অনলাইন ডেস্ক :
১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হবে। সরকারি-বেসরকারি দুই মাধ্যমেই এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে এবছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় পরে আর বাড়ানো হবে না।
পূর্বের কিংবা নতুন প্রাক-নিবন্ধিত যেকোন ব্যক্তি তিন লক্ষ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবে। হজ প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা প্যাকেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ বছরের হজ প্যাকেজ মূল্য সৌদি পর্বের ব্যয় ও বিমান ভাড়া নির্ধারণ সাপেক্ষে ঘোষণা করা হবে। তবে ২০২৫ সনের সাধারণ হজ প্যাকেজ মূল্য গত বছরের চেয়ে কমানোর চেষ্টা করা হবে।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের প্রাক-নিবন্ধন ফি ৩০ হাজার টাকা।২০২৫ সনে বাংলাদেশের জন্য হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এই কোটা পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাথমিক নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
সাধারণ প্যাকেজে’র বাড়ি কিংবা হোটেলে একরুমে সর্বোচ্চ ৬ সিট থাকবে। তবে প্যাকেজ আপগ্রেডেশন সুবিধা থাকবে। হজ এজেন্সিগুলো বিশেষ প্যাকেজের সুবিধা দিয়ে হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবে। হজ কার্যক্রম পরিচালনায় প্রাথমিকভাবে যোগ্য এজেন্সির তালিকা www.hajj.gov.bd এ পাওয়া যাবে। তাছাড়া, ১৬১৩৬ নম্বর ফোন করে জানা যাবে হজ সংক্রান্ত যেকোন তথ্য।
ই-হজ সিস্টেম (www.hajj.gov.bd), e-Hajj BD মোবাইল অ্যাপ থেকে সরকারি মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিরা সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এবং ঢাকার আশকোনার হজ অফিস হতে প্রাক-নিবন্ধন ও প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবে। বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদেরকে অনুমোদিত এজেন্সি কর্তৃক প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় প্রাক-নিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে।
সরকারি মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিদেরকে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, স্থানীয় কার্যালয় শাখা, মতিঝিল ঢাকার Sale Proceeds of Hajj Deposit শীর্ষক হিসাবে ০০০২৬৩৩০০০৯০৮ হিসাব নম্বরের অনুকূলে টাকা জমা দিতে হবে। সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় ভাউচারের মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধনের টাকা জমা দেওয়া যাবে। বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদেরকে এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে প্রাথমিক নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে হবে।
ক্যান্সার, অ্যাডভান্সড কার্ডিয়াক, লিভার সিরোসিস, কিডনি রোগ, সংক্রামক যক্ষা, ডিমেনশিয়া প্রভৃতি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং গর্ভবতী মহিলা ও চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদেরকে হজের নিবন্ধন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৫ আগস্ট রোববার এ সংক্রান্ত একটি পত্র জারি করেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি ২৮ অক্টোবরকে সরকারের পতন যাত্রা ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসলে ২৮ তারিখ বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে। আর ২৮ তারিখ কিংবা কয়েক দিন পর তাদের ঘোষণা করতে হবে, আগামী নির্বাচনের পর তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
এই ঘোষণা বিএনপিকে করতে হবে।
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সদস্যদের সন্তানদের মেধাবৃত্তি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিএসইসি।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৮ অক্টোবর বুধবার ঢাকা শহরে দুটি বড় সমাবেশ হয়েছে। দুটি সমাবেশের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র দুই কিলোমিটার। দুই কিলোমিটারের মধ্যে দুটি বড় সমাবেশ হয়েছে এবং ঢাকা শহরে কোনো গণ্ডগোল হয়নি। রাজনীতির চর্চা এমনই হওয়া উচিত। কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে যে সমাবেশ হলো, সেখানে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, ২৮ তারিখ তারা সমাবেশ করবেন। সরকারের পতনের যাত্রা তখন থেকে শুরু হবে। এখন মানুষ হাস্যরস করে বলে, এটা এবারের ২৮ তারিখ নাকি আগামী বছরের ২৮ তারিখ, নাকি তার পরের বছরের ২৮ তারিখ।
আজকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী ২৮ অক্টোবরের আগেই সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি কিছু দিন আগে বলেছিল, অক্টোবর মাসে হচ্ছে ফাইনাল খেলা। আমরা আশা করেছিলাম, অক্টোবর মাসের শুরু থেকে তারা ফাইনাল খেলার দিন-তারিখ ঘোষণা করবেন। তারপর বললেন, পূজার পরে। এখন দেখলাম সেটি ২৮ অক্টোবর নিয়ে গেছে। খুব সহসা ২৮ অক্টোবর তারা নির্বাচনের পরে আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন। আগামী নির্বাচনের পরে বিএনপি আবার একটি আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা ২৮ তারিখ দেবে বলে মানুষ ধারণা করছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর ধরে এই আন্দোলনের হুমকির মধ্যে আছি। বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপির কর্মীরা ছাড়া জনগণের সেখানে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের হাসপাতালে চালানো হামলায় কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শত শত শিশু মারা গেছে। তাদের কবর দেওয়ার জন্য জায়গাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সব দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সেই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। ফ্রান্স থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এটার প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বুধবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, এর আগেও জানিয়েছেন। আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম থেকে এই হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সবাই এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি একটি কথা এই প্রসঙ্গে বলেনি। তারা শুধু বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি নিয়ে ব্যস্ত। আজকে যে পুরো পৃথিবী এর বিরুদ্ধে কথা বলছে সেই বিষয় তাদের কানে পৌঁছায় না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, আশ্চার্যজনক এবং প্রতিবাদ না জানিয়ে বিএনপি কার্যত এই বর্বরতার পক্ষ অবলম্বন করেছে। শিশু হত্যার পক্ষ অবলম্বন করেছে।
ফিলিস্তিনি ইস্যুতে নিশ্চুপ থাকছে বিএনপি, তাহলে বিএনপি কী ইহুদি ও ইসরায়েলের পক্ষ অবলম্বন করছে প্রশ্ন ছুড়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতও এই বিষয়ে নিশ্চুপ। স্লোগান দেয় আল্লাহর আইন চাই এবং সৎলোকের শাসন চাই। আজকে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতও নিশ্চুপ। অর্থাৎ এরা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের কোমল হৃদয়ে আঘাত হানে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। এরা হচ্ছে ধর্ম ব্যবসায়ী। আজকে তাদের নীরবতা ইহুদি ও ইসরায়েলকে সমর্থন করার সামিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা কেউ রাজনীতির বাইরে নই। কেউ রাজনীতি না করলেও রাজনীতির একটি প্রভাব প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে। সেজন্য আমি মনে করি, আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কর্ণধারদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য সুস্থ রাজনীতি দরকার। অসুস্থ রাজনীতি সমাজকেও অসুস্থ করে দেয়। সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং সবকিছুতে না বলার রাজনীতির যে সংস্কৃতি আমরা চালু করেছি, এটি রাজনীতিকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। সেটি আমাদের সমাজের ওপর প্রভাব ফেলছে। আজকে যারা নতুন প্রজন্ম, ভবিষ্যতে দেশ চালাবে, তাদের ওপর প্রভাব ফেলছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে মেধাবীরা আসছে না। রাজনীতি থেকে মেধাবীরা দূরে সরে যাচ্ছে। কিন্তু রাজনীতির মঞ্চ তো সেজন্য খালি থাকছে না। মেধাবীরা রাজনীতিতে না আসায়, মেধাহীনরা রাজনীতির মঞ্চ দখল করছে। মেধাহীনরা সংসদেও যাচ্ছে, দেশও পরিচালনা করছে। সেজন্য মেধাবীদের রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন। মেধাবীরা যদি রাজনীতিতে না আসে, তাহলে মেধাহীনরা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়। যারা সুযোগ সন্ধানী তারা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়।
তিনি বলেন, রাজনীতি যে একটা ব্রত, দেশসেবা, সমাজসেবা, দেশ পরিবর্তন, সমাজ পরিবর্তন, সমাজ উন্নয়ন, রাষ্ট্রের উন্নয়নের। রাজনীতি কোনো পেশা নয়, বরং একটি ব্রত। সেটি অনেক রাজনীতিবিদরা জানেন না বা মনে করেন না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। এই কল্যাণ ট্রাস্ট এখন সাংবাদিকদের একটি ভরসার স্থলে হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে দুস্থ কিংবা অসচ্ছল সাংবাদিকদের এই কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা করা হতো কিংবা কারো মৃত্যু হলে তার পরিবারকে সহায়তা করা হতো। আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের এককালীন বৃত্তি দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে গেছে এবং বিধিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বৃত্তি পাওয়া শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা আজকে পুরস্কৃত হয়েছো, তোমাদের জীবনকে সংগ্রাম হিসেবে নিতে হবে। জীবন সংগ্রামে তোমরা অন্যদের পথ প্রদর্শক হবে এবং তোমরা নিজেরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে, তোমাদের হাত ধরে দেশও স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে।
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
চলারপথে রিপোট
নিজের জীবন দিয়ে বোনকে বাঁচালেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাবিহা আফিফা সৃজনী। বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় আহত সৃজনী আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মো. রনি হোসাইন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে আমাদের সৃজনীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। আমরা এখন সেখানে যাচ্ছি।
সৃজনী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (৫০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তিনি রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
সৃজনীর সহপাঠীরা জানান, শনিবার বিকালে সৃজনী তার ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে কুড়িল এলাকার ৩০০ ফিটে গিয়েছিলেন। সেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামার পর লক্ষ্য করেন পেছন থেকে দ্রুতগামী একটি ট্রাক আসছে। ছোট বোনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেও নিজে সরে যেতে পারেননি। ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সৃজনী মাথায় মারাত্মক আঘাত পান এবং তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের সব আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইসরাত জাহানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঘোষিত তপশিল অনুসরণে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারীগণের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, এ আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ‘দ্য আর্মস অ্যাক্ট ১৮৭৮’এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দু’দেশের আরও উন্নয়ন।
চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী সান ওয়েইডং রোববার গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
চীনের মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও হাই-টেক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী। এখানে আরও সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।
চীনের উপমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করলেও এবার তিনি বাংলাদেশকে অনেক বেশি উন্নত দেশ হিসেবে দেখেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তাঁর ব্যক্তিগত শুভেচ্ছাও জানান। তিনি বলেন, প্রায় ৬ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই কভিড মহামারি চলাকালে দেশে ফিরে এসেছে। শেখ হাসিনা মহামারির পরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চীনে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় অ্যাম্বাসাডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশে চীনের বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা খোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, গত মাসে আমরা তাৎক্ষণিক লেনদেনে (আরটিজিএস) চীনা মুদ্রাকে যুক্ত করেছি।
সেই সঙ্গে চীনের ব্যাংক যদি আসে, তাহলে আমাদের আমদানি-রপ্তানিতে আরও একটি মাইলফলক তৈরি হবে। চীনের ডেপুটি মিশন প্রধান কথা দিয়েছেন, চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশে তাদের ব্যাংক শাখা খুলবে।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিসিসিসিআই-ইআরএফ জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চীন এখন বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। আমাদের আম আর সবজি চীনে রপ্তানি করে এ ঘাটতি কমাতে পারবো না; দরকার বিনিযোগ। চীনা বিনিয়োগকারীদের বলব, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ভালো লোকেশন, রয়েছে বন্দর সুবিধা। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলও তৈরি হচ্ছে। এসব জোনে তারা বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি বলেন, সামনে রমজান, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। চিনি, তেল আমাদের ৯০ ভাগ আমদানি করতে হয়। এসব পণ্য আমদানিতে ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। এনবিআর যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে এলে রমজানে ভোক্তারা এর সুবিধা পাবেন।
ভারত থেকে নিত্যপণ্য আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা ছিল, তা দূর হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী রমজানে ব্যবহার করার মতো চিনি ও পেঁয়াজ যাতে সহজে দেশে আসতে পারে-এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজ ও চিনি টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরবরাহে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম ও বাংলাদেশে চীনের ডেপুটি মিশন প্রধান ওয়ান হুয়ালং। বক্তব্য রাখেন, ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধা ও বিসিসিসিআই সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।