সেই প্রেম-মানবতা ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কাল্- বোশেখীর ঝড়।’ প্রলয়োল্লাস কবিতায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এভাবেই পরাধীন দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও শোষিত মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে বিপ্লবকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
নজরুলের কাব্যে দ্রোহের সঙ্গে ছিল প্রেমের বার্তা। তিনি লিখেছিলেন, ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতূর্য’। সংগীতেও সৃষ্টি করেছিলেন অনন্য একক ধারা। বাংলা গানে প্রয়োগ করেছেন নিত্যনতুন রাগ। তিনি গজল ও শ্যামা সংগীত, উভয়ের সফল রচয়িতা। তাঁর পাণ্ডিত্য ছিল আরবি-ফারসি ভাষায়ও। তিনি ওমর খৈয়াম ও হাফিজের কবিতার দারুণ অনুবাদ রেখে গেছেন।
কবির জীবনকাল ৭৭ বছরের। ১৯৪২ সালে অসুস্থ হয়ে বাক্শক্তি হারানোর আগ পর্যন্ত কাজী নজরুল ইসলাম শিল্প-সাহিত্যকে যা দিয়েছেন, তা বাংলা তথা বিশ্বসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ হয়ে আছে। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, রাজনীতিক ও সৈনিক। তাঁর ‘অগ্নিবীণা’, ‘বিষের বাঁশী’, ‘চক্রবাক’, ‘সঞ্চিতা’, ‘প্রলয়-শিখা’, ‘মরু-ভাস্কর’, ‘দোলন-চাঁপা’, ‘ভাঙার গান’, ‘সাম্যবাদী, ‘পুবের হাওয়া’, ‘ব্যথার দান’, ‘রিক্তের বেদন’, ‘বাঁধন-হারা’, ‘মৃত্যুক্ষুধা’, ‘কুহেলিকা’ অমর কীর্তি।
১৯৭২ সালের ২৪ মে স্বাধীন বাংলাদেশে নজরুলকে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয়। দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করে তাঁকে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে নাগরিকত্ব দেয়। একই বছর ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদকে ভূষিত করা হয় তাঁকে।
কবির জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জৈষ্ঠ (১৮৯৯ সালের ২৪ মে) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের নদী বাঁচাতেই হবে। বাংলাদেশ বাঁচাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।’
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্যতা রক্ষায় প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের আলোকে সম্পাদিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অবলোকন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্তবিষয়ক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নদী আমাদের বাংলাদেশের জন্য তেমন, ঠিক আমাদের দেহে যেমন রক্ত চলাচলের জন্য শিরা-উপশিরা আছে। আমাদের বাংলাদেশের টিকে থাকাটাও নির্ভর করে এ নদীর ওপরে। বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখার জন্য (প্রয়োজন) সেই প্রবহমান নদী। শিরা-উপশিরার মধ্য দিয়ে রক্তধারা আমাদের শরীরকে বাঁচায়, বাংলাদেশকেও কিন্তু বাঁচায় এ পানি ও নদী। কথাটা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে।’
গত বছরগুলোতে নদীদূষণ-দখল বন্ধ এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর আমাদের সবসময় একটা প্রচেষ্টা ছিল, নদীগুলোকে কীভাবে সুরক্ষিত করা যায়, কীভাবে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা যায়। একসময় বাংলাদেশের নৌপথই ছিল পণ্য পরিবহনের একমাত্র বাহন, একমাত্র জায়গা। নৌপথগুলো কমতে কমতে অনেক জায়গায় এখন নদীপথ নেই, এমন একটা জায়গায় চলে এসেছে ‘
নদীর নাব্যতা ঠিক রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হতো না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নদী শাসনের নামে শুধু বাঁধ নির্মাণে ছিল সবার নজর। আর বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে ফসলের জমি নষ্ট হয়। নদী রক্ষা করা, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা বা দূষণ থেকে নদীকে রক্ষা করার দিকে নজর ছিল না। অপরিকল্পিত নিচু ব্রিজ নৌ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। শুধু এখানে নয়, সারা বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে কতগুলো ব্রিজ করা হলো, সে সময় ব্রিজগুলো মানুষের খুব উপকারে এলো, কিন্তু ব্রিজগুলো করার সময় এটা মাথায় রাখা হয়নি যে, এগুলোতে নৌ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার জন্য এখন সমস্যা হয়ে গেছে। ব্রিজগুলো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।’
রাজধানীর বাইরে অন্য শহরগুলো পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার বাইরে অন্য শহরগুলোর ক্ষেত্রেও এখনই পরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা যে পরিকল্পনাই করি না কেন, সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানির প্রবাহ ঠিক থাকে। নদীগুলোর ড্রেজিং করার সঙ্গে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে নৌকা ডুবে সাবিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১০ জুলাই সোমবার দুপুরে অষ্টগ্রামের ভাতশালা গ্রামের পাশে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের কাকুরিয়া গ্রাম থেকে একটি গরু নিয়ে পাঁচ নারী-পুরুষ ও দুই শিশু ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে বাজিতপুর উপজেলার হাছানপুর গ্রাম যাচ্ছিলেন। অষ্টগ্রামের কাস্তুল ইউনিয়নের ভাতশালা এলাকায় পৌঁছলে তীব্র স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়।
এ সময় ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কে (অলওয়েদার সড়ক) ঘুরতে আসা সাবিকুল ইসলাম তাদের উদ্ধার করতে পানিতে ঝাপিয়ে পড়েন। তিনি এক শিশু ও এক নারীকে পানি থেকে উদ্ধার করেন। পরে উঠতে গিয়ে নিজেই হাওরের পানিতে তলিয়ে যান সাবিকুল।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সাবিকুলের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত সাবিকুুল ইসলাম অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বরাগীরকান্দি গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।
অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক সাব অফিসার কবির আহমেদ ভূইয়া জানান, দুপুর দেড়টায় নৌদুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। পরে বাজিতপুর থেকে ডুবুরিরা এলে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২০০টি ভাষণ সংবলিত ‘ভায়েরা আমার’ শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১২ জুন সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের শুরুতেই বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। ‘ভাইয়েরা আমার’ নামটি প্রধানমন্ত্রীর নিজের দেওয়া। এ ছাড়া বইটির ভূমিকাও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণসমগ্রটির সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনা করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম। বইটি প্রকাশ করে জিনিয়াস পাবলিকেশন।
জাতির পিতার এই ভাষণসমগ্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এতে এখন পর্যন্ত পাওয়া সকল ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বইটির দুইশ’ ভাষণের মধ্যে বাংলাদেশ বেতারের আর্কাইভস থেকে প্রাপ্ত টেপ/সিডি হতে একশ’র বেশি ভাষণ সংগ্রহ করা হয়; যা শ্রুতিলিখনের মাধ্যমে বইটিতে সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিটি ভাষণের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা যথাযথভাবে যাচাই করা হয়েছে। বইটিতে প্রতিটি ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাইলাইট করে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া সূচিতে ভাষণের বিষয়বস্তু, সাল ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতির পিতার ভাষণ শুধু বাংলাদেশেই নয় সমগ্র বিশ্বে এক অমূল্য দলিল। ভাষণসমগ্রটির ভূমিকাতে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু পড়া নয়, সেগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করে নিজ নিজ জীবনে অনুশীলন করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ‘জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। এই সোনার মানুষ হতে হলে জাতির পিতার আদর্শ ও জীবনাচরণ চর্চা করা অত্যাবশ্যক।’
ভাষণসমগ্রটি রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী, ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে মর্মে মন্তব্য করেন এর সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
চলারপথে ডেস্ক :
সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের সব ধরনের খরচের বাইরে একজন যাত্রী এবারও ১২০০ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারবেন। গত বছরও একই পরিমাণ অর্থ সঙ্গে নেওয়ার সুযোগ ছিল। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতি হজযাত্রীর সৌদি পর্বের খরচ বাবদ এজেন্সিগুলো সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৯ টাকা পাঠাবে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আজ ২ মে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবার হজে যেতে খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। গত বছর যা ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা ছিল। সরকারি প্যাকেজের তুলনায় কিছু কম খরচ ধরে বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি–বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে আগ্রহীদের প্রত্যেকে ১২০০ ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ভ্রমণ কোটা প্রযোজ্য হবে না। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে আগ্রহী যাত্রী প্রতি সৌদি পর্বের সব ধরনের ব্যয় বাবদ সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৯ টাকার সমপরিমাণ ১৫ হাজার ৬২৩ সৌদি রিয়াল দেশটিতে পাঠাতে হবে।
সব ধরনের বিধিবিধান অনুসরণ এবং নামের তালিকা দাখিল করে নিজ এজেন্সির মাধ্যমে এ অর্থ পাঠানোর ব্যবস্থা করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, মক্কা–মদিনায় বাড়ি ভাড়া, সেখানে যাত্রায়াত, খাওয়াসহ অন্যান্য খরচ মেটানোর জন্য সৌদি পর্বের খরচ পাঠাতে হবে। এর বাইরে বিমান ভাড়া বাবদ যাত্রী প্রতি এজেন্সিগুলোর খরচ রয়েছে এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। আর প্রাক নিবন্ধন বাবদ খরচ ৩১ হাজার টাকা।
কোন দেশ থেকে কতজন হজে যেতে পারবেন তা ঠিক করে দেয় সৌদি সরকার। এবার বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দেওয়া হয়। তবে হজ খরচ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে ৭ দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ হয়নি। এ কারণে ৪ হাজার মতো কোটা ফেরত দিচ্ছে বাংলাদেশ।
করোনার কারণে এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশ থেকে হজে যাওয়া বন্ধ ছিল। গত বছর কোটার আলোকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পান। এর আগে ২০১৯ সালে হজে গিয়েছিলেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ বাংলাদেশি। সম্প্রতি কোনো বছর কোটা ফেরতের ঘটনা ঘটেনি।
অনলাইন ডেস্ক :
তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক এবং কর্মচারীদের মাসিক ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করা হয়েছে। রোববার অনুষ্ঠেয় মজুরি বোর্ডের সপ্তম এবং সমাপ্ত বৈঠক শেষে শ্রমিকদের মাসিক ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ দিন বোর্ডের সপ্তম এবং সমাপ্ত বৈঠকে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক এবং কর্মচারীদের গ্রেড-৫টা থেকে গ্রেড-৪ এ নামিয়ে আনা হয়। এখন থেকে শ্রমিকরা এই চারটি গ্রেডে বেতন-বোনাস পাবেন। এ বিষয়ে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, গ্রেডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কারণে শ্রমিকরা লাভবান হবেন বলে আশা করছি।
এর আগে ঘোষিত মজুরি পুন:মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন পক্ষ থেকে ১৯৪টি চিঠি আসে নিম্নতম মজুরি বোর্ডে। এসব চিঠির মধ্যে ১৬৮টি আসে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। এসব সংগঠন ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে ২৩টি কারখানার মালিকদের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে ন্যূনতম মজুরি কমিয়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণের সুপারশি করা হয়। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মালিক পক্ষের দেওয়া প্রথম প্রস্তাব ১০ হাজার ৪০০ টাকায় ফিরে যাওয়ার সুপারিশ করে। তবে সবকিছু বিবেচনা করে এ খাতের মজুরি নির্ধারণে সরকার গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শেষ সভায় চুড়ান্ত মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা দেওয়া হয়।