চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৬৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিগত ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের গাড়ি ভাংচুর, হামলা ও বিষ্ফোরনে ঘটনায় বিএনপি নেতা এস.এম. রাষ্টু বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে বিজয়নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী এস.এম রাষ্টু বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের মৃত মিয়া চান সরকারের ছেলে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন নাহার টুনি, কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউছার ভূইয়া, জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস.এম. মাহবুব, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী ছৈয়দুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শামীউল হক চৌধুরী শামীম, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূইয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন, আওয়ামীলীগ নেতা তৈফিকুল ইসলাম মুকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুর্নিমল সাহা, শিক্ষক জিয়াউর রহমান, পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়াসহ ১৬৮ জন।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদী এস.এম রাষ্টু অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
নির্বাচনের আগে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপজেলার মীর্জাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গেলে আসামীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমন করে। আসামীরা খালেদ মাহবুব শ্যামলের দুটি গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে ও বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে মারধোর করে। ঘটনার পরদিন বাদি থানায় মামলা করতে গেলে আসামীদের হস্তক্ষেপে মামলা করতে পারেননি। তাই মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাফায়েত আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২০ মে সোমবার সকালে জেলা নির্বাচন অফিস এবং বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
আগামী ০৫ জুন এই তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার হতে তিনটি উপজেলায় সরগরম নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়েছে। এদিন সকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিজ নিজ কর্মী সমর্থক সহকারে জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিস গুলোতে ভিড় জমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের আনারস প্রতীক তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী পছন্দ করায় লটারীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। পরে প্রার্থীরা কর্মীদের আনন্দ মুখর মিছিলে প্রতীক প্রচার করে এলাকায় ফিরে যান। দুপুর দুইটা হতে প্রতীক সম্বলিত লিফলেটসহ প্রচারণা মাইকিং শুরু হয়েছে তিনটি উপজেলায়।
চলারপথে নিউজ :
বিজয়নগরে বাস থেকে নামার সময় চাকায় পিষ্ট হয়ে মো. সোহেল (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
গতকাল ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শশই নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বাদুপট্টি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা হবিগঞ্জের মাধবপুরগামী দিগন্ত পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে করে শশই যাচ্ছিলেন সোহেল। শশই বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামার সময় মহাসড়কে পড়ে যান তিনি। এসময় ওই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সোহেল।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় বাস ও বাসের এক স্টাফকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ রেজিয়া বেগম (৩০) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় নগদ টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ৯টায় সেনাবাহিনী ও বিজয়নগর থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। এ সময় রেজিয়া বেগমের কাছ থেকে ১২১০ পিস ইয়াবা, ৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৯৩ হাজার ৮৯০ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার মোছা. রেজিয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের মো. রুবেল মিয়ার স্ত্রী। এসময় মো. রুবেল মিয়া (৩৮) পালিয়ে যায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন আশুগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো. ইমতিয়াজ মাহমুদ খান।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার নারী মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত মামলায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মনিপুর এলাকার আতকাপাড়া গ্রামে প্রতিবেশীদের সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে টেটাবিদ্ধ হয়ে ময়না (১২) নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। নিহত ময়না আক্তার ওই গ্রামের ফারুক মিয়ার কন্যা। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর আতকাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর আতকাপাড়া গ্রামের শাহজাহানের মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের হানিফ মিয়ার মেয়ে তাইবা আক্তার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের আয়োজন ছিল বৃহস্পতিবার। এ বিয়ের অনুষ্ঠানে বিকেলে পাশের গ্রাম চাউরাখোলা গ্রামের ছেলেরা গানবাজনা শুনতে আসে বরপক্ষের বাড়িতে। উচ্চশব্দে গান বাজনাকে কেন্দ্র করে বর পক্ষের সঙ্গে চাউরাখোলা ছেলেদের ঝগড়া হয়। পরে চাউরাখোলার ছেলেরা বিষয়টি মীমাংসার জন্যে কনের চাচা হোসেন মিয়া মিয়াকে জানায়। হোসেন মিয়া বিষয়টি মীমাংসা না করে উলটো চাউড়াখোলা ছেলেদের উপর ক্ষুব্ধ হয়। এক পর্যায়ে চাউড়াখোলা গ্রামের বেলাল মিয়া নামে এক যুবককে চর থাপ্পড় দেয়।
পরে চাউরাখোলা গ্রামের যুবকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মনিপুর আতকাপাড়া গ্রামে কনেপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ময়না আক্তার নামে ১২ বছরের এক শিশুকন্যা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় ইট পাটকেলের আঘাতে আরো অন্তত পাঁচজন আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ওসি রওশন আলী জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।