেজ ছেলের মানিকগঞ্জের বাড়ি থেকে বৃদ্ধ দম্পতিকে চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নের হাঁপানিয়া চরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে বৃদ্ধের ভাগ্নের বাড়িতে আশ্রয় হয়েছিল তাদের। সেখানেও অবহেলার শিকার হন তারা। এ অবস্থায় কয়েকদিন আগে পাশের বাঘুটিয়া ইউনিয়নে এ দম্পতির বড় মেয়ের বাড়ি সংলগ্ন সম্ভুদিয়া কবরস্থানের পাশে কাউকে না জানিয়ে ফেলে রেখে যায় স্বজনরা। সংবাদ পেয়ে এ দম্পতির বড় মেয়ে মনোয়ারা খাতুন বাবা-মাকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে মেয়ে মনোয়ারা খাতুন বলেন, আমি নিজেই স্বামী হারা। দরিদ্র সন্তানদের সংসারে থাকি। আমার পাঁচ ভাইয়ের কেউ বাবা মাকে ভরনপোষণ করে না। এই বৃদ্ধ বয়সে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। কয়েক দিন আগে আমাকে না জানিয়ে আমার বাড়ির পাশে বাবা- মাকে ফেলে রেখে চলে গেছে। অভাব অনটনের সংসারে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা মাকে ভরণপোষণ আমার জন্য কষ্টসাধ্য। বিষয়টি জানতে পেরে অসহায় বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ও বাগুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল্লা এবং চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় দম্পতিকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সহায়তা করা হয়েছে। ওই দম্পতিকে সাময়িকভাবে তাদের মেয়ের বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।
ইউএনও মাহবুব হোসেন আরো বলেন, এই অসহায়তা দম্পতিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ঘর তুলে দেওয়ার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বৃদ্ধ বাবা-মাকে ভরনপোষণ না করার অপরাধে ছেলেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোট
নিজের জীবন দিয়ে বোনকে বাঁচালেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাবিহা আফিফা সৃজনী। বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় আহত সৃজনী আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মো. রনি হোসাইন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে আমাদের সৃজনীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। আমরা এখন সেখানে যাচ্ছি।
সৃজনী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (৫০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তিনি রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
সৃজনীর সহপাঠীরা জানান, শনিবার বিকালে সৃজনী তার ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে কুড়িল এলাকার ৩০০ ফিটে গিয়েছিলেন। সেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামার পর লক্ষ্য করেন পেছন থেকে দ্রুতগামী একটি ট্রাক আসছে। ছোট বোনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেও নিজে সরে যেতে পারেননি। ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সৃজনী মাথায় মারাত্মক আঘাত পান এবং তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাবা-মার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চেপে বাড়ি এলেন প্রবাসী ছেলে। শনিবার বিকেলে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে আসেন আলম আনসারী নামে এক সৌদি প্রবাসী। তার বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মমিনপুর মুকমদশা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ. রহিম বকাউলের ছেলে। এ সময় গ্রামের কয়েক শ মানুষ হেলিকপ্টার দেখতে সেখানে ভিড় জমায়।
গ্রামের চারপাশে ফসলি মাঠের একটা জায়গায় তৈরি করা হয় হেলিপ্যাড। জমির আইল ধরে সড়ক পার হয়ে গ্রামের মানুষ আসেন হেলিপ্যাডের পাশে। হৈ চৈ পড়ে যায় পুরো এলাকায়।
আ. রহিম বকাউল বলেন, আমাদের খুব ইচ্ছা ছিল ছেলে আলম আনসারী বিদেশ থেকে দেশে ফিরে হেলিকপ্টারে বাড়িতে আসবে। আজ আমাদের মনের আশা পূর্ণ হয়েছে।
প্রবাসী মো. আলম আনসারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে বাস করছি। আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য এবং গ্রামের মানুষ ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতে আমি ব্যতিক্রমভাবে বাড়ি ফিরি। আমি আসবো আগে থেকেই মা-বাবাকে জানিয়েছিলাম। তারা আমাকে নেওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যায়। হেলিক্প্টার ভাড়া করে বিমানবন্দর থেকে মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনার মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক পদক্ষিণ শেষে শহরের কাউতলী জেলা ডায়াবেটিস সমিতির হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
জেলা ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এডঃ মিন্টু ভৌমিকের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নোমান মিয়া, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম,সমিতির সহ সভাপতি এডভোকেট হাবিব উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী কামাল উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ নূরে আলাম সিদ্দিকী।
সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুর সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ওমর ফারুক।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিক মো. আরজু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের অতিথিরা বক্তব্যে বলেন ভূয়সী প্রশংসা করে ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিয়মিত হাঁটা, ব্যয়াম করা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিমিতি আনার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
যুব এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। আজিজুল হাকিম তামিমের দল ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে। এমন পারফরম্যান্সের জন্য বিসিবির কাছ থেকে পুরস্কার পাচ্ছেন তারা।
আজ ২১ ডিসেম্বর শনিবার বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সবাইকে দেওয়া হবে তিন লাখ টাকা করে।
কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা ছেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি থাকে বিসিবির। এতদিন এমন কিছু ছিল না মেয়েদের ক্রিকেটে। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট চালুর সঙ্গে আরও একটি ভালো খবর পাচ্ছে নারীরা। তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের জন্যও চুক্তি রাখবে বিসিবি।
সভাপতি ফারুক আহমেদ এসব নিয়ে বলেন, ‘এশিয়া কাপজয়ী দলের ক্রিকেটার, প্রত্যেক সদস্যকে আমরা ৩ লাখ টাকা করে প্রাইজমানি দেব। আমাদের মেয়েদের কেন্দ্রীয় চুক্তি একটা আছে আপনারা জানেন। এর সঙ্গে আরও ত্রিশজন ক্রিকেটারকে, ছেলেদের যেমন জাতীয় লিগ যারা খেলে তাদের চুক্তি আছে, তেমনই ত্রিশজন মেয়ের জন্য একটা চুক্তি আনব আমরা। ছেলেদের মতো মেয়েদেরও উইনিং বোনাস চালু করেছি আমরা। যেটা নতুন জিনিস। ’
‘র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে ছেলেরা যেমন একেক অনুপাতে বোনাস পায়, একইভাবে মেয়েরাও বোনাস পাবে। টাকার অংক হয়তো একটু হেরফের হবে, তবে বোনাস পাবে। মূলত এগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি। আপনারা জানেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে হবে। তাই এটা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। ’
এবারের বিপিএলে নতুন অনেক উদ্যোগ নিয়ে এসেছে বিসিবি। সোমবার ঢাকায় ও পরে আরও দুটি শহরে হবে মিউজিক ফেস্ট। এসব আয়োজনের কথাও বোর্ড সভার পর জানিয়েছেন ফারুক।
তিনি বলেন, ‘থিম সং, গ্রাফিতি লঞ্চ হয়ে গেছে। কোলাহলপূর্ণ জায়গায় আমরা একটা জায়ান্ট বেলুন দেব। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ক্যাম্পেইন আমরা চালু করেছি। মিউজিক ফেস্টে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ট্রফি ট্যুর হবে একটা। আমি জানি না আগে করা হয়েছে কিনা। আমাদের মিউজিক ফেস্টের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে মধুমতি ব্যাংক এসেছে। তারা ৫ কোটি টাকার কাছাকাছি দেবে।’