চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ১৭৫ বোতল বিদেশী মদ এবং ৩০ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ৮টা এবং ভোর রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় মাদক বহনকারী একটি পাজেরো জীপ ও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চাষাড়া এলাকার মো. বিল্লাল হোসেন (৫০), মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মালির পাথর (পঞ্চসার) গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন (৪৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. রফিক (৩১) ও একই এলাকার মো. তানভীর (২০)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিউল কবির বলেন, সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি পাজেরো জীপ আটক করা হয়। গাড়িটি তল্লাশি করে ১৭৫ বোতল বিভিন্ন ব্যান্ডের বিদেশি মদের বোতল উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. বিল্লাল হোসেন এবং আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে ভোরে একই এলাকায় অপর অভিযানে একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকারে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. রফিক ও তানভীরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে কাভার্ডভ্যান থেকে ১০৪ কেজি গাঁজাসহ জিয়াউর রহমান (৩৮) নামের এক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৫ আগস্ট শনিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিয়াউর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার দেলি উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত খেলু মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদক উদ্ধারের অভিযানের সময় একটি কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি করে ১০৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানার এসআই মো. কবির হোসেন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। গ্রেফতার কারবারিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভিটিমালিক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের পুনর্বাসন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণসহ পাঁচ দাবিতে সমাবেশ করেছেন আশুগঞ্জ ফেরিঘাট পুনর্বাসন মার্কেট ও ঘাট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। ২৭ মে শনিবার সকালে ফেরিঘাট ও নদীবন্দর এলাকায় এসব কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতি পালন করায় দুই ঘণ্টা নদীবন্দরে পণ্য ওঠানামাসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক নৌপরিবহন ব্যবস্থা গতিশীল করতে প্রায় ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক কার্গো টার্মিনাল বাস্তবায়নের প্রকল্প হাতে নেয় বিআইডব্লিউটিএ। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে নদীবন্দরের বর্তমান স্টিল জেটির পূর্ব-উত্তর পাশে পাঁচ একরের বেশি জমি নেয় কর্তৃপক্ষ। এ জমির মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চার একরে রয়েছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু নির্মাণকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা মার্কেট।
ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে অন্তত ৬০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ মার্কেট ঘিরে অন্তত তিন-চার হাজার ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের জীবন চলে।
বক্তারা জানান, এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধানে এসব মার্কেটের ভিটিমালিক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের তালিকা তৈরি ও ক্ষতিপূরণের সম্ভাব্য পরিমাণ নির্ধারণের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে বিতরণ করা হয়েছে ‘ক্ষতিপূরণ নির্দেশিকা’। তবে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ অনেক কম এবং তালিকাও ত্রুটিপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নেই।
ফেরিঘাট পুনর্বাসন মার্কেট ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো. রফিকের সভাপতিত্বে বক্তব দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি, কমিটির সদস্য সচিব মো. সাইদুর রহমান, জেলা সার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
বিশ্বব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে সব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পটির পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ক আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সমাবেশের কথা জেনেছেন তিনি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পাঁচজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ কাঁচা বাজার মনিটরিং করেন। কাচা বাজারে মূল্য তালিকা না থাকার কারণে তিনি বাজারের পাঁচজন ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে মোট ৫ হাজার টাকা মোবাইল কোর্টে জরিমানা করেন এবং খুচরা মনিহারী ব্যবসায়ীকে সতর্ক করেন।
বাজারে সবজি, ডিম, ব্রয়লার মুরগি, আলু, ডাল, পিঁয়াজ, রসুন, আদা ও ভোজ্য তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামল চন্দ্র বসাক।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন, এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। কেউ ইচ্ছামত নিত্যপণ্যের দাম ক্রেতার কাছ থেকে নিলে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সে যতোবড় ব্যবসায়ী হোক না কেন তাকে আইনের আনা হবে এতে কোন ছাড় দেয়া হবে না।