চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যার সুযোগে বেশি দামে শুকনাে খাবার বিক্রির দায়ে তিন দোকানিকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ২৬ আগস্ট সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী শহরের আনন্দ বাজারে (চিড়া-মুড়ি-গুড়ের মার্কেট) অভিযান চালিয়ে দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার না থাকা ও অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির দায়ে তিন দোকানিকে ৭ হাজার টাকা করে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় জরিমানার পাশাপাশি দোকানিদেরকে সর্তকও করা হয়।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা বন্যা কবলিত। বন্যার্তদের সহায়তায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, সমিতি, বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে শুকনা খাবারের (চিড়া-মুড়ি-গুড়) সহ প্রয়োজনীয় কিছু পন্যের বেচা-কেনা বেড়ে যায়। এই সুযোগে কয়েকটি পন্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় অবৈধভাবে উড়াল গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করার লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল ১ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর ও বাকাইল গ্রামের পাশে তিতাস নদীতে অবৈধ গ্যাসের পাইপ লাইন লাইন উচ্ছেদের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে উড়াল গ্যাস ব্যবহার কাজে ব্যবহৃত তিতাস নদীতে অবৈধভাবে স্থাপিত ২২ টি গ্যাস উত্তোলন ট্যাংক ও প্রায় ৭ হাজার মিটার পাইপ অপসারণ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, উড়াল গ্যাস ব্যবহার করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আমরা অভিযান শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সব এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের জিএম (অপারেশন) মোঃ আশরাফুল আলম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাসের-৩ নম্বর কূপ থেকে এই গ্যাস লিকেজ হচ্ছিল। এ ঘটনায় গত ২০০৬ সালে তিতাসের ৩ নম্বর কূপটি বন্ধ করা হয়। বর্তমানে লিকেজ দিয়ে যে গ্যাস বের হচ্ছে তা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী, জেলা প্রশাসনের নেজারতে ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ইকরামুল হক নাহিদ সহ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং সদর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনদিন ব্যাপি উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, স্থানীয় সরকার উন্নয়ন হলে, দেশ উন্নত হবে। সরকার স্থানীয় পর্যায়ে যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছে তা সকলের কাছে বেশী করে প্রচার করতে হবে। উন্নয়ন মূলক কাজের প্রচজারের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবদের গুরুত্বপূর্ন ভ‚মিকা রয়েছে।
তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলায় সদর উপজেলার ৩টি স্টল ও সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১১ স্টলসহ ১৪টি স্টল অংশ গ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প বন্ধ করে দিয়ে শহর ও গ্রামে পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উচ্চতর আসনে পৌঁছেছে।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে তাকে দেওয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. সৈয়দ শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশেই বহুতল বিশিষ্ট অ্যাপার্টম্যান্ট নির্মাণ করা হবে। ওইসব অ্যাপার্টম্যান্টে প্রবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট সংরক্ষিত থাকবে।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর পূর্বপাড়ে একটি উপ-শহর গড়ে তোলা হবে। যার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। শহরের পূর্বপ্রান্তে তিতাস নদীর পাড় দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। যার নকশার কাজ শেষ হয়েছে। প্রকৌশলীরা এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাল্টিপারপাস মিলনায়তন নির্মাণ করা হবে। শিশুদের বিনোদনের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি শিশুপার্ক গড়ে তোলা হবে।
সম্প্রতি শহরে বেশ কয়েকটি ছিনতাই সংগঠিত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাই-চাঁদাবাজি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ছিনতাই হয়েছে। অবশ্যই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাই-চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, এসব অপকর্মের সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগ বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেউ জড়িত থাকে অবশ্যই তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
তিনি বলেন, সামনে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে যাতে কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে সেদিকে পুলিশকে নজরদারি বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার সীমানা বর্ধিত করার কাজ চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে একটি নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
বাচিক শিল্পী মো. মনির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাস্টি বোর্ড ও পিএসসির সদস্য প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাস্টি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ, একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ ৯ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে শহরের পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা জেলা যুব মৈত্রীর যুগ্ম আহবায়ক কাজী তানভীর মাহমুদ শিপন, সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া বলেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতির রাজধানী বলে খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলায় রয়েছে রেলওয়ে জংশন, স্থলবন্দর, নৌ-বন্দর, দেশের বৃহৎ ইউরিয়া সার কারখানা, তিতাস গ্যাস ক‚প ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
একটি সমৃদ্ধ জেলা হলেও মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়নি। তিনি অবিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ, একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।