চলারপথে রিপোর্ট :
চলমান বন্যায় ৪ উপজেলার ৮৬০টি পুকুরের অন্তত ৭৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আখাউড়া উপজেলার খামারিসহ মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পুকুর, দিঘি ও খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৮। এগুলোর মোট আয়তন ৬২১ হেক্টর। এসব জলাশয়ে প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ী মাছ চাষ করেন। আর চাষির সংখ্যা ২ হাজার ১০৭। বন্যায় ১২১ দশমিক ৮৬ হেক্টর আয়তনের ৪৩০টি দিঘি, খামার ও পুকুরের সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের মোট ৪৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আর ১ কোটি ১৫ লাখ পোনা পানিতে ভেসে গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের খামারি বলেন, ‘বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা সামলে ওঠা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বন্যার পানিতে পাঁচ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করব, বুঝতে পারছি না।’
বন্যার পানিতে প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার দাবি করেছেন কর্ণেল বাজারের বাসিন্দা বাছির মিয়া। তিনি বলেন, পুকুরে মাছ মাত্র বড় হয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করতেন। কিন্তু বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে দেড় কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া বলেন, ‘পানি কমলেও আমার পুকুরে আর মাছ নেই। যা মাছ ছিল সব পানিতে ভেসে গেছে। প্রায় এক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।’
এ বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি-সংক্রান্ত প্রাথমিক একটি তালিকা করেছে আখাউড়া উপজেলার মৎস্য কার্যালয়।
আখাউড়া উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারিদের ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
এদিকে কসবা উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বন্যার পানিতে ২০০ পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। এগুলোর আয়তন ৩৮ হেক্টর। ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ ও ১০ লাখ টাকার পোনা পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় জানিয়েছে, সদর উপজেলায় ৬০ হেক্টর আয়তনের ১৪৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ১২ লাখ পোনা ও ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অবকাঠামো ভেঙে যাওয়াসহ বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলায় ১১ হেক্টর আয়তনের ৮৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ পোনা ও ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে যাওয়ায় মোট ৫৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, বন্যার পানিতে ৮৬০টি পুকুর প্লাবিত হয়ে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। খামারি ও ব্যবসায়ী মিলিয়ে ৮৬০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
২০ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন-সংলগ্ন খাল দিয়ে ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করে। এরপর আখাউড়া উপজেলাসহ পর্যায়ক্রমে কসবা উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া সড়ক বাজার ও বাইপাস এলাকায় রেলওয়ে নিজস্ব জায়গায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার দুপুরে এ অভিযানে পরিচালনা করা হয়েছে। এতে রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ অন্তত অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সড়কবাজার এলাকায় ফলের দোকান ও বাইপাস সড়কের পাশে মুদির দোকান, চায়ের দোকান, কনফেকশনারি দোকান।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন আখাউড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সজিব মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকার সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, আখাউড়া উপজেলা ভূমি অফিসের কাননগো মোঃ কায়সার হামি।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার পর আখাউড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে মোঃ সজিব মিয়া বলেন, আখাউড়া সড়ক বাজারের মটরস্ট্যান্ড ও বাইপাস এলাকায় ৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আখাউড়া ভূমি অফিসের পিছনে রেলের জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, এগুলো কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা পেপারগুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখাবো। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো। আমাদের এই উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৪৭ বোতল বিয়ার এবং ৪৭ বোতল বিদেশী মদসহ মোঃ শফিকুল ইসলাম (২২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাতে কসবা পৌর শহরের কসবা-শান্তিপাড়া পাকা রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শফিকুল ইসলাম কসবা উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কসবা-শান্তিপাড়া রাস্তার পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার সাথে থাকা ব্যাগ ও বস্তা তল্লাশী করে ৪৭ বোতল বিয়ারের ক্যান এবং ৪৭ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেয়া হয়েছে। আজ রবিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের আহুত হরতালের সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে আজ ৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায়, টিএ রোডস্থ জেলা কার্যালয় চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কুমারশীল মোড় হয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়।
সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হাসান হিফয্ এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, দীনি সংগঠনের ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক ফয়েজী, শেখ মুহাম্মদ শাহ আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহসিনুল করীম হারুনী, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এম আবু হানিফ নোমান, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাও. নূরুল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাও. ফয়জুল্লাহ মুহসিন, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাও. আল আমীন হোসাইনী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ মুসলমানদের উপর দখলদার ইসরাইলী অব্যাহতভাবে বোমা বর্ষণ করে আরেকবার প্রমাণ করেছে তারা ধর্ম ও মানবতার শত্রু এবং আল্লাহর অভিশপ্ত জাতি। ইসরাইল যুগে যুগে নিন্দিত, আগ্রাসী বর্ণবাদী ও অভিশপ্ত সন্ত্রাসী জাতি। পাশবিকতাকে ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে, বর্তমান জাতিসংঘের ভূমিকায় বিশ্ব মুসলিম বিস্মিত ও মর্মাহত। তিনি জাতিসংঘকে মুসলিম নিধনকারী সংঘ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিশ্বমুসলিমকে মুসলিম জাতিসংঘ গঠনের আহ্বান জানান। সেই সাথে আরব বিশ্বকে মুসলমানদের পক্ষে জোরালো পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান। মিছিলে বিক্ষোভকারীরা অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানিয়ে শ্লোগান দিয়ে শহর প্রকম্পিত করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
১ হাজার ২২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাহমুদুল হাসান নামে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত মাহমুদুল হাসান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারী প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে বিচারাধীন মাদকের মামলা নিষ্পত্তি পর আলামত হিসেবে জব্দ করা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য গত বুধবার বিকেলে চীফ জুডিসিয়াল আদালত চত্বরে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ কয়েকজন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের মালখানায় থাকা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার জন্য আদালত প্রাঙ্গনে আনার সময় মাহমুদুল হাসান এক প্যাকেট ইয়াবা প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেন। এতে তার প্যান্টের পকেট উঁচু হয়ে যাওয়ায় উপস্থিত ম্যাজিষ্ট্রেটদের সন্দেহ হয়। এ সময় উপস্থিত একজন ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশ সদস্যদের ডেকে মাহমুদুল হাসানের শরীর তল্লাশী করতে বলেন। পরে পুলিশ সদস্যরা তল্লাশী করে তার প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার ২২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোবায়েদুল হাসান ভূইয়া বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা দায়ের করেন। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই অবস্থান করছেন। ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এমনটা হয়ে থাকলে বিষয়টি দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন জানান, বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিজ চোখে বিষয় দেখে ফেলেন। দেখার পরই তাকে প্রথমে তাকে আটক ও পরে পুলিশের মাধ্যমে তার শরীর তল্লাশী করে তার পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। আমি তার যথাযথ শাস্তি দাবি করি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহমুদুল হাসান আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ বাড়িতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার সময় আবদুল কাইয়ুম (৪৫) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন তার স্ত্রী। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের সরকারপাড়া এলাকা থেকে কাইয়ুমকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাইশা (৩০) ও উজ্জল মিয়া (৩০) নামে আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে। কাইয়ুম ওই এলাকার মৃত আবদুন নূরের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাইয়ুম তার নিজ বাড়িতে মাইশা ও উজ্জলকে নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। এ সময় কাইয়ুমের স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের তিনজনকে আটক করে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯- এ ফোন করে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।